গল্পঃ আমি+কোলবালিশ আর বউ
বউঃ এই তোমার সমস্যা কি হু সমস্যা কি???
সাতসকালে কোলবালিশ জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছ কেন উঠ।
চা আনছি খেয়ে নাও।
এই কোলবালিশে কি এর মধ্য কি আছে যেটা আমার মধ্য নাই ছাড় কোলবালিশ।
(গুলু গুলু চোখে আমার দিকে রাগী লুক নিয়ে বলতেছে)
ঐ যে আমার ছোট বেলা থেকে প্রবলেম কোলবালিশ পাই নাই। সবারই কোলবালিশ ছিল তাই
শুধু আমি বেচারার ছিল না কোলবালিশ রোগে ভুগছিলাম আহা সবাই কোলবালিশ জড়াই ধরে ঘুমাইত আমি পারিনি শুধু কি কষ্ট যদি কেউ বুঝত, “তাই ডিসিশন নিছি বিয়ের পর কোলবালিশ নিয়া ঘুমাব।”
এই কথা শুনে বউ আরো রেগে আমার মাথায় চা ঢেলে
দিয়ে চলে গেল। ও আম্মা গো তুমি কই গো আমি গেলাম গো আজ??(আমি)
কি হয়ছে কি হয়ছে বাবা তোর এমন করে চিল্লাস কেন???(আম্মু)
ঐ যে তোমার বউমা রাগ করে আমার উপর চা ঢেলে দিয়ে চলে গেল
সাতসকালে এ কেমন বউ আনলা ঘরে।
অল্পদিনে আমাকে মেরে ফেলবে সিউর(আমি)
আরে ও কিছু না ঠিক হয়ে যাবে বাবা আমি গেলাম যা মুখ ধুয়ে নাস্তা কর(আম্মু)
এ কেমন বিচার!!!
আম্মার আল্লাহ গো আমারে উঠায় নাও তারাতারি(আমি)
পরিচয় টা হয়ে যাক
আমি রোহান আব্বা আম্মার ১মাত্র ছেলে
আব্বা বিদেশে থাকে দেশে আব্বার শেয়ার ব্যবসা আছে
তা দেখাশোনা করি।আর ও হলো আমার বউ
তানজিনা আম্মু জোর কইরা বিয়ে করায় দিছে আমারে।
আমি ১টু কোলবালিশ রোগে ভুগছিলাম
ছোট থেকে আজ বিয়ের ৩মাস হলো শুধু বাসররাত বাদে
আর বউকে কোনোদিন জড়ায় ধরি নাই এই
হলো সমস্যা বউ রাগে গিজগিজ করে
আর রুমের ভিতরে যা যা আছে টিভি রিমোট, চিরুনি, ফুলের টব,
এই সেই সব আমার উপর ছুড়ে মারে যখনি দেখে
আমি কোলবালিশ নিয়ে। যখনি ঘরের যেখানে যাই কোলবালিশ সাথে থাকবে আমার।
এর ভিতরে শশুরের যৌতুক দেয়া কোলবালিশসহ ৩টা ফেটে আগুনে পুড়ে ফেলছিল
তাতেও কাজ না হওয়ায় ডিভোর্স আর বাপের বাড়ির হুমকিও দিল।
এটা শুনে ১টু ভয় ও পেলাম।
এরপর থেকে বউয়ের থেকে লুকিয়ে কোলবালিশ নিতাম।
পরেরদিনের ঘটনা!!!!
বিছানায় কোলবালিশ ছিল না বউ সেটা লুকিয়ে রাখত।
এদিকে আমার কোলবালিশ ছাড়া ঘুম আসছে না।
তাই বউয়ের ঘুম আসা মাএই আমি কোলবালিশ টা খুজে নিয়ে আবারো ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকালে ঘুম ভাঙার আগমূহুর্তে সপ্নে দেখলাম আমি ফায়ার সার্ভিসে আগুন নিভাচ্ছি।
আর শীঘ্রই গরম অনুভব করতে চোখ মেলে তাকিয়ে লাফিয়ে উঠে দেখি আমার পুরা শরীর ভিজা, বউ আমার বালতি হাতে দাড়িয়ে চোখ গুলো লাল একদম।
আমার উপরে হালকা ১বালতি গরম পানি ঢেলে দিছে ঐ যে সপ্নে দেখলাম।
আর শুরু হইল ঘূর্ণিঝড়। ঘরে যা কিছু ছিল চিরুনি, বালতি, জুতা, আয়না, বউয়ের মেকআপ বক্স সহ
রিমোট মোবাইল যা পাইছে আমার উপর ছুড়ে মারছে আর কড়া হুমকি দিয়ে গেছে।
বউঃ এবার যদি আরেকবার দেখি কোলবালিশ হাতে
তাহলে সোজা বাপের বাড়ি চলে যাব আর আসব না।
হারামি কোথাকার।
ও আল্লাহ সাতসকালে একি হইল আজকে বুঝি অফিসে যাওয়া হবে না।
ওমা একি হাত তো নাড়াতে পারছি না উফ কি ব্যাথা
আম্মা গো তুমি কই বাচায় লও আমারে দজ্জাল শেষ করছে মাইরা
এবার সিওর আমি পংগু হাসপাতালে
থাকব এখানে আর যায়গা নাই।(আমি)
সারাদিন ঘরেই কাটাইলাম
সেদিন রাতে বাংলাদেশ ইন্ডিয়া খেলা ছিল।
আমি কিন্তু হেব্বি ক্রিকেট পাগলা।
যথারীতি বউ রান্না করতেছে সেই সুযোগে আবারো
আমি কোলবালিশ নিয়া সোফায় বসে খেলা দেখতেছি।
যখনি মাহমুদুল্লাহ ছক্কা হাকালো পংগু বুমরাহর বলে
তখনি আমি খুশি হয়ে কোলবালিশে কয়েকটা পাপ্পী দিচ্ছি
আর সাথে সাথেই বউ মহোধয়ের আগমন দেখে ফেলছে হায় আল্লাহ আর রেহাই নাই এবার।
তারাতারি সোফার পিছনে লুকিয়ে পড়লাম।
বউ এসেই টিভিটা ফুলের টব দিয়ে ভেংঙে চলে গেল।
আর ধমকের সুরে
বউঃ কাল সকালই আমি বাপের বাড়ি চলে যাচ্ছি তুই থাক তোর কোলবালিশ নিয়ে।
এই বলেই আমাদের রুমের দরজায় তালা লাগিয়ে আমাকে ভিতরে রেখে চলে গেল সকালে তাও আমার আম্মুকে নিয়ে।
সেই থেকে ১ দিন ২দিন ৩দিন গেল বউয়ের খবর নাই আমি অবলার মতো পড়ে আছি রুমে পেট পিট লেগে গেছে ক্ষুধায় গলা দিয়ে আওয়াজ আসছে না।
এখনো আছি আল্লাহু জানে কবে আসবে রে বউ
ঐ যে অল্পদিনে মারার প্ল্যান।
তারপর সেন্সলেস আমি।
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com