কালো মেয়ের বিয়ে | লেখক:আকাশ আহম্মেদ | 2য় পর্ব.
বাসার চাদে বসে বসে রং চায়ে চুমুক দিতেছি এমন সময় লক্ষ্য করলাম মাঠে বাচ্চারা খেলা করতেছে...
একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি ছোট বেলার সেই দিন গুলো খুব মিস করতেছি .....আহ কত মজার না ছিলো সেই দিন গুলি ....বন্ধুরা মিলে একসাথে আম চুরি করা নদীতে সাঁতার কাটা ....সবাই মিলে দৌড়ানো....রাগারাগি হলেই একটা কথা ....তোর আজকে খবর আছে......আহারে কত আনন্দের সেই দিন গুলি.....ভাবনাতেই পড়ে আছি ঘোর কাটে মায়ের ডাকে .....
আম্মু:এই আকাশ এখানে একা একা কি করিস....
আমি:এইতো মা বসে আছি মা.....
আম্মু:মেয়েটার সাথে কথা তো বললি ....! কেমন লাগলো...?
আমি: হুম খুব ভালো লাগলো......কিন্তু...!
আম্মু:কিন্তু কি রে বাবা.....!?
আমি:মা মেয়েটা অনেক ভালো......অভিমানী...কিন্তু ওর কথা শুনে বুঝলাম কালো বলে মেয়েটার অনেক কষ্ট । জানো ওর সাথে কথা বলে নিজের ভেতর কেমন জেনো খারাপ লাগলো.....
আম্মু:চিন্তা করিস না সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে....
আমি:হুম মা দোয়া করো.........
ছাঁদ থেকে বাসায় আসলাম রুমে শুয়ে আছি.... ভাবতেছি এই মেয়েটা খুব ভালো কিন্তু ওর অনেক কষ্ট আমি আমার ভালোবাসা দিয়ে আমার পাগলিটার সব কষ্ট দূর করে দেবো.....কখনো আমার পাগলিটাকে কষ্ট দেবো না .... আমি ও এটা প্রমান করবো রূপ দিয়ে নয় মন দিয়ে জীবন চলে.....সবাই মেয়েদের রূপ কে ভালোবাসে না আজও দুনিয়াতে কিছু ছেলে আছে যারা শুধু মেয়েদের মনটা কে ভালোবাসে.....সবাই মেয়েদের উপরের সৌন্দর্য নিয়ে পরে থাকে...কিন্তু কেউ কালো মেয়েদের মনটা দেখে না .....তাদের কাজল কালো চোখের কোনের মায়াভরা ভালোবাসা টা দেখে না...... আমি দেখেছি আমার পাগলির সেই ভালোবাসা ...
যেই ভালোবাসার খোঁজে আজ পর্যন্ত ছুটে চলেছি......
.
একাপ্তাহ পর আমাদের বিয়ের দিন ঠিক করা হয়েছে..............
আজকে গায়ে হলুদ ইতি মধ্যে বাড়ি ভর্তি মেহমান মেহমানের আগমন শুরু হয়েছে....উৎসবে চারদিক মাতিয়ে আছে.....সবাই আনন্দে সময় কাটাচ্ছে আর আমি আমার রুমের বারান্দায় বসে আমার পাগলিটার কথা ভাবতেছি......ও কি আমাকে ভালোবাসবে....ও আমাকে দূরে ঠেলে দেবে না তো ......জানিনা খুব ভয় করতেছে তবুও মনের মধ্যে হাজারো স্বপ্ন বুনে রেখেছি....
.
.
সকাল বেলা মায়ের ডাকে ঘুম থেকে উঠলাম.....ফ্রেস হয়ে রেড়ি হলাম .......খালাতো ভাইবোনরা এসে অনেক দুষ্টুমি করতেছে...... আমি ও তাদের সাথে মজা করতেছি..... অবশেষে দুপুরে আমরা অনিকাদের বাসার উদ্দৈশ্যে রওনা হলাম....দুইটার দিকে অনিকাদের বাসায় পৌছালাম ......
.
বিয়ে বাড়ি বলে কথা ....গেইটে ধরলো শালীরা সবাই ....গ্রামের রিতি অনুযায়ী গেইট দিয়ে শালীদের মালা পরে ঢুকতে হবে......সবাই মিলে গেইটে অনেক দুষ্টুমি করলো.....নতুন জ্বামাই তো লজ্জায় মুখে রুমাল দিয়ে দাড়িয়ে আছি.......যাক অবশেষে হুজুর ও কাজী মিলে বিয়ে আরম্ভ করলো.......বিয়ে সম্পর্ণ হলে সবার থেকে বিদায় নিলাম......
আসার সময় অনিকার মা আমাকে একট কথা বলেছে যা শুনে খুব কষ্ট হচ্ছিলো......
বাবা আমার মেয়েটা কালো বলে কারো ভালোবাসা পায় নি তুমি কেনো আমার মেয়েটাকে কষ্ট দিও না......
অনিকাকে নিয়ে আমাদের বাসায় আসতে প্রায় সন্ধ্যা গনিয়ে এলো......রুমে এসে ফ্রেস হয়ে চেন্জ করে নিলাম...... পাগলিটা একটু রেস্ট নিক আমি বাসার বাহিরে এসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতেছি.........হারামি দের সাথে আড্ডা দিতে দিতে কখন যে রাত বারোটা বাজলো টেরই ফেলাম না.......
বাসায় আসলাম....রুমে ঢুকতে বউ এসে আমাকে সালাম করলো.... আমি পাগলি কে তুলে নিলাম কারন ওর স্থান তো আমার বুকে পায়ে না .....খাটের একপাশে বসলাম.....
অনিকা:আপনাকে কিছু বলার ছিলো আমার.......!
আমি:হুম বলো......
অনিকা: ছোট বেলা থেকে একটা কথা শুনে বড় হয়েছি আমি কালো.......কাউকে ভালোবাসার অধিকার আমার নেই.......কালোরা কি মানুষ না ..? হুম আমি কালো........! পড়ালেখাটা সর্বোচ্চ করেছি.....সব কাজ ও জানি........একজন সুন্দর মানুষ আর একজন কালো মানুষ তপাৎ কোথায়.....? বৈষম্যের ....? হয়তো তাই..... আপনি অনেক মহৎ তাই হয়তো কালো হওয়া স্বওে ও আমাকে বিয়ে করেছেন........ আমি জানিনা আপনার ভালোবাসার মূল্য আমি দিতে পারবো কিনা তবে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো আপনাকে ভালো রাখার....!
আমি :আমি এতো কিছু জানি না আমার তোমাকে খুব ভালো লাগে আর হুম রূপ দেখে কোনো সম্পর্ক হয় না
আমি তোমার মনটাকে ভালোবেসেছি.......জানো তো দেহের ভালোবাসা একদিন পুরিয়ে যায় কিন্তু মনের ভালোবাসা কখনো পুরায় না .... আমি মনে করি রূপ নয় মানুষের মনটাই আসল.........আর আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি.........
.
.
পাগলিটা আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিয়েছে....হয়তো ও কখনো ভাবে নি এমন কাউকে জীবনে পাবে যে তার রূপকে নয় মনটাকে ভালোবাসবে তাকে বুঝবে....তার চোখের কোনের কাজলটাকে ভালোবাসবে............ পাগলিটা আমাকে জড়িয়ে ধরেছে আর পুরো শার্টটা ভিজিয়ে পেলেছে......
.
আমি:এই পাগলি অনেক রাত হইছে ঘুমাবে না............
অনিকা: হুম ঘুমোবো........কিন্তু আপনার বুকে মাথা রেখে......
আমি:একটা শর্ত আছে........
অনিকা:কি শর্ত বলুন..........
আমি:আমাকে আপনি নয় তুমি করে বলতে হবে আর এখন বলবা যে তুমি আমাকে ভালোবাসো ..
পাগলিটা খুব লজ্জা পেয়েছে......
অনিকা:আমি পারবো না আমার খুব লজ্জা লাগতেছে.....
আমি:তাহলে বুকে রাখবো না .......
অনিকা:এইইইইই না না বলছি তো.........
আমি:হুম বলো.........
অনিকা:আমি ....আমি...... আমি.........
আমি:কিই আমি আমি করতেছো বলো না......
অনিকা:বাসর রাতে বউয়ের উপর টর্চার আবার নাকি ভালোবাসে
আমি:কিইইই আমি তোমাকে টর্চার করি .......থাক তোমাকে বলতে হবে না আমি ঘুমালাম..........
অনিকা:এইইইই না না ..... ভালোবাসি তো.......
আমি:উহু ...এভাবে বললে হবে না একটু ভালোবেসে বলতে হবে.........
অনিকা: আমি তোমাকে ভালোবাসি.........
কথাটা বলেই মুখ লুকিয়ে নিয়েছে....... আমি পাগলিটাকে জড়িয়ে ধরে আমি........ একটু পর পাগলিটা আমার বুকে মাথা রেখে ঘুমালো আর আমি আমার পাগলিটাকে বুকের মধ্যে ধরে রেখেছি.....ঘুমের মধ্যে মেয়েটাকে এতোটা মায়াবি লাগে..... পাগলিটা কে জড়িয়ে ধরে কখন যে ঘুমিয়ে গেলাম নিজে ও জানি না......
.
সকাল বেলা পাগলির ভেজা চুলের পানি দিয়ে ঘুম ভাংলো মিষ্টি ডাক আর সাথে এককাপ মিষ্টি চা.....চা টা টেবিলে রেখে ......
অনিকা:শুনছো অনেক বেলা হয়েছে এবার উঠো......
আমি পাগলিটাকে টেনে আমার বুকে নিলাম আর শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম.......
অনিকা:কি মিষ্টার সকাল সকাল কি শুরু করলে হুম....কেউ দেখবে ছাড়ো .......!
আমি:না ছাড়বো না ....দেখলে দেখবে আমার কি আমার বউকে আমি আদর করতেছি লোকের কি.....
অনিকা:ইইইই শখ মান সম্মান বলে কিছু নাই......
আমি অনিকাকে শক্তকরে জড়িয়ে ধরে একটা কিস করলাম.....
অনিকা: আমার আসাটাই ভুল হইছে...শয়তান একটা ....... আমি গেলাম তারাতারি ফ্রেস হয়ে নাও .....
অনিকা এই বলে আমার থেকে ছাড়িয়ে নিলো নিজেকে .......
.
..... চলবে.
একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি ছোট বেলার সেই দিন গুলো খুব মিস করতেছি .....আহ কত মজার না ছিলো সেই দিন গুলি ....বন্ধুরা মিলে একসাথে আম চুরি করা নদীতে সাঁতার কাটা ....সবাই মিলে দৌড়ানো....রাগারাগি হলেই একটা কথা ....তোর আজকে খবর আছে......আহারে কত আনন্দের সেই দিন গুলি.....ভাবনাতেই পড়ে আছি ঘোর কাটে মায়ের ডাকে .....
আম্মু:এই আকাশ এখানে একা একা কি করিস....
আমি:এইতো মা বসে আছি মা.....
আম্মু:মেয়েটার সাথে কথা তো বললি ....! কেমন লাগলো...?
আমি: হুম খুব ভালো লাগলো......কিন্তু...!
আম্মু:কিন্তু কি রে বাবা.....!?
আমি:মা মেয়েটা অনেক ভালো......অভিমানী...কিন্তু ওর কথা শুনে বুঝলাম কালো বলে মেয়েটার অনেক কষ্ট । জানো ওর সাথে কথা বলে নিজের ভেতর কেমন জেনো খারাপ লাগলো.....
আম্মু:চিন্তা করিস না সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে....
আমি:হুম মা দোয়া করো.........
ছাঁদ থেকে বাসায় আসলাম রুমে শুয়ে আছি.... ভাবতেছি এই মেয়েটা খুব ভালো কিন্তু ওর অনেক কষ্ট আমি আমার ভালোবাসা দিয়ে আমার পাগলিটার সব কষ্ট দূর করে দেবো.....কখনো আমার পাগলিটাকে কষ্ট দেবো না .... আমি ও এটা প্রমান করবো রূপ দিয়ে নয় মন দিয়ে জীবন চলে.....সবাই মেয়েদের রূপ কে ভালোবাসে না আজও দুনিয়াতে কিছু ছেলে আছে যারা শুধু মেয়েদের মনটা কে ভালোবাসে.....সবাই মেয়েদের উপরের সৌন্দর্য নিয়ে পরে থাকে...কিন্তু কেউ কালো মেয়েদের মনটা দেখে না .....তাদের কাজল কালো চোখের কোনের মায়াভরা ভালোবাসা টা দেখে না...... আমি দেখেছি আমার পাগলির সেই ভালোবাসা ...
যেই ভালোবাসার খোঁজে আজ পর্যন্ত ছুটে চলেছি......
.
একাপ্তাহ পর আমাদের বিয়ের দিন ঠিক করা হয়েছে..............
আজকে গায়ে হলুদ ইতি মধ্যে বাড়ি ভর্তি মেহমান মেহমানের আগমন শুরু হয়েছে....উৎসবে চারদিক মাতিয়ে আছে.....সবাই আনন্দে সময় কাটাচ্ছে আর আমি আমার রুমের বারান্দায় বসে আমার পাগলিটার কথা ভাবতেছি......ও কি আমাকে ভালোবাসবে....ও আমাকে দূরে ঠেলে দেবে না তো ......জানিনা খুব ভয় করতেছে তবুও মনের মধ্যে হাজারো স্বপ্ন বুনে রেখেছি....
.
.
সকাল বেলা মায়ের ডাকে ঘুম থেকে উঠলাম.....ফ্রেস হয়ে রেড়ি হলাম .......খালাতো ভাইবোনরা এসে অনেক দুষ্টুমি করতেছে...... আমি ও তাদের সাথে মজা করতেছি..... অবশেষে দুপুরে আমরা অনিকাদের বাসার উদ্দৈশ্যে রওনা হলাম....দুইটার দিকে অনিকাদের বাসায় পৌছালাম ......
.
বিয়ে বাড়ি বলে কথা ....গেইটে ধরলো শালীরা সবাই ....গ্রামের রিতি অনুযায়ী গেইট দিয়ে শালীদের মালা পরে ঢুকতে হবে......সবাই মিলে গেইটে অনেক দুষ্টুমি করলো.....নতুন জ্বামাই তো লজ্জায় মুখে রুমাল দিয়ে দাড়িয়ে আছি.......যাক অবশেষে হুজুর ও কাজী মিলে বিয়ে আরম্ভ করলো.......বিয়ে সম্পর্ণ হলে সবার থেকে বিদায় নিলাম......
আসার সময় অনিকার মা আমাকে একট কথা বলেছে যা শুনে খুব কষ্ট হচ্ছিলো......
বাবা আমার মেয়েটা কালো বলে কারো ভালোবাসা পায় নি তুমি কেনো আমার মেয়েটাকে কষ্ট দিও না......
অনিকাকে নিয়ে আমাদের বাসায় আসতে প্রায় সন্ধ্যা গনিয়ে এলো......রুমে এসে ফ্রেস হয়ে চেন্জ করে নিলাম...... পাগলিটা একটু রেস্ট নিক আমি বাসার বাহিরে এসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতেছি.........হারামি দের সাথে আড্ডা দিতে দিতে কখন যে রাত বারোটা বাজলো টেরই ফেলাম না.......
বাসায় আসলাম....রুমে ঢুকতে বউ এসে আমাকে সালাম করলো.... আমি পাগলি কে তুলে নিলাম কারন ওর স্থান তো আমার বুকে পায়ে না .....খাটের একপাশে বসলাম.....
অনিকা:আপনাকে কিছু বলার ছিলো আমার.......!
আমি:হুম বলো......
অনিকা: ছোট বেলা থেকে একটা কথা শুনে বড় হয়েছি আমি কালো.......কাউকে ভালোবাসার অধিকার আমার নেই.......কালোরা কি মানুষ না ..? হুম আমি কালো........! পড়ালেখাটা সর্বোচ্চ করেছি.....সব কাজ ও জানি........একজন সুন্দর মানুষ আর একজন কালো মানুষ তপাৎ কোথায়.....? বৈষম্যের ....? হয়তো তাই..... আপনি অনেক মহৎ তাই হয়তো কালো হওয়া স্বওে ও আমাকে বিয়ে করেছেন........ আমি জানিনা আপনার ভালোবাসার মূল্য আমি দিতে পারবো কিনা তবে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো আপনাকে ভালো রাখার....!
আমি :আমি এতো কিছু জানি না আমার তোমাকে খুব ভালো লাগে আর হুম রূপ দেখে কোনো সম্পর্ক হয় না
আমি তোমার মনটাকে ভালোবেসেছি.......জানো তো দেহের ভালোবাসা একদিন পুরিয়ে যায় কিন্তু মনের ভালোবাসা কখনো পুরায় না .... আমি মনে করি রূপ নয় মানুষের মনটাই আসল.........আর আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি.........
.
.
পাগলিটা আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিয়েছে....হয়তো ও কখনো ভাবে নি এমন কাউকে জীবনে পাবে যে তার রূপকে নয় মনটাকে ভালোবাসবে তাকে বুঝবে....তার চোখের কোনের কাজলটাকে ভালোবাসবে............ পাগলিটা আমাকে জড়িয়ে ধরেছে আর পুরো শার্টটা ভিজিয়ে পেলেছে......
.
আমি:এই পাগলি অনেক রাত হইছে ঘুমাবে না............
অনিকা: হুম ঘুমোবো........কিন্তু আপনার বুকে মাথা রেখে......
আমি:একটা শর্ত আছে........
অনিকা:কি শর্ত বলুন..........
আমি:আমাকে আপনি নয় তুমি করে বলতে হবে আর এখন বলবা যে তুমি আমাকে ভালোবাসো ..
পাগলিটা খুব লজ্জা পেয়েছে......
অনিকা:আমি পারবো না আমার খুব লজ্জা লাগতেছে.....
আমি:তাহলে বুকে রাখবো না .......
অনিকা:এইইইইই না না বলছি তো.........
আমি:হুম বলো.........
অনিকা:আমি ....আমি...... আমি.........
আমি:কিই আমি আমি করতেছো বলো না......
অনিকা:বাসর রাতে বউয়ের উপর টর্চার আবার নাকি ভালোবাসে
আমি:কিইইই আমি তোমাকে টর্চার করি .......থাক তোমাকে বলতে হবে না আমি ঘুমালাম..........
অনিকা:এইইইই না না ..... ভালোবাসি তো.......
আমি:উহু ...এভাবে বললে হবে না একটু ভালোবেসে বলতে হবে.........
অনিকা: আমি তোমাকে ভালোবাসি.........
কথাটা বলেই মুখ লুকিয়ে নিয়েছে....... আমি পাগলিটাকে জড়িয়ে ধরে আমি........ একটু পর পাগলিটা আমার বুকে মাথা রেখে ঘুমালো আর আমি আমার পাগলিটাকে বুকের মধ্যে ধরে রেখেছি.....ঘুমের মধ্যে মেয়েটাকে এতোটা মায়াবি লাগে..... পাগলিটা কে জড়িয়ে ধরে কখন যে ঘুমিয়ে গেলাম নিজে ও জানি না......
.
সকাল বেলা পাগলির ভেজা চুলের পানি দিয়ে ঘুম ভাংলো মিষ্টি ডাক আর সাথে এককাপ মিষ্টি চা.....চা টা টেবিলে রেখে ......
অনিকা:শুনছো অনেক বেলা হয়েছে এবার উঠো......
আমি পাগলিটাকে টেনে আমার বুকে নিলাম আর শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম.......
অনিকা:কি মিষ্টার সকাল সকাল কি শুরু করলে হুম....কেউ দেখবে ছাড়ো .......!
আমি:না ছাড়বো না ....দেখলে দেখবে আমার কি আমার বউকে আমি আদর করতেছি লোকের কি.....
অনিকা:ইইইই শখ মান সম্মান বলে কিছু নাই......
আমি অনিকাকে শক্তকরে জড়িয়ে ধরে একটা কিস করলাম.....
অনিকা: আমার আসাটাই ভুল হইছে...শয়তান একটা ....... আমি গেলাম তারাতারি ফ্রেস হয়ে নাও .....
অনিকা এই বলে আমার থেকে ছাড়িয়ে নিলো নিজেকে .......
.
..... চলবে.
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com