Breaking News

অবুঝ বউ | Writer:#Abdulla Bin Shahed | পর্ব- ১

নিচে সোফায় বসে বসে টিভি দেখছিলাম,,,
শুশুরঃ সাহেদ!বাবা দেখো তানজিনা কিচ্ছু খেতে চাচ্ছে না!
আমিঃ আমি আসছি বাবা!
পরিচয়টা দিয়েই দেই!আমি আব্দুল্লাহ বিন সাহেদ!বর্তমানে শুশুরের অফিসেই জব করছি মেনেজ্যার
পদে!আর হ্যা তানজিনা আমার বিয়ে করা সদ্য বিবাহিতো বউ! তানজিনাকে বিয়ে করেছি আজ ২মাস হতে চলছে,, তবে ও মানসিক ভাবে অশুস্থ! তাহলে ঘটনাটা বলি কী ভাবে সে অশুস্থ হয়!আমার শুশুর,,শাশুড়ি,,ও তানজিনা মিলে তাদের গ্রামের উদ্যেশ্য রওনা হলো একদিন,,,হঠাৎ ই তাদের বাসটি,,,অন্য একটি বাসের সাথে ধাক্কা খেয়ে একটা ডোবায় পড়ে যায়!এতে করে অনেকই মারা যায়,,,আর আমার শাশুড়িও মারা যায়! তানজিনার কপাল আর হাত অনেখানি কেটে যায়!শুশুরের মাথা আর পায়ে আগাত পায়,,,,হাসঁপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার তানজিনার মা কে মৃত হিসাবে ঘোষণা করে!আর সেই থেকেই তানজিনা,,,মানসিক ভাবে অশুস্থ,,,
তানজিনার মা মারা যাওয়ার প্রায় চার মাস পরে আমি তাদের অফিসে চাকরির নিয়োগ পেয়ে আসি!আর আমার শুশুর মানে তানজিনার বাবা খুব ভালো লোক,,,ওনি চাকরীটা দিয়ে দেন,,,অল্প কয়েক দিনেই আমার প্রজেক্টের কাজ খুব সুনাম অর্জন করে ওনার কম্পানির জন্য!আর সেই থেকেই আমি আমার শশুরের প্রিয় কর্মী হয়ে উঠি!আর ওনি একদিন হঠাৎ ওনার বাসায় একটা ডিনারের আয়োজন করে!আর আমি আসি!তখনি দোতলা থেকে তানজিনা চেচিঁয়ে ভূত ভূত বলে,,,এসে আমাকেই জড়িয়ে দরে! আমার শশুর তখন,,, আমাকে ওর ব্যাপারে সব খুলে বললো,,,যে ও মানসিক ভাবে অশুস্থ!ডিনারের প্রত্যেক টা সময়,,,তানজিনা আমার পাশে চেয়ারেই বসা ছিলো!তার পর,,যখন খাওয়ার সময় হলো,,,ও নাকি আমার হাতেই খাবে,,তাছাড়া ও নাকি খাবে না,,,তো আর কী খাইয়ে দিলাম,,,আর ওর মায়াবী চেহারা আমার খুব ভালো লেগেছে,,,মনে মনে বললাম যে পাগলীটাকে আমার চাই চাই! পরদিন শুশুরের ফোন ও নাকি বলছে,,,আমি ছাড়া কারো হাতে খাবেই না,,,বাসায় গিয়ে খাইয়ে চলে আসতে চাইলাম,,,না আসতে দিলোই না!তার পর পুরো রাত জেগে ওকে গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়ালাম!পরদিন অফিসে যাওয়ার জন্য বের হলাম,, শুশুর বললো,,,কোথাও যাওয়া লাগবে না!তো আর কী তানজিনাকে নিয়ে ছাদেই দুষ্টামি করলাম,,,নিচে এসে দেখি আব্বু আম্মু,,
আব্বুঃসাহেদ তুই কী তানজিনা কে বিয়ে করতে রাজি???
আমিঃতোমারা যা ভালো বুঝ তাই,,,
শশুরঃআলহামদুল্লিহ!
দুমদাম করেই বিয়েটা হলো! বাসর রাতে আমি ওর সাথে গল্প গুজব করলাম,,,,তবে ও এখনো পর্যন্ত ও বুঝলো না,,,যে আমি ওর স্বামী! আম্মু আব্বু বললো,,তাদের বউ মাকে নিয়ে বাসায় যেতে কিন্তু না,,,শুশুর বললো তানজিনাকে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত,,,আমি আর তানজিনা নাকি এই বাসায়ই থাকবো!তো আজকে তানজিনাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলাম,,,ডাক্তার বললো,,,তানজিনা শুসস্থ হতে,,আর অল্প কয়েক দিন সময় লাগবে!আমি ওর খুব কেয়ার করি!আর ওর সাথে দুষ্টামি হাসিঁ থার্টার সব কথা গুলো আমার ডাইরিতে লেখে রাখি সব সময়!ডাক্তারের কাছ থেকে আসার পর,,ও বায়না ধরলো নডুস খাবে!বাসায় কেউ নেই আজকে!তো শেষ মেস আমাকেই নুডুস রান্না করতে হলো! সন্ধা প্রায় হয়ে এসেছে,,,মাংসের পিস কাটতে গিয়ে হাতটা সামন্য কেটেঁ গেছে"""কোন রকম রক্তটা চেপে পানি দিয়ে ধুয়ে ওর কাছে নডুস নিয়ে গেলাম,,,যাওয়ার সাথে সাথেই মহা রাণী,, হাত থেকে বাটি নিয়ে খাওয়া শুশু করলো!আমার যে হাত কেটেঁ গেছে তার খেয়ালও নেই!ও নুডুস খেয়েই,,,ঔশুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লো,,,আমি তখন,,,ডায়রিতে আজকের ঘটে যাওয়া কথা গুলু লিখছিলাম! লেখা শেষ কলিং বেলের আওয়াজঁ
নিচে গিয়ে দেখি শশুর,,,
ওনি ফ্রেস হয়ে এসে,,,আমি সহ ডাইনিং টেবিলে বসলাম রাতের খাওয়ার খেতে!
শশুরঃ তানজিনা খেয়েছে???
আমিঃ না!সন্ধায় নুডুস খেতে চাইলো,, তো নুডুস রান্না করে দিলাম!নুডুস খেয়ে তার পর ঔষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে!
শশুরঃআচ্ছা খাও!
শশুরঃকী হচ্ছে?কোনো সমস্যা???তুমি যে খাওয়ার খাচ্ছো না???
আমিঃনা মানে,,,নুডুসে মাংস দেওয়ার জন্য পিস করতে গিয়ে হাতটা একটু কেটেঁ গেছে!
কথার মাঝেই,,,,,ঘুম ঘুম চোখে পাগলির (তানজিনা)আগমন!
তানজিনাঃঔ আমার খুদা লেগেছে!খাইয়ে দেন!!
শশুরঃতানজিনা এইগুলা প্রত্যেক সময় কী ফাজলামো!!(ধমক দিয়ে)
তানজিনাঃকেনো আমি কী করছি??আব্বু??বলো বলো??
শশুরঃতুই নাকি নুডুস খেতে চেয়েছিস,,,,ছেলেটা তোর জন্য নুডুস রান্না করতে গিয়ে হাত কেটে পেলছে!
এই বলে শশুর আব্বা😎চলে গেলেন!
তানজিনাঃঔ,,,ঔ
আমিঃ হুম বলো কী???
তানজিনা হাত কোন খান দিয়ে কেটেঁছে???হাত দেখালাম,,,
তানজিনা দেখি কাদঁতেছে"""
আমিঃওমা কাদঁতেছো কেনো???
তানজিনাঃআমি আজকে আপনাকে খাইয়ে দেই??
আমিঃ (বাহ বাহ)মনে মনে,,,পাগলি নিজে হাতে খাওয়াবে!!হুম আচ্ছা খাইয়ে দেও!
তার পর,,,পাগলিটা খাইয়ে দিলো,,,আর আমি তাকে চামচ দিয়ে খাইয়ে দিলাম!


.......চলবে........>>>>>>

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com