Breaking News

ঘর জামাই | লেখক: আকাশ আহম্মেদ | শেষ পর্ব

লুঙ্গিটা ঠিক করে পালালাম...বাসায় আসলাম তখনই জরিনা:এই ধরোতো আমার জানা কাপড় গুলা ধুয়ে দাও .... আমি:আমি পারবো. না ......জরিনা :কি পারবি না ‌‌...... আমি:রাগ করছো কেনো যাচ্ছি তো ...... আমি নাকি এই বাড়ির জ্বামাই জামাই নাকি কাজের লোক নিজেও জানি না .......সারাদিনের পরিশ্রমের পরে ক্লান্ত. হয়ে শুয়ে আছি ‌........জরিনা:উঠো তো আমি একটু শুবো..... আমি:না অনেক রাত হয়ে‌ এসেছে .......জরিনা চলো.....জরিনা:কোথায়..... আমি:ঐ যে আমাদের বকুল ফুলের গাছের নিছে বসবো‌.....চলো একসাথে বসে চাঁদ দেখবো.......জরিনা:বাদাইম্মার আবার চাঁদ দেখার শখ.... আমি:কিছু না বলে চলে আসলাম.......গাছের নিচে একা বসে আছি আর ভাবতেছি.....‌.‌‌এখনো মনে পড়ে ছোট বেলার সেই দিন গুলো কত না ভালোবাসা ছিলো আমার বাবা মা ভাই বোন সবাই ছিলো ....... কলেরায় সবাই মারা যায় আর আমি বেঁচে যাই সেই থেকে পড়ালেখা বন্ধ করে দিই ......লোকের কাজ করে বড় হয়েছি.........ভাগ্যক্রমে জরিনার সাথে বিয়েটা হয়ে যায়.......কিন্তু বাসর রাতে ....জরিনা আমাকে বলে দিয়েছে ও আমাকে স্বামী হিসেবে মানে না 
www.jobcareer24.com

......বিয়ের অনেক দিন হয়েছে...... ছোট খাঁটো কাজ আর থাকার জায়গার অভাবে শুশুর বাড়িতে থাকতে হয় .....কি করবো পড়ালেখা করিনি কোন ভাবে দিন যায়....বিয়ের পরে শাশুড়ি আম্মা ছাড়া সবার কাছে অপমানিত হয়েছি এবং কি আমার বউয়ের কাছে ও ......কে জানতো আমার জীবনটা এমন হয়ে যাবে.........যাক সবই আমার ভাগ্য...... এই সব ভাবছিলাম বসে বসে তখইন জরিনা ডাকতেছে‌‌......জরিনা: তারাতারি আসেন ........ আমি:কি হইছে .....এমন হাপাচ্ছো কেনো.......জরিনা:বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছে তারাতারি চলো...... আমি দৌড়ে গিয়ে তারাতারি শুশুর কে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলাম..... হাসপাতালে চিকিৎসা চলতেছে...... আমি ডাক্তারের কাছে গেলাম.....ডাক্তার সাহেব বাবার কি হইছে......ডাক্তার :এখনো কিছুই বুঝা যাচ্ছে না ....... কিছু টেস্ট করাতে হবে তারপর বুঝা যাবে...... আমি:হ ডাক্তার যা করার তারাতারি করেন........বিকালে ডাক্তার বললো .....রোগীর অবস্থা খুব খারাপ দুইটা কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে.......নতুন কিডনি না পেলে রোগীকে বাঁচানো যাবে না ...... আমি:ডাক্তার আমি কিডনি দেবো......আমার কথা শুনে সবাই অভাক হয়ে গেছে........কিন্তু অপারেশান এর আগেই আমার শুশুর চলে গেলো পৃথিবী ছেড়ে.......আজ পাঁচ দিন শুশুরের মৃত্যু হয়েছে‌.....সবাই সম্পওি নিয়ে যুদ্ধ করতেছে ...... আর আমি পরিবারের হাল ধরতে উঠে পড়ে লাগি........ কিছু দিন পর জরিনা আমাকে ভালোবাসতে শুরু করে.......আগের মতো আমার সাথে বাজে ব্যবহার করে না......রাতে
www.jobcareer24.com
ঘুমাচ্ছিলাম.......তখন কারো কান্নার শব্দ পেয়ে ঘুম ভেংগে গেলো......উঠে দেখি বউ আমার কান্না করতেছে ‌.........কিন্তু কি হইছে এতো রাতে কান্না করে কেনো........ আমি উঠতেই আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে.......জরিনা:আমাকে আপনি ক্ষমা করে দেন ..... আমি না জেনে অনেক অন্যায় করেছি.......আপনাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি.....অনেক অপমান করেছি.......কিন্তু আমি জানি আপনার মতো মহৎ মানুষ হয় না..... আমি আপনার মতো স্বামী পেয়ে ও অবহেলা করেছি.......আমাকে আপনি ক্ষমা করে দেন.......এই বলেই আমার পায়ে ধরতে যাবে তখনই..... আমি:এই পাগলি কি করছো তুমি..... আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি......তাই তো তোমার সব অপমান মুখ বুঝে সয্য করি........ তুমি যে আমার ভালোবাসা.......জরিনা:তাহলে আজ থেকে আমাকে খুব ভালোবাসবেন বলেন...... আমি:আচ্ছা বাসবো ......পাগলিটা আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছে......ওর মুখে রাজ্যের হাসি ফুটেছে......আমার ও খুব ভালো লাগতেছে অবশেষে আমাদের ভালোবাসা পূর্ণতা পেলো

                              .‌....................সমাপ্ত.................

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com