Breaking News

সিনিয়র রাক্ষসী VS কিউট ছোটো পুলা | পর্ব -০১



“ওই দারা”
আমি বিকেলে ক্রিকেট খেলে ফিরছিলা এমন সময় কে জেন উপরের ওই কথাটা বলে উঠলো। আমি পেছনে তাকি দেখে ” এ বাবা এই মেয়ে এখানে কি করছে।” আমি বুঝতে পেরেছি কি জন্য ও আমাকে ডাকছে। তাই আমি আর ওর কাছে না জেয়ে বাড়ির দিকে দেলাম এক ভোদৌর।আর ও আমার পেছন পেছন দৌড়াছে আর বলছে।
. “ওই দারা না হলে পরে ধরতে পারলে তোকে খুন করে ফেলবো।”

আমি ওর কথায় কোনো কান না দিয়ে এক দৌড়ে আমার ঘরে চলে আসলাম।তারপর নিজের রুমের ভেতর ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিলাম।যদি আজ আমাকে ধরতে পারতো তবে আমি নিশ্চিত ও আমাকে মেরে তক্তা বানিয়ে দিতো।
ও আপনাদের তো পরিচয় দিলাম না। কোনো ব্যাপার না এখনি দিয়ে দিচ্ছি ।।
আমি হলাম “নীল” এবার অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র ।আমি একটু ফাজিল টাইপের
পুলা। সারা দিন আমার একটাই কাজ বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া আর না হয়
ক্রিকেট খেলা ।
আর যে মেয়েটা আমাকে দৌড়ানি দিলো তার নাম “তোয়া”
বয়েসে আমার এক বছরের সিনিয়র । মানে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী । আমরা
ছোটো থেকেই পাশাপাশি বাড়িতে থাকি এক সাথেই বড় হয়েছি আর একই কলেজে
পরি।কিন্তু একটা কথা বালিকা সেই লেভেলের পাজি রাক্ষসী ।কি ভাবছেন বেশি
খাই।আরে না এটা সেই রাক্ষসী না এটা অন্য রকম রাক্ষসী ।কিছু বুঝলেনাতো আসলে
সব সময় কি করে আমাকে পেরা দেবে সেই বুদ্ধি করে।আর বার বার আমি ওর বুদ্ধির
কাছে হেরে জায় । যদি বুদ্ধি দিয়ে না পারে তবে তার কাছে একটা হাতিয়ার আছে
আমাকে পেরা দেওয়ার ।আর সেই হাতিয়ার হলো আমার বাবা আর মা। আমার বাবা মা
আমাকে যত না ভালোবাসে তারথেকে বেশি ভালোবাসে ওই রাক্ষসীকে
আর ওই
রাক্ষসীটা আমাকে দৌড়ানি দেওয়ার কারণ হল ওর বুদ্ধি আমি ওর ক্ষেত্রেই
ব্যাবহার করে ওকে ফাসিয়ে দিয়েছি তাই আমাকে খুজে বেরাছে।
আসলে কাল
কলেজে জেয়ে দেখি ও একটা ছেলের সাথে বসে গল্প করছে তাই সুযোগটা কাজে
লাগালাম ।ওর আর ছেলেটার একটা পিক তুলি ওর বাবার কাছে দেখিয়ে দিছিলাম।আর
ওকে দেখেই বুঝেছি ওর বাবা মানে আংকেল নিশ্চিত আচ্ছামত ঝারি দিয়েছি।তাই তার
শোধ নেবার জন্য আমাকে খুজছে ।কিন্তু আমাকে ধরতে পারেনি ।হিহিহি ।
আমি নিজের ঘরে এসে শুয়ে শুয়ে একটু fb ঘাটা ঘাটি করছি এমন সময় বাইরে থেকে কে জেন দরজা ধাক্কা দিচ্ছে ।তাই আমি বললাম, , , , ,
আমি- কে ।
তোয়া- ওই দরজা খোল হারামি। আজ তোকে খুন করে ফেলব।
আমি- হু আমি কি পাগলনাকি যে দরজা খুলি আর তুই এসে আমাকে আচ্ছামত কেলানি দাও।
তোয়া- ওই তুই দরজা খুলবি কিনা বল।
আমি- খুলব না যা পারিশ তাই কর।
তোয়া- কত সময় ঘরে বসে থাকবি । খাওয়ার সময়তো ঘরথেকে বেরহবিই।
আমি- না তাও বেরহব না।
তোয়া- দেখা যাবে।
এই বলেই মনে হল ও চলে গেল।আর আমি ঘরের মধ্যে বসে থাকলাম। কিছু খনপর ঘুম আসাতে ঘুমিয়ে গেলাম।

রাতপ্রায় নয়টার সময় আমার ঘুম ভাঙ্গলো। কিন্তু অবাক করা বিষয় হল আমাকে
কেউ ডাকলোনা কেন।আমি বাইরে যাবো তারো কোনো উপায় নেই । এই দিকে পেটে ইদুরে
লাফালাফি করছে ।আর আমার ইচ্ছে মত গালি দিচ্ছে ।শালা কি করতে যে “যেচে ষাঁড়
পোঁয়ালগাদায় নিতে গেলাম।” এখন না খেয়েই মনে হয় সারারাত কাটাতে হবে।কি
আর করব পেটে ভেজা কাপর বেঁধে আবার ঘোমানোর চেষ্টা করলাম।কিন্তু ঘুম আর
আসেনা।তাই বাইরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।
বাইরে এসে দেখি কেউ কোথাও
নেই ।পুরো বাড়ি ফাকা কি ব্যাপার বাবা মা গেলো কই। হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলো
।আর আমি অন্ধকারের মধ্যে এক দৌড়ে আমার ঘরে খাটের উপর উঠে পরলাম।আসলে আমি
অন্ধকারকে হেব্বি ভয় পাই।আমি শুনেছি যে অন্ধকারে নাকি ভুত ঘুরে বেরাই।

আমি খাটের উপর উঠে চাদর মুরি গিয়ে শুয়ে পরলাম।হঠাৎ মনে হল ঘরেরে মধ্যে
কে ঢুকলো।ে নিই ।তরপর বুকরি বলে ক্ষেপায়।কিন্তু সেই আসাটা দমন করতে হল।

পরের দিন কলেজ নেই তাই সকাল সকাল উঠে পাজিটাকে সায়েস্তা করার একটা
প্লান করলাম। হিহিহি আজ পাজিটা একটা উচিৎ শিক্ষা দেব।তারপর আমার প্লান
মাফিক কয়েকটা আরশলা ও কিছু টিকটিকি ধরলাম একটা কাগজের মধ্যে। তারপর সোজা
গিয়ে তোয়াদের বাসার কলিংবেল চপদিলাম। আন্টি এসে দরজা খুলে দিলো। আমাকে
দেখে আন্টি বলল, , ,
আন্টি – কি ব্যাপার নীল বাবা তুমি এত সকালে কি মনে করে?
আমি- তেমন কিছু না আন্টি । আচ্ছা রাক্ষসীটা ঘুম থেকে উঠেছে।
আন্টি- নারে বাবা ওই মেয়েকে নিয়ে আমি আরপেরে উঠলাম না।কখন থেকে ডাকছি কিন্তু দেখ পরেপরে শুধু ঘুমাচ্ছে ।
আমি- দারান আমি দেখছি ওকে কি করে তোলা জায়।

এই বলে আমি সোজা রাক্ষসীটার রুমে চলে গেলাম। যেয়ে দেখি রাক্ষসীটা মনের
আনন্দে ঘুমাছে।দেখে কতইনা ইনোসেন্ট বলে মনে হচ্ছে ।আহা কি সুন্দর লাগছে
দেখতে একদম সওরা গাছের পেত্নির মত।হিহিহি
আহা কি ঘুম ।দারা আজ তোর ঘুম বের করছি । পেকেটে করে আনা আরশলা আর টিকটিকি গুলো সারা ঘরে ছরিয়ে দিলাম।

আমি বাইরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলাম। তারপর যেয়ে আন্টির কাছে বসে পরলাম।
আন্টি আমাকে কিছু খাবার এনে দিলো তারপর তিনি রান্না ঘরে চলে গেলেন।আমি সেই
গুলো খাচ্ছি আর ভাবছি এখনো পর্যন্ত কিছু হলো না কেন।ভাবতে ভাবতে সে কি
বিকট চিৎকার মনে হচ্ছে যেন রাক্ষসী রাজ্যে যুদ্ধ লেগেছে (হিহিহি) কি মজা
দেখ কেমন লাগে আমার সাথে পাঙ্গা নেওয়া। হঠাৎ চিৎকার বন্ধ হয়ে গেলো। কি
ব্যাপার চিৎকার থেমে গেল কেন ।
আমি রাক্ষসীটার ঘরের কাছে জেয়ে দেখি
আন্টি রান্নাঘর থেকে দৌড়ে এসে দরজা খুলে দিলো।আমিও জেয়ে রুমে
ঢুকলাম।রুমে ঢুকেইতো আমি একটা বড় ধরনের একটা ধাক্কা খেলাম।।
চলবে, , , , ,
অনের দিন পর আবার গল্প লিখলাম জানিনা কেমন হবে ।ভুল হলে ক্ষমা করবেন।
গল্পটার প্রথম পার্ট তাই কম দিলাম ভালো লাগলে বাকি টুকু তারাতারি পেয়ে যাবেন।

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com