একটা ডাক্তার মেয়ের ভালবাসা
রুমা:- আপনি এসেছেন? অবশ্য জানতাম আপনি আসবেন..
আবির:-(মুচকি হাসি দিল) এখানে কথা না বলে চলো একটু হাঁটি আর গল্প করি।
–হ্যাঁ চলুন
–আচ্ছা তোমার পড়ালেখা কেমন হচ্ছে??
–হ্যাঁ ভালো
–তোমার ডাক্তারি পড়া শেষ হবে কবে??
–এই তো আর এক থেকে দেড় বছর
–হ্যাঁ, ভালো ভাবে পড়, তোমাকে একদিন খুব বড় ডাক্তার হতে হবে, মানুষের সেবা করবে।
–হ্যাঁ, ভালো ভাবে পড়ছি, আর আমি ডাক্তার হয়ে আপনার মত পাগলদের চিকিৎসা আগে করব।
–তাই?? শুনো তুমি যদি ডাক্তার হোও, আমি হব তোমার রোগী।
–কেমন রোগী হবেন??
–পার্মানেন্ট
.
.
–ওয়াও,
–কি খুঁশী হলে??
–খুঁশি হব না?? ডাক্তার হবার পড়েও তো অনেকে পার্মানেন্ট রোগী পায় না,
–ওয়াও,
–কি খুঁশী হলে??
–খুঁশি হব না?? ডাক্তার হবার পড়েও তো অনেকে পার্মানেন্ট রোগী পায় না,
আর
আমার কি সৌভাগ্য দেখেন, ডাক্তার হবার আগেই একটা পার্মানেন্ট রোগী পাচ্ছি।
তাও আবার সে আমার পাশেই।
–এখনি হেঁসে নাও, একদিন দেখবে, আমি কঠিন রোগে আক্রান্ত আর
–এখনি হেঁসে নাও, একদিন দেখবে, আমি কঠিন রোগে আক্রান্ত আর
অপারেশনটা তোমাকেই করতে হবে, সেদিন দেখো এই হৃদয়ে শুধু তোমারই নামটি লিখা।
–হা হা আপনি তো খুব রশিকতা করতে পারেন, আচ্ছা আজ আছি?
–হা হা আপনি তো খুব রশিকতা করতে পারেন, আচ্ছা আজ আছি?
হাঁটতে হাঁটতে বাড়ির কাছাকাছি চলে এলাম দেখছেন??
–ও হ্যাঁ তাই তো, আচ্ছা ভালো থেকো বাই…..
পরদিন
–আপনি আজও এসেছেন??
–হ্যাঁ, দেখতেই তো পাচ্ছো
–এভাবে প্রতিদিন পথ চেয়ে থাকতে কেমন লাগে??
–শুধু তোমাকে ভালবাসি, তাই তোমার পথ চেয়ে থাকতে একটুও খারাপ লাগে না।
–শুনেন আপনি শুধু আমার বন্ধু এরচেয়ে বেশি কিছু ভাবি না, ভাবতে পারবও না,
–ও হ্যাঁ তাই তো, আচ্ছা ভালো থেকো বাই…..
পরদিন
–আপনি আজও এসেছেন??
–হ্যাঁ, দেখতেই তো পাচ্ছো
–এভাবে প্রতিদিন পথ চেয়ে থাকতে কেমন লাগে??
–শুধু তোমাকে ভালবাসি, তাই তোমার পথ চেয়ে থাকতে একটুও খারাপ লাগে না।
–শুনেন আপনি শুধু আমার বন্ধু এরচেয়ে বেশি কিছু ভাবি না, ভাবতে পারবও না,
আপনি ভালো করে জানেন আমি
মা-বাবার একমাত্র মেয়ে, তাই তাদের মতের বাহিরে আমি কিছু করতে পারব না।
–আমি তোমার বাড়ি বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাব।
–তাতে কোনো লাভ হবে না, আচ্ছা, আজকের মত আসি বাই।
মা-বাবার একমাত্র মেয়ে, তাই তাদের মতের বাহিরে আমি কিছু করতে পারব না।
–আমি তোমার বাড়ি বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাব।
–তাতে কোনো লাভ হবে না, আচ্ছা, আজকের মত আসি বাই।
এভাবে বেশ কিছুদিন কেটে যায়……………
রুমা:- আপনি আজও?? এভাবে আর কতদিন???
–যতদিন রাজি না হবে
–দেখেন যেটা হবে না, সেটা নিয়ে কেনো এভাবে পড়ে আছেন??
–আচ্ছা, আমি তো তোমার অচেনা কেউ নয়, জানা-শোনা,
আমাকে তো ভালভাবেই চিনো কোনো দিক দিয়ে আমাকে খারাপ মনে হয়???
–না একদমই না, আপনার চেয়ে ভালো আমি ২য় কাউকে দেখি নি।
–তাহলে কেনো বারবার আমাকে ফিরিয়ে দিচ্ছো??
–কারণ আমি মা-বাবাকে কষ্ট দিতে পারব না, ,
–না একদমই না, আপনার চেয়ে ভালো আমি ২য় কাউকে দেখি নি।
–তাহলে কেনো বারবার আমাকে ফিরিয়ে দিচ্ছো??
–কারণ আমি মা-বাবাকে কষ্ট দিতে পারব না, ,
আমি যখন SSC পাস করি তখনি তারা
আমাকে ডাক্তারি পড়াবে বলে দেয়,
আর বিয়েও কোনো ডাক্তারের সাথে দিবে জানিয়ে
দেয়,
এটাও বলে দেয় যোনো ক্লাসমেট হোক বা যাই হোক কোনো ছেলের সাথে বন্ধুত্ব
করা যাবে না,
আমার বিয়ে ডাক্তার ছেলের সাথেই হবে, এটাই তাদের চুড়ান্ত
সিদ্ধান্ত,
এটা আপনাকে আগেও বলছি এখনো বলছি,
প্লিজ আমার পেছনে এভাবে সময়
নষ্ট করবেন না।
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com