রাগি মেয়ে | লেখক আকাশ আহম্মেদ | দ্বিতীয় পর্ব

আমি:এহহহহহ গুম কইরা দিমু বললেই হলো.....
জেরীন:সময় হলে দেখা যাবে... হুহ..গেলাম!!!
চলে গেলো আল্লায় কেনো যে মাইয়াটারে আমার মাথার উপর ফেলসে .....প্রথম দেখায় থাপ্পার খাইছি.....রাগি টমেটো পুরা ...তবে দেখতে কিন্তু সেই
মন চায় সস বানাইয়া খাইয়া পালাই.....কি সুন্দর নাক মন চায় টেনে বোতা করে দিই.....কি সুন্দর হরিণি চোখ.....আহারে .....আর ঠোঁট.....ইসসসস....পুরাই রসগোল্লা.....আহা কি মজা .....আউ.... দুর কি করতাছি এটা তো আমার হাত ওর ঠোঁটে না.....
যাক বাসা এসে ঘুমিয়ে গেলাম .....পরদিন সকাল সকাল ডাইনি টা আমার রুমে আসলো.....মানে জেরিন.....
জেরিন:অই অই উঠুন দশটা বাজে কলেজে যা....
আমি:আজ না ভালো লাগতেছে না একটু ঘুমাতে দেন.....
জেরিন:আপনার ঘুমের গুষ্টি কিলাই উঠেন .....
এক বালতি পানি এনে আমার মুখে মারলো.......দেত সকাল সকাল ঘুমটা হারাম করেই ছাড়লো ভালো লাগে না .....এক বালতি বিরক্তি নিয়ে ঘুম থেকে উঠলাম.......ফ্রেস হয়ে এসে দেখি আমার টেবিলের উপর কিছু রাখা আছে ঢাকনা দিয়ে ঘোরা ...... আমি সামনে গেলাম আর ঢাকনা সরিয়ে দেখি......ওয়াও
... বিরিয়ানি.... তারাতারি প্লেটট টেনে নিয়ে খাওয়া শুরু করলাম......ওয়াও কি হেব্বি টেস্ট .....মাইয়া তো না যেনো একটা জিনিস মাইরি .....যেমন রাগ তেমন রান্না আহ.....কি মজা......এমন জানলে রাতে ঘুমাতামই না শুধু শুধু সকাল সকাল মেয়েটাকে বকলাম........ একটু পর জেরিন আমার রুমে আসলো....
আমি: থাংকু সো মাচ..... বিরিয়ানি কিন্তু জোস...... আপনি রান্না করেছেন....?? জেরিন: হুম......
আমি:উমমমমম সুপার হইছে.........

জেরিন:অনেক পাম্পিং করেছেন......এবার রেড়ি হয়ে কলেজে যান আর আমি আজকে যাবো না মায়ের দেখা শুনা করতে হবে....... সাবধানে যাবেন আর কোন মেয়ের দিকে তাকালে তো আপনার চোখ দুটো গুম কইরা দিমু আর যদি সিগারেট খান তো ঘুসি মাইরা নাক দিয়া ধোঁয়া বাইর করমু....... কেমন লক্ষী ছেলে.....এসব থেকে দূরে থাকবেন.... আমি গেলাম....হুহ.....
বা বা এতো কথা বলতে পারে.....যাক রেড়ি হয়ে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম......যাবার সময় আবার মুখ ভেংচি দিয়ে চলে গেলো......ওর ভেংচি টা কিন্তু সেই লাগে.....জানিনা কেমন যেনো ভালো লাগে কিন্তু কোথাও যেনো বাঁধা আছে...... খুব ভালো লাগে কিন্তু মনের মধ্যে জায়গা দিতে পারছি না.......
যাক অবশেষে কলেজে আসলাম.....কলেজে এসেই বন্ধু নীল এর সাথে দেখা ও আমার খুব ভালো বন্ধু সব সময় আমাকে help করে........সব সময় আমার পাশে থাকে....
আমি :কিরে দোস্ত কেমন আছচ....?
নিল: এইতো ভালো মাম্মা .....তোর কি খবর....?
আমি: আলহামদুলিল্লাহ বেশ আছি....
এর পর কলেজে গেলাম ক্লাস শেষে বাসায় আসছিলাম এমন সময় সময় মহারানী রাগীনি আমার সামনে রাগী লুক নিয়ে আসলো..........
জেরিন:আমার শার্টের কলার চেপে ধরে‌......ঐইইইই আপনাকে কতবার বললাম কোন মেয়ের দিকে তাকাবেন না ‌‌......আর আপনি একটা মেয়েকে ফুসকা খাওয়াইছেন কলেজে........
আমি তো পুরাহ হা ..এ মেয়ে তো কলেজে যায় নি তাহলে জানে কিভাবে আমি কাকে নিয়ে ফুসকা খেলাম ...
আমি:না মানে বলছিলাম যে আ আ আপনি কিভাবে জানেন আমি ফুসকা খাওয়াই ছিলাম কাউকে...?
জেরিন: stupid আপনাকে কতবার বললাম তারপর ও মেয়েদের সাথে পাইজলামী বন্ধ করবেন না . ছিহ.......
রেগে চলে গেলো........
আমি ধপাস করে বিছানায় শুয়ে পরলাম.....আর ভাবতাছি এই মেয়ে এমন আমার পিছনে লাগলো কেনো......ও কি আমাকে ভালোবাসে......???
দুর কি সব ভাবতেছি আমি এসব....... আমি কাউকে ভালোবাসবো না কারন আমার কাজ হলো মেয়েদের সাথে টাইম পার্স করা ....যেমন টা আমার সাথে কেউ একজন করেছিলো..............
ফিরে গেলাম চার বছর আগে.........তখন আমি ক্লাস 9 এ পড়তাম ......সাজানো গোছানো জীবন ছিলো আমার ...... পড়ালেখা খাওয়া আর ঘুম এই নিয়ে আমার জীবন.......বার্ষিক পরীক্ষার পর স্কুল ছুটির সময়
বাবা মায়ের সাথে খালার বাসায় বেড়াতে যাচ্ছিলাম ....... হঠাৎ করে রাস্তায় আমাদের গাড়িটা নষ্ট হয়ে যায়..... আকাশটা খুব মেঘলা ছিলো ..... একটু পরেই জুম বৃষ্টির আগমন.......বৃষ্টি আহ.... ছোট বেলা থেকে আমি বৃষ্টিতে ভেজার লোভ আমি সামলাতে পারি না ..........বৃষ্টি সাথে করে নিয়ে এসেছিলো এক বৃষ্টি ভেজা পরী.......যাকে দেখে জীবনে প্রথম বুকের ভেতর এক অদ্ভূত অনূভুতির সৃষ্টি হয়........থমকে দাড়াই আর একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি বৃষ্টি পরীর দিকে........আমার সামনে দিয়ে পরীটা চলে গেলো আর আমি তার চলে যাবার দিকে তাকিয়ে আছি ঘোর কাটে বাবার ডাকে এই আকাশ গাড়িতে আয় জ্বর আসবে তো....... গাড়িটা ঠিক হলে খালার বাসায় আসলাম বাসায় এসেই শুয়ে পড়ো.....বৃষ্টিতে ভেজার কারনে জ্বর চলে আসে তাই আর রাতে বাসার বাহিরে বের হইনি.......সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করতে করতে বাসার ছাঁদে আসলাম লক্ষ্য করলাম এলাকাটা খুব একটা বড় না আমি আমার পরীটাকে খুঁজে পেয়ে যাবো.......বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে রেড়ি হয়ে নাস্তা করলাম ......আর বেরিয়ে পরলাম পরীর খোঁজে .....গ্রামের অলিগোলি সব জায়গায় খুঁজে বেডচ্ছি কিন্তু কোথাও পাগলিটা কে খুঁজে পাচ্ছি না .....দুপুর হয়ে এলো হতাস হয়ে বাসায় ফিরলাম কিন্তু এতো সহজে তো আমি হা ছেড়ে দেবো না.......দুপুরে খেয়ে মোবাইল টিপতেছি এমন সময় বাসায় কেউ একজন ঢুকেছে ...... তাকিয়ে দেখি একটা মেয়ে কিন্তু মুখটা ওড়না দিয়ে ঢাকা ..... আমি আবার আমার মোবাইলে মন দিলাম......বিকাল বেলা বাসার ছাঁদে আসলাম .....বাসার ছাঁদে এসে লক্ষ্য করলাম একটা মেয়ে আর কিছু বাচ্চা ছেলে দুষ্টুমি করতেছে.....মেয়েটার দিকে আমার চোখ পরতেই আমি হা হয়ে গেলাম .......একি মেঘ না চাইতে জল ......পরী...........
মেয়েটা: কিছু বলবেন ?
আমি:না মানে কিছু না.....!
মেয়েটা:তাহলে ডাকলেন কেনো.......? আমি:কখন ডাকলাম.......? মেয়েটা:মিথ্যা বলা হচ্ছে পরী বলে ডাকদেন নি আপনি....
আমি:মনে মনে তাহলে আমার পরীর নামই পরী বাহ না চাইতে জেনে গেলাম........
পরী:ঐ আপনাকে তো এর আগে এই এলাকায় দেখিনি আর এলাকায় নতুন মনে হচ্ছে ....আচ্ছা আপনি আমার নাম জানেন কেমনে ....?এই আপনি চোর নয় তো???
আমি:? কিই বললেন.....? আমি চোর!!!!!
পরী:হুম দেখে তো তাই মনে হয়.......
আমি:ভদ্রভাবে কথা বলেন

 দেখেন কারো সম্পর্কে না জেনে এমন কথা বলা ঠিক না 
 আর অপরিচত লোকের সাথে কেউ এভাবে কথা বলে .....
পরী:আহারে চোরের মায়ের বড় গলা.......
আমি:ইইইইইইইই
এমন সময় খালা আসলো ...... আকাশ নিছে আয় তোর আম্মু ডাকতেছে.....
আমি: তুমি যাও খালা আমি আসতেছি............
দেখে নেবো আপনাকে হুহ........এই বলে চলে আসলাম......

চলবে.............