লজ্জাবতী | লেখক: আকাশ আহম্মেদ | পর্ব - ০১
আমি: ঘুম ঘুম
চোখে কি রে মামা কি হইছে
নিলয়: হারামি কুওা কি হইছে জানিস না আজকে
কলেজে নবীন বরন উৎসব তোর মনে নাই শালা কয়টা বাজে এখনো ঘুমাস
আমি:সরি
দোস্ত ভুলে গেছিলাম
নিলয় : তারাতারি কলেজে আয় মামা কি সুন্দর সুন্দর
পাখি ক্যাম্পাসে
আমি তো অনেক গুলার উপর ক্রাস খাইছি
আমি:কস কি
মামা কেমনে কি আমি এক্ষুনি আইতাছি
ঘুম থেকে উঠলাম ও সরি আপনাদের তো
আমার পরিচয় দেওয়া হয় নি
আচ্ছা একটু অপেক্ষা করুন আমি ফ্রেস হয়ে আসি
হুম হয়ে গেছে এবার পরিচয়টা দিই
আমি: আকাশ আহম্মেদ
অনার্স পাস্ট ইয়ারে পড়ি
আর ও হচ্ছে আমার বেস্ট ফেন্ড নিলয়
ক্লাস ওয়ান থেকে আমাদের বন্ধুত্ব
আজকে কলেজে নবীন বরন উৎসব
তাই সকাল সকাল আমার বন্ধু নিলয়ের ফোন
তারাতারি রেড়ি হয়ে কলেজের
উদ্দৈশ্য রওনা দিলাম
কলেজের গেইট দিয়ে ঢোকার সময়
আআআআউউউউউ
একটা মেয়ের সাথে ধাক্কা খেয়ে মাটিতে পড়ে গেলাম
তাকিয়ে দেখি অপ্সরি
নীল পরীর মতো লাগতেছে মেয়েটার কাজল কালো হরিনি চোখ নিল শাড়ী
খোলা চুল সব মিলিয়ে অস্থির
চোখ সরানো যাচ্ছে না মেয়েটার দিক থেকে
হঠাৎ মেয়েটা :সরি সরি আসলে আমি খেয়াল করিনি
আমি:তা ঠিক আছে
বাবা গো কোমর টা গেলো please একটু তুলুন
মেয়ে: হুম হাত
দেন মেয়েটা তার হাত বাড়িয়ে দিলো কিন্তু ঘটলো আরেক দুর্ঘটনা মেয়েটা হাত
বাড়িয়ে আমাকে তুলতে গেলে আমি তার হাত ধরে এমন টান দিই ও সোজা আমার বুকে
আছড়ে পড়ে
অতঃপর লজ্জা পেয়ে তাড়াতাড়ি উঠে দৌড় দিলো
হঠাৎ নিলয়ের আগমন
নিলয়:কি মাম্মা তুমি তো রোমান্টিক মুড়ে চলে গেলা দুর থেকে দাড়িয়ে
তোমার প্রেম কাহীনি দেখলাম
আমি:দুর পাগল তেমন কিছু না
নিলয়:মামা মামী কিন্তু সেই তুমি বললে আমি কথা বলে দেখতে পারি
আমি:না থাক মামা তার আর প্রয়োজন নেই
মনে মনে ভাবতাছি
এই অপ্সরিটার নামটাই তো জানা হলো না
কি নাম ওর আজ পর্যন্ত কোন মেয়েকে এতো
টা ভালো লাগে নি কিন্তু ওকে দেখার পর থেকে
কেমন যেনো অদ্ভূত অনূভুতি হচ্ছে আর কে এই মেয়ে
আমার বুকে আছড়ে পড়ার পর থেকে মনে হচ্ছে হাজার বছরের
চেনা ওর চুলের সুবাস ওর টানা হরিনি চোখ সব কিছু মনে হয়
খুবই চিরচেনা ঘোর কাটলো নিলয়ের ডাকে
নিলয়:কি রে মামা কি ভাবতাছচ
আমি:কিছু না চল ঐদিকে একটু যাই নিলয়: হুম চল নিলয় কে নিয়ে
পুরো ক্যাম্পাসে ঘুরতেছি কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না মেয়েটাকে কি নাম ওর
কোথায় থাকে ও কি কাউকে ভালোবাসে জানার জন্য মনটা উতলা হয়ে উঠতেছে
অনেকক্ষন খোঁজার পর পাওয়া গেলো বান্ধবিদের সাথে হাসাহাসি
করতেছে ওর হাসিটা খুব সুন্দর দুর থেকে ওর হাসিটা দেখতেছি এমন সময় আমার
উপর ওর চোখে পড়লো আর সাথে সাথে লুকিয়ে গেলো আমি:দেত কই গেলো
এখানেই তো ছিলো কোথায় যেগেলো খুঁজে আর পাওয়া হলো না
সেদিনের মতো বাসায় ফিরলাম আর কল্পনার রাজ্যে
আমার পরীটাকে নিয়ে ছোট্ট একটা কুঁড়েঘর
বানালাম অনেক স্বপ্ন দেখতেছি জানিনা কখনো পূরন হবে কিনা
পরদিন কলেজে আসলাম কিন্তু ওকে তো দেখতে পাচ্ছি না কই যে পাই
পুরো ক্যাম্পাস ঘুরলাম কিন্তু কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না এই তো
পাইইইইছি কি ভাবতেছেন ওরে পাইছি আরে না ওর বান্ধবিরে পাইছি
আমি:এই যে আপু শুনেন মেয়েটা:জ্বি ভাইয়া বলুন
আমি:আপনার নাম কি
আপু??? মেয়েটা:তুলি আমি:আচ্ছা তুলি আপু কালকে আপনাদের সাথে যেই
মেয়েটাকে দেখলাম সে মেয়েটার নাম কি???
তুলি:কোন মেয়েটা ভাইয়া একটু
ক্লিয়ার করে বলবেন আমি:ঐ যে কালকে নিল শাড়ী পরে এসেছিলো
তুলি:ওওও নীলার কথা বলতেছেন আমি: হুম ও কোথায় জানেন
আপনি..?? তুলি:না ভাইয়া সরি কোথায় বলতে পারবো না???? আমি:ওর নাম্বার বা
বাসার ঠিকানা কিছু দেওয়া যাবে তুলি:সরি ভাইয়া সম্ভব না
মন খারাপ করে বাসায় আসলাম বিছানায় শুয়ে ভাবতেছি কখনো কারো
জন্য এমন অনূভুতি হয়নি কিন্তু নীলার জন্য আমার মনটা এতো অস্তির লাগতেছে
কেনো একটু পরে রুমে আম্মু আসলো আম্মু:আকাশ নিধির বিয়ে ঠিক
হইছে তোর খালা কল দিয়ে ছিলো ঐ বাড়ি থেকে বলেছে
বিকালের মধ্যে ওখানে যেতে আমি:বলো কি মা নিধির বিয়ে ওয়াও সেই মজা হবে
আমি তো এক্ষুনি রেড়ি হচ্ছি রেড়ি হয়ে মা আর আমি
খালার বাসার উদ্দৈশ্যে রওনা দিলাম দুইঘন্টা যার্নি করার পর গন্তব্যে এসে পৌছালাম
অবশেষে বাসায় এসে পৌছালাম দরজা খুলতেই আমি তো পুরাই হা
একি মেঘ না চাইতে জল নীলা আমার খালার বাসায়
কি করতেছে নীলা দরজাটা খুলে দিয়ে দৌড় দিলো
আমার শরীরটা খুব খারাপ লাগতেছে তাই বাসায় এসে
একটু ঘুম দিলাম ঘুম ভাংলো হারামি নিধির ডাকে
নিধি হলো আমার সেই একমাএ আদুরে খালাতো বোন
যার বিয়ের উদ্দৈশ্য আমার এখানে আসা কিন্তু এখন মে হয়
আমার বিয়েটাই হয়ে যাবে হি হি হি
যাই হোক এককাপ কপি নিয়ে এসেছে তাই একটা
থাংকু দিলাম নিধি চলে যাচ্ছিলো তখনই আমি বললাম এই আপু
নিধি হুম কিছু বলবি ??
আমি:নীলা কে তুই চিনিস???
নিধি :অভাক হয়ে তুই নীলার নাম জানিস কিভাবে ???
আমি:সে না হয় পরে বলবো আগে বল তুই ওরে কিভাবে চিনিস
নিধি:আরে ভাই ও আমার ফুফাতো বোন আমি:ওয়াও থাংকু
বোন যা এখন পরে কথা হবে বিছানায় উঠে একটা লুঙ্গি ড্যান্স দিলাম
সন্ধ্যায় নিধির রুমে উকি মারছিলাম তখনই পিছন থেকে নিধি এসে
কি রে ভাই তোকে তো কখনো আমার রুমের আশেপাশে ও দেখি না
আর তুই এখন আমার রুমে উকি মারস ঘটনা কি
আমি:আরে আস্তে বল ও শুনবে নিধি:কে নীলা??
আমি:আরে হ্যাঁ .চুপ নিধি:হি হি হি হি চিন্তা করিস না আমি তো আছি সব
হয়ে যাবে বোনের কথায় একটা সাহস পেলাম কিন্তু নীলা আমাকে দেখলে এতো
লজ্জা পায় কেনো দুরে দুরে থাকে কেনো ইসসসস কলেজের ঘটনাটার জন্য নিশ্চয়
বিয়ের বাকি আর দুদিন এর মধ্যে মেহমানরা আসতে শুরু করেছে যদি ও আমরা
একটু আগেই চলে আসলাম রাএি বেলা একটু বাসার ছাঁদে আসলাম নিধি আর তার
বান্ধবিরা মিলে গল্প করতেছে নীলা ও আছে আমাকে দেখেই
নিধি নিধি:আরে আকাশ সাহেব যে আসেন পরিচয় করিয়ে দিই আপনার সাথে আমার
বান্ধবিদের সবার সাথে পরিচয় শেষ শুধু নীলা বাকি নিধি যখনই নীলার পরিচয়
দেবে আমি আগ বাড়িয়ে বললাম
জানি আমি বলতে হবে না নীলান্জনা নীলা
আমার মুখে এমন কথা শুনে নীলা একটু অভাক হলো আবার কেনো জানিনা ওর
ঠোঁটের কোনে হাসি ও ফুটলো
আচ্ছা আমি কি একটু মিস নিলান্জনার সাথে কথা
বলতে পারি
মুচকি হেসে নীলা আমার পাশে আসলো
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com