Breaking News

প্রতিশোধ | পর্ব - ৩

জারা যা বলল তাতে দিয়ার প্রতি আমার রাগটা আরো বেশি বেড়ে গেল।”*
তাহলে শুনুন ও কি বলল, , , , , ,
জারা-জানিস আমি এখানে কেন এসেছি।
আমি-সেটাই তো জানতে চাইছি। তুই এখানে কি করে আসলি আর কেনইবা আসলি।
জারা-*আমি এখানে এসেছি আমার ভই এর মৃত্যুর জন্য যে দায়ি তার কাছ থেকে প্রতিশোধ নিতে ।
আমি-কি হয়েছে তোর ভাই এর।আর কারকাছ থেকে প্রতিশোধ নিবি।
জারা-দিয়ার কাছথেকে নেব প্রতিশোধ ।(রেগে)
আমি-দিয়া কি করেছে(অবাক হয়)
জারা-তা হলে শোন।
“তুই তো জানিস *আমি* আর আমার ভাই *রাজু* লন্ডনে মামার বাড়িতে থাকতাম।
কিন্তু এক দিন ভাই দেশে আসার জন্য উঠে পড়ে লাগে । এক পর্যায়ে সে জোর করে
দেশে ফিরে আসে। আমি আর আসিনি ওখানেই থেকে গেছিলাম। এখানে আসার পর থেকেই
রাজু* প্রতিদিন ফোন করে আমাদের খোজ খবর নিত। হঠাৎ একদিন ফোন করে বলল, ,
রাজু-* কেমন আছিস দিদি।
আমি(জারা)-*ভালো ।তুই ।
রাজু-*আমি ভালো। আর তোকে একটা খুশির খবর দেব বলে ফোন করেছি।
আমি-*কি খবর।
রাজু-*আমি না একটা মেয়ের প্রেমে পরেছি।
আমি-*সত্যি । মেয়েটাকে প্রোপজ করেছিস।
রাজু-*হ্যা করেছি।আর ও এক্সেপ্ট করেছে।
আমি-* সত্যি ।মেয়েটার নামকি।
রাজু-*দিয়া চৌধুরী ।
আমি-* ওওও।

এর পর থেকে ওদের রিলেশন শুরু হয়। দেখতে দেখতে ৬টা মাস কেটে যায় ।হঠাৎ
একদিন রাজু ফোন করে বলে দিয়া নামের মেয়েটা নাকি ওকে ধোঁকা দিয়েছে। ওর
সাথে ব্রেকআপ করেছে। এরপর থেকে রাজু অনেক বদলে জায় । কিন্তু দিয়া যে ওকে
ধোঁকা দিয়েছে সেটা ও মেনে নিতে পারছিল না। রাজু দিয়াকে অনেক ভালোবাসতো।
একদিন হঠাৎ আমার কাছে একটা ফোন আসে । আর ফোনের ওই পাশথেকে যে কথাটা শুনতে পাই তা শুনে আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরে।
*এই কথা টুকু বলে জারা থেমে গেল ওর চেখ দিয়ে পানি পরছে। তাই আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম কি শুনেছিলি বল
জারা বলল, 

জারা-*ফোনের ওই পাশথেকে কেউ এক জন বলল আমার ভাই রাজু নাকি আর এই পৃথিবীতে
নেই । আমি এই কথা শুনে কি করব বুঝতে পারছিলাম না। তারপর আমি লন্ডন থেকে
এখানে আসি। আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে আমার ভাই এর মৃত্যুর প্রতিশোধ নেব।
তাই এখানে এসে আগে দিয়ার সাথে বন্ধুত্য করি। তারপর থেকে সুযোগ খুজছি। আমার
ভাই এর মৃত্যুর প্রতিশোধ নেবার ।


আমি জারা দিকে তাকিয়ে দেখি ওর চোখ দিয়ে পানি পরছে। আমি কিছু বললাম না।
আমি- আচ্ছা তোর ভাই এর কোনো ছবি আছে।
জারা- হু ।এই দেখ এটা আমার ভাই (ফোনথেকে ফটো বের করে)
আমি ফোটোটা দেখে অবাক হলাম।কারণ ফটোটা সেই দিনের ওই রাজু নামের ছেলে টার।
আমি- এটা তোর ভাই ।
জারা- হ্যা কেন চিনিস নাকি।
আমি- হ্যা আমি তো ওকে আগে দেখেছি।
জারা- কোথা।(অবাক হয়ে)
আমি তারপর সেই দিনের সব ঘটনা বললাম।
আমি- আমি যদি আগে জানতাম। তাহলে হয়তো ও মরতো না।
জারা- হয়তো।


তারপর অনেকটা সময় নিরাবতা । জারা নিরাবতা ভেঙ্গে জিজ্ঞেস করলো।
আচ্ছা তুই এখানে একা । মেঘ আসেনি তোর সাথে ।*
আমি-* না ও আসেনি। আর কোনো দিনো আসবে না।(কাঁদে দিয়েছি)
জারা-*কেন কি হয়েছে। আর তুই কাঁদছিস কেন।
আমি-*মেঘ আর এই পৃথিবীতে নেই।
আমার কথা শুনে জারা এমন ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছে যেন আমি ওকে মিথ্যা কথা বলছি।
জারা-*কি বলছিস এই সব উল্টো পাল্টা ।
আমি-*আমি ঠিকি বলছি।
জারা-*কি করে মারা গাছে।(কাঁদছে)
আমি-*সুইসাইড করেছে।
জারা-*কিন্তু কেন।
আমি-*তাহলে শোন।

আজ থেকে প্রায় ৬ বছর আগে। মেঘ এখান কার একটা ভালো কলেজে পরার চান্স পাই ।
আমি ওকে মানা করে ছিলাম এখানে আসতে । আমি বলেছিলাম আমার সাথে usa যেতে।
কিন্তু ও নিজে কিছু করতে চেয়েছিল তাই ও একানে ভর্তি হয়। একানে একটা
ভারাবাড়িতে থাকতো। মাঝের মধ্যে আমির যখন ওর কথা খুব মনে পরতো তখন আমি ওর
কাছে চলে আসতাম।একবার আমি ওর সাথে দেখা বকতে এসেছিলাম, , , , , ,,তখন আমি
মেঘের কাছথেকে জানতে পারি যে ও বাড়িওয়লার মেয়োকে ভালোবাসে। তাই আমি ওকে
মেয়েটার সাথে কথা বলতে বলি।কিন্তু মেয়েটা ওকে পছন্দ করতো না। তাই
মেয়েটা ওকে রিজেক্ট করে দেই।


আর অামারো জাওয়ার সময় হয়ে গেছিল।
তাই আমাকে আবার usa ফিরে যেতে হয়। মেঘের সাথে প্রায় কথা হত আমার একদিন মেঘ
আমাকে ফোন করে বলে, ,
মেঘ-*কেমন আছিস নীল।
আমি-*ভালো আছি।তুই কেমন আছিস।
মেঘ-*আমি ভালো নেইরে ভাই।
আমি-*কেন কি হয়েছে।
মেঘ-*জানিস নীল আজ আমি আবার ওকে প্রপোজ করেছিলাম।কিন্তু ও আজ আমাকে অনেক অপমান করলো।আর বলল ও অন্য এক জনকে ভালোবাসে।
আমি-*কষ্ট পাসনা ভাই দেখবি একদিন ও ঠিক তোর ভালোবাসাটা বুঝাতে পারবে দেখিস।
মেঘ- তোর কথাই জেন সত্যি হয়।
আমি দেখেছি মেয়েটার জন্য মেঘ কত কষ্ট পেত। মেয়েটার জন্য আমি মেঘকে কাঁদতে দেখেছি।

এরপর অনেক দিন চলে জায়। দেখতে দেখতে মেঘ অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের উঠে
যায়। তাও ও মেয়েটাকে ভুলতে পারেনি।। একদিন আমি ঘরে শুয়ে আছি।হঠাৎ আমার
ফোনে মায়ের ফোন আসলো আমি ফোন রিসিভ করে , , , , , ,
আমি- হ্যা মা বলো।
মা- (কাঁদছে)
আমি- কি হয়েছে মা কাঁদছো কেন।
মা- (এবার জোরেই কেঁদে দিলো)

আমি বারবার মার কাছে জিজ্ঞেস করছিলাম কি হয়েছে। কিন্তু মা কিছু বলতে
পারছিল না। আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছিলাম যে মা কিছু বলছে কিন্তু কাঁদছে বলে
কথাটা মুখ দিয়ে বের হচ্ছে না।
তখনি মনে হয় বাবা মার কাছথেকে ফোনটা নিয়ে বলল, , ,
বাবা- নীল তারাতারি বাড়ি ফ্রিরে আই বাবা।
আমি- কি হয়েছে বাবা মা কাঁদছে কেন।
বাবা- নীল, , মেঘ সুইসাইড করেছে। ও আর নেই ও আমাদের ছেরে চলে গেছে।

আমি কিছু বলতে পারছিনা। আমার মুখদিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে না। মনে হচ্ছে
আমি বোবা হয়ে গেছি।আমার মাথায় কিছু আসছিল না। পাগল যেমন কি করছে সে নিজেও
জানেনা আমার অবস্থাটাও ঠিক ওইরকম হয়ে গিয়েছিল। আমিও কি করছি বুঝাতে
পারছিনা।অনেক কষ্টে দেশে ফিরে এসেছিলাম সেই দিন। কিন্তু সেই দিন আমি মেঘকে
শেষ বার দেখতেও পারিনি।অনেক কেঁদেছিলাম সেদিন। ও সুইসাইড করলো কেন। আমি
কিছু বুঝতে পারছিলাম না।পরে খবর নিয়ে জানতেপারি যে মেঘ মরার কিছু দিন আগে
মেয়েটা নাকি ওকে খুব খারাপ ভেবে অপমান করেছে। 

এমনকি ক্যম্পাসে ওর বয়ফেন্ডকে দিয়ে মার খাইয়েছে। আমি সে দিনি ভেবে নিয়েছিলাম যে এর
প্রতিশোধ নেব। কিন্তু তারআগে নিজের পায়ে দারাতে হবে। তাই আমি আবার usa
ফিরেযায়।আর আজ ৫ বছর পরে আমার প্রতিশোধ নিতে ফিরে এসেছি।
এই টুকু বলে আমি থেমে গেলাম।তখন জারা বলল, , , , , ,
জারা- সব বুঝলাম কিন্তু মেয়েটা কে।
আমি- মেয়েটা আর কেউ না ।মেয়েটা হল দিয়া।
জারা- কি। তাহলে তুই ওর বফ হলি কেন।
আমি- বফ হয়েই তো আমি ওর থেকে প্রতিশোধ নেব।
জারা- কিন্তু তুইতো বললি ওর বফ ছিল।
আমি- আমিও ঠিক এই বিষয়টা বুঝাতে পারছিনা।
জারা- ওকে আমি ওর কাছে ওর আগের বফ এর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে দেখব কি বলে।
আমি- ওকে । এখন থেকে আমি আর তুই মিলে ওর কাছথেকে আমাদের প্রতিশোধ নেব।

তারপ কিছুখন কথা বলে ওখান থেকে।বাড়িতে যাবার জন্য বের হলাম। গাড়িতে করে
বাড়িতে যাচ্ছি হঠাৎ আমার চোখ রাস্তায় ওই পাশে আটকে গেল। আমি এটা কি ঠিক
দেখলাম নাকি আমার চোখের ভুল। ওটাতো, , , 

আমি আরকিছু না ভেবে বাড়িতে চলে আসলাম।
বাড়িতে এসে নিজের ঘরে শুয়ে আছি। তখনি দিয়া আমার ঘরে আসলো।এসেই বলল, , , , ,
দিয়া- এত সময় কোথায় ছিলে।
আমি- না মানে একটু কাজ ছিল তাই বাইরে গেছিলাম।
দিয়া- ও। তা কোন কাজে গেছিলে।
আমি- অফিসের কাজে ।
দিয়া- আমি ভাবলাম হয়তো তুমি কারোর সাথে দেখা করতে গেছিলে।
আমিতো ওর কথা শুনে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম।তা হলে কি ও জেনে গেল। জানতেই পারে কারণ, 


তারপর আমি আমতা আমতা করে বললাম, 
আমি- আ আমি কার সাথে দেখা সরতে যাব হু।
দিয়া- মনে হল তাই বললাম।
আমি- তোমার মোন ভুল বলছে।
দিয়া- হয়তো। আচ্ছা চলো না আজ বিকেলে ঘুরতে যায়।
আমি- কোথায় যাবে।
দিয়া- কোনো এক পার্কে।
আমি- ওকে ঠিক আছে যাব।

এরপর ওর সাথে গিয়ে খেয়ে আমি আমার ঘরে এসে একটু ঘুম দিলাম। তারপর বিকেলে
রেডি হয়ে দিয়াকে ফোন করে আসতে বললাম। ও কিছুখন পর বাইড়ে আসল ।
একসাথে গাড়িতে করে একটা পার্কে গেলাম।আমি আর দিয়া পাশাপাশি বসে আছি।হঠাৎ দিয়া বলল, , , ,


দিয়া- আচ্ছা নীল যদি কোনো দিনো আমি তোমাকে বলি ।তুমি আমার জন্য কি করতে পারো।তা হলে তোমার উত্তর কি হবে।
হঠাৎ দিয়ার এমন কথা শুনে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম। কি বলতে চাই মেয়েটা।আমি কি বলব কিছু বুঝতে না পেরে বললাম।
আমি- তোমার জন্য আমি সব করতে পারি।
দিয়া- সত্যি ।
আমি- তোমার কি মনে হয় আমি মিথ্যা বলছি( অভিমানি কন্টে)
দিয়া- আমি কি তাই বলেছি।
আমি- না।
কিছু খন পর দিয়া আবার বলল, , ,
দিয়া- আচ্ছা নীল তুমিতো কোনো দিনো বলোনি ।যে এখানে তুমি কি কাজে এসেছো।
আমি- কি আর কাজ হবে। অফিসের কিছু কাজ ছিল।
দিয়া- ওওও।
আমি- আচ্ছা আজ তুমি এমন প্রশ্ন করছো কেনো।
দিয়া- এমনি।জানত ইচ্ছে হল তাই।
আমি- ও ।


তারপর পার্কে অনেকটা সময় কাটিয়ে।আমি আর দিয়া বাড়িতে চল আসলাম।

এরপর থেকে দিয়াকে আমার প্রতি অনেক বেশি দূর্বল করতে থাকি।
এমন ভাবে অনেক কটা দিন চলে যায়। এর মাঝে জারা আর আমি অনেক প্লান করেছি।
যে কি করে দিয়া থেকে প্রতিশোধ নেবো। কিন্তু আমরা যা প্লান করি তা সফল হয়না।
আমরা একবার ওকে ছাদ থেকে ফেলে দিতে চেযেছিলাম ।কিন্তু তা সফল হয় নি। 
হবেই বা কি করে আমার মনে হয় ও আমাদের প্লান কোনো ভাবে জেনে যায়।
আর ও কি ভাবে জানে আমি সেটা মনে হয় খুব ভালো করে জানি ।
আজ নিজের ঘরে বসে আছি ।হঠাৎ দিয়া আর জারা আমার ঘরে এলো। এসে বলল, , 

চলবে...

ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন।

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com