বস যখন বর | Part-10 | Writer : Eti Chowdhury
ইতি- আমার রোদ।😭😭 হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছে😭😭😭😭
।
নার্স- আপনি কে??
।
ইতি- ওনি আমার স্বামী।
।
নার্স- আচ্ছা আমি ডাক্তারকে খবর দিচ্ছি।
।
ইতি- আমি ওনার পাশে বসে পরলাম। চোখের পানি যেনো থামার নাম ই নিচ্ছে না।
কিছুক্ষণ পর ডাক্তার এলেন। ওনি রোদেরই ডাক্তার। এর আগেও দেখা হয়েছে যখন রোদ জ্ঞান হারিয়ে ছিলো বাবার বাসায়।
।
Doc- অনেক কষ্টে তোমাকে খুজে পেলাম।
।
ইতি- ওনার কি হয়েছে??
।
Doc- Accident । অনেকটা ব্যাথা পেয়েছে জ্ঞান ফিরে আসে আবার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে।
।
ইতি- ওনি ঠিক হয়ে যাবে তো??
।
Doc- হ্যা। জ্ঞানটা ঠিক মতো ফিরলেই একদম আশংকা মুক্ত হয়ে যাবে ।
।
ইতি- Thank u so much.
।
Doc- Its OK Dear। তুমি শুধু ওর একটু যতন নাও।
।
ইতি- ডাক্তার চলে যেতে নিলেন আবার কি ভেবে থেমে গেলেন।
।
Doc- আচ্ছা তুমি এখন কেমন আছো??
।
ইতি- আমার কি হবে?? আমি তো ঠিকি আছি।
।
Doc- সেদিন রোদ তোমাকে নিয়ে অনেক ভয় পেয়ে গিয়ে ছিলো।
।
ইতি- আমাকে??
।
Doc- সেকি তোমার খেয়াল নেই। তিনদিন আগেই তো তুমি সাওয়ারের নিচেই জ্ঞান হাড়িয়ে পরে ছিলে। ভিজে তোমার অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে গিয়ে ছিলো। ইনজেকশনেও কাজ হচ্ছিলো না। ভাগ্যিস তোমরা মেরিড ছিলে তাই তো।
।
ইতি- 😱😱 সে রাতে.....আমাকে বাঁচাতে???
।
Doc- হ্যা।।। কেনো রোদ তোমাকে কিছু বলে নি?? তোমাকে নিয়ে যে কি ভয়টা না পেয়েছিলো ছেলেটা।
।
ইতি- ডাক্তার চলে গেলেন আমি হা করে ওনার দিকে চেয়ে বসে রইলাম। চোখের পানি যেনো বাধ মানছে না। মানুষটা আমার জন্য আমার কাছে এসেছিলো। আর আমি কিনা ওনাকেই এভাবে ছোট করলাম। ওনার হাতটা ধরে বাকিটা দিন বসে রইলাম। ওনার জ্ঞান ফিরার কোন নামই নেই।
।
রাফসানকে ফোন দিয়ে বললাম ওনাকে পেয়েছি। ওনি হাসপাতালে আছে। বললাম অফিস দেখে রাখতে। এখন আমাকে ওনার দরকার। আমি ওনার পাশে থাকতে চাই কেবল।
।
।
পরের দিন সকালে-
।
রোদ- জ্ঞানটা ফিরেছে কিন্তু চোখ খুলতে পারছি না। বুকের উপর কারো ভার অনুভব করতে পারছি। চোখ খুলতেই ঝাপসা ঝাপসা দেখলাম কেউ আমার পাশে বসে বুকের উপর মাথা রেখে আছে।
।
ইতি- ওনি হালকা নড়ে উঠলেন। খুশিতে মাথা উঠিয়ে ওনার দিকে তাকালাম। ওনি তাকিয়েছেন। আপনার জ্ঞান ফিরেছে। দুহাত দিয়ে ওনার মুখ চেপে ধরলাম। কপালে চুমি দিলাম। দু গালে চুমু দিলাম। আপনার এখন কেমন লাগছে??? কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে??? থাক বলা লাগবে না। আমি ডাক্তারকে ডেকে আনি। বেড়িয়ে যাচ্ছিলাম আবার ফিরে এলাম। ওনার কপালে আবার একটা চুমু দিলাম। দৌড়ে বেড়িয়ে এলাম।
।
রোদ- চোখ দিয়ে এক ফোটা পানি পড়ে গেলো। মেয়েটার মুখ শুখিয়ে কি অবস্থা করেছে নিজের। পাগলের মতো আদর করলো আমায় যেনো আমি বেঁচে ফিরে আসায় ও নিজে জীবন ফিরে পেয়েছে। মনে মনে অনেক সুখ লাগছে। সব কষ্ট ভুলে গেলাম।
।
।
ডাক্তার এসে রোদ এর চেক আপ করলো।
।
Doc- হুম,,,, Now he is totally out of danger.
।
ইতি- Thank u so much doctor.
।
Doc- তুমি আসাতে যে ও এতো যলদি সুস্থ হয়ে যাবে জানলে তোমাকে আরো আগে খবর দিতাম। Now he is your responsibility. You have to take care him very carefully and properly.
।
ইতি- আপনি কোন চিন্তা করবেন না। আমি আমার দিন রাত এক করে দিবো ওনাকে সুস্থ করবোই ইন শাহ আল্লাহ।
।
রোদ- কথা বলতে পারছিনা। কষ্ট হচ্ছে। পারলে পাগলীটার সাথে অনেক কথা বলতাম। এই পাগলীটাই সেদিন আমাকে সহ্য করতে পারছিল না আর আজ আমার জন্য কত কত পাগলামী করছে ভাবা যায়।
।
ইতি- আমার যে কি ভালো লাগছে বলে বুঝাতে পারবো না। রাফসানকে ফোন দিলাম। ওনার জ্ঞান ফিরেছে। রাফসান আমার জন্য খুশি হলো। আমার খুশির সীমা থাকছে না রোদকে পেয়ে। ওনাকে নিজে খাইয়ে দিলাম। ওনারর উঠে বসতেও কষ্ট হচ্ছে। আরো ৪দিন আমরা হাসপাতালে ছিলাম। ওনি এখন অকেনটাই Better তাই আজ রিলিস দিয়েছে ডাক্তার। ওনাকে নিয়ে বাসায় আসলাম। ওনার নিজে নিজে হাটতেও কষ্ট হচ্ছে। তাই ওনাকে ধরে বিছানায় বসিয়ে দিলাম। মাথার নিচে হাত দিয়ে আমি ওনার অনেকটাই কাছে গিয়ে ওনাকে ধীরে ধীরে শুইয়ে দিলাম। ওনি শুধু আমাকে ওপলক দেখছেন। এই চার দিকে কেবল হ্যা না ঠিক আছে ভালো লাগছে আচ্ছা এ জাতীয় কথা ছাড়া কোন বাড়তি কথা বলেননি ওনি।
।
রোদ- মেয়েটাকে যত দেখছি অবাক হচ্ছি এই কি সেই মেয়েটা নাকি এ অন্য কেউ। ওকে দেখলে মনে হয় ওর পৃথিবীটা কেবল রোদকে নিয়ে। মেয়েটা এতো বদলে গেলো কেনো??
।
ইতি- আপনি বিশ্রাম নিন আমি আপনার জন্য কিছু রান্না করে আনি।
।
রোদ- মাথা ঝুলিয়ে সায় দিলাম।
।
ইতি- রান্না শেষ করে রুমে এসে দেখি ঘুমিয়ে আছেন। ওনার পাশে গিয়ে বসে তাকিয়ে রইলাম। ওনার কপালে একটা চুমু খেতে মন চাইছে। নিজের ওজানতেই ওনার মুখের কাছে ঠোঁট কিছুটা নিতেই ওনি চোখ মেলে তাকালেন।
।
রোদ- পাগলীটা পাশে এসে বসেছে বুঝতে পেরেছিলাম। কি বলে তাই শুনার জন্য চোখ খুলিনি। অনুভব করলাম পাগলীটা কাছে আসছে। সাসপেন্স ধরে রাখতে পারছিলাম না তাই চোখ খুলে ফেলাম।
।
ইতি- লজ্জায় আমি দৌড়ে পালিয়ে এলাম। কি লজ্জা কি লজ্জা।
।
রোদ- ইস...পাগলীটা লজ্জা পেয়েছে। আদরটা না করেই চলে গেলো। আটকাতেও পারলাম না।
।
।
আজ রাফসান এসেছে রোদকে দেখতে।
।
রাফসান- এখন কেমন আছেন স্যার??
।
রোদ- এখন Much Better।
।
এর মধ্যে ইতি রুমে ডুকলো রাফসানের জন্য কফি নিয়ে।
।
ইতি- এই নাও
।
রাফসান- Thanks ma'am বলেই হালকা হাসি দিলো। After all MD Sir er Wife Ma'am তো বলাই লাগে। এটা অবশ্য ইতি বুঝেছে তাই রাফসানকে মুখে বলতে হয়নি। কারণ একা মাত্র রাফসানই জানে ইতি তার রোদকে কতটা ভালোবাসে।
।
রোদ- রোদ রাফসানের থেকে অফিসের খবরা-খবর সব নিচ্ছে। ওই সময় কিছু ডিল বাকি ছিলো। আচ্ছা MM Company এর সাথে ডিলটার কি হলো??
।
রাফসান- ইতি মেম থাকতে আমরা কি কোন ডিল হারিয়েছি স্যার এবারো তাই হয়েছে ডিলটা আমরা পেয়েছি। আর কাজও প্রায় শেষ। কিন্তু আজ আমি একটা বিশেষ প্রয়োজনে এসেছি।
।
রোদ- কি??
।
রাফসান- স্যার আপনার যা অবস্থা আপনার আরো রেস্ট দরকার। কিন্তু Jahan Company এর সাথে ডিলটা এখনো ফাইনাল হয়নি।
।
ইতি- Whatttttt???? কেনো???
।
রাফসান- ওই ডিলটা স্যার পরসনালি হ্যান্ডেল করেছেন। তাই মিটিং পোসপন করা লেগেছে। আমি সব পেপার সাথে করে এনেছি। ওনারা বলেছেন আজ যদি মিটিং না করা হয় তাহলে ওনাদের নতুন করে ভাবতে হবে ওনারা ডিলটা করবে কি না।
।
ইতি- Impossible ডিলটা আমার চাই ই চাই। পেপারগুলো দাও। রাফসান চলে গেলো। অফিসের সাময়িক দায়িত্ব রাফসানকে দেয়া হয়েছে। ইতি পেপার নিয়ে বসে পরলো। সব দেখবে।
।
রোদ- মেয়েটা সব পেপার খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছে। সব বুঝে নিচ্ছে। অনেক্ষণ সময় দিলো পেপারে।
।
ইতি- ওনার ল্যাপটপ নিয়ে বসে পরলাম। ওনাদের মেইল করতে হবে। মিটিং আজই হবে।
।
রোদ- কিন্তু ল্যাপটপে কি করছে দেখতে পারছি না। করছে কি??? একি মিররের সামনে গিয়ে চুল ঠিকঠাক করে হালকা ফ্রেস হয়ে বসে পরলো আবার ল্যাপটপের সামনে। হঠ্যাৎ চমকে গেলাম ওর কাজ দেখে।
।
ইতি- Skype এ মিটিং করতে চেয়ে মেইল পাঠায় ইতি ওনারাও আপত্তি করেন নি।
Hello gentle man's at first I am very sorry for the inconvenience . And thank you for waiting and your cooperation's.
Our MD is out of town for some very important issue. now I will handle the deal and I hope you will definitely be fine with the deal. সব বলে মিটিং শুরু করলাম।
।
রোদ- চমকে গিয়ে হা করে বসে রইলাম বউ টা আমার এতো বুদ্ধিমান। কি সুন্দর ভাবে সব কিছু সামলে নিলো। ডিলটাও কনফার্ম হয়ে গেলো।
।
ইতি- Skype শেষ করে ওনার দিকে তাকিয়ে হালকা একটা হাসি দিলাম। Congratulations☺☺ জানামাল ওনাকে।
।
রোদ- Thank you.☺☺
।
।
ইতি- ওনাকে ফ্রেস করতে হবে। গোসল তো করানো যাবে না তাই ভালাম রুমেই হাত মুখ দুয়ে দিই। ওনার কাছে গেলাম। মাথার নিচে হাত দিয়ে ধরে উঠিয়ে বসালাম। হাত কাঁপছে ওনার শার্টের বোদাম গুলো খুলতে লাগলাম।
।
রোদ- মেয়েটা কি ভয়ে কাঁপছে এভাবে। ওকে এতো কাছে পেয়ে ভালোই লাগছে।
।
ইতি- স্পন্জ দিয়ে ওনার বুক পিঠ ধুয়ে দিচ্ছি। সামনে থেকে পিছনে ধুতে গিয়ে ওনাকে নিজের বুকের সাথে আটকে ধরলাম। এক হাত দিয়ে ওনার ঘারের উপরের চুল গুলোতে আঙ্গুল দিয়ে ধরেছি। ওনাকে বুকের সাথে আটকে রেখেছি। মন চাইছে এভাবেই ধরে রাখি সারাজীবন।
।
রোদ- পাগলীটা বুকের সাথে আটকে রেখেছে। যেনো কখনই ছাড়বে না। আমি হালকা নড়ে উঠলাম।
।
ইতি- ইসস....ওনাকে ছেড়ে দিয়ে লজ্জায় উঠে যেতে নিলাম।
।
রোদ- চলে যেতে নিলো পিছন থেকে হাতটা ধরে টান দিয়ে নিজের বুকে নিয়ে নিলাম।
।
ইতি- ওনি টান দিতেই হুমড়ি খেয়ে ওনার বুকে গিয়ে পড়লাম।
।
রোদ- ওর প্রতিটা নিঃস্বাশ আমার বুকে এসে লাগছে। আমার ভিতরটা তোলপাড় করে দিচ্ছে। ওর মুখটা দু হাত দিয়ে তুলে ধরলাম। আসতে আসতে ওর মুখটা নিজের কাছে আনছিলাম। ওর ঠোঁটটা আমার ঠোঁটের শুধু এক ইন্ঞি ধুরে। ওর প্রতিটা নিঃস্বাশ অনুভব করতে পারছি।
।
ইতি- আমার নিঃস্বাশ ভারি হয়ে যাচ্ছে। ওনি আমাকে নিজের আরো কাছে নিয়ে যাচ্ছেন। আমি চোখ বন্ধ করে নিলাম।
।
।
রোদদদদদদদদদদদদদদদ.......
।
।
রোদ- কারো ডাকে ইতিকে ছেড়ে দিলাম।
।
ইতি- সরে বসলাম।
।
রোদ- আরে লিজা তুই???
।
লিজা- হ্যা আমি। তোমার accident কথা শুনে মা যে সে কি কান্না কি বলবো।
।
রোদ- ছোট মা এসেছে???
।
ছোটমা- এইতো আমি বাবা??? কেমন আছিস তুই??? একি হাল হয়েছে আমার সোনা মাণিকের??
।
ইতি- ওনাদের দেখে পাশে সরে গেলাম। আমি ওনাদের চিনি না।
।
রোদ- আরে কাঁদছো কেনো??? আমি তো ঠিক আছি। দেখো।
।
ইতি- ওনি উঠতে নিলে ওনার ছোটমা বাধা দেয়। এতোক্ষণে ওনার ছোটমা আমাকে লক্ষ করলেন হাত দিয়ে ইশারা করলেন ওনার কাছে যেতে। আমি গুটি পায়ে ওনার সামনে গিয়ে দাড়ালাম। ওনি লিজা ওনার মেয়ে কে সরিয়ে দিয়ে ওনার পাশে আমার হাত ধরে বসিয়ে দিলেন। আমার হাত দুটো পরম মমতায় ধরে রাখলেন। ওনার দিকে তাকিয়ে জিঙ্গেস করলেন।
।
ছোটমা- একি আমার ঘরের লক্ষী???
।
রোদ- হাসি মুখে জবাব দিলাম। জ্বি।
।
ইতি- আমার বুকটা কেপে উঠলো আমি ওনার ঘরের লক্ষি। কোপালে এতো সুখ ছিলো আমার ওনি আমাকে ওনার ঘরের লক্ষি বললেন।
।
ছোটমা- নাম কি মা??
।
ইতি- জ্বি ইতি
।
ছোটমা- আলহামদুল্লিলাহ এবার আমার পাগলটার জীবনের সব কষ্টের ইতি হয়ে যাবে। শুরু হবে নতুন সুখের গল্প।
।
ইতি- কথাটা বলেই ওনি আমার থুতুনিতে হাত দিয়ে হাতে চুমু খেলেন। আমাকে ওনার অনেক পছন্দ হয়েছে। আমি উঠে ওনাকে সালাম করলাম। কিছুক্ষণ পর লিজার বাবাও এলেন। এতোক্ষণে জানতে পারলাম। ছোটমা আর ছোটবাবা হচ্ছে ওনার চাচা-চাচী। বাবা-মার পরে যদি কেউ ওনাকে ভালোবেসে থাকে তা ওনার ছোটমা আর ছোটবাবা। আমি ওনাদের রুম গুছিয়ে দিলাম। ফ্রেস হতে বললাম। ওনাদের জন্য রান্না করলাম। সবই ঠিক আছে শুধু লিজা একটু কেমন যেনো। হয়ত আমার সাথে ফ্রি হতে পারছে না তাই এমন লাগছে। ছোটমা-বাবাকে খাইয়ে এলাম ওনাকে খাওয়াবো। কিন্তু রুমে ডুকেই দেখি লিজা ওনার সাথে গল্প করছেন। কি ব্যাপার আপনাকে না বললাম ঘুমাতে??? লিজা কেমন ভাবে তাকালো আমার দিকে।
।
রোদ- লিজার সাথে গল্প করছিলাম তাই ঘুম আসে নি।
।
ইতি- আমি একদম ওনিয়ম মানবো না বলে দিচ্ছি। আসলে রাগে কথাটা বললাম
কারণ গল্পতে আমার আপত্তি নেই কিন্তু লিজা বেস অনেকটা শরীর ঘেষেই বসে ছিলো যা আমার একদম পছন্দ হয় নি। ওনি হাসছেন আমাকে দেখে তাই আরো বিরক্ত লাগছে। এখন খেতে হবে। কোন কথা শুনব না।
।
লিজা- আমাকে দাও আমি খাইয়ে দিচ্ছি।
।
ইতি- লিজা আমার হাত থেকে স্যুপের বাটিটা নিয়ে গেলো। আমার রাগ উঠে গেলো। আমিও ওর হাত থেকে বাটি নিয়ে নিলাম। তোমাকে কষ্ট করতে হবে না। আমি রান্না করেছি আমিই খাইয়ে দিতে পারবো। তুমি যাও বিশ্রাম নাও। অনেকটা যার্নি করে এসেছো। আমার কথা শুসে লিজা চলে গেলো উঠে। আমি ওনাকে খাইয়ে দিচ্ছি ওনি মিট মিট করে হাসছে।
।
রোদ- পাগলীটা রেগে গেছে। আমার ভাগ কাউকে দিবে না। মনে মনে ভাবছি।
।
ইতি- চুপ একদম হাসবেন না। রাগে আমি গজ গজ করছি। আর ওনি মিটমিট করে হাসছেন।
।
বিপত্তি হলো পরের দিন।
।
ইতি- সবাই মিলে গল্প করছিলাম। আমি যাই ওনার স্যুপটা রান্না করে নিয়ে আসি।
।
লিজা- আজ আমি রান্না করবো।
।
ছোটমা- না লিজা তোর রান্না করা লাগবে না। তুই অনেক ঝাল দেস রোদ খেতে পারবে না।
।
লিজা- না আমি রান্না করবোই।
।
ইতি- লিজা ছোটমার কথা শুনলো না। জেদ করে রান্না করলোই। ঝালের কথা শুনেই আমি চিন্তায় পড়ে 😰 গিয়ে ছিলাম ওনার জন্য। ওনার তো ঝালে সমস্যা হয় তাই আমি পায়েস রান্না করলাম। আমি গিয়ে ওনার পাশে বসলাম। লিজা ওনার জন্য স্যুপ নিয়ে আসলো।
।
ইতি- দাও আমাকে দাও
।
লিজা- নাহ,,,,আমি রান্না করেছি আমিই খাওয়াবো।
।
ইতি- কথাটা শুনে আমার রাগ উঠে গেলো। মেয়ে বলে কি। জামাই আমার আর সোহাগ দেখাবে সে। হুহ......ঢং দেখে গা জ্বালা শুরু হয়ে গেলো। ওনি বুঝতে পারলেন আমি রেগে যাচ্ছি।
।
রোদ- থাক কাউকে কষ্ট করতে হবে না আমি নিজেই খেতে পারবো। লিজার হাত থেকে স্যুপের বাটিটা নিয়ে নিলাম। স্যুপ খাচ্ছি আর পাগলীটা ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে। এরে বাবা এতে ঝাল দিয়ে একাকার অবস্থা। এতো ঝাল কেনো???
।
ইতি- স্যুপ ঝাল হয়েছে???
।
রোদ- পানি খাবো। পাগলীটা আমার হাত থেকে স্যুপের বাটিটা নিয়ে নিলো রহিমাকে ডেকে দিয়ে দিলো।
।
ইতি- রহিমাআআআ
।
রহিমা- জি ভাবী??
।
ইতি- এটা নিয়ে ফেলে দাও। আমার কথা শুনে লিজা রাগে ফুলতে লাগলো। লিজা তুমি একটু যাও। আমি ওনার কাপড় চেন্জ করবো। আমার কথা শুনে রাগে উঠে চলে গেলো।
।
রোদ- আমি চেয়ে চেয়ে ওর পাগলামী দেখছি।
।
ইতি- আপনার কি বেশি ঝাল লাগছে??? আমি অস্থির হয়ে পড়লাম। কারণ আগের বারের কথা আমার মনে আছে।
।
রোদ- আমি চুপ করে রইলাম। পাগলীটা আমাকে নিয়ে ব্যস্থ হয়ে পড়লো। যেনো ঝাল খেয়েছি আমি আর কষ্ট হচ্ছে ওর।
।
ইতি- চুপ করে আছেন কেনো??? বলেন না প্লিজ খুব বেশি কষ্ট হচ্ছে??
।
রোদ- অনেক ঝাল।
।
ইতি- ওনার ঝাল লাগছে শুনে মনের ভিতর মোচড় দিয়ে উঠলো। ওনি খাটে বসা ছিলেন। আমি উঠে গিয়ে নিচু হয়ে হাত দিয়ে ওনার ঘাড়ের নিচ থেকে চুলেরর ভিতর হাত দিয়ে ওনার মুখটা হালকা উপরে তুলে ওনার ঠোঁটে আমার ঠোঁট বসিয়ে দিয়ে ওনাকে চুমু খেতে লাগলাম। শুধু চুমু তেই শেষ হলো না ওনার ঠোঁট দুটো চুষতে লাগলাম। চুষে ওনার সব ঝাল নিয়ে নিচ্ছি। আমি দাড়িয়েই ছিলাম ওনি ওনার হাত দুটো চমার কোমড়ে রাখলে। জোরে চেপে ধরলেন আমাকে। আমার সাথে তাল দিয়ে চুমু খেতে লাগলেন আমাকে।
।
রোদ- ঝাল শব্দটা শেষ করতেই পারিনি আচমকা পাগলীটা উঠে এসে আমাকে চুমু খেতে লাগলো। ঘাড়ের নিচ দিয়ে ওর আঙ্গুল গুলো আমার চুলে দিলে টানতে লাগলো। আমিও ওর কোমড় জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে লাগলাম। পাগলীটা পরম আদরে চুুষতে লাগলো যেনো সব ঝাল নিয়ে যাচ্ছে।
।
ইতি- অনেক্ষণ এভাবে ছিলাম। থেমে গেলাম ওনার কপালের সাথে কপাল লাগিয়ে দাড়িয়ে রইলাম। জোরে জোরে নিঃস্বাশ নিচ্ছিলাম। ওনি এখনও আমার কোমড়টা জোরেই চেপে ধরে রেখেছে। আমি আর ওনার দিকে তাকাতে পারলাম না লজ্জায় পালিয়ে এলাম ওনার কাছ থেকে।
।
রোদ- আহ.... ধরতে পারলাম না পাগলীটা পালিয়ে গেলো লজ্জা পেয়েছে।
।
।
।
চলবে........
।
নার্স- আপনি কে??
।
ইতি- ওনি আমার স্বামী।
।
নার্স- আচ্ছা আমি ডাক্তারকে খবর দিচ্ছি।
।
ইতি- আমি ওনার পাশে বসে পরলাম। চোখের পানি যেনো থামার নাম ই নিচ্ছে না।
কিছুক্ষণ পর ডাক্তার এলেন। ওনি রোদেরই ডাক্তার। এর আগেও দেখা হয়েছে যখন রোদ জ্ঞান হারিয়ে ছিলো বাবার বাসায়।
।
Doc- অনেক কষ্টে তোমাকে খুজে পেলাম।
।
ইতি- ওনার কি হয়েছে??
।
Doc- Accident । অনেকটা ব্যাথা পেয়েছে জ্ঞান ফিরে আসে আবার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে।
।
ইতি- ওনি ঠিক হয়ে যাবে তো??
।
Doc- হ্যা। জ্ঞানটা ঠিক মতো ফিরলেই একদম আশংকা মুক্ত হয়ে যাবে ।
।
ইতি- Thank u so much.
।
Doc- Its OK Dear। তুমি শুধু ওর একটু যতন নাও।
।
ইতি- ডাক্তার চলে যেতে নিলেন আবার কি ভেবে থেমে গেলেন।
।
Doc- আচ্ছা তুমি এখন কেমন আছো??
।
ইতি- আমার কি হবে?? আমি তো ঠিকি আছি।
।
Doc- সেদিন রোদ তোমাকে নিয়ে অনেক ভয় পেয়ে গিয়ে ছিলো।
।
ইতি- আমাকে??
।
Doc- সেকি তোমার খেয়াল নেই। তিনদিন আগেই তো তুমি সাওয়ারের নিচেই জ্ঞান হাড়িয়ে পরে ছিলে। ভিজে তোমার অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে গিয়ে ছিলো। ইনজেকশনেও কাজ হচ্ছিলো না। ভাগ্যিস তোমরা মেরিড ছিলে তাই তো।
।
ইতি- 😱😱 সে রাতে.....আমাকে বাঁচাতে???
।
Doc- হ্যা।।। কেনো রোদ তোমাকে কিছু বলে নি?? তোমাকে নিয়ে যে কি ভয়টা না পেয়েছিলো ছেলেটা।
।
ইতি- ডাক্তার চলে গেলেন আমি হা করে ওনার দিকে চেয়ে বসে রইলাম। চোখের পানি যেনো বাধ মানছে না। মানুষটা আমার জন্য আমার কাছে এসেছিলো। আর আমি কিনা ওনাকেই এভাবে ছোট করলাম। ওনার হাতটা ধরে বাকিটা দিন বসে রইলাম। ওনার জ্ঞান ফিরার কোন নামই নেই।
।
রাফসানকে ফোন দিয়ে বললাম ওনাকে পেয়েছি। ওনি হাসপাতালে আছে। বললাম অফিস দেখে রাখতে। এখন আমাকে ওনার দরকার। আমি ওনার পাশে থাকতে চাই কেবল।
।
।
পরের দিন সকালে-
।
রোদ- জ্ঞানটা ফিরেছে কিন্তু চোখ খুলতে পারছি না। বুকের উপর কারো ভার অনুভব করতে পারছি। চোখ খুলতেই ঝাপসা ঝাপসা দেখলাম কেউ আমার পাশে বসে বুকের উপর মাথা রেখে আছে।
।
ইতি- ওনি হালকা নড়ে উঠলেন। খুশিতে মাথা উঠিয়ে ওনার দিকে তাকালাম। ওনি তাকিয়েছেন। আপনার জ্ঞান ফিরেছে। দুহাত দিয়ে ওনার মুখ চেপে ধরলাম। কপালে চুমি দিলাম। দু গালে চুমু দিলাম। আপনার এখন কেমন লাগছে??? কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে??? থাক বলা লাগবে না। আমি ডাক্তারকে ডেকে আনি। বেড়িয়ে যাচ্ছিলাম আবার ফিরে এলাম। ওনার কপালে আবার একটা চুমু দিলাম। দৌড়ে বেড়িয়ে এলাম।
।
রোদ- চোখ দিয়ে এক ফোটা পানি পড়ে গেলো। মেয়েটার মুখ শুখিয়ে কি অবস্থা করেছে নিজের। পাগলের মতো আদর করলো আমায় যেনো আমি বেঁচে ফিরে আসায় ও নিজে জীবন ফিরে পেয়েছে। মনে মনে অনেক সুখ লাগছে। সব কষ্ট ভুলে গেলাম।
।
।
ডাক্তার এসে রোদ এর চেক আপ করলো।
।
Doc- হুম,,,, Now he is totally out of danger.
।
ইতি- Thank u so much doctor.
।
Doc- তুমি আসাতে যে ও এতো যলদি সুস্থ হয়ে যাবে জানলে তোমাকে আরো আগে খবর দিতাম। Now he is your responsibility. You have to take care him very carefully and properly.
।
ইতি- আপনি কোন চিন্তা করবেন না। আমি আমার দিন রাত এক করে দিবো ওনাকে সুস্থ করবোই ইন শাহ আল্লাহ।
।
রোদ- কথা বলতে পারছিনা। কষ্ট হচ্ছে। পারলে পাগলীটার সাথে অনেক কথা বলতাম। এই পাগলীটাই সেদিন আমাকে সহ্য করতে পারছিল না আর আজ আমার জন্য কত কত পাগলামী করছে ভাবা যায়।
।
ইতি- আমার যে কি ভালো লাগছে বলে বুঝাতে পারবো না। রাফসানকে ফোন দিলাম। ওনার জ্ঞান ফিরেছে। রাফসান আমার জন্য খুশি হলো। আমার খুশির সীমা থাকছে না রোদকে পেয়ে। ওনাকে নিজে খাইয়ে দিলাম। ওনারর উঠে বসতেও কষ্ট হচ্ছে। আরো ৪দিন আমরা হাসপাতালে ছিলাম। ওনি এখন অকেনটাই Better তাই আজ রিলিস দিয়েছে ডাক্তার। ওনাকে নিয়ে বাসায় আসলাম। ওনার নিজে নিজে হাটতেও কষ্ট হচ্ছে। তাই ওনাকে ধরে বিছানায় বসিয়ে দিলাম। মাথার নিচে হাত দিয়ে আমি ওনার অনেকটাই কাছে গিয়ে ওনাকে ধীরে ধীরে শুইয়ে দিলাম। ওনি শুধু আমাকে ওপলক দেখছেন। এই চার দিকে কেবল হ্যা না ঠিক আছে ভালো লাগছে আচ্ছা এ জাতীয় কথা ছাড়া কোন বাড়তি কথা বলেননি ওনি।
।
রোদ- মেয়েটাকে যত দেখছি অবাক হচ্ছি এই কি সেই মেয়েটা নাকি এ অন্য কেউ। ওকে দেখলে মনে হয় ওর পৃথিবীটা কেবল রোদকে নিয়ে। মেয়েটা এতো বদলে গেলো কেনো??
।
ইতি- আপনি বিশ্রাম নিন আমি আপনার জন্য কিছু রান্না করে আনি।
।
রোদ- মাথা ঝুলিয়ে সায় দিলাম।
।
ইতি- রান্না শেষ করে রুমে এসে দেখি ঘুমিয়ে আছেন। ওনার পাশে গিয়ে বসে তাকিয়ে রইলাম। ওনার কপালে একটা চুমু খেতে মন চাইছে। নিজের ওজানতেই ওনার মুখের কাছে ঠোঁট কিছুটা নিতেই ওনি চোখ মেলে তাকালেন।
।
রোদ- পাগলীটা পাশে এসে বসেছে বুঝতে পেরেছিলাম। কি বলে তাই শুনার জন্য চোখ খুলিনি। অনুভব করলাম পাগলীটা কাছে আসছে। সাসপেন্স ধরে রাখতে পারছিলাম না তাই চোখ খুলে ফেলাম।
।
ইতি- লজ্জায় আমি দৌড়ে পালিয়ে এলাম। কি লজ্জা কি লজ্জা।
।
রোদ- ইস...পাগলীটা লজ্জা পেয়েছে। আদরটা না করেই চলে গেলো। আটকাতেও পারলাম না।
।
।
আজ রাফসান এসেছে রোদকে দেখতে।
।
রাফসান- এখন কেমন আছেন স্যার??
।
রোদ- এখন Much Better।
।
এর মধ্যে ইতি রুমে ডুকলো রাফসানের জন্য কফি নিয়ে।
।
ইতি- এই নাও
।
রাফসান- Thanks ma'am বলেই হালকা হাসি দিলো। After all MD Sir er Wife Ma'am তো বলাই লাগে। এটা অবশ্য ইতি বুঝেছে তাই রাফসানকে মুখে বলতে হয়নি। কারণ একা মাত্র রাফসানই জানে ইতি তার রোদকে কতটা ভালোবাসে।
।
রোদ- রোদ রাফসানের থেকে অফিসের খবরা-খবর সব নিচ্ছে। ওই সময় কিছু ডিল বাকি ছিলো। আচ্ছা MM Company এর সাথে ডিলটার কি হলো??
।
রাফসান- ইতি মেম থাকতে আমরা কি কোন ডিল হারিয়েছি স্যার এবারো তাই হয়েছে ডিলটা আমরা পেয়েছি। আর কাজও প্রায় শেষ। কিন্তু আজ আমি একটা বিশেষ প্রয়োজনে এসেছি।
।
রোদ- কি??
।
রাফসান- স্যার আপনার যা অবস্থা আপনার আরো রেস্ট দরকার। কিন্তু Jahan Company এর সাথে ডিলটা এখনো ফাইনাল হয়নি।
।
ইতি- Whatttttt???? কেনো???
।
রাফসান- ওই ডিলটা স্যার পরসনালি হ্যান্ডেল করেছেন। তাই মিটিং পোসপন করা লেগেছে। আমি সব পেপার সাথে করে এনেছি। ওনারা বলেছেন আজ যদি মিটিং না করা হয় তাহলে ওনাদের নতুন করে ভাবতে হবে ওনারা ডিলটা করবে কি না।
।
ইতি- Impossible ডিলটা আমার চাই ই চাই। পেপারগুলো দাও। রাফসান চলে গেলো। অফিসের সাময়িক দায়িত্ব রাফসানকে দেয়া হয়েছে। ইতি পেপার নিয়ে বসে পরলো। সব দেখবে।
।
রোদ- মেয়েটা সব পেপার খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছে। সব বুঝে নিচ্ছে। অনেক্ষণ সময় দিলো পেপারে।
।
ইতি- ওনার ল্যাপটপ নিয়ে বসে পরলাম। ওনাদের মেইল করতে হবে। মিটিং আজই হবে।
।
রোদ- কিন্তু ল্যাপটপে কি করছে দেখতে পারছি না। করছে কি??? একি মিররের সামনে গিয়ে চুল ঠিকঠাক করে হালকা ফ্রেস হয়ে বসে পরলো আবার ল্যাপটপের সামনে। হঠ্যাৎ চমকে গেলাম ওর কাজ দেখে।
।
ইতি- Skype এ মিটিং করতে চেয়ে মেইল পাঠায় ইতি ওনারাও আপত্তি করেন নি।
Hello gentle man's at first I am very sorry for the inconvenience . And thank you for waiting and your cooperation's.
Our MD is out of town for some very important issue. now I will handle the deal and I hope you will definitely be fine with the deal. সব বলে মিটিং শুরু করলাম।
।
রোদ- চমকে গিয়ে হা করে বসে রইলাম বউ টা আমার এতো বুদ্ধিমান। কি সুন্দর ভাবে সব কিছু সামলে নিলো। ডিলটাও কনফার্ম হয়ে গেলো।
।
ইতি- Skype শেষ করে ওনার দিকে তাকিয়ে হালকা একটা হাসি দিলাম। Congratulations☺☺ জানামাল ওনাকে।
।
রোদ- Thank you.☺☺
।
।
ইতি- ওনাকে ফ্রেস করতে হবে। গোসল তো করানো যাবে না তাই ভালাম রুমেই হাত মুখ দুয়ে দিই। ওনার কাছে গেলাম। মাথার নিচে হাত দিয়ে ধরে উঠিয়ে বসালাম। হাত কাঁপছে ওনার শার্টের বোদাম গুলো খুলতে লাগলাম।
।
রোদ- মেয়েটা কি ভয়ে কাঁপছে এভাবে। ওকে এতো কাছে পেয়ে ভালোই লাগছে।
।
ইতি- স্পন্জ দিয়ে ওনার বুক পিঠ ধুয়ে দিচ্ছি। সামনে থেকে পিছনে ধুতে গিয়ে ওনাকে নিজের বুকের সাথে আটকে ধরলাম। এক হাত দিয়ে ওনার ঘারের উপরের চুল গুলোতে আঙ্গুল দিয়ে ধরেছি। ওনাকে বুকের সাথে আটকে রেখেছি। মন চাইছে এভাবেই ধরে রাখি সারাজীবন।
।
রোদ- পাগলীটা বুকের সাথে আটকে রেখেছে। যেনো কখনই ছাড়বে না। আমি হালকা নড়ে উঠলাম।
।
ইতি- ইসস....ওনাকে ছেড়ে দিয়ে লজ্জায় উঠে যেতে নিলাম।
।
রোদ- চলে যেতে নিলো পিছন থেকে হাতটা ধরে টান দিয়ে নিজের বুকে নিয়ে নিলাম।
।
ইতি- ওনি টান দিতেই হুমড়ি খেয়ে ওনার বুকে গিয়ে পড়লাম।
।
রোদ- ওর প্রতিটা নিঃস্বাশ আমার বুকে এসে লাগছে। আমার ভিতরটা তোলপাড় করে দিচ্ছে। ওর মুখটা দু হাত দিয়ে তুলে ধরলাম। আসতে আসতে ওর মুখটা নিজের কাছে আনছিলাম। ওর ঠোঁটটা আমার ঠোঁটের শুধু এক ইন্ঞি ধুরে। ওর প্রতিটা নিঃস্বাশ অনুভব করতে পারছি।
।
ইতি- আমার নিঃস্বাশ ভারি হয়ে যাচ্ছে। ওনি আমাকে নিজের আরো কাছে নিয়ে যাচ্ছেন। আমি চোখ বন্ধ করে নিলাম।
।
।
রোদদদদদদদদদদদদদদদ.......
।
।
রোদ- কারো ডাকে ইতিকে ছেড়ে দিলাম।
।
ইতি- সরে বসলাম।
।
রোদ- আরে লিজা তুই???
।
লিজা- হ্যা আমি। তোমার accident কথা শুনে মা যে সে কি কান্না কি বলবো।
।
রোদ- ছোট মা এসেছে???
।
ছোটমা- এইতো আমি বাবা??? কেমন আছিস তুই??? একি হাল হয়েছে আমার সোনা মাণিকের??
।
ইতি- ওনাদের দেখে পাশে সরে গেলাম। আমি ওনাদের চিনি না।
।
রোদ- আরে কাঁদছো কেনো??? আমি তো ঠিক আছি। দেখো।
।
ইতি- ওনি উঠতে নিলে ওনার ছোটমা বাধা দেয়। এতোক্ষণে ওনার ছোটমা আমাকে লক্ষ করলেন হাত দিয়ে ইশারা করলেন ওনার কাছে যেতে। আমি গুটি পায়ে ওনার সামনে গিয়ে দাড়ালাম। ওনি লিজা ওনার মেয়ে কে সরিয়ে দিয়ে ওনার পাশে আমার হাত ধরে বসিয়ে দিলেন। আমার হাত দুটো পরম মমতায় ধরে রাখলেন। ওনার দিকে তাকিয়ে জিঙ্গেস করলেন।
।
ছোটমা- একি আমার ঘরের লক্ষী???
।
রোদ- হাসি মুখে জবাব দিলাম। জ্বি।
।
ইতি- আমার বুকটা কেপে উঠলো আমি ওনার ঘরের লক্ষি। কোপালে এতো সুখ ছিলো আমার ওনি আমাকে ওনার ঘরের লক্ষি বললেন।
।
ছোটমা- নাম কি মা??
।
ইতি- জ্বি ইতি
।
ছোটমা- আলহামদুল্লিলাহ এবার আমার পাগলটার জীবনের সব কষ্টের ইতি হয়ে যাবে। শুরু হবে নতুন সুখের গল্প।
।
ইতি- কথাটা বলেই ওনি আমার থুতুনিতে হাত দিয়ে হাতে চুমু খেলেন। আমাকে ওনার অনেক পছন্দ হয়েছে। আমি উঠে ওনাকে সালাম করলাম। কিছুক্ষণ পর লিজার বাবাও এলেন। এতোক্ষণে জানতে পারলাম। ছোটমা আর ছোটবাবা হচ্ছে ওনার চাচা-চাচী। বাবা-মার পরে যদি কেউ ওনাকে ভালোবেসে থাকে তা ওনার ছোটমা আর ছোটবাবা। আমি ওনাদের রুম গুছিয়ে দিলাম। ফ্রেস হতে বললাম। ওনাদের জন্য রান্না করলাম। সবই ঠিক আছে শুধু লিজা একটু কেমন যেনো। হয়ত আমার সাথে ফ্রি হতে পারছে না তাই এমন লাগছে। ছোটমা-বাবাকে খাইয়ে এলাম ওনাকে খাওয়াবো। কিন্তু রুমে ডুকেই দেখি লিজা ওনার সাথে গল্প করছেন। কি ব্যাপার আপনাকে না বললাম ঘুমাতে??? লিজা কেমন ভাবে তাকালো আমার দিকে।
।
রোদ- লিজার সাথে গল্প করছিলাম তাই ঘুম আসে নি।
।
ইতি- আমি একদম ওনিয়ম মানবো না বলে দিচ্ছি। আসলে রাগে কথাটা বললাম
কারণ গল্পতে আমার আপত্তি নেই কিন্তু লিজা বেস অনেকটা শরীর ঘেষেই বসে ছিলো যা আমার একদম পছন্দ হয় নি। ওনি হাসছেন আমাকে দেখে তাই আরো বিরক্ত লাগছে। এখন খেতে হবে। কোন কথা শুনব না।
।
লিজা- আমাকে দাও আমি খাইয়ে দিচ্ছি।
।
ইতি- লিজা আমার হাত থেকে স্যুপের বাটিটা নিয়ে গেলো। আমার রাগ উঠে গেলো। আমিও ওর হাত থেকে বাটি নিয়ে নিলাম। তোমাকে কষ্ট করতে হবে না। আমি রান্না করেছি আমিই খাইয়ে দিতে পারবো। তুমি যাও বিশ্রাম নাও। অনেকটা যার্নি করে এসেছো। আমার কথা শুসে লিজা চলে গেলো উঠে। আমি ওনাকে খাইয়ে দিচ্ছি ওনি মিট মিট করে হাসছে।
।
রোদ- পাগলীটা রেগে গেছে। আমার ভাগ কাউকে দিবে না। মনে মনে ভাবছি।
।
ইতি- চুপ একদম হাসবেন না। রাগে আমি গজ গজ করছি। আর ওনি মিটমিট করে হাসছেন।
।
বিপত্তি হলো পরের দিন।
।
ইতি- সবাই মিলে গল্প করছিলাম। আমি যাই ওনার স্যুপটা রান্না করে নিয়ে আসি।
।
লিজা- আজ আমি রান্না করবো।
।
ছোটমা- না লিজা তোর রান্না করা লাগবে না। তুই অনেক ঝাল দেস রোদ খেতে পারবে না।
।
লিজা- না আমি রান্না করবোই।
।
ইতি- লিজা ছোটমার কথা শুনলো না। জেদ করে রান্না করলোই। ঝালের কথা শুনেই আমি চিন্তায় পড়ে 😰 গিয়ে ছিলাম ওনার জন্য। ওনার তো ঝালে সমস্যা হয় তাই আমি পায়েস রান্না করলাম। আমি গিয়ে ওনার পাশে বসলাম। লিজা ওনার জন্য স্যুপ নিয়ে আসলো।
।
ইতি- দাও আমাকে দাও
।
লিজা- নাহ,,,,আমি রান্না করেছি আমিই খাওয়াবো।
।
ইতি- কথাটা শুনে আমার রাগ উঠে গেলো। মেয়ে বলে কি। জামাই আমার আর সোহাগ দেখাবে সে। হুহ......ঢং দেখে গা জ্বালা শুরু হয়ে গেলো। ওনি বুঝতে পারলেন আমি রেগে যাচ্ছি।
।
রোদ- থাক কাউকে কষ্ট করতে হবে না আমি নিজেই খেতে পারবো। লিজার হাত থেকে স্যুপের বাটিটা নিয়ে নিলাম। স্যুপ খাচ্ছি আর পাগলীটা ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে। এরে বাবা এতে ঝাল দিয়ে একাকার অবস্থা। এতো ঝাল কেনো???
।
ইতি- স্যুপ ঝাল হয়েছে???
।
রোদ- পানি খাবো। পাগলীটা আমার হাত থেকে স্যুপের বাটিটা নিয়ে নিলো রহিমাকে ডেকে দিয়ে দিলো।
।
ইতি- রহিমাআআআ
।
রহিমা- জি ভাবী??
।
ইতি- এটা নিয়ে ফেলে দাও। আমার কথা শুনে লিজা রাগে ফুলতে লাগলো। লিজা তুমি একটু যাও। আমি ওনার কাপড় চেন্জ করবো। আমার কথা শুনে রাগে উঠে চলে গেলো।
।
রোদ- আমি চেয়ে চেয়ে ওর পাগলামী দেখছি।
।
ইতি- আপনার কি বেশি ঝাল লাগছে??? আমি অস্থির হয়ে পড়লাম। কারণ আগের বারের কথা আমার মনে আছে।
।
রোদ- আমি চুপ করে রইলাম। পাগলীটা আমাকে নিয়ে ব্যস্থ হয়ে পড়লো। যেনো ঝাল খেয়েছি আমি আর কষ্ট হচ্ছে ওর।
।
ইতি- চুপ করে আছেন কেনো??? বলেন না প্লিজ খুব বেশি কষ্ট হচ্ছে??
।
রোদ- অনেক ঝাল।
।
ইতি- ওনার ঝাল লাগছে শুনে মনের ভিতর মোচড় দিয়ে উঠলো। ওনি খাটে বসা ছিলেন। আমি উঠে গিয়ে নিচু হয়ে হাত দিয়ে ওনার ঘাড়ের নিচ থেকে চুলেরর ভিতর হাত দিয়ে ওনার মুখটা হালকা উপরে তুলে ওনার ঠোঁটে আমার ঠোঁট বসিয়ে দিয়ে ওনাকে চুমু খেতে লাগলাম। শুধু চুমু তেই শেষ হলো না ওনার ঠোঁট দুটো চুষতে লাগলাম। চুষে ওনার সব ঝাল নিয়ে নিচ্ছি। আমি দাড়িয়েই ছিলাম ওনি ওনার হাত দুটো চমার কোমড়ে রাখলে। জোরে চেপে ধরলেন আমাকে। আমার সাথে তাল দিয়ে চুমু খেতে লাগলেন আমাকে।
।
রোদ- ঝাল শব্দটা শেষ করতেই পারিনি আচমকা পাগলীটা উঠে এসে আমাকে চুমু খেতে লাগলো। ঘাড়ের নিচ দিয়ে ওর আঙ্গুল গুলো আমার চুলে দিলে টানতে লাগলো। আমিও ওর কোমড় জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে লাগলাম। পাগলীটা পরম আদরে চুুষতে লাগলো যেনো সব ঝাল নিয়ে যাচ্ছে।
।
ইতি- অনেক্ষণ এভাবে ছিলাম। থেমে গেলাম ওনার কপালের সাথে কপাল লাগিয়ে দাড়িয়ে রইলাম। জোরে জোরে নিঃস্বাশ নিচ্ছিলাম। ওনি এখনও আমার কোমড়টা জোরেই চেপে ধরে রেখেছে। আমি আর ওনার দিকে তাকাতে পারলাম না লজ্জায় পালিয়ে এলাম ওনার কাছ থেকে।
।
রোদ- আহ.... ধরতে পারলাম না পাগলীটা পালিয়ে গেলো লজ্জা পেয়েছে।
।
।
।
চলবে........
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com