Breaking News

প্রেম কি বুঝিনি | লেখা- বাজপাখি

আজ তানিম মেয়ে দেখতে যাচ্ছে।সে একটু ও খুশি না আবার অখুশি ও না।সে আসলে কনফিউজড। কি করবে।কি করা উচিত।কিছুই বুঝতে পারছে না।তার মা তাকে ক এক বছর ধরে জ্বালিয়ে ফেলছে শুধু ঘরে বউ আনার জন্য।কিন্ত তাকে রাজি করাতে পারছে না।সে বিয়ে করতে ই চায়না।স্টাডি কমপ্লিট হয়েছে তিন বছর হয়েছে।জব ও হয়েছে তাই এবার আর মাকে কিছুতেই না করতে পারেনি।ভাবছে মা তো আর বেশি কিছু চায়নি তাই বাধ্য ছেলের মতোই যাচ্ছে।যাই হোক যাওয়া যাক মেয়ের বাড়িতে।মায়ের কাছ থেকে শুনা মেয়ে নাকি খুব গুনবতি।অলরাউনডার।শুনে শুধু হাসলাম কিছুই বললাম না।
দীর্ঘ ৩০মিনিট ধরে বসে আছে মেয়ের দেখা নাই।তাকে সবাই নানা ধরনের প্রশ্ন করছে
সে খুব নারভাস ফিল করছে।
মেয়েরা জয়েন ফেমেলি।এক বাসায় এতো মানুষ থাকে তানিম আগে দেখেনি।সে বসে বসে ভাবছে এটা কে বাসা বলে কেন??? জেলা বলতেও পারে।
যাই হোক তার ইন্টারভিউ চলছে।
এখন মায়ের উপর রাগ হচ্ছে!! মা কি তাকে এসবের জন্য নিয়ে আসছে?
আর বাবা তো কোন খবর ই নাই, খবরের কাগজে মুখ গুজে বসে আছে।দিন দুনিয়ার কোন খবর নাই।আর ছোট ভাই টা খাচ্ছে।মনে হচ্ছে এই সাপ্তাহে সে খাবার চোখে দেখে নি।
অবশেষে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর মেয়ে এলো।
যাই হোক এবার মেয়ে দেখার পালা।খাবারের পর্ব শেষ।
মেয়ে এসেছে।মেয়ে এমন ঘোমটা দিয়ে এসেছে যেন মাওলানার বউ।এযুগে এমন ঘোমটা ভাবা ই যায় না।
যাই হোক সবাই তাকেও বিভিন্ন প্রশ্ন করছে। মেয়েটার এখন ইন্টারভিউ চলছে।
মা আবার মেয়েকে আগে থেকে চিনে।মায়ের বান্ধুবির মেয়ে।
মাঃ ছোয়া মা তুই কি ভয় পাচ্ছিস?
তার মানে মেয়ের নাম ছোয়া
নামটা শুনে বুকের বাম পাশটা কেমন করে উঠল।
ছোট ভাইঃ আচ্ছা ছোয়া আপু তোমার কেউ পছন্দ আছে???
সবাই তার দিকে চোখ বড় করে তাকিয়ে আছে।তাই হৃদয় চুপসে গেছে।আরে হ্যা আমার ছোট ভাইয়ের নাম হৃদয়। তা তো বলা হয়নি।
অবশেষে তানিম আর ছোয়াকে আলাদা কথা বলতে দেওয়া হয়েছে।
ছাদে তানিম বসে আছে পাশে ছোয়া
তানিম এখনো ছোয়াকে দেখে নি।
ঘোমটার কারনে
কিছুক্ষন চুপচাপ বসে থাকার কারনে তানিম ই কথা বলতে শুরু করলো।এতো চুপচাপ ভালো লাগছে না।
তানিমঃ আপনি কিসে পরেন????
ছোয়াঃ তানিম কথা বলা শুরু করেছে ভেবে একটু নড়েচড়ে বসলো।ঘোমটা টাও কিছুটা সরিয়ে দিল। আমি BBA final yr
তানিম ঃএবার ওর দিকে তাকালো।তাকিয়ে আকাশ থেকে পড়লো।একি হচ্ছে ওর সাথে???
পুড়নো দিনের কথাগুলা মনে পড়ে যাচ্ছে।part:2,3
,4
.
তানিম শুধু তাকিয়ে ই আছে।কোন সারা শব্দ নাই। সে জানে না এখন কি করবে।কি করা উচিত!! সে কি উঠে চলে যাবে? না কথা বলবে? তার পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে।
এই দিকে ছোয়ার তো মাথা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ও এটা ভাবেনি কখনো।এমন টা হবে কল্পনাতেও আনেনি।
দেখা দেখির পর্ব শেষ দুজনেই সমস্বরে বলে উঠল তুই???
ছোয়াঃ এই তুই আমার বাসায় কি করছিস???
তোর এতো বড় সাহস।আমার বাড়িতে দাড়িয়ে আছিস??
oh my god....তুই আসলেই একটা বেহায়া
তানিমঃ আমি অবাক হচ্ছি তোর সাহস দেখে।পুরনো
কথাগুলো তুই ভুলে গেছিস ভেবে।তোর বাসায় কে আসতে চায়??তোর মতো ডাইনির চেহারা দেখার থেকে রাস্তার কুওার চেহারা অনেক সুন্দর!! তুর বাসায় আমি ইয়ে করি।
এদিকে ওদের এমন ঝগরার শব্দ শুনে সবাই তারাতারি ছাদে আসে।এসে দেখে ওদের এই হাল। কেউ কারো থেকে কম নয়।এদিকে দুই পরিবার তো পুরাই অবাক।সব তাদের মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। কিছুই বুঝতে পারছে না।দুজনের মা তাদেরকে দুই দিকে টানছে।
ছোয়ার মা তো পুরাই লজ্জায় মাথা নিচু করে রেখেছে।
তানিমের মাও সাবার কাছে ছেলের জন্য ক্ষমাচেয়ে নিল।
তানিমরা বিদাই নিয়ে চলে আসলো।
গাড়িতে উঠে সবাই তানিমকে বকছে।তানিমও খুব রেগে আছে।
তানিমঃ মা তোমার কি এই দুনিয়াতে আর কোন মেয়ে চোখে পড়েনি??? এই ডাইনিকে ছাড়া??
বাবাঃতানিমের মা এই ছেলে কি আমাদের??
এটা আমাদের ছেলে হতে পারে না।
হৃদয়ঃ বাবা হসপিটালে change হয়ে যায় নি তো?
তানিম ঠাস ঠাস ...........
হৃদয় ঃবাবা দেখেছ??? ভাইয়া আমাকে মারছে?
তামিমের বাবাঃ চুপ কর তোমরা। যত্ত সব।
গাড়িতে আর কেউ কোন কথা বলে নি।
বাসায় এসে তানিম সোজা তার ঘরে চলে যায়।
বারান্দায় বসে আগের কথাগুলো ভাবছে।
চার বছর আগের কথা।
তানিম তখন ফাইনাল ইয়ারে পড়ে আর ছোয়া ফাস্ট ইয়ার। তানিম খুব ভালো গান গাইতো।
versity র সবাই তার গানের ফিদা।ও সবসময় কেমপাস,কেনটিন এ বসে বসে গলা ছেরে সুর তুলতো। versity তে সে খাতা আনতে ভুল হতে পারে কিন্তু গিটার আনতে হয় না।
তানিমের সাথে একটা গিটার থাকতো ই। versity র এনোয়েল ফাংশেনগুলোতে তিনিমের গান ছারা বৃথা।
এভাবেই চলছিল তানিমের দিনগুলো।
লাস্ট ইয়ারে ছোয়া এডমিশন নেয়। নবীন বরন অনুষ্ঠানে তানিম গাইবে আর ছোয়া নাচবে।
এভাবেই পরিচয়।
শুরুতে তানিম গাইলো আর শেষে ছোয়া নাচবে।
যারা অনুষ্ঠানে আংশ গ্রহন করবে তাদের একটা রুমে বসতে দেওয়া হলো।যেখান থেকে স্টেজ দেখা যায়।
এখানেই তাদের প্রথম দেখা।
ছোয়ার নাচ শেষ।তানিম তো নাচে মুগ্ধ।
তানিম ছোয়ার দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলল
"কে বলে শারদশশি সে মুখের তুলা
পদ নখে পড়ে আছে তার কতগুলা'"
অর্থঃকোন মূর্খ বলেছে মেয়েটি শরৎ কালের
চন্দ্রের মতো সুন্দর।এরকম কিছু চন্দ্র তো তার পায়ের নখের কাছেই দাড়াতে পারবে না।
সে বিড় বিড় করে আরো কিছু বলল।
চলবে......
.
তানিম এভাবে ই তাকিয়ে আছে।সে যখন তার অবস্থান বুঝতে পারল সে নিজেই লজ্জা পেয়ে গেল।
এগুলো কি হচ্ছে তার সাথে?
বন্ধুদের সাথে যে ভালোবাসার কথা বলে হাসতো সে কিনা কোন মেয়েকে দেখে কবিতা বলছে?
না এটা এমন কিছু না এ বলে নিজের মনকে বুঝিয়ে দিল।ফাংশন শেষে যে যার মতো চলে গেল।
এরপর আর দেখাহলো না তাদের।
তানিম তার ফাইনাল পরিক্ষার জন্য পিপারেশন নিচ্ছে।
তাই অন্যদিকে একটু মন কমই।
হঠাৎ একদিন কেনটিন এ যাওয়ার পথে দেখা হয়ে গেল। তানিমতো শুধু দেখছে ই।এটা ছোয়াও লক্ষ করলো।ছোয়া অদ্ভতভাবে তাকালো তানিমের দিকে।বিরক্তিমাখ
া চাহনি।
তানিম মুচকি হাসতে হাসতে চলে গেল।
এভাবেই চলছিল তাদের দিনগুলো।
তনিম পড়ায় খুব মন দিয়েছে।সামনে পরিক্ষা,তাই অন্যদিকে মন নেই এখন।
তানিম পড়ার টেবিলে বসে আছে।accounting করছিল
কিছুতেই মিলাতে পারছে না অংকগুলা।
বিরক্ত হয়ে বই বন্ধকরে দিয়ে জানালার ববাহিরে নজর দিলো।
বিকেলের মেঘাছন্ন আকাশ।মেঘগুলো আকাশে ভেসে যাচ্ছে।কি মনোরম পরিবেশ। হঠাৎ মা পিছন দিয়ে এসে এককাপ কফি দিয়ে গেল।
এই সময়ে কফি হলেই ভালো হয় এটা মা যে কিভাবে বুঝে যায়????
হয়তো এটাই ভালোবাসা।
কফিতে চুমক দিতে দিতে সে হঠাৎ ওই মেয়েটার কথা ভাবছে। ভাবতে ভাবতে গুনগুন করে উঠল
আমারো পরানো যাহা চায়
তুমি তাই তুমি তাই গো।
এরি মাঝে........
হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠল। উষা ফোন দিয়েছে।
তানিমের খুব ভালো বন্ধু।
তানিমঃহ্যালো! বল
উষাঃ বন্ধু কাল একটা বাসকেট বল মেচ রেখেছি।
তানিমঃ সামনে পরিক্ষা।তুই এগুলি কি করিস?
আমি পারবো না।
উষা ঃবন্ধু তুই না থাকলে আমরা হেরে যাবো।
তানিম কিন্তু ভালো বাসকেট বল খেলে।
plz বন্ধু। plz plz plz
তানিমঃ আচ্ছা দেখি।
উষাঃ ওকে বন্ধু। কাল সকাল সকাল চলে আসিস।
পরের দিন...........
খেলা হলো।তানিমরা ই জিতলো।
খেলা শেষে দশর্কদের মাঝে ঝামেলা হয়ে গেল। একমেয়েকে নাকি বাজে কথা বলেছে কোন ছেলে। ওই মেয়ের পিছনদিয়ে কে ছুয়েছে।
এ নিয়ে বিশাল ঝামেলা।
তানিমরা গিয়ে দেখে তাদের দেখে ওই ছেলে আর কেউ না উষার ছোটভাই।
তানিম ওই মেয়েকে বলছে। দেখুন মিস ও এমন ছেলে না।আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে।
এ নিয়ে তর্ক হচ্ছিল তখন ছোয়া এলো।
ছোয়া ঃকি হয়েছেরে।
ওটা ওর বান্ধুবী ছিল।বলল এমন এমন.....
ছোয়াঃ অপনি কি বলতে চাচ্ছেন ও এগুলো বানিয়ে বলছে? মেয়েরা এমন বেপারে বানিয়ে বলে না।অন্যায়ের পক্ষ না নিয়ে প্রতিবাদ করতে শিখুন। যও সব।
তানিমঃ আপনি আমাকে ভুল বুঝছেন।অামি বলেছি ওনার ভুলও হতে পারে।ও এমন না।
ছোয়াঃ তাহলে কি আমার বন্ধুবী এমন???
তানিমঃ আপনি শুধু শুধু বেপারটা বারাচ্ছেন। এটাকে এখানেই শেষ করে দিন।
ছোয়াঃ বেপারটা এখনই বাড়াইনি আরো হবে প্রিন্সিপাল কে জানাবো।এই বলে চলে গেল
তানিম আর কিছু বলে বাড়ায়নি।
সে এই মেয়ের কাছে খারাপ হতে চায়না।
পরে প্রিন্সিপালেরর কাছে গিয়ে সব মিটমাট করে নিল।
এবাবেই চলছিল...
একদিন সব বন্ধুরা মিলে মোটরসাইকেলে করে ঘুরতে গেল দশ পনেরো জন বন্ধু মিলে।পাশে ফুচকা খাচ্ছিল কিছু মেয়ে।
তানিমের বন্ধু হঠাৎ বলে উঠল
একা নাকি সুন্দুরিরা????
একমেয়ে বলে উঠল সাথে জুতাও আছে।
তানিম তাকিয়ে দেখে ছোয়।
সে তো পড়ল মহা মুসকিল এ।
ছোয়াও তানিমের দিকে তাকিয়ে আছে চোখ বড় করে।
এই মেয়ে তো দেখছি আমাকে খারাপ ই ভেবে যাচ্ছে।
এভাবেই চলছিল দিনগুলো।
আবার একদিন কলেজে মারপিট হচ্ছিল।তানিম গেল ছুটাতে তখনই ছোয়া হাজির।
অন্যদিকে তানিম ছোয়াকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে স্বপ্নের তাজমহল তৈরী করে ফেলল। আর ছোয়া?????
তানিমকে গাজনির আওলাদ বানিয়ে ফেলছিল।
তানিমের টেষ্ট পরিক্ষার ও চলে আসলো। সে ভাবলো পরিক্ষার শেষে ছোয়াকে বলবে তার মনের কথা।
পরিক্ষাও শেষ হলো। তানিমও রেডি
সকাল সকাল ঘুমথেকে উঠে রেডি হয়ে ফুলদোকানে গেল।১০০টা লাল গোলাপ নিলো।একটা সুন্দর দেখে কার্ড নিল।তাতে লিখল। ভালোবাসি, ভালোবাসি,ভালোবা
সি............
কিছু চকলেট নিল।ভাবচ্ছে মেয়েরা তো চকলেট ভালোবাসে।
আজ ফরমাল ড্রেস পরেছে।
সোজা চলেগেল তার ক্লাসের সামনে।
প্রেম কি বুঝিনি।
part:4
তানিম ক্লাসের সামনে দাড়িয়ে আছে।ছোয়ার জন্য।কখন ক্লাস শেষ হবে।আশে পাসে দেখছিল সবাই কিভাবে যেন দেখছে তাকে।তানিম লজ্জা পেয়ে ফুলের তোরাটা পিছনে লুকিয়ে ফেলল।সে ভাবছে সবাই তাকে চিনে।ফুলনিয়ে দারিয়ে আছে দেখে সবাই কৌতূহল নিয়ে আরো তাকাচ্ছিল।
সে মনে মনে বলল লে বেটা তানিম ভালোবাসা তোকে দিয়ে কি কি করাচ্ছে।
তখন ই ছোয়া বের হলো ক্লাস থেকে।তানিম হরবড়িয়ে চলে গেল তার সামনে।
তানিম হঠাৎ করে আশায় ছোয়া ভয় পেয়ে গেল।
ছোয়াঃ এসব কি হচ্ছে??
তানিমঃ সরি।হঠাৎ করে আপনার সামনে আসার জন্য।
ছোয়াঃ ঠিক আছে। ঠিক আছে।এই বলে সে চলে যাচ্ছিল।
তানিম তাকে আটকাল।
ছোয়া ঃ চিৎকার করে।কি হচ্ছে এসব?(রেগে)
তানিমঃ আপনার সাথে আমার কথা ছিল।একটু সাইডে আসবেন???
ছোয়াঃ what??? what do u mean সাইডে আসবো??
আপনাদের মতো ছেলেদের মতলব আমি বুঝি।
সরে দাড়ান।plz.না হয় আমি কি তা বুঝিয়ে দেব।
এই বলে চলে গেল।
তানিমঃ বুঝতেই পারলো না কি হলো।
ছোয়া ক্লাস শেষে বাসায় চলল।তানিম তার পিছা করলো।ছোয়া বাসায় ডুকার পর তানিম তার বাসাটাকে ভালো করে দেখলো।
দোতালা একটা বাড়ি।শহর থেকে একটু দূরে।কিছুটা পুরানা বাড়ি।বাড়ির সামনে একটা টং দোকান আছে।
সে দোকানে গিয়ে বসলো।দোকানদারকে বলল একটা চা দেও তো মামা।
চা হাতে নিয়ে চুমক দিতে দিতে ভাবলো সে আসলে কি করতে চাচ্ছে।
দোকানদারঃ মামা এই এলাকায় নতুন বুঝিই???
তানিমঃ জি।
দোকানদারঃ কার বাইত আইছেন??? আইছেন ধইরা এই বাড়ির দিকে চাইয়া আছেন।
তানিমঃআসলে মামা এই বাড়িতে কি ছোয়ারা থাকে?
দোকানদারঃজি।তবে বাড়ির কেউ থাকে না। একাই থাকে।
এই বাড়ির পোলা মাইয়ারে পড়ায়।তাগো কেমন খেশ লাগে।মাইয়াডা ভালা আছে।আমার কাছে আইয়ে মাঝে মইদ্ধে।
তানিমঃ ওহ আচ্ছা।
ছোয়া তার জামাকাপড় বারান্দায় ছড়াতে গিয়ে তানিমকে দেখে আতকে উঠল।এই ছেলে বাড়ি পর্যন্ত চলে আসছে??? মামি দেখে ফেললে অশান্তি করবে।
তানিম বাড়ির দিকে তাকানোতে ওদের চোখে চোখ পড়ে গেল।ছোয়া তাড়াতাড়ি রুমে চলে গেল।
তানিমও উঠে চলে আসলো।
কএকদিন পর তানিম কলেজে এসে ছোয়াকে খুজচ্ছে।কলেজে কোথাও না পেয়ে বাসায় চলে গেল।
বাসার সামনে দাড়িয়ে ভাবছে কি করবে।
সে ওয়াল ডিঙ্গিয়ে ছোয়ার বারান্দায় চলে গেল।ছোয়া তার রুমে আয়নার সামনে দাড়িয়ে চুল মুছছিল।
মাএ গোসল করেছে।নীল রংয়ের একটা জামা গায়ে। ওড়না নাই।গলায় একটা ছোট চেইন।তাকে পুরা কিন্নির(স্বর্গের অস্পরী) লাগছে।
সে বিড় বিড় করে বলল...............
বড়লোকের বেটি লো লম্বা লম্বা চুল।
এমন খোপায় বেধে দিব লাল গেন্ধা ফুল।
ভেবেই একটা মুচকি হাসি দিলো।
ছোয়ার কেমন যেন লাগছে।মনে হচ্ছে কেউ পিছনে দাড়িয়ে আছে।
পিছনে তাকিয়ে দেখে বখাটে ছেলেটা।
ছোয়া খুব ভয় পেয়ে গেল।খাটে রাখা ওড়নাটা নিয়ে তারাতারি বারান্দায় চলে আসলো।
বলল আপনি এখানে কেন? আপনি কি পাগল?
আপনি তারাতারি চলে যান।কেউ দেখে ফেল্লে অনেক বড় ঝামেলা হয়ে যাবে।চলে যান plz.
একনাগারে কথাগুলো বলে গেল।
তামিমঃ তুমি শান্ত হও।শ্বাস নেও।
কিচ্ছু হবে না।
ছোয়াঃ আপনি চলে যান।আপনি বুঝতে চান না কেন?
তামিমঃএই চুপ।বলে শক্ত করে ধরে দেয়ালের সাথে ধাক্কা দিয়ে বলে একদম চুপ।কবে থেকে বলতে চাচ্ছি তুমি সুযোগই দিচ্ছ না। I love you damad.....
ছোয়াঃনিশ্চুপ।
হঠাৎ কলিংবেল বেজে ওঠল।ছোয়া অস্থির হয়ে বলছে মামা মামি চলে আসছে।আপনি যান এখন।
আগে বলো তুমিও আমায় ভালোবাস?????
হঠাৎ পিছন থেকে মা এসে বলল কিরে সন্ধ্যা কখন হয়েছে ঘরের আলো নাই কেন???অন্ধকারে বসে বসে কি করছিস????
তানিম বলল ওহ তুমি।কিছুনা।
আমি মানে? এখন আর কে আসবে?
না কিছু না।
আজ তুই যা করলি?লজ্জায় আমার মাথা কাটা যাচ্ছে।
মেয়েদের সাথে কেউ এইভাবে কথা বলে??তোর বাবা তো আমার উপর খুব রেগে গেছে।
তানিমঃ মা plz. এখন আর এসব ভালো লাগছে না।আবার সেই পুরনো কথা।বাদ দেও না।
বাদ দিবো কেন? আমার বান্ধুবীর কাছে আমাকে চিরতরে নিচু করে দিলি।ছোয়ার বাবা তোর বাবাকে কতটা সম্মান করে সেই যায়গায় তুই কি করলি বাবা?
আচ্ছা ভালো কথা তুইকি ছোয়াকে আগে থেকে চিনিস???
তানিমঃ মা.....




চলবে..............

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com