Breaking News

বস যখন বর |পর্ব-০৮

রোদ- কাছে পেয়ে যেনো আমার ভিতরে ডুকে যাচ্ছে। খামচে ধরলো আমাকে। ওর খামচি যেনো আমাকে পাগল করে দিচ্ছে। আমার নিঃস্বাস ভারি হয়ে আসছে। আর কিছু ভাবতে পারছি না। নিজের সাথে আর পেরে উঠছি না। আচমকাই ওকে ছেড়ে উঠে গেলাম। কি করছি এটা আমি। যার সাথে থাকবোই না কিভাবে ওর কাছে যাই। নাহ এটা অন্যায়।
!
ইতি- উউউ….
!
রোদ- পিছনে ফিরে দেখি পাগলীটা অনবরত কাঁপছে। এভাবে থাকলে যদি ও আরো অসুস্থ হয়ে পরে। পাশে গিয়ে বসলাম। ওর হাতটা ধরলাম। আমার হাতটা পেয়ে ও আরো জরে আকড়ে ধরল। যেনো এই হাতটা শুধুই ওর। খামচে ধরল হাতটা। ওর অনেক কষ্ট হচ্ছে। ওর কষ্ট সহ্য করতে পারছি না। ওর পাশে গিয়ে শুয়ে পরলাম। মেয়েটা গুটি সুটি মেরে শুয়ে আছে। আসতে আসতে ছোট হয়ে যাচ্ছে। আমাকে পাশে পেয়েই গরম অনুভূতি পেয়ে আমার কাছে ঘেষছে। ও ঘুমের ঘোরেই আমার কাধে খামছি দিয়ে ধরে আমার বুকে মুখ ঘুষলো। আমি আবার কোথাও হারিয়ে যাচ্ছি। এক ওজানা সুখের অনুভূতি। ওর জন্য হলেও আজ নিজেকে ওর কাছে সপে দিতে হবে। ওকে বুকের সাথে শক্ত করে জরিয়ে ধরলাম। আলতো করে ওর কপালে একটা চুমু খেলাম। ওর প্রতিটা নিঃশ্বাস এসে আমার বুকে বারি খাচ্ছিল আর আমি ওর নেশায় উন্মাদ হয়ে যাচ্ছি। ওকে কাছে পাওয়ার লোভ আর সামলে রাখতে পারলাম না। ওর গালে চুমু দিলাম। এ লোভ যে বেড়েই চলেছে। হুট করেই ওর ঠোঁট দুটোকে আকড়ে ধরলাম। চুমু দিতেই ও ঘুমের ঘোড়েই আমার ঠোঁটের মাঝে কামড়ে ধরল। ওর কামড় আমায় পাগল করে দিলো। কি এক নেশায় ধরে ফেলল আমায়। আমি পাগলের মতো চুষতে লাগলাম ওর ঠোঁট। ও যেন পালা দিয়ে আমার সাথে আমার ঠোঁট দুটো চুষতে লাগলো। যেনো কে কাকে বেশি আদর করতে পারি কমপিটিশন চলছে। আমি ওর আরো কাছে চলে এলাম। আদর করতে করতে ওর গলায় নেমে এলাম। পাগলের মতো চুমু খেতে লাগলাম। ও আমার সারা শরীরে খামচি দিতে লাগলো। ওর খামচি গুলো আমাকে আরো উন্মাদ করে দিচ্ছে। খামচি দিয়ে আমাকে ওর আরো কাছে টানছে। নিজের ওজানতেই ওর পিঠে হাত চলে গেলো। জামার হুকটা খুলে দিলাম। ওর কাধের উপর থেকে জামা নামাচ্ছি আর ওর কাধে চুমু খাচ্ছি। উফফ…..আমি যতটা সুখ অনুভব করছি ও কি তাই অনুভব করছে। আমি যে আর পারছি না। ওর মাঝে ডুব দিতে মন চাইছে। ওর পরনের জামাটা ছুড়ে যত দূরে পারি ফেলে দিলাম। আজ আর কোন বাধাকেই মাঝে আসতে দিবো না। ওর দু হাত শক্ত করে চেপে ধরলাম। সে যে কি সুখের অনুভূতি তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। ও আমাকে পাগলের মতো খামচে যাচ্ছে। অন্য কেউ হলে হয়ত ব্যথা পেয়ে রাগে বকে দিতাম কিন্তু আমার বউটা যে আমায় সুখ দিতে খামচে আরো পাগল করে দিচ্ছে। ওর প্রতিটা খামচি যেনো ভালোবাসার কথা বলছে। উফফ…..সব বাদ দিয়ে আজ এক হয়ে গেলাম আমরা। সুখের সাগরে ডুব দিলাম। ওকে নিয়ে সারারাত সুখের সাগরে সাতরে বেড়ালাম।
!
সকালে-
!
রোদ- চোখ খুলতেই দেখি বউটা আমার হাতে মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে আছে। এখন অনেকটা স্বাভাবিক। কপালে একটা চুমু খেয়ে উঠে গেলাম।
!
ইতি- ঘুম ভাংতেই নিজে অনেক দুর্বল লাগছে। চোখ খুলতেই কেমন যেনো নিজেকে হালকা হালকা লাগছে। উঠতে যাবো তখনি আমার টনক নড়ল। একি গায়ের কম্বলটা ছাড়া তো গায়ে আর কিছুই নেই।???। আমার এ অবস্থা হলো কিভাবে। মাথা ভো ভো করছে। চারেপাশে দেখতে লাগলাম। রুমের মধ্যে কাপড় এক একটা এক এক জায়গায় এলো মেলো হয়ে পরে আছে। কেবল আমার না ওনার কাপড় সাথে দেখে যেনো আমি আকাশ থেকে পরলাম। রাতের কথা মনে পরল। হুস ছিলো না ঠিকি কিন্তু সর্ম্পূণ বেহুসও ছিলাম না। ওনি আমার সাথে। ছিঃ ছিঃ আর ভাবতে পারছি না। একটা চাদর গায়ে জরিয়ে উঠে গেলাম ফ্রেস হতে যাবো। কিন্তু হাটতে কষ্ট হচ্ছে। শরীরটা অনেক দুর্বল। বাথরুমে ডুকতে যাবো ওনি বেরিয়ে এলেন।
!
রোদ- যেই গোসল সেরে ফ্রেস হয়ে বেরিয়ে এলাম দেখি বউটা উঠে গেছে।
!
ইতি- ঠাসসসসসসসসসস……… দিলাম চড় বসিয়ে।
!
রোদ- রাগে ওর হাত মুড়ে পিছনে ধরলাম। ওকে আবার দেয়ালের সাথে চেপে ধরলাম
তোমার সাহস হয় কি করে।
!
ইতি- লজ্জা করলো না আপনার। আমাকে বলছেন বউ এর অধিকার ফলাতে না। তাহলে কেনো আপনি আপনার পুরুষত্ব ফলালেন। নাকি আমার জ্ঞান ছিলো না বলে আপনার ভেতরের পশুটা বের হয়ে গিয়ে ছিলো। ছিঃ আপনি এতোটা……ওনি আমার হাত ছেড়ে আমাকে ধাক্কা দিয়ে খেলে দিয়ে চলে গেলেন।
!
রোদ- রেডি হয়ে বের হয়ে গেলাম। অনেক জোরে ড্রাইভ করছি। কোন দিকেই কিছু খেয়াল করছি না। গাড়ি চালিয়েই যাচ্ছি।
!
ইতি- বের হয়ে দেখি ওনি নেই। ভালোই হয়েছে। ওনাকে দেখতেও ইচ্ছে করছে না। অফিসের জন্য বেরিয়ে গেলাম।
!
অফিসে-
!
রিমি- মেম এই ফাইলটা একটু দেখে দিন না।
!
ইতি- রেখে যাও
!
রিমি- মেম একটু Argent ছিলো। আজকেই…….
!
ইতি- বললাম তো রেখে যাও চিৎকার দিয়ে বললাম।
!
রিমি- Sorry ma’am
!
ইতি- উফফ….কার রাগ কার উপর ঝারছি। মেয়েটাকে শুধু শুধু বকলাম। কিছুই ভালো লাগছে না।
!
রাফসান- কি হলো শুধু শুধু ওকে বকলে কেনো??
!
ইতি- কিছু হয়নি।
!
রাফসান- love bite দিলো কে গো???
!
ইতি- চোখ বড় বড় করে তাকালাম রাফসানের দিকে। ওড়না দিয়ে ডেকে দিলাম। না কিছু না পরে গিয়ে ব্যথা পেয়েছি।
!
রাফসান- পরে গিয়ে লাভ বাইটও পায় মানুষ জিঙ্গাসু চোখে তাকালো রাফসান ইতির দিকে।
!
ইতি- বললাম তো কিছু না।
!
রাফসান- তুমি বললেই তো হচ্ছে না। কিছু একটা হয়েছে এটা আমি Sure তুমি না বললেও।
!
ইতি- প্লিজ আমি একটু একা থাতে চাই। রাফসান কিছু না বলেই চলে গেলো। সারাদিন চলে গেলো কোন কাজই ঠিক মতো করতে পারলাম না। কাজে মনই বসছে না।
!
রিমি- রাফসান Sir
!
রাফসান- কিছু বলবে রিমি??
!
রিমি- জি Sir । আসলে আজ MM কোম্পানির সাথে মিটিং ছিলো MD Sir এর কিন্তু ওনি তো এলেন না। আর ফোন দিচ্ছি ধরছেন ও না। আর….
!
রাফসান- আর কি???
!
রিমি- আর ইতি মেম কে যে বলবো ওনি আজ সকাল থেকে যে পরিমান রেগে আছে। ওনার সামনে যেতেও ভয় করছে। যে যাচ্ছে তাকেই বকছেন।
!
রাফসান- আচ্ছা আমি দেখছি।
ইতির কেবিনে গেলাম। মিটিংটা কি তুমি করছো???
!
ইতি- রাফসান এর কথায় বাস্তবে ফিরে এলাম
কিছু বললে??
!
রাফসান- যতক্ষন না নিজে থেকে বলছো আমি আআর জিঙ্গেস করছি না কিছুই তোমাকে কি হয়েছে তোমার। তা মিটিংটা করছো তুমি??
!
ইতি- কোন মিটিং????
!
রাফসান- MM কোম্পানির সাথে আজ মিটিং ছিলো কিন্তু MD Sir মিসিং।
!
ইতি- ভাবলেস হীন ভাবে জিঙ্গেস করলাম মিসিং মানে???
!
রাফসান- কেন তুমি জানো না। ওনি আজ অফিসে আসেন নি। রিমি অনেক ফোন ও করেছেন কিন্তু ওনাকে পাওয়া যাচ্ছে না ফোনে তাই আর মিটিংটাও খুব Important ।
!
ইতি- ওকে আমি করবো।
!
রাফসান- ওনারা অপেক্ষা করছেন।
!
ইতি- Hello Gentle man’s
I am Eti Chowdhury.
Our Managing Director
Mr Mod Chowdhury is not able to present today for the meet for some Circumstance on behalf of him and Our company today I will Represent the Offers and Deal to MM Company Hoping your Cooperation Thank You.
!
বলেই মিটিং শুরু করলাম।
!ভালোয় ভালোয় শেষ হলো। ওনাদের এতো ভালো লেগেছে আমাদের ওফার যে ওনারা আর Sir এর জন্য অপেক্ষা করলান না। ডিলটা সই করে দিলেন।
!!
ওই কোম্পানির একজন- Excuse me ma’am
!
ইতি- Yes
!
ওই লোক- Are You Mrs Rod Chowdhury???
!
ইতি- ওনার কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম। ওনি কিভাবে বুঝলো। তাও বুঝতে দিলাম না। No. Why??
!
ওই লোক- Actually He is Rod Chowdhury and You are Eti Chowdhury so I thought you guys are Husband and Wife.
!
ইতি- হালকা একটা হাসি দিলাম No its not like that. We are just boss and employee.
!
ওই লোক- oh… I am so sorry for such an stupid question. And Congratulations for the Deal.
!
ইতি- Thank you বলে চলে আসলাম ওখান থেকে।
!
অফিস টাইম শেষ-
!
ইতি- রাস্তায় হাটছি। ড্রাইভার সামনে চলে এলেন।
!
ড্রাইভার- বউমণি বাসায় যাবেন না??? আপনি হেটে গেলে আমার চাকরি থাকবে না।
!
ইতি- না চাইতেও গাড়িতে উঠে গেলাম। মানুষের অসহায়ত্ব নিয়ে খেলে কি মজা পায় ওনি। এতো নিকৃষ্ট মানুষ কিভাবে হয়। আমারই ভুল ছিলো ওনাকে মনে জায়গা দিতে গিয়ে ছিলাম ওনি কারো মনে জায়গা পাবার যোগ্য নন।
!
ড্রাইভার- বউমণি ???
!
ইতি- হু…..ড্রাইভার এর কথায় হুদিস ফিরলো। কিছু বলছেন??
!
ড্রাইভার- জি বাসায় চলে এসেছি। নামবেন না???
!
ইতি- গাড়িতেই বসে আছি মন চাইছে না ওনার বাসায় যেতে। গিয়ে তো ওই নিকৃষ্ট মানুষের মুখটাই দেখতে হবে।
!
ড্রাইভার- বউমণি??
!
ইতি- গাড়ি ঘুড়ান আমার বাবার বাসায় যাবো।
!
ড্রাইভার- জি
!
ইতি- আবার চিন্তার জগৎ এ ডুব দিলাম। যতই চাইছি ভাববো না ততই ওনার কথা মাথায় আসছে। ওনার দেয়া কষ্টে আমি এতো কষ্ট পাচ্ছি কেনো??? ওনি তো কেউ না আমার তাহলে কেনো??? মন এতো জ্বলে কেনো আমার ওনার জন্য উফফ….আর ভালো লাগছে না। আবার ড্রাইভারের কথায় হুস ফিরলো। জি।
!
ড্রাইভার- বউমণি আপনি ঠিক আছেন তো??
!
ইতি- হুম….গাড়ি থেকে নেমে দাড়িয়ে রইলাম। এক পা আগাতেই মনে হলো বাবা-মার কথা। ওনারা আমাকে দেখলেই বুঝে যাবে কিছু একটা হয়েছে। চাইলেও তাদের থেকে লুকাতে পারবো না। না এসব বলা যাবে না। জানতে পারলে অনেক কষ্ট পাবেন। ফিরে গিয়ে হাড়িতে বসলাম।
!
ড্রাইভার- কি হলো বউমণি???
!
ইতি- কিছু না বাসায় চলেন। আজ যাবো না। বাসায় চলে এলাম। সোজা ছাদে চলে গেলাম। বাসায় গিয়ে ওই মানুষটার মুখ দেখতে মন চাইছে না। রাত হয়ে গেলো ছাদে বসে থাকতে থাকতে। না এখানে তো আর সারারাত থাকা যাবে না বাসায় চলে গেলাম। দরজায় ধাক্কা দিতে গিয়ে থেমে গেলাম। নাহ ধাক্কা দিলে ওনি এসে খুলবে এর চাইতে ওনি আমাকে একটা Extra চাবি দিয়ে ছিলেন ওটা দিয়ে দরজা খুলে ভিতরে চলে গেলাম। না সকালে যেভাবে সব রেখে বেরিয়ে ছিলাম সব ওভাবেই আছে তার মানে ওনি আসেন নি। হুম একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিলাম। ফ্রেস হয়ে বারান্দায় গিয়ে রকিং চেয়ার টায় হেলান দিলাম। কষ্টে থাকলে মনে হয় মানুষ বেশি ক্লান্ত হয়ে যায় তাই আমারও অনেক ক্লান্ত লাগছে। চোখ বুঝতেই ঘুমে তলিয়ে গেলাম। ওভাবেই সারারাত ঘুমালাম।
!
সকালে-
!
ইতি- সকালে ঘুম ভাংতেই দেখি ওভাবেই ঘুমিয়ে আছি। রুমে এসে দেখি ওনি নেই। কি ব্যাপার ওনি কি আসে নি। ফ্রেস হতে চলে গেলাম। মিররের সামনে দাড়াতেই নিজের শরীরে ওনার ছুয়ে দাগ গুলো স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি। অনেক সুখের স্বাক্ষী এই দাগ গুলো। নিজের ওজানতেই চোখ দিয়ে এক ফোঁটা পানি পরে গেলো। ফ্রেস হয়ে বেরিয়ে গেলাম ভাবলাম ওনাকে দেখতে পাবো কিন্তু না আমাকে অবাক করে দিয়ে হলেও ওনি রুমে নেই। বেলকনি গেলাম নাই। আবার বাথরুমে গেলাম সেখানেও নেই। এখন যেনো কৌতুহলটা বেড়ে গেলো। মানুষটা গেলো কোই। কিচেনে গেলাম নেই, রিডিং রুমেও নেই, ডাইনিং রুম, ড্রইং রুম, গেস্ট রুম, অফিস রুম, হল রুম কোথাও নেই। বুঝতে পারছি না তাহলে কি কাল রাতে আসে নি নাকি এসে আমার উঠার আগেই চলে গেলো। রেডি হয়ে বেরিয়ে গেলাম। ভাবছি ড্রাইভারকে জিঙ্গেস করবো কি না। অনেক সংকোচ নিয়েই জিঙ্গেস করলাম। আপনার Sir কি খুব সকালেই বেরিয়ে গেছেন??
!
ড্রাইভার- নাহ তো
!
ইতি- হয়ত আপনি আসার আগেই চলে গেছেন।
!
ড্রাইভার- না বউমণি আমি তো এখানেই ছিলাম Sir কাল রাতে ফেরেনি বলেই তো আমি যাই নি।
!
ইতি- ওনি রাতে ফেরেনি??
!
ড্রাইভার- কিছু ভাবছেন বউমণি??
!
!
চলবে…….

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com