সন্দেহ টু ব্রেকআপ | লেখক: আকাশ আহম্মেদ | শেষ পর্ব

একদম গায়ে পড়া মেয়ে ....
যাক এসব চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিয়ে বাসায় আসলাম ......
বাসায় বসে আছি আর ভাবতেছি পাগলিটাকে অনেক ভালোবাসি কিন্তুু ও শুধু আমাকে সন্দেহ করে গেলো....
সত্যি কি ও আমাকে ভালোবাসে......
জানিনা এর উওর এখনো আমার অজানা......
এভাবে কিছু দিন খুব ভালো চলছিলো .....
আবার একই সমস্যা সন্দেহ.......
সকাল সকাল সিমরানের ফোন....
আমি: হুম বলো এতো সকালে কেনো কল দিসো.....
সিমরান:ও এখন আসি কই দিলে ও তোমার ভালো লাগে না তাই না.......
আচ্ছা আর কখনো দেবো না তারাতারি আমার সাথে দেখা করো.......
জানিনা কি হইছে সকাল সকাল এমন শুরু করলো........
রেড়ি হয়ে সিমরানের সাথে দেখা করতে আসলাম.......
আমি:পেছন ওর চোখ গুলো ধরলাম.....সিমরান সামনে ঘুরে ওর চোখ থেকে আমার হাত সরিয়ে...ঠাসসসসস.....
 আমি হতভাক জানিনা এমন কেনো করলো......
আমি:কি হইছে বাবুনি........
সিমরান রেগে গিয়ে ....
সিমরান:ওর ফোনটা বের করে.....
দেখ এসব কিইইই তোর মতো চরিএহীন লোক আমি আগে দেখিনি নষ্ট রাস্তার পোলা ......
আজ থেকে আমার সাথে কখনো যোগাযোগ করবি না .......
এসব বলে রেগে চলে গেলো .....
আমি অভাক হয়ে দাড়িয়ে আছি কিছু বুঝতে পারছি না.....
আরে ফারহা যখন আমার ফেন্ড ছিলো দুষ্টুমি করে কয়টা পিক তুলসে আর ওতো এগুলা নিয়া গবেষনা করে ফেললো.....
হায়রে কপাল......
নিজেরে কি কমু নিজেই জানি না যারে নিজের থেকে বেশি ভালোবাসি সে আমারে ভুল বুঝলো......
না থাক এসব চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিলাম আর বাসায় এসে ফোনটা বন্ধ করে শুয়ে পড়লাম.......
মনটা খুব খারাপ কিছু ভালো লাগতেছে না.....
তিন দিন পর ফোনটা অন করলাম একটু পর ফারহা কল দিসে......
ফারহা:আমাকে ক্ষমা করে দিস আকাশ ......
আজ দুই দিন তোকে কল দিতেসি তোর ফোন বন্ধ ....
আমি বুঝতে পেরেছিলাম কেনো এমন করছিস ...
আমি সিমরান কে ঐ পটো গুলো দিয়েছি.....
তোকে খুব ভালোবাসি তোর বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়ে তোকে পাবার আশা করেছিলাম কিন্তু আমি জানি তুই কখনো আমাকে ভালোবাসবি না ......
please আমাকে ক্ষম করে দে‌.......
কিছু না বলে কলটা কেটে দিলাম.....
আর ভাবতেছি.....
মানলাম ফারহা বলায় সিমরান এমন করেছে কিন্তু আমি সিমরান কে কতটা ভালোবাসি সে নিজে ও জানে .....
তাহলে আমার ভালোবাসার প্রতি তার কোন বিশ্বাস নেই কেনো......
এ কেমন ভালোবাসা যেখানে বিশ্বাস নেই আছে শুধু সন্দেহ.....

বুকের ভেতর অজানা কষ্ট......
বিকাল বেলা বাসার ছাঁদে বসে আছি.....
এমন সময় কেউ একজন এসে পেছন থেকে আমাকে জড়িয়ে ধরলো আমি অভাক হয়ে ঘুরে তাকাই ......
দেখি সিমরান.....কান্না করতেছে......সিমরান:I am sorry....Akash..... আমি শুধু তোমাকে ভুল বুঝি....
আর কখনো এমন করবো না আর কখনো তোমাকে সন্দেহ করবো না ফারহা আমাকে ফোন করে সব বলেছে......
আমি:সরি সিমরান তা আর হয় না আমি তোমাকে আর ভালোবাসি না তুমি তোমার মতো ভালো থেকো...
পাগলিটা ফুঁপিয়ে কান্না শুরু করলো......
please আকাশ শেষ বারের মতো আমাকে ক্ষমা করে দাও না এই বলে আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছে.....
আমি সিমরান কে আমার থেকে ছাড়িয়ে নিলাম......
আমি:আমি পারবো না .....
তুমি আসো.......
সিমরান চলে যাচ্ছিলো‌.....
একটু দুর যাবার পর.....
আমি:দুহাত সামনে বাড়িয়ে দিয়ে......
সিমরান.....
পাগলিটা দৌড়ে এসে আমার বুকে পড়লো আর শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কান্না করতেছে.......
আমি:এই পাগলি কান্না করতেছো কেনো.......
সিমরান:তোমাকে খুব ভালোবাসি তাই জানিনা বুকের ভেতর কেমন জানি কষ্ট হচ্ছে তোমাকে হারালে আমি মরে ই যাবো....
আমি:সিমরান কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে .....
হারাবো না কখনো সারাজীবন এভাবেই তোমাকে জড়িয়ে ধরে রাখবো.......
দশ মিনিট পর আমার নাম্বার একটা অপরিচিত মেয়ের কল আসলো.....
আমি ফোনটা ধরেছি.....মেয়েটা কল দিয়ে লাভ ইউ গুলুগুলু সব বলে ফেলেছে .....
আমি কিছু বলার আগে কেটে গেলো.....

সিমরান সব শুনেছে আমার দিকে রাগি লুক নিয়ে ....
সিমরান:কে ও তোমাকে এসব বলতেছে কেনো........
আমি:আমি সত্যি জানি না বিশ্বাস করো.....
সিমরান:মিথ্যা কথা বলবা না তোমার সাথে ব্রেকআপ.......
ফোনটা আবার বেজে উঠলো......
অপরিচিতা:সরি ভাইয়া আমি আমার বফ কে কল দিতে গিয়ে ভুলে আপনাকে দিয়ে দিয়েছি ‌‌.....
এই কথা শুনে সিমরান অসহায়ের মতো আমার দিকে তাকিয়ে আছে ......
সিমরান:মুখ ভেংচি দিয়ে সরি.....
আমি:কিসের সরি কোন সরি নাই তোমার সাথে ব্রেকআপ......
হি হি হি হি হি হি.....
এভাবেই চলতেছে আমাদের দুষ্ট মিষ্টি ভালোবাসা..........
.
.
                                                            .....................সমাপ্ত....................