বস যখন বর |পর্ব -০৪
রোদ- আমাকে Challenge করার আগে ভাবা উচিত ছিলো My Dear Wife?
ইতি- আসলে একটা খাটাশ মনে মনে বললাম।
মা- কিরে মা কে এসেছে???
রোদ- আসসালামু আলাইইকুম ওকে ধাক্কা দিয়ে ভিতে চলে গেলাম। শশুড় শাশুড়িকে সালাম করলাম।
বাবা- বাবা তুমি এতো রাতে কোন সমস্যা হয়নি তো???
রোদ- না বাবা আসলে ইতি বারবার ফোন দিচ্ছিলো ওর নাকি ভালো লাগছে না তাই আর কি…….. বলেই ওকে একটা চোখ মারলাম?
ইতি- ?? ছিঃ কি বড় মিথ্যে বাদী নিজে বাঁচার জন্য আমাকে ফাসাচ্ছে। ছিঃ আমি বাবা মাকে মুখ দেখাবো কিভাবে লজ্জায় আমার মাথা কাটা যাচ্ছে। মনে মনে বলছি আর বড় বড় চোখ করে ওনার দিকে তাকিয়ে আছি।
মা- কিরে তুই কি ভাবছি দাড়িয়ে দাড়িয়ে। যা জামাই বাবা কে ঘরে নিয়ে যা ফ্রেস হতে দে আমি খাবার রেডি করে তোদের ডাকছি।
ইতি- কিন্তু ওনি তো আমাকে নিতে এসেছে।
মা- একি কথা না বাবা আজ কিন্তু তোমাদের ছাড়ছি না।
বাবা- হ্যা আমিও একমত। এতো রাতে আর যেতে দিচ্ছি না।
রোদ- আপনারা যা বলেন তাই…… বলেই আবার ওকে চোখ মারলাম। বাবা আমি ফ্রেস হয়ে এসে আপনার সাথে কথা বলছি।
ইতি- ইচ্ছা না থাকা সত্তেও ওনাকে রুমে নিয়ে গেলাম।
রোদ- রুমে ডুকতেই ও আগে যাচ্ছিলো আমি পিছন থেকে ওকে টান দিয়ে আমার কাছে নিয়ে এলাম একেবারে।
ইতি- ?? একি???? ওনি হঠ্যাৎ আমাকে জরিয়ে ধরাতে আমার আত্মা পর্যন্ত কেপে উঠে।
রোদ- ওর কানের কাছে মুখ নিলাম। ওর নিঃস্বাশ ভারী হয়ে আসছে।
ইতি- চোখ খিচে দাড়িয়ে রইলাম। আমি মনে হচ্ছে ঠান্ডায় শক্ত হয়ে যাচ্ছি।
রোদ- আর করবে আমায় Challenge???
ইতি- আমার ঘাট হয়েছে। ছাড়ুন আমায়। ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বেরিয়ে এলাম। ওনি মানুষ না পাগল উফফ আমার সহ্যের সীমা পেরিয়ে যাচ্ছে।আর নিতে পারছি না ওনাকে। ওকে ফাইন আমাকে হারানো এবার মজা দেখাবো। আসুন আগে।
রোদ- অনেক্ষণ বসে শশুড় আর শালার সাথে আড্ডা দিলাম। শাশুড়ি খাওয়ার জন্য ডাকলে অনেক ক্ষদা লেগেছে কিছু খাওয়া হয় নি তাই এক ডাকেই উঠে গেলাম।
ইতি- আমার পাশেই এসে বসে পরলো। উফফ অসহ্য…. আমাকে জ্বালানো মজা দেখাচ্ছি। খাও আগে।
রোদ- খাবার মুখে দিতেই চোখ বড় হয়ে গেলো। আর চিবাতে পাছি না এতো ঝাল।
মা- কি হলো বাবা খাবার মজা হয়নি??? খাচ্ছো না যে?
রোদ- না মা খাচ্ছি। অনেক মজা হয়েছে। আড় চোখে ওর দিকে তাকালাম ও মিটমিট করে হাসছে আর বুঝতে বাকি রইল না কাজটা ওর করা। মেয়েটা এমন কেনো। রাগ উঠে গেলো।
ইতি- হিহিহি… খাও বাচ্চু। আমাকে জ্বালানো মজা বুঝ এখন। ওনার চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে কিন্তু ওনা খেয়েই যাচ্ছে থামছে না।
রোদ- খাওয়া সম্পূর্ণ শেষ করে উঠে রুমে চলে এলাম। ওহ মাগো কি ঝাল। মরে গেলামরে। কারো রুমে ডোকার শব্দ পেলাম। পিছনে ঘুড়েই দেখি ইতি ওর কাছে গিয়ে ওকে দরজার সাথে শক্ত করে চেপে ধরলাম। ওর ঠোঁট দুটো আমার ঠোঁট দুটো দিয়ে আকড়ে ধরলাম।
ইতি- হাত থেকে পায়েসের বাটিটা পরে গেলো। ওনার জন্য পায়েস নিয়ে এসেছিলাম ওনার ঝাল কমাতে কিন্তু আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই ওনি আমার ঠোঁট দুটো আকড়ে ধরল। অনেক চেষ্টা করছি নড়তে কিন্তু পারছি না, মুখ দিয়ে কেবল ঙ্গোগানির শব্দ বের হচ্ছে তাও ওনার মুখেই সীমাবদ্ধ।
রোদ- ঝাল না কমা পর্যন্ত ওর ঠোঁট দুটো ছাড়লাম না। অনেক্ষণ পর ছাড়লাম। ওর চোখ বেয়ে পানি চলে এলো।
ইতি- নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে ওনাকে ধাক্কা দিলাম। আপনি কি মানুষ না পশু??। বাথরুমে চলে এলাম। অনেক্ষন কান্না করলাম বসে বসে।
রোদ- এই দরজা খুলো। আমার কথা শুনো ইতি
ইতি- ওনি ডাকলেন তাও দরজা খুললাম না। কিন্তু অনেক্ষন হলো ওনার কোন সাড়া শব্দ পাচ্ছি না। বাথরুম থেকে বের হতে আমার চোখ চড়াগ গাছ। Sirrrrrrrrrrrrrrrrrr বলেই চিৎকার দিলাম। ওনি মাটিতে পরে আছেন। আমার চিৎকার শুনে বাবা, মা, ইমন চলে এলো। ওনার চেহারা লাল হয়ে গেছে।
বাবা- আমি যাই ডাক্তারের ব্যবস্থা করি।
ইতি- বাবা দাড়াও ওনার নিজেস্ব ডাক্তার আছে। ড্রাইভারকে ফোন দিয়ে বললাম। গিয়ে ডাক্তারকে নিয়ে এলো।
ডাক্তার চেকআপ করলেন-
DOC- ভয় পাওয়া লাগবে না আমি এনটি ডট দিয়ে দিয়েছি। ঘুমাক ঠিক হয়ে যাবে।
বাবা- কিন্তু হঠ্যা করে এমন হলো কেনো???
DOC- ঝালের এলার্জি।
বাবা- মানে।
DOC- জি, রোদ এর ছোট বেলা থেকেই ঝালে এলার্জি। ঝাল সে একদম সহ্য করতে পারে না। প্রথমে লাল হয়ে ফুলে যায় এর মধ্যে ঝাল না কমলে জ্ঞান জারিয়ে ফেলে। আজও তাই হয়েছে। ভয় পেয়েন না একটু পরেই ঠিক হয়ে যাবে।
ইতি- ডাক্তার চলে যাবার পর বাবা মায় আমায় অনেক কথা শুনালেন। মা দেখেছিলো আমায় ঝাল দিতে তখন বাচার জন্য মিথ্যে বলেছিলাম যে ওনার ঝাল অনেক পছন্দ ঝাল না হলে ওনি খায়ই না। কিন্তু এখন আমারও অপরাধবোধ কাজ করছে ওনাকে মজা দেখাতে গিয়ে কি করে বসলাম। যদি ওনার কিছু হয়ে যেতো তখন কি হতো। অনেক্ষণ পর ওনার জ্ঞান ফিরলো।
বাবা- এখন কেমন লাগছে???
রোদ- জি বাবা এখন ঠিক আছি। আপনার চিন্তা করবেন না। আপনারা গিয়ে শুয়ে পরেন।
মা- ওনার দিকে খেয়াল রাখিস।
ইতি- মা আমাকে একটা খিচি দিয়ে চলে গেলেন। হুহ…. ওনার সামনে বলার কি দরকার ছিলো।
রোদ- কি কেমন লাগল??? মিটমিট করে হাসছি
ইতি- হুহ…..মিট মিট করে হাসছে আমার জান বের হয়ে যাচ্ছিলো আর ওনার হাসি পাচ্ছে। হুহ….আপনি আসলেই একটা খাটাশ। বলেই খাটের অন্য পাশে ফিরে শুয়ে পরলাম আর তেমন কোনো কথা হলে না।
সকালে-
রোদ- সকালে চোখ খুলতেই দেখি পাগলীটা লুতুপুতু হয়ে ঘুমাচ্ছে। এলোচুল আর হালকা রোদ মুখের উপরে অপরূপ লাগছে মন চায় এভাবেই আজীবন চেয়ে চেয়ে দেখি। ও কিছুটা নড়ে উঠলো। না ও দেখার আগেই আমার বের হতে হবে আজ যপ মেডামের জন্য Surprise আছে।
বলেই একটা শয়তানি হাসি দিলাম।
চলবে….
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com