সন্দেহ টু ব্রেকআপ | লেখক: আকাশ আহম্মেদ. | প্রথম পর্ব.
সকাল সকাল আরামে ঘুমাচ্ছিলাম.....
কিন্তু আরামের ঘুমটা তখনই হারাম হয়ে গেলো.....
যখন আমার কানের কাছে ফোনটা টুংটাং শুরু করলো..... ঘুম ঘুম চোখে ফোনটা ধরলাম.......
আমি:হ্যালো.কে ??? অপরপান্ত থেকে আমি তোর বাপ কইতাছি ...তোর মারে তারাতারি ফোন দে......
আমি:মা ও মা তোমার সোয়ামী কল দিসে......মা:তোর মুখে কিছু আটকায় না ....দে ফোন দে ......
জানিনা বিয়ের বাইশ বছর হয়ে গেলো এখনো বুইড়া বুড়ি ঘন্টার উপর ঘন্টা কথা বলেই যায় কথার যেনো শেষ হয় না .......
এসব বাদ দিয়ে আবার শুয়ে পড়লাম.......
ঘন্টাখানেক পর মা ফোনটা দিয়ে গেলো ......
একটু পরে ফোনটা আবার ছেচামেছি শুরু করসে.... ঘুম ঘুম চোখে ফোনটা ধরলাম....
সিমরান:এই তোর ফোন ভিজি ছিলো কেনো এ ঘন্টা ধরে কার সাথে কথা বলতেছিস.....
আমি:আমি তো কারো সাথে কথা বলি নি......
সিমরান:কিইইই কারো সাথে কথা বলিস নি ....
আমি:আম্মু আব্বুর সাথে কথা বলসে ....
সিমরান:তুই কি ভেবেছিস আমি কিছু বুঝি না .....
কোন মাইয়ার সাথে প্রেম করস সত্যি করে বল.....
আমি:কি যা তা বলসো আমি অন্যকারো সাথে কথা বলি না .......
সিমরান:কিইইইই আমি যা তা বললাম .....আজ থেকে আর আমাকে কল দিবি না ....
তোর সাথে ব্রেক আপ......
টুট টুট......
আমি:কলটা কেটে দিলো আর ব্রেকআপ বললেই হলো......
দুর সকাল সকাল মুড়টাই নষ্ট করে দিলো .....
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হলাম নাস্তা করে বাসার বাহিরে আসলাম....
ও সরি আপনাদের তো পরিচয়টাই দিতে ভুলে গেছি.......
আমি আকাশ ...... অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ি.......আর সকাল সকাল ফোন করেছে....
ব্রেকআপওয়ালী.....ও হলো আমার কলিজা .....আমার ভালোবাসা.....সিমরান.....
এবার এস এস সি পরীক্ষা দিয়েছে.......
খুব ভালোবাসি পাগলিটা কে সপ্তাহে দুই তিন বার আমাদের ব্রেকআপ হয়েই থাকে..,......
এটা আর অস্বাভাবিক কিছু না রাগলে ও ব্রেকআপ করে.......যাক তবুও ভালোই ......
বাসা থেকে বের হয়ে সিমরানের বাসার সামনে আসলাম.....
অনেকক্ষন ধরে কল দিতেছি ধরতেছে না তাই বাসার সামনে আসলাম............
অনেকক্ষন দাড়িয়ে আছি একটু পর পাগলিটা কে দেখতে পেলাম......
আমি:ঐইইইই আমি সত্যি কিছু করিনি ....সরি কল ধরো.....
ইশারায় বুঝালাম....... তারপর কল দিলাম প্রথমে ধরলো না পরে ধরলো......
সিমরান:কি বলবেন তারাতারি বলেন..... আমি:না মানে বলছিলাম তোমাকে নিয়ে একটু ঘুরতে যাবো......
সিমরান:আমি যাবো না আপনি আসতে পারেন.....
আমি:পুসকা খাওয়াবো তো আসো না .....সিমরান:আমি খাবো না আপনি যান......
আমি:আচ্ছা আমি ফারহাকে নিয়ে যাচ্ছি তুমি থাকো......
সিমরান:এইইইই কি বললেন আমি এক্ষুনি আসতেছি.......
একটু পর সিমরান আসলো..... আমি:চলো ....সিমরান:কেনো ফারহাকে নেবেন না ..... আমি:এটা তো দুষ্টুমি করে বলেছিলাম ....
রাগ করো কেনো......
সিমরান:আর কখনো এমন বললে....
একদম গুম করে দিমু Stupid...... আমি:আচ্ছা সোনা সরি আর কখনো বলবো না ......
এই যে কান ধরলাম এবার ক্ষমা করো......
সিমরান:হি হি হি হি পাগল তুমি চলো.......সিমরান কে নিয়ে ঘুরতে যাবো কিন্তু কোথায় যাবো তা আমি নিজে ও জানি না ......
হুম মনে পড়ছে.....
এখান থেকে একটু দূরে খুব সুন্দর একটা গার্ড়েন আছে সেখানে যাবো......
আমি আর সিমরান গার্ড়েনে ঘুরতেছি ....এমন সময় আমার চোখে কিছু ঝরে পড়া বকুল ফুল চোখে পড়লো......
আমি সেগুলো কুড়িয়ে নিয়ে সিমরান কে দিলাম.....ও একটা মুচকি হাসি দিলো.....ইসসসস....
এই মেয়েটার হাসিটা আমার রাতের ঘুম কেড়ে নেই ..... খুব সুন্দর পাগলিটা আর ওর হাসিটা অসম্ভব সুন্দর........
সিমরানের হাত ধরে হাঁটতেছি.....সিমরান:চলো ওদিকে বসি.....
আমি:চলো......দুজনে বসে আছি.....
মন মুগ্ধকর বাতাস মনটা কেড়ে নিতে যায় .....আর সিমরানের খোলা চুল এসে আমার মুখে লাগে......
এলোমেলো চুলে একদম পরীর মতো লাগতেছে পাগলিটা কে.......
হঠাৎ সিমরান বলে উঠলো.....
.সিমরান:আচ্ছা আকাশ.....
আমি তোমাকে এতো সন্দেহ করি তোমাকে এতো কষ্ট দেই তবুও তুমি আমাকে এতো ভালোবাসো কেনো........
আমি:হি হি হি এটা কেমন কথা পাগলি ....
আমি যে তোমাকে খুব ভালোবাসি.....
নিজের থেকে ও বেশি ভালোবাসি.....
ভুল বুঝা বুঝি মান অভিমান রিলেশানে থাকেই তাই বলে কি ভালোবাসার মানুষটিকে দুরে সরিয়ে দেবো......
সিমরান:আমি সত্যি খুব ভাগ্যবান তোমার মতো একটা পাগল পেয়েছি......
ঐইইইইই.....
আমি:কি বলো হঠাৎ....সিমরান:আমার পুসকা খাওয়া এখনো হলো না....
তুমি তো বলসো পুসকা খাওয়াবা........
আমি: হুম চলো.....
সিমরান পুসকা খাচ্ছে আর আমি অপলক দৃষ্টিতে পাগলিটার দিকে তাকিয়ে আছি........
খাওয়া শেষে সিমরান কে বাসায় পৌছে দিলাম আর আমি ও বাসায় ফিরে আসলাম......
দুপুরে খেয়ে ঘুমালাম ঘুম থেকে উঠে একটু বের হলাম আর তখনই ফারহা মানে আমার একমাএ পেইন যার সাথে দেখা ......
ফারহা:কেমন আছো আকাশ......
আমি: হুম ভালোই....আপনি....??
ফারহা:ভালো না তোমাকে ছাড়া কিভাবে ভালো থাকি বলো.....
আমি:আর কিছু বলবেন......
ফারহা:বলতে তো চাই অনেক কথা কিন্তু তোমার তো শুনার মতো সময় নেই.....
আমি: হুম সেটাই.....
আচ্ছা আমি আসি ......এই বলে কেটে পরলাম.....
এই মেয়েটা খুব একটা সুবিদের নয়.....
এর জন্য প্রায় আমার আর সিমরানের মাঝে জগড়া হয়......
সিমরান ওকে দুই চোক্ষে সয্য করতে পারে না ....
আর সারাক্ষন আমার পিছে আটার মতো লেগে থাকে............
.
.
.
.
চলবে .....
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com