প্রত্নী বউয়ের কিউট বর|প্রথম পর্ব
এই উঠো উঠো না আর কত ঘুমাবা দশটা বাজে….রাতে কি বলছো তুমি আজকে শুক্রবার আর আমাকে নিয়ে ঘুরতে বের হবা…….আর এখন কয়টা বাজে….. please উঠোনা বাবু…….. আরেকটু ঘুমাতে দাও না সোনা…….না না অনেক হয়েছে আর না আর ঘুমাতে দেবো না …… তুমি আজকে আমাকে নিয়ে ঘুরতে বের হবা না হলে দুই দিন আমার সাথে কথা বলা বন্ধ.…….আমি:কিহ…….না না সোনা এইতো আমি উঠে পড়েছি…….. ফারহা:হুম এবার লক্ষী সোনা যাও ফ্রেস হয়ে আসো আমি টেবিলে খাবার দিতেছি……..আমি:ফারহার দিকে তাকিয়ে হা করে আছি এই মেয়েটা ও না কালকে রাতে বলেছিলাম আজকে ঘুরতে নিয়ে যাবো আর ও সকাল হতেই সেজে গুজে বসে আছে……..আর আমি পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছি বউকে আমার সেই পরী লাগতেছে আগে জানলে রাতে ঘুমাতামই না ……..ফারহা:কি ভাবছো …..আর হা করে তাকিয়ে কি দেখছো…… আমি:তোমাকে দেখছি ….. ফারহা:কেনো আগে কখনো দেখোনি বুঝি ……..আমি:হুম সবসময় তো দেখী কিন্তু আজকে তোমাকে খুব সুন্দর লাগতেছে……… ফারহা:তাই বুঝি আগে কখনো সুন্দর লাগে নি আমাকে ……আমি:না না তা না আজকে তোমাকে পরীর মতো লাগতেছে…..সত্যি অসাধারন সুন্দর লাগতেছে চোখ সরাতে পারতেছি না……. ফারহা:হয়েছে হয়েছে…..আর বলতে হবে না এবার ফ্রেস হয়ে আসো আমি গেলাম………এবার পরিচয়টা দেওয়া যাক …….আমি আকাশ …. পড়ালেখা শেষ করে একটা ব্যাংকে জব করি……আর এতক্ষন যার সাথে কথা হলো সে আমার প্রত্নী বউ ফারহা…….সম্পর্কটা 1বছরের বিয়ে টা বাবা মায়ের পছন্দেই করেছিলাম…….বিয়ের আগে কারো সাথে রিলেশানে জড়াইনি তাই বাবা মায়ের পছন্দ করা মেয়েকেই বিয়ে করলাম………যদি ও প্রেম করে বিয়ে করি নি তবুও বিয়ের পরে দুষ্টুমি খুনসুটি রাগ অভিমান ভালোবাসায় খুব ভালোই চলতেছে আমাদের সংসার………..কালকে রাতে পাগলিটা বায়না ধরেছে তাকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যেতে আসলে সপ্তাহে মাএ একদিনই ছুটি পাই খুব ইচ্ছে করে পাগলিটা কে নিয়ে কোথায় ঘুরতে যেতে কিন্তু কাজের চাপ আর সময়ের অভাবে তা হয়তো পারি না আর আমার পাগলিটা এই বিষয়টা বুঝতে পারে তাই কখনো রাগ করে না……… ফারহা:এই হয়েছে তোমার ……পাগলিটা ডাকতেছে বাকিটা পরে বলবো ……. আমি:এইতো সোনা হয়ে গেছে…. ফারহা:বসো আমি খাবার বেড়ে দিচ্ছি …… আমি:এই একদম না খাবার বাড়বা না……. ফারহা:কেনো!!??? আমি:তোমার প্লেটে খাবার বাড়ো একসাথে খাবো আর হুম আমাকে খাইয়ে দিতে হবে না হলে আমি খাবো না ……… ফারহা:কিহ….এই সাজ সকালে বায়না ধরো কেনো….. আমি:এতো কিছু জানি না খাইয়ে দিবা………. ফারহা:আমি পারবো না …….. আমি:আচ্ছা আমি ও খাবো না এই কথা বলে উঠে যাবো তখনই …… ফারহা:এই রাগ করসো…..কই যাও বসো আমি খাইয়ে দিচ্ছি……… আমি:মুখে হাসি নিয়ে দুই হাত দিয়ে ফারহার গাল টেনে বললাম লক্ষী সোনা……. ফারহা:হইছে এবার নাও খাও …….খাওয়া শেষে পাগলিটা কে নিয়ে ঘুরতে বের হল……..বাসা থেকে বের হলে একটা রিকসা নিলাম আমাদের বাসা থেকে একটু দূরে একটা পার্ক আছে সেখান যাবো ……রিকসায় বসে আছি পাগলিটা আমার কাঁধে মাথা রেখে বসে আছে আমার খুব ভালোই লাগতেছে…..ওর খোলা চুল গুলো বার বার বাতাসে বেসে আসতেছে আর আমার মুখে পড়তেছে…সেই রকম এক অনুভূতি হচ্ছে …….. আমি একহাত দিয়ে পাগলিটা কে জড়িয়ে ধরলাম………….পাগলিটা আমার দিকে তাকিয়ে আছে………… আমি:এখানে দারাও মামা………..রিকসা থেকে নেমে পার্কের ভেতর গেলাম পাগলিটার হাত ধরে হাঁটতেছি………. ফারহা:এই জান আমি পুসকা খাবো……. আমি:এসব খেও না পেট খারাপ করবে……. ফারহা:না আমি খাবোই……….
আমি:আচ্ছা চলো…….. পাগলিটা পুসকা খাচ্ছে আর আমি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতেছি………….পুসকা খাওয়া শেষে দুজনে খোলা মাঠের এক কোনে বসে গল্প করতেছি……অনেক ঘুরলাম পাগলিটাকে নিয়ে দুপুর গ নিয়ে এলো বাসায় ফিরে পাগলিটা রান্নার কাজে লেগে গেলো আর আমি একটু একটু help করতেছি………..এখন পাগলিটার চোখ দিয়ে কত জল পড়তেছে আহারে বেচারী মনে হয় কেউ ছ্যাকা দিসে …….. পাগলিটা পেয়াজ কাটতেছে আর দুচোখে অশ্রুর বন্যা বইতেছে…….আমি পকেট থেকে টিস্যু বের করে পাগলিটার চোখের জল মুছে দিচ্ছি……..রান্না
শেষে দুজনে খেতে বসলাম……… ফারহা:এই শুনো তারাতারি খাওয়া শেষ করো একটা সাপ্রাইজ আছে……… আমি:বলো না কি ….. ফারহা:না আগে খাওয়া শেষ করো তারপর বলবো …………খাওয়া শেষে রুমে গেলাম একটু পর পাগলিটা আসলো……….আমি বউকে জড়িয়ে ধরে বললাম কি সাপ্রাইজ সোনা বলো না…..বউ আমাকে ছাড়িয়ে নিয়ে লজ্জা পেয়ে বললো আমি মা হতে চলেছি …………. আমি তো খুশি তে আত্মহারা………বউকে কোলে নিয়ে একটা পাপ্পি দিলাম বউ লজ্জা পেয়ে আমার বুকে মুক লুকিয়ে ফেললো………আমি কোলে থেকে নামিয়ে ফারহাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম আর বললাম আজ থেকে নিজের কেয়ার করবা ঠিক মতো …… ফারহা:আমি পারবো না তুমি তো আছো আমার কেয়ার করার জন্য …… আমি: হুম খুব ভালোবাসি তোমাকে……… ফারহা:আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি…… ফারহা: তুমি একটা পাগল…. আমি: হুম পাগলি শুধু তোমার পাগল……..রাতে আম্মুকে ফোন করে খুশির খবরটা বললাম আর মা আসার জন্য খুব জোর করতেছে…..বলাই হয়নি আমি চাকরি সুএে ঢাকাতে থাকি আর বাবা মা গ্রামে থাকে বিয়ের পরে বাবা মা আমার সাথে ফারহাকে ঢাকাতে পাঠিয়ে দিয়েছে…………মা:দেখ বাবা এই সময়ে ফারহার পাশে কেউ একজনকে প্রয়োজন আর তুই তো সারাদিন
অফিসে থাকবি বাসায় মেয়েটা একা থাকতে পারবে না …….. আমি কালকে বিকালে আসবো……. আমি: ঠিক আছে মা ……ফারহাকে খবরটা দিতে হবে ও খুব খুশি হবে কারন বাসায় একা একা ওর ভালো লাগে না আর ও মাকে খুব ভালোবাসি……… আমি:এই পাগলি শুনো একটা খুশির খবর আছে……. ফারহা: কি এমন খুশির খবর জানু………… আমি: কালকে আম্মু আসতেছে…..ফারহা তো খুশিতে আহত্মহারা……….আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো থাংকু পাগল এতো দিনে একটা ভালো কাজ করেছো তুমি জানো একা একা আমার ভাষায় একদম ভালো লাগে না….
.
…..
চলবে….
আমি:আচ্ছা চলো…….. পাগলিটা পুসকা খাচ্ছে আর আমি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতেছি………….পুসকা খাওয়া শেষে দুজনে খোলা মাঠের এক কোনে বসে গল্প করতেছি……অনেক ঘুরলাম পাগলিটাকে নিয়ে দুপুর গ নিয়ে এলো বাসায় ফিরে পাগলিটা রান্নার কাজে লেগে গেলো আর আমি একটু একটু help করতেছি………..এখন পাগলিটার চোখ দিয়ে কত জল পড়তেছে আহারে বেচারী মনে হয় কেউ ছ্যাকা দিসে …….. পাগলিটা পেয়াজ কাটতেছে আর দুচোখে অশ্রুর বন্যা বইতেছে…….আমি পকেট থেকে টিস্যু বের করে পাগলিটার চোখের জল মুছে দিচ্ছি……..রান্না
শেষে দুজনে খেতে বসলাম……… ফারহা:এই শুনো তারাতারি খাওয়া শেষ করো একটা সাপ্রাইজ আছে……… আমি:বলো না কি ….. ফারহা:না আগে খাওয়া শেষ করো তারপর বলবো …………খাওয়া শেষে রুমে গেলাম একটু পর পাগলিটা আসলো……….আমি বউকে জড়িয়ে ধরে বললাম কি সাপ্রাইজ সোনা বলো না…..বউ আমাকে ছাড়িয়ে নিয়ে লজ্জা পেয়ে বললো আমি মা হতে চলেছি …………. আমি তো খুশি তে আত্মহারা………বউকে কোলে নিয়ে একটা পাপ্পি দিলাম বউ লজ্জা পেয়ে আমার বুকে মুক লুকিয়ে ফেললো………আমি কোলে থেকে নামিয়ে ফারহাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম আর বললাম আজ থেকে নিজের কেয়ার করবা ঠিক মতো …… ফারহা:আমি পারবো না তুমি তো আছো আমার কেয়ার করার জন্য …… আমি: হুম খুব ভালোবাসি তোমাকে……… ফারহা:আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি…… ফারহা: তুমি একটা পাগল…. আমি: হুম পাগলি শুধু তোমার পাগল……..রাতে আম্মুকে ফোন করে খুশির খবরটা বললাম আর মা আসার জন্য খুব জোর করতেছে…..বলাই হয়নি আমি চাকরি সুএে ঢাকাতে থাকি আর বাবা মা গ্রামে থাকে বিয়ের পরে বাবা মা আমার সাথে ফারহাকে ঢাকাতে পাঠিয়ে দিয়েছে…………মা:দেখ বাবা এই সময়ে ফারহার পাশে কেউ একজনকে প্রয়োজন আর তুই তো সারাদিন
অফিসে থাকবি বাসায় মেয়েটা একা থাকতে পারবে না …….. আমি কালকে বিকালে আসবো……. আমি: ঠিক আছে মা ……ফারহাকে খবরটা দিতে হবে ও খুব খুশি হবে কারন বাসায় একা একা ওর ভালো লাগে না আর ও মাকে খুব ভালোবাসি……… আমি:এই পাগলি শুনো একটা খুশির খবর আছে……. ফারহা: কি এমন খুশির খবর জানু………… আমি: কালকে আম্মু আসতেছে…..ফারহা তো খুশিতে আহত্মহারা……….আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো থাংকু পাগল এতো দিনে একটা ভালো কাজ করেছো তুমি জানো একা একা আমার ভাষায় একদম ভালো লাগে না….
.
…..
চলবে….
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com