Breaking News

একটা ডাক্তার মেয়ের ভালবাসা | পর্ব - ২

ডাক্তার মেয়ের ডাক্তার ছেলের সাথেই বিয়ে হতে হবে এটা কোন আইনে আছে??
 তোমার পছন্দের কোনো দাম নেই??
এটা হয়তো কোনো আইনে নেই, এটা আমার মা-বাবার স্বপ্ন, 
আর মেয়ে হয়ে তাদের স্বপ্নটা পূরণ করা আমার কর্তব্য।
এটাই তোমার শেষ কথা???
হ্যাঁ, আর শুনেন আপনি জানেন আমার কোনো ছেলে বন্ধু নেই, 
আপনার সাথে কথা বলতে ভালো লাগে তাই একটু কথা বলি,, 
সামনে আমার পরীক্ষা, আমাকে ভালো রেজাল্ট করতেই হবে, দোয়া করবেন যেনো
 মা-বাবার স্বপ্নটা সত্যি করতে পারি, আর একটা কথা 
পরীক্ষার মধ্য আমার সাথে দেখা না করলে খুঁশী হব, 
পরীক্ষা শেষে আমি আপনাকে ডেকে নিব, আজকের মত আসি ভালো থাকবেন বাই…..
.
রুমা চলে যেতে লাগল, আবির চেয়ে দেখছে,
((ও আবির সম্পর্কে তো কিছু বলা হয়নি,, পড়ালেখায় খুব মেধাবী, অনার্স পাস 
করে ভালো রেজাল্ট পায়। এরপরই ভালো একটা জব পায় + মাস্টার্সে পড়তে থাকে। 
আবিরের বাড়ি যশোর পড়ালেখা জন্য ঢাকাতে পাড়ি জমায়, এরপর সে একটা বাসা 
নিয়ে থাকে, তার বেশ কিছু দূরে রুমার বাসা, একদিন আবির রাস্তা দিয়ে
 হাঁটতেছিল তখন রুমাকে দেখে, কিছু হত-দরিদ্র বাচ্চাদের খাবার কিনে দিচ্ছে, 
সেটা দেখেই রুমাকে তার ভাল লাগতে শুরু করে, এরপর থেকে আবিরও রুমার মত

হত-দরিদ্র বাচ্চাদের খাবার কিনে দিত খেলা করত, 
এভাবে একদিন রুমা বাচ্চাদের খাবার কিনে দেয়, 
তখন একটা বাচ্চা ছেলে বলল আপু আপনার মত আমাদেরও 
একটা ভাইয়া খাবার কিনে দেয়, এরপরই ওদের পরিচয় হয়, 
যদিও রুমা আবিররের থেকে বেশ ছোট তবুও বেশ ভালো বন্ধুত্ব 
হয়ে উঠে তাদের মধ্য আর বন্ধুত্বের কিছুদিন পরই আবির তার ভালো লাগার কথা
 জানিয়ে দেয়, রুমা রাজি হয় নি, পড়ে সব খুলে বলে আবিরকে, 
কিন্তু আবির এটা মানতে পারছে না তাই আজও রুমার পথ চেয়ে বসে থাকা))
.

রুমার পরীক্ষা শেষ হবার ৩-৪ দিন পর, সে আবিরের সাথে দেখা করল,
কেমন আছেন?
–যদি বলি ভালো আছি বিশ্বাস করবে??
–এভাবে কেনো বলছেন??
–তুমি বলছিলে বলে তোমার সাথে দেখা করি নি, জানো কত কষ্ট হয়েছে??
–আপনি এখনো এটা নিয়ে পড়ে আছেন?? দেখেন আমি শুধু আপনাকে বন্ধু হিসেবেই জানি,
 আর চাই আপনিও আমাকে বন্ধু হিসেবে মেনে নেন।
–এই শুনো, চাইলে বন্ধুকে ভালবাসার স্থানে বসানো যায়, 
কিন্তু ভালবাসার মানুষকে বন্ধুত্বের জায়গায় বসানো যায় না।
–আপনি এমন করলে হয়তো কখনই আর দেখা করব না, আর হ্যাঁ, 
শুনেন আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে একটা ডাক্তার ছেলের সাথেই, 
সে আমেরিকা থেকে ডাক্তারি পড়েছে।
ছয় বছর পর
.
রুমা এখন বড় একটা হাসপাতালের চিকিৎসক।
একদিন প্রত্যক বেডে গিয়ে রোগীকে দেখতে ছিল, 
হঠাৎ একটা বেডের দিকে চোখটা পড়তেই, খুব চমমে উঠল। 
এমনটা সে কখনই ভাবে নি, যা আজ তাকে দেখতে হলো। 
সে আর কেউ নয়, বেডে শুয়ে ছিল আবির,, এমন একটা দিন সে কখনই চাই নি,, 
অনেক খুঁজেছে মানুষটাকে কিন্তু কোথাও পায় নি, আজ ৬ বছর পর দেখল তাও এভাবে,, 
রুমা এরপর এক নার্সকে বলল কে এসেছে এর সাথে, 
নার্স বলল তার এক ফ্রেন্ড, আচ্ছা তার ফ্রেন্ড আসলে আমার সাথে দেখা করতে বলবা,
নার্স:- আচ্ছা ম্যাডাম
.

কিছুখন পর

–ভেতরে আসতে পারি?
-রুমা:- হ্যাঁ, আসুন
–আমি, ওমুক রোগীর সাথে এসেছি।
–ও আচ্ছা, আপনি তার কি হোন??
–আমার ফ্রেন্ড
–তার পরিবারের কেউ আসে নি??
–না, আসলে ওর পরিবার বলতে তো শুধু ও আর আন্টি ছিল,, 
বাট ৫ বছর আগে ওর মা মারা যায়।
কথাটা শুনে অনেকটা আঘাত পেল রুমা, 
আচ্ছা আপনার বন্ধুর চিকিৎসার জন্য কোনো পরীক্ষা করা হয়েছে??
–হ্যাঁ, ওর দুটো কিডনিতেই পাথর পড়েছে।
–ও, আচ্ছা আপনি এখন আসতে পারেন।
–জি আচ্ছা।

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com