রাগী মেয়ে | লেখক:আকাশ আহম্মেদ | প্রথম পর্ব
চলে গেলো...!!!
আমি অভাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি ....কি এমন করলাম আমি একটা সিগারেট খেলাম মাএ তাতেই মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে গেলো......কোথাকার কোন মেয়ে চিনি না জানি না উড়ে এসে জুড়ে বসলো ঠাসসস করে মেরে দিলো....ধমকা হাওয়ায় মতো চলে গেলো.....দেত বাদ দিই........!!!
.
এবার আমার পরিচয় টা দিই....
আমি: আকাশ আহম্মেদ...মধ্যবিও পরিবারের বড় ছেলে...গ্রামের একটা কলেজে ইন্টার শেষ করে শহরে আসলাম পড়ালেখা করতে.... একটা ভালো কলেজে চান্স ও পেলাম....... এসেছি ছয় মাস..... আহার পর একটা বাসায় উঠি ব্যাচেলর বাসা কিন্তু বাড়িওয়ালীর কিউট সুইট মাইয়ারে দেইখা লোভ সামলাতে পারিনি.....পরে গেলাম ওর প্রেমে জানিনা কেউ ধাক্কা দিসে নাকি নিজে নিজে পরেছি.......আর ওর পরিবার জানার পর বাসা ছেড়ে দেয়ার নোটিশ দিয়েছে...... তাই সকাল হতে খুব টেনসেনে আছি .....কলেজে এসে একটা সিগারেট ধরালাম এর মধ্যেই কি হলো তা তো দেখতেই পেলেন.......কি করবো বুঝতে পারছি না..... নিরুপায় হয়ে বাসায় যেতে হচ্ছে বাড়িওয়ালী বলেছে বিকেলের মধ্যে বাসা খালি করে দিতে.......এসব মাথায় ঘুরফাক
হাসপাতালে বসে আছি......বিকাল বেলা মহিলার জ্ঞান ফিরে আসে আর আমি মহিলার থেকে উনার বাসার ঠিকানা নেই .......এ দুনিয়াতে একটা মেয়ে ছাড়া মহিলার আর কিছুই নাই...... আমি তার মেয়েকে খবর দিলাম..... একটু পর মেয়েটা আসলো......তাকিয়ে দেখি আরে এই তো সেই মেয়ে যে কিনা সকালে আমাকে থাপ্পর মেরেছে........এসেই আবার কান্না শুরু করেছে...... একটু পর মেয়েটা.......আমাকে একপাশে নিয়ে গেলো .......
খাচ্ছে......এমন সময় হঠাৎ করে চিৎকার চেঁচামেছির শব্দ.......সামনে তাকিয়ে দেখি কিছু মানুষের ভিড় সামনে গেলাম ......দেখি একটা মহিলা রাস্তায় পড়ে আছে......এক্সিড়েন্ট করেছে মারাত্নক অবস্থা......জামেলায় জড়ানোর ভয়ে কেউ হাসপাতালে নিতে চাচ্ছে না..... আমি এগিয়ে গেলাম তারাতারি একটা গাড়ি নিয়ে পাশের হাসপাতালে নিয়ে গেলাম... হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দিলাম...ডাক্তার বলেছে 20000 টাকা কাউন্টারে জমা করতে....কিন্তু এই টাকা টা আমি কোথায় পাবো......আমার তো টিউসনি করে নিজের পড়ালেখা চলে...... হঠাৎ মনে পড়লো সেমিষ্টার ফির জন্য আমার একাউন্টে কিছু টাকা জমা আছে...... তারাতারি টাকা নিয়ে আসলাম আর ডাক্তারকে বলে চিকিৎসা শুরু করলাম...... হাসপাতালে বসে আছি খুব টেনসেন হচ্ছে জানিনা মহিলার পরিবারের লোকজন নিশ্চয় টেনসেন করতেছে আর ওনার এখনো জ্ঞান ও ফিরে নি......
মেয়েটা:I am so sorry সকালে আপনার সাথে এমন ব্যাবহার করার জন্য আর আপনি আমার জন্য যা করলেন তার জন্য ধন্যবাদ দিয়ে আপনাকে ছোট করবো না.....জানেন এই দুনিয়াতে মা ছাড়া আমার আর কেউ ......
মেয়েটার কথা শুনে কেমন যেনো খারাপ লাগলো....
এর পর মেয়েটা........ আমি ফারহা সুলতানা জেরিন....আপনার ক্লাসমেট...... আমি আমার পরিচয় দিলাম...পরিচয় পর্ব শেষ হলো.......
রুমে এসে জেরীনের আম্মুর সাথে কথা বললাম....
আমি:আন্টি আমি একটু বাসায় যাবো আর রাতে খুব তারাতারি আসবো ......
আন্টি: তুমি কোথায় থাকো বাবা ....?
আমি:একটা বাসা ভাড়ায় থাকতাম....কিন্তু বাসাটা ছেড়ে দিতে হচ্ছে ...জানিনা এখন এই ইট পাথরের শহরে কোথায় বাসা খুঁজে পাবো.......
আন্টি:যদি তুমি কিছু মনে না করো আমাদের বাসায় থাকতে পারো আমাদের বাসায় আমি আর জেরীন ছাড়া তো কেউ নেই আর নিচের তলা একদম খালি.......
জেরীন:হুম ....মা ঠিকই বলেছে আপনি আমাদের বাসায় উঠুন ..... এই অসময়ে বাসা খুঁজে পাবেন না .......
আমি আর না করলাম না থাকার জন্য একটা জায়গা আমার খুব প্রয়োজন তাই থাকতেই হলো.........
পরদিন বিকালে আন্টিকে নিয়ে তাদের বাসায় আসলাম .....আন্টি এখনো একটু অসুস্থ.....এই কয়দিনে অনেক মায়ায় জড়িয়ে ফেলেছি নিজেকে ......আন্টির আদর ভালোবাসা মনে হয় আমার নিজের মা আমায় আদর করতেছে.......
বিকাল বেলা বাসার ছাঁদে আসলাম বসে আছি একা যাক ভালো হলো বাসা + পরিবার দুটোই ফেলাম মন্দ না .....এমন সময় জেরীন বাসার ছাঁদে আসলো....
জেরীন:কি করতেছেন একা একা .....???
আমি:এই তো প্রকৃতির মনোরম পরিবেশে নিজেকে হারিয়ে দিয়েছি......
জেরীন:আপনি তো কবির মতো কথা বলেন.....আচ্ছা এবার বলুন সিগারেট খান কেনো .......... আমি:এমনি খাই .........
জেরীন:মিথ্যা বলতেছেন....... আপনি কিছু লুকাচ্ছেন ......
আমি:কি লুকাবো কিছু না ......এমনি খাই........
জেরীন:ওকে .......এখন না হয় নাই বা বললেন তবে সময় হলে ঠিক জেনে নেবো.........আর তখন যদি না বলেন তো একদম গুম কইরা দিমু.........
চলবে ..........
পরবর্তী পর্ব আসতেছে..........
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com