ভালোবাসার অধিকার | লেখক: আকাশ আহম্মেদ | প্রথম পর্ব
ঈদের আর মাএ তিন দিন বাকি .....ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসলাম........বাসায় এসেই জামেলার মধ্যে পড়ে গেলাম...বাসায় আসার পর বাবা বললো একটা মেয়েকে তারা পছন্দ করে রেখেছে খুব ভালো মেয়ে আর আমাকে নাকি তাকেই বিয়ে করতে হবে....এই কথা শুনে আমার মাথায় মনে হয় বজ্যপাত পরলো কেনো না আমি তানহা কে ভালোবাসি...জানিনা কি করবো আমি তানহা কে খুব বেশি ভালোবাসি আর পাগলিটা আমাকে খুব ভালোবাসে.....বাবা মা আগে থেকেই আমাকে কিছু না জানিয়ে গ্রামের একটা মেয়ের সাথে আমার বিয়ে ঠিক করে রেখে আর বলে কিনা ঈদের দুদিন পর আমাদের বিয়ে......... আমি কি করবো বুঝতে পারছি না........বাসা থেকে বের হলাম......দোকান থেকে এক প্যাকেট সিগারেট নিয়ে নদীর তীরে বসে আছি...........তখনই তানহার ফোন........তানহা:কি হলো বাবু সকাল হতে একবার ও কল দাও নি রাতে কল দিলাম ধরলে না ....... আমি:না এমনি ........তানহা:কান্না জড়িত কন্ঠে....আমার সাথে এমন কেনো করতেছো তুমি তো এমন ছিলে না তবে এমন কেনো হয়ে গেলে ......... তুমি জানোনা আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি আর তুমি আমার সাথে ঠিক করে কথা ও বলতেছো না ......... আমি :জান তেমন কিছু না.... তুমি চিন্তা করো না আমি খুব তারাতারি ফিরে আসবো........কি করবো বুঝতে পারছি না মাথা কাজ করতেছে না.............এই ভেবে একটা সিগারেট ধরালাম......এবার পরিচয়টা দিই ...... আমি আকাশ আহম্মেদ.....আর যে
একটু আগে কল করলো সে আমার গার্লফেন্ড তানহা........ পড়ালেখা শেষ করে একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে জব করতেছি.......ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসলাম........এসেই যা শুনলাম তার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না.........বাবা মা গ্রামের একটা মেয়ের সাথে আমার বিয়ে ঠিক করে রেখেছে.................এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে সিগারেট শেষ হয়েছে টেরই পাই নি সিগারেটের আগুন হাতে লাগায় ঘোর কাটলো............বাসা ফিরলাম..রুমে শুয়েু আছি ........এমন সময় আম্মু আসলো.........বললো আজ নাকি আমার জন্য মেয়ে দেখতে যাবে...... আমি:না মা আমি যাবো না তোমরা তো সব ঠিকই করে রেখেছি আর আমি মেয়ে দেখে কি করবো.........মা আর কিছু না বলে চলে গেলো.........মনটা খুব খারাপ অনিশ্চয়তার মধ্যে আমার জীবন .......কি করবো আমি কি করা উচিত যাকে ভালোবাসি তাকে ঠকাতে পারবো না কিন্তু বাবা মায়ের পছন্দ করা মেয়েকে বিয়ে না করলে আমাকে কখনো সন্তান বলে স্বীকার করবে না ...........অসহায় আমি.......তানহার ফোন বেজেই চলেছে কিন্তু কল ধরার সাহস পাচ্ছি না ......অনেক গুলা sms ও কিন্তু কি করবো বুঝতে পারছি না.........জীবন এমন কেনো আর বাবা মা .......হায়রে দুনিয়া আমাদের কি চাওয়া পাওয়ার কোন মূল্য নেই ......আমাদের কি ভালোবাসার অধিকার নেই........আমরা স্বাধীন দেশের পরাধীন জাতি করবো না আমাদের ইচ্ছের কোন মূল্য নেই বাবা মায়ের ইচ্ছের কাছে নিজের ইচ্ছথেকে কুরবানী করতে হয়........... ছোট বেলা থেকে কি পরবো কি খাবো কি নিতে পড়ালেখা করবো সব কিছু বাবা মায়ের পছন্দের হতে হবে .....যার সাথে সারাজীবন থাকবো তাকে ও বাবা মায়ের পছন্দের হতে হবে আমার চাওয়া পাওয়া ভালোবাসার কি কোন মূল্য নেই.......এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলাম সকালে ঘুম থেকে উঠে বাসার বাহিরে একটু বের হলাম ঈদের কেনাকাটা করতে.....এমন সময় তানহা ফোন দিয়েছে ...দুই বার বাজার পর কলটা ধরলাম......তানহা:আকাশ কি হইছে তোমার আমার সাথে এমন কেনো করতেছো তুমি কি আমাকে ইগনোর করতেছো নাকি......আমার থেকে সুন্দরী কাউকে পেয়ে গেছো নিশ্চয়.......আচ্ছা রাখি ভালো থেকো...... কিছুই বলতে পারি নি পাগলিটা আমার অনেক অভিমান করেছে........কিন্তু আমার তো হাত পা বাধা......আজ ঈদের দিন চারদিকে হইচই......আনন্দ .......আর আমি রুমের দরজা বন্ধ করে শুয়ে আছি....দেখতে দেখতে বিয়ের দিন খুব কাছে চলে আমি এখনো তানহা কে কিছুই বলতে পারি নি শেষ পর্যন্ত বাবার চাপে আর মায়ের ভালোবাসার কাছে নিজের ভালোবাসা কে কুরবানী দিয়ে ফারহাকে বিয়ে করলাম........বলাই হয় নি আমার বউয়ের নাম হল ফারহা.........বাসায় অনেক মেহমানের হইছই কিছু ভালো লাগতেছে না ....রুম থেকে সিগারেট এর প্যাকেটটা বের করে বাসার ছাঁদে আসলাম....... ছাঁদে বসে বসে সিগারেট খাাচ্ছি আর play music থাকা গান গুলো শুনতেছি...........এখন রাত প্রায় একটা আর পকেটে থাকা সিগারেটের প্যাকেট টা ও শেষ আর play music এ থাকা সব গান ও শেষ......রুমে যেতে ইচ্ছে করতেছে না তবু অনিচ্ছা স্বওে ও রুমে গেলাম.........রুমে গিয়ে দেখি ফারহা ঘুমিয়ে গেছে......হয়তো সারাদিনের ধকলের পর ক্লান্ত হয়ে গেছে ঘুমাক আমারই ভালো হলো ও আমার থেকে যত দূরে থাকবে আমার ততই ভালো........সকাল বেলা..........
.
.
চলবে......
.
. পরবর্তী পর্ব আসতেছে........
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com