সিনিয়র রাক্ষসী Vs কিউট ছোটে পুলা | পর্ব -০২ এবং শেষ
আমি দৌড়ে ঘরের ভেতর ঢুকলাম।আর ঘরে ঢুকতেই দেখি দরজার ঠিক সামনে তোয়া পরে আছে।আর আন্টি ওর পাসে বসে ওকে ডাকছে।
আমি আর আন্টি তারাতারি করে ওকে খাটের উপর তুলে শুয়ে দিলাম।আর আন্টিকে জল
আনতে বললাম।আন্টি জল আনতে গেল।আর আমি তোয়ার দিকে তাকিয়ে ভাবছি ।কাজটা
মটেও ঠিক করলাম না।আমি জানতাম এমন কিছু একটা হবে।কারণ তোয়া তেলাপোকা আর
টিকটিকি কে খুব ভয় পাই।
আগেও ও তেলাপোকাতে ভয় পেয়েছে।কিন্তু অজ্ঞান হয়নি।আজ মনে হয় অনেক বেশি ভয় পেয়েছে।তাই অজ্ঞন হয়েগেছে।
এই সব ভাবছি।তখনি অন্টি জল নিয়ে আসলো।আমি জলটা তোয়ার চোখে মুখে ছিটিয়ে দিলাম।কিছু খন পর ওর জ্ঞান ফিরে আসলো।
জ্ঞান ফিরতেই আন্টি তোয়াকে বলল, , , , ,
আন্টি – কিরে মা কি ভাবে এমন হল।
তোয়া- ( কিছু না বলে এক ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছে).
আন্টি- কিরে বল কি হয়েছে।
তোয়া- ( তাও কিছু বলছে না)
আমি আন্টিকে বললাম, , , ,
আমি- আন্টি আপনি জান আমি দেখছি কি হয়েছে।
আন্টি-হু দেখতো বাবা কি হল ওর।
এই বলে আন্টি চলে গেল।আর সাথে সাথে তোয়া আমাকে এক ধাক্কা দিয়ে খাট থেকে ফেলে দিল।
আমি যখনি উঠতে যাব তখনি তোয়া এসে আমার উপর চেপে বসল।আর শুরু করল মার।মনে
হচ্ছে আমাকে কেউ ধোলাই মেশিনে ফেলে দিয়েছে।সে কি মার দিচ্ছে আর বলছে।
“কেন করলি এমন তুই জানিস না আমি ওই গুলোকে কত ভয় পাই।তবুও তুই এমন কেন করলি।বল কেন করলি।”
আমি – সরি সরি আর এমন করব না।আসলে আমি বুঝতে পারিনি তুই এতটা ভয় পাবি।আর তুই ও তো আমাকে ভুত সেজে ভয় দেখিয়ে ছিলি তার বেলাই।
তোয়া- হু তবে তুই কেন বাবাকে আমার অমন পিক তুলে দেখিয়েছিলি।
আমি- তো দেখাব না।
তোয়া – কেন দেখাবি।
আমি- তোর ওই ছেলেটার সাথে অত হেসে হেসে কথা বলার কি আছে হু।
তোয়া- ওটা আমার ক্লাস মেট ছিল।আর তাতে তোর কি।আমি যার সাথে ইচ্ছে তার সাথে কথা বলব।হু
আমি- ক্লাস মেট বলে এত হেসে হেসে কথা বলতে হবে।আর আমার কি।দারা তোকে দেখাছি আমার কি।
এই বলে আমি ওকে আমার উপর থেকে ফ্লোরে ফেলেদিয়ে।ওর উরপ উঠে বললাম, , , , ,
আমি- এবার বল কি বলছিলা?
তোয়া- ওই আমাকে ছার বলছি।
আমি- ছারব না।তুই যদি আর ওই ছেলেটার সাথে দেখি তবে খুন করে ফেলব।
তোয়া-কেন আমি অন্য কারোর সাথে কথা বললে তোর এত ফাটে কেনো।
আমি- কারণ আমি তোকে———
তোয়া- কি হল থেমে গেলি কেন বল। তুই আমাকে কি?
আমি- না কিছু না।
এই বলে আমি ওর উপর থেকে উঠে পরলাম।
আমি ঘর থেকে বেরি যেতে যেতে বললাম, , ,
“তোর যার সাথে ইচ্ছা হেসে হেসে কথা বল তাতে আমার কি।”
এই কথা বলেই আমি ওখান থেকে চলে আসলাম।আসার সময় আন্টি আমাকে খাওয়ার জান্য ডাকলো আমি না খেয়েই চলে আসলাম।
সোজা নিজের ঘরে চলে আসলাম।শালা সকাল সকাল মনটা খারাপ রয়ে গেল। আসলে আমি
রাক্ষসীটাকে অনেক ভালোবাসি ।তবে আমার থেকে বয়সে এক বছরের বড় বলে কিছু
বলতে পারি না।যদি না করে দেয়।কিন্তু ও কি বোঝেনা আমি ওকে ভালোবাসি। কেনো ও
আমাকে এমন ভাবে কষ্ট দেয় ।
হুর এই সব আমি কি ভাবছি ওতো জানেই না যে আমি ওকে ভালোবাসি জানলে হয়তো এমন করতো না।
পরের দিন, , ,
কলেজ যাব তাই আমি তোয়ার জন্য ওর বাড়ির সামনে দারিয়ে আছি ।আমি আর তোয়া এক সাথেই কলেজে যায়।
কিছু খন পর রাক্ষসীটা আসলো।এসে বলল, , , ,
তোয়া- চল জাই( হাসি হাসি মুখকরে)
আমি- হু চাল।
আমি আর রাক্ষসীটা রাস্তা দিয়ে পাশাপাশি হেটে চলেছি।আজ তোয়াকে দেখে মনে
হচ্ছে ও খুব খুশি।ব্যাপারটা কি আজ এত খুশি হওয়ার কারণটা কি।
অনেক কিছু মাথার মধ্যে ঘুরছে।কিন্তু কিছু তেই ওর এত খুশি হওয়ার কারণটা বুঝতে পারছি না।তাই ওকে জিজ্ঞেস করেই ফেললাম, , , , ,
আমি- কিরে আজ খুব খুশি মনে হচ্ছে ।
তোয়া- হু আজ আমি অনেক খুশি।
আমি- কেন কি হয়েছে।
তোয়া- জানিস আজ একজন আমাকে প্রোপজ করবে।
আমি- কি বলছিস এই সব।আর কে তোকে প্রোপজ করবে।(অবাক হয়ে)
তোয়া- হু ঠিকি বলছি।আর আমি যাকে অনেক ভালোবাসি সেই নিজে আমাকে প্রোপজ করবে।
আমি- কে সে একবার বল।
তোয়া- হিহিহিহিহিহি সময় হলেই দেখবি।
হাটতে হাটতে কখন যে কলেজে চলে এসেছি খেয়ালি নেই।তারপর তোয়ার নিজের ক্লাসে চলে গেল।
হুর ভাললাগেনা মেয়েটা কেন যে বোঝেনা আমায়।
আমি আর ক্লাসে না জেয়ে কলেজে একটা গাছতলায় জেয়ে বসলাম।কি করব ভাবছি আমি কি আমার ভালোবাসার কথাটা বলব। যদি না করে দেয়।
কিন্তু আজ যদি না বলি তবে আর হয়তো কোনো দিনো বলার সুযোগ হবে না !
ক্লাস শেষ হবার পর দেখলাম তোয়া আর আগের দিনের সেই ছেলেটা।হাসতে হাসতে ক্লাসের থেকে বের হচ্ছে ।
দুই জনে কলেজ ক্যাম্পাসে এসে একটা জায় গায় দারালো।মনে হয় ওই ছেলেটাই
রাক্ষসীটাকে প্রোপজ করবে। ছেলে টার হাতে মনে হচ্ছে কিছু একটা রয়েছে।হু
একটা গোলাপ।
আমি এখন কি করব হু ছাই ভাললাগেনা।যা হয় হবে আজ কপালে যা আছে তাই হবে তাও আমার মনের কথাটা ওকে বলতেই হবে।
আমি আর আগে পেছনে না দেখে সোজা ওদের সামনে দারালাম।
আমি তোয়াকে বললাম, , , , ,
আমি- ওই তোয়া শোন তোর সাথে একটা কথা আছে।
তোয়া- কি বলবি তারাতারি বল।
আমি- এখানে বলা যাবেনা।তুই এই দিয়ে আই।
তোয়া- এখানে বলতে পারলে বল না হলে আমি এখন যেতে পারব না।
আমি আর কি করব।আমিও জোরে চিৎকার দিয়ে বললাম, , , ,
. . . . I Love You towa, , , , ,
আমার কথায় পুরো ক্যাম্পাস শান্ত হয়ে গেলো।সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।
আমি তোয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি ওর চোখে মুখে কোনো অবাকত্ত নেই।মনে হচ্ছে ও
আগে থেকেই যানতো আমি এমন একটা কিছু করব।ও এসে আমার সামনে দারিয়ে ঠাসসস
ঠাসসস. করে ২ টো বসিয়ে দিলো দুই গালে।
আমি আর কি করব । আমিও পেছনফিরে হাটা শুরু করলাম।কিন্তু একটু যেতেই কেউ আমার কলার টেনে ধরলো।
আমি পেছনে তাকিয়েতো অবাক তোয়া আমার কলার ধরে মিটি মিটি হাসছে ।
আমি কিছু না বলে মাথা নিচু করে দারিয়ে থাকলাম।তখন তোয়া বলল, , , ,
তোয়া- ওই পিচ্চি মাথা তোল।
আমি মাথা তুলতেই তোয়া এক লাফে আমার বুকের মাঝে চলে আসলো।আমি কিছু বুঝতে পারছিনা ব্যাপারটা কি।তখন তোয়া বলল, , , , ,
তোয়া- ওই ভালবাসিস আর বলতে পারিস না।হু
আমি- তুই যদি মানা করে দিস তাই বলিনি।কিন্তু তুই তো অন্য কাউকে পছন্দ করিস তবে আমাকে জরিয়ে আছিস কেন।
তোয়া- কে বলল আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি।
আমি- তুই তো আসার সময় বললি তুই যাকে ভালোবাসিস সেই তোকে আজ প্রোপজ করবে।
তোয়া- তাই তে করেছে।
আমি- মানে।
তোয়া- তুই পিচ্চি তো পিচ্চি ।আমি তোকেই ভালোবাসি আর তুই আমাকে প্রোপজ করেছিস।
আমি- আর ওই ছেলেটার হাতে গোলার কেন ।
তোয়া- ও ওকে আজ তোদের ক্লাসের তন্নি প্রোপজ করেছে।
আমি- ও।এবারতো আমাকে ছার।
তোয়া- না ছারব না।
আমি- তবে একটা পাপ্পি দে।
তোয়া- কি বললি ।তোরে এক লাথি দিয়ে পদ্মা নদীতে ভাসিয়ে দেব।
আমি- ঠিক আছে দেতে হবেনা।( অভিমান করে)
তোয়া- আচ্ছা আগে এখান থেকে চল ।বাড়িতে গিয়ে পাপ্পি দেবনি।
আমরা জায় আজ রাক্ষসীটার কাছথেকে এত্ত গুলা পাপ্পি নেব।আর আপনারাও জান ।পাপ্পি নিতে না যে যার কাজে জান।
ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com