প্রতিশোধ | লেখক-R.s(নীল) | পার্ট-4(শেষ)
আমি আমার ঘরে শুয়ে আছি এমন সময় দিয়া আর জারা আসলো আমার ঘরে এসেই দিয়া বলল, , , , ,
দিয়া- ওই নীল কি করো বাবু।
আমি- এইতো শুয়ে আছিলাম।
দিয়া- কেন শরীর খারাপ না কি।
আমি- না না এমনিই শুয়ে আছি।
দিয়া- আচ্ছা তোমার সাথে আজ এক জায়গাতে যাব।
আমি- কোথায় ।
জারা- আপনার জন্য আজ একটা সারপ্রাইজ আছে।আর আজ কের সারপ্রাইজ আপনি কোনো দিনো ভুলতে পারবেন না।
আমি- কি এমন সারপ্রাইজ যে কোনো দিনো ভুলতে পারবো না।
দিয়া- সারপ্রাইজ বলে দিলেতো আর সেটা সারপ্রাইজ থাকেনা।শুধু এটা জেনে রাখো আজকে পরথেকে তোমার জীবনটা বদলে যাবে ।
কি বলতে চাইছে ও ।আর আজ হঠাৎ এমন বলার কারণ কি।তাহলেকি আজ, , , , , , হু এমনি হবে মনে হয়।
আমি- আচ্ছা কখন যাবে।
দিয়া- সন্ধা ৬ টাই ।
আমি- ঠিক আছে।
ওরা চলে গেল আর আমি ফোন দিলাম একজনের কাছে ।তারপর সব কথা বলে ফোমটা রেখে দিলাম।
প্রায় ৬টাই আমি আর দিয়া বের হলাম। আমি দিয়াকে বললাম, , , , , ,
আমি- দিয়া জারা আসবেনা।
দিয়া- ও পরে আসবে।
আমি- ওওওও।আচ্ছা আমরা কোথায় যাচ্ছি ।
দিয়া- গেলেই দেখতে পাবা।
আমি আর কিছু বললাম না।আমি চুপচাপ বসে থাকলাম।কিছু খনপর একটা বাড়ির সামনে
জেয়ে থামলাম।তারপর বাড়ির ভেতর গেলাম ।দেখে মনে হচ্ছে কোনো পার্টি হচ্ছে
।কিন্তু বেশি লোক নেই কয়েরটা মেয়ে আর কয়েকটা ছেলে। তাদের ভিতরে জারাও
আছে। জারা যখন আছে তারমানে সেও আছে।আমি মনে মনে তাকে খুজতে লাগলাম।আমার এমন
আচরণ দেখে দিয়া বলল, , , , , ,
দিয়া- কি হল এমন করছো কেন।
আমি- কিছু না।
তারপর সবাই নাচগানে মেতে উঠলো।
আমার এখন ভয় করছে আমি যা করতে এসেছি তাতে যদি হিতের বিপরীত হয়।ওদের
শাস্তি দিতে গিয়ে যদি আমার লাইফ রিক্সে পরে ।যা হবে হোক আমি আমার জীবনের
বিনি ময়ে হলেও প্রতিশোধ নেবই।
আমি সবাইকে লক্ষ করছি।হঠাৎ দেখলাম জারা জুস নিয়ে দিয়ার দিকে যাচ্ছে ।তারপর সেই জুসটা দিয়ে কি জেন বলল।
আর দিয়া জুসটা নিয়ে আমার দিকে এগিয়ে এসে জুসের গ্লাসটা আমার হাতে দিয়ে বলল, , , ,
দিয়া- এই নাও এটা খেয়ে নাও।
আমি- আমার এখন কিছু খেতে ইচ্ছে করছে না ।
দিয়া- আর খাও কিছু হবে না।
আমি- ঠিক আছে দাও।
আমি জুসটা হাতে নিয়ে রেখে দিলাম।দিয়ে বলল কি হল খাও।আমি গ্লাসটা হাতে রেখে দিয়ে বললাম, , , , , ,
আমি- হু খেয়ে নেবনি।
দিয়ে- মনে করে খেয়ে নিও কিন্তু ।
আমি- ঠিক আছে ।
তারপর দিয়া জেয়ে ওদের সবার সাথে নাচা শুরু করলো।আর আমি সুযোগ বুঝে
।জুসটা ফেলে দিলাম।তার কিছু খন পর আমি দিয়ার কাছে জেয়ে বললাম, , , , , , ,
আমি- দিয়া আমার না মাথার মধ্যে কেমন করছে।
দিয়া- কেমন হচ্ছে মাথা ঘুরছে বুঝি। হাহাহাহহা
আমি- হু প্রচন্ড মাথা ঘুরছে।কিন্তু তুমি হাসছো কেন।
দিয়া- হাসবোনা তো কি করব। আজ তোমার প্রতি আমার খুব হাসি পাচ্ছে । হাহাহাহাহাহা
আমি- কেননননননন
আমি অজ্ঞান হওয়ার নাটক করলাম।সাথে সাথে নাচগান বন্ধহয়ে গেলো।কে জেন
আমাকে ধরে টেনে তুলে নিয়ে যাচ্ছে আমি তাকে দেখার জন্য অল্প একটু চোখটা
খুললাম।হ্যা এটা রাজুই ছিল।আর সেদিন জারার সাথে কথা বলে আসার সময়ও রাজুকে
দেখেছিলাম।
রাজু আমাকে ভেতরে নিয়ে গিয়ে একটা চেয়ারের সাথে হাত পা
বেঁধে দিলো। আর আমি ওই রকম অবস্থাতেই অজ্ঞান হওয়ার নাটকটা করে গেলাম।
কিছু খন পর দেখলাম ঘরের ভেতর এক এক করে সবাই ঢুকে পরলো।দিয়া, জারা, আর
রাজু তারপর জারা বলল, , , , , ,
জারা- রাজু ওর মুখে জলের ছিটি দে।
রাজু- হু দিচ্ছি ।
তারপর রাজু আমার মুখের উপর জল ছিটিয়ে দিলো।আর আমি আবার জ্ঞান ফেরার নাটক করে বললাম, , , , , , , ,
আমি- কি হল দিয়া আমাকে এমন করে বেঁধে রেখেছো কেন ।
দিয়া- আজ তোর শেষ দিন বলে বেঁধে রেখেছি।
আমি- মানে কি। আমার হাত পা খুলে দাও বলছি।
দিয়া-তোর হাত পা খুলে দেব কিন্তু তোকে উপরে পাঠানোর পর।
আমি- মানে।
তখনি জারা বলল, , , , ,
জারা- আজ তোকে খুন করবো।ঠিক যেমনটা মেঘের করেছিলাম।
আমি- জারা তুইও।আর তুই না বলেছিলি রাজু মারা গেছে ।আর মেঘকে তোরা খুন কেরে ছিস।
জারা- হ্যা আমি ও।আর আমার ভাইয়ের কিছু হয়নি দেখ ও কেমন সুস্থ সবল ভাবে
দাড়িয়ে আছে ।আর হ্যা মেঘকে আমরাই মেরে ছিলাম। তোকে এখন ঠিক যেখানে
বাঁধা।ঠিক মেঘকেও বেঁধে রেখেছিলাম।
আমি- ও কি এমন করেছিল যে তুই ওকে মেরে ফেললি ।
জারা – তবে শোন।, , , ,
আমি আর আমার ভাই লন্ডনথেকে প্রায় ৮ বছর আগে এখানে চলে আসি।কারণ বাবা মা
একটা গাড়ি এক্সিডেন্টে মারা জায়।আর কাকারা সেই সুযোগ আমাদের সব সম্পত্তি
নিজেদের নামে করে আমাদের দুজনকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।কি করব কিছু
বুঝতে পারছিলাম না।তারপর আমি আর আমার ভাই মিলে একটা কাজ করি। কি কাজ জানিস
হিরোইন পাঁচার।তারপর আস্তে আস্তে আমরা বড় লোক হতে থাকি।এমন ভাবেই দিন
চলছিল আমাদের। আর এর মাঝে দিয়া আসে আমার ভাইয়ের জীবনে। আর দিয়াও আমাদের
ব্যাপারে সব জানতো। একদিন দিয়া বলল যে ওকে কেউ প্রোপজ করেছে ।তাই আমি আর
রাজু তাকে দেখতে জায় ।কিন্তু তাকে দেখে আমি যতটা না অবাক হয়েছিলাম
তারথেকেও বেশি খুশি হয়ে ছিলাম।হ্যা ছেলেটা আর কেউ না আমি যাকে ছোটো থেকে
ভালোবাসতাম সেই মেঘ ।
আমি ওর সাথে কথা বলে জানতে পারি যে ও দিয়াকে
অনেক ভালোবাসে।তারপর প্লান করি কি করে ও জীবন থেকে দিয়ার নামটা মুছে
ফেলবো । কিন্তু ও এতটাই দিয়ার জন্য পাগল ছিল যে ও দিয়া ছারা আর অন্য
কাউকে ওর আসে পাশে দেখতে পারতোনা।ওকেউ যে কেউ ভালবাসে সেটা ওর চোখেও পরতো
না।
আমি ওকে প্রোপজ করে ছিলাম কিন্তু ও আমাকে ফিরিয়ে দিয়ে ছিল ।
তারপর থেকেই আমি ওর পেছনে পরে থাকি কিন্তু ও আমাকে কোনো পাত্তা দিতো
না।দেখতে দেখতে মেঘের প্রথম yer শেষ হয়ে গেল। এক দিন আমি দিয়া আর রাজু
মিলে প্লান করলাম যে এমন একটা কিছু করতে হবে যাতে ও দিয়াকে ঘৃণা করে ।তাই ও
যখন দিয়াকে প্রোপজ করেছিল তখন দিয়া ওকে জুতো দিয়ে মেরে ছিল।এমন কি আমার
ভাই আর ওর বন্ধুরা মিলেও ওকে অনেক মারে কিন্তু ও তাও দিয়াকেই
ভালোবাসাতো।তাই আমি একদিন ওকে পার্কে ডাকি , , , , , ,
আমি(জারা)- মেঘ কেন তুমি বুঝতে পারোনা আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি ।
মেঘ- কিন্তু আমি দিয়াকে ভালোবাসি।
আমি- প্লিজ তুমি আর আমাকে এমন করে কষ্ট দিও না।তোমার কাছথেকে পাওয়া কষ্ট গুলকে আমি সহ্য করতে পারিনা।
মেঘ- দেখো তুমি যেটা বলছো সেটা কোনো দিনো সম্ভব না। আমি তোমাকে ভালোবাসিনা।
আমি- শোনো তুমি যদি আমার না হও তবে আমি তোমাকে অন্য কারোর হতে দেবনা।
মেঘ – কি করবা তুমি।
আমি(জারা)- মেরে ফেলবো তোমাকে।
এই বলে চলে আসি ওখান থেকে ।খুব রাগ হচ্ছিল মেঘের উপর ।দিয়া ওকে
ভালোবাসেনা তবুও ও দিয়াকেই ভালোবাসে।আর আমি যে ওকে এত ভালোবাসি ওর কাছে
তার কোনো দাম নেই ।
তবুও আমি চুপ করেই ছিলাম । আমি জানতাম যে দিয়া
ওকে কোনো দিন ভালোবাসবে না কারন দিয়া রাজুকে ভালোবাসে।এমন ভাবেই আমাদের
দিন চলছিল।এক দিন আমরা হিরোইনের বড় ডিল পাই । আর সেই ডিলটা করার সময় মেঘ
আমাদের দেখে ফেলে।
পরে ও আমাকে ডেকে বলে।
মেঘ- জারা তোমরা হিরোইন পাচার করো।
আমি(জারা)- আমি কি বলব বুঝতে পারছিলাম না। কারণ আমি জানি যে মেঘ এই কথা
জানার পর আর কোনো দিনো আমাকে ভালোবাসবে না।আমাক ওকে পাওর কোনো আশায়াই থাকলো
না। তবুও আমি ওকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করি। কিন্তু ও সেদিন কিছু বুঝতে চাই
নি।ও বলে ছিল যে এই কাজ যদি বন্ধ না করি তবে ও সবাইকে বলে দেবে আমাদের
ব্যাপারে ।আমি কি করব কিছু বুঝতে পারছিলাম না। আর আমাদের ওই জগতের থেকে
ফিরে আসার কোনো পথও ছিলোনা ।
এমন ভাবেই ২টো দিন চলে গেল।এক দিন রাজু জিজ্ঞেস করলো যে কি হয়েছে।আমি রাজুকে আর দিয়াকে সব খুলে বলি। তখন রাজু বলে, , ,
রাজু- দেখ আপু এখন একটাই কাজ করার আছে।
আমি(জারা)- কি কাজ।
রাজু- মেঘ ভাইয়াকে এই পৃথিবীর থেকে সরিয়ে দিতে হবে ।
আমি ওর কথা শুনে ওর গালে ২ট থাপ্পড় মেরে বলি, , , ,
আমি- তুই জানিস না ।আমি মেঘকে সেই ছোটো থেকে ভালোবাসি। আর তুই বলিস ওকে মেরে ফেলতে।
রাজু – আমি সব জানি ।কিন্তু ওতো তোকে ভালোবাসেনা।আর আমাদের ৩ জনকে বাঁচতে হলে ওকে মরতেই হবে।
তারপর ও ওকেন বোঝায় আমাকে । আর আমি জানতাম যে মেঘ কোনো দিন আমার হবে না।
আর আমি ওকে অন্য কারোর হতে দিতে চাইনি। তাই সেদিন ওদের কথায় রাজি হয়ে
জায়।
পরের দিন মেঘকে আমরা Kidnap করি।তারপর ওকে এখানে নিয়ে এসি।
আর আমি নিজে ওর বুকে ছুরি চালিয়েছিলাম।।।আর ও তখন বাঁচার জন্য ছটফট
করছিল।আর আমরা মজা নিচ্ছিলাম।
এই বলেই জারা থেমে গেলো।
আর আমার চোখ দিয়ে অঝর ধারায় বৃষ্টি পরছে।আমি তারপর বললাম, , , ,
আমি – হু আমি জানি সব।
আমার কথায় ওরা সবাই অবাক হলো।তারপর দিয়া বলল, , , ,
দিয়া- জানো মানে।
আমি- আমি জানি যে তোমরা সবাই মিলে মেঘকে খুন করেছো।
জারা- কি করে জানলি।
আমি- মেঘকে যখন তোমরা মেরে রাস্তায় ফেলে দিয়ে গেছিলে তখনও ও বেঁচে
ছিল।আর আমাকে ফোন করে বলেছিল যে তোরা সবাই মিলে ওর সাথে কি করেছিস সেই দিন।
জারা- তারমানে সেই দিন পার্কে সব মিথ্যা বলেছিলি।আর তুই যদি জানতিস তবে তুই এখানে আসলি কেন।
আমি শুধু রহস্য ময় একটা হাসি দিলাম।
জারা- ওই তুই হাসছিস কেন।
আমি- একটু পরে বুঝতে পারবি।আর শোন তোরা যে এই শহরে আছিস এটা মেঘ আমাকে বলেছিল।আর তোরা যে হিরোইনের ডিল করিস সেটাও আমাকে বলেছিল।
আর জারা তুই যদি সেদিন মেঘকে এখানের আনার পর। মেঘের মুখের থেকে যদি একবার
বাঁধনটা খুলে দিতিস তবে আজ আমাদের সবার জীবনটা অন্য করম হতো। আমি আমার
বন্ধুকে (ভাই) হারাতাম না। রাজু আর দিয়া এক সাথে থাকতো।আর আজ তোর মেঘ তোর
কাছে থাকতো। কিন্তু তুই সেদিন একটা বড় ভুল করেফেলে ছিস।
জারা- মানে কি বলতে চাস তুই ।
আমি- তুই হয়তো জানিস না । মেঘ তোর ভালোবাসাকে সিকার করে নিয়েছিল।
জারা- কি আবল তাবল বকছিস। আমি জানি মেঘ আমাকে ভালোবাসতো না। আর আমার ব্যাপারে জানার পরতো আরো মানতো না।
আমি- এটা তোর ভুল ধারোনা।তুই কি জানিস যে তোরা মেঘকে মেরে ফেলার আগের দিন ও আমাকে ফোন দিয়েছিল, , , , ,,আর বলেছিল, , , ,
মেঘ – জানিস নীল জারা না হিরোইনের ডিলার ও হিরোইন বেঁচে ।
আমি- কি বলছিস।আমরা ওকে সেই ছোটো থেকে চিনি ওতো এমন ছিলনা।
মেঘ- আমি ওকে ডিল করতে দেখেছি।আর আমিও বিশ্বাস করতে পারছি না।
আমি- তো এখন কি করবি।
মেঘ- আমি ওরে এই কাজ করতে মানা করেছি।
আমি- ও কি বলল ।
মেঘ- ও বলল এটা বন্ধকরা সম্ভব না।আর আমিওকে এই পথথেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে চাই ।যতই হোক ছোটো থেকে একসাথে বড় হয়েছি।
আমি-তো এখন কি করবি।
মেঘ- আমি এই কয়দিনে ওর পাগলামো গুলো দেখে বুঝতে পেরেছি ও আমাকে অনেক ভালোবাসা ।তাই ভাবছি ওকেও আমি ভালোবাসবো।
আমি- আর তোর ভালোবাসে।
মেধ- কিসের ভালোবাসা দিয়াতো আমাকে ভালোবাসেনা।এর থেকে ভালো হবে যে আমাকে এত ভালবাসে তাকেই আপন করে নেওয়া।
আর এর ফলে দুটো কাজ হবে।
প্রথমতো, , জারাকে এই পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে পারবো।
আর দ্বিতীয়, , , , এটা ভেবে ভালো লাগবে যে আমি না হয় আমার ভালোবাসার
মানুষকে নিজের করে পাইনি।কিন্তু আমার জন্য কেউতো তার ভালোবাসার মানুষটাকে
নিজের করে পেয়েছে।
**সেই দিন মেঘের সাথে এই কথা টুকুই হয়।আরপরের
দিন আবার ওর ফোন আসে আর ও বললো তুই নিজের হাতে ওর বুকে ছুরিদিয়ে আঘাত
করেছিস । ওর সাথে সে দিন কি হয়ে ছিল সেটুকু বলে ও আর কথা বলতে পারেনি।
আমার কথা শুনে জারা বলল, , , , ,
জারা – আমি তোর কথা বিশ্বাস করিনা।
আমি- হাহাহা হাহাহা প্রমাণ দিলে বিশ্বাস করবি।
জারা- ওই হাসছিস কেন।আর কি প্রমাণ আছে তোর কাছে ।
আমি- আমার পকেট থেকে ফোনটা বের কর।আর দেখ ওতে সেই ৬ বছর আগের কল রেকর্ডিং এখনো যত্ন করে রেখে দিয়েছি শুধু তোকে শোনাব বলে।
আমার কথা শুনে জারা তারাতারি ফোনটা বের করে রেকর্ডিং শুনতে লাগলো।
রেকর্ডিং শেষ হবার আগেই ও অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল।আর আমি আজ হাসছি মন খুলে
হাসছি।
কিছু খন পর জারার জ্ঞান ফিরলো। আর সাথে সাথে শুরু হল কাঁন্না। আর আজ আমি হাসছি মন খুলে হাসছি।কারণ আমি আজ প্রতিশোধ নিতে পেরেছি ।
আমি জারাকে বললাম।
আমি- এখন কেঁদে কি হবে। নিজের হাতেই তো নিজর ভালোবাসার মানুষটার বুকে ছুরি
চালিয়েছিস। তবে এখন কাঁদছিস কেন।একটু আগে যেভাবে হাসছিলি সেইভাবে হাস।।।
জারা- নীল আমার অনেক বড় ভুল হয়ে গেছেরে।আমার এখন খুব কষ্ট হচ্ছে ।
আমি- হাহাহহাহাহাহা। জানিস আমি চাইলে তোদের কবে মেরে ফেলে দিতাম।কিন্তু
আমি যে এই ৬টা বছর অপেক্ষা করেছি প্রতিশোধ নেব বলে সেটা নিতে পারতাম না।
আজ আমি তোকে মৃত্যু যন্ত্রনা উপহার দিলাম।আজ থেকে প্রতিটি মুহূর্ত তুই
মৃত্যু যন্ত্রণা সহ্য করবি।মরতে চাইলেও মরতে পারবি না।আর তোর বেঁচে থাকতেও
ইচ্ছে করবেনা।।।হাহাহহাহাাহাহহা।
কিছু খনপর দরজা ভেঙ্গে পুলিশ ঢুকলো ঘরে।তারপর সবাইকে গ্রেফতার করলো।তখন রাজু বলল, , , , ,
রাজু-পুলিশে খবর কখন দিলি।আর তোর প্লানতো আমরা সব জনতাম তবে আবার এই প্লানিং কখন করলি।
আমি- আমি পুলিশকে খবর দিই নি। সকালে যখন দিয়া আর জারা আমাকে সারপ্রাইজ
দেবে বলল তখনি বুঝতে পেরে ছিলাম কিছু একটা ঘটাবি তোরা।দিয়ারা ঘরথেকে
জাওয়ার পর আমি আমার হবু বউ নধিকে কল করে বলি যে পুলিশের কাছে খবর
দিয়েরাখতে ।আর আমি এই শহরের একা আসিনি সাথে আমার হবু বউকে নিয়ে
এসেছিলাম।আর আমি কখন কি করতাম সব নধি ফলো করতো যাতেকোনো বিপদে না পরি।
।কারণ আমি এখানে কি করতে এসেছি সেটা তোরা জানতিস।
রাজু-তবে তুমি এখানে প্রতিশোধ নিতে এসেছো এটা আমাদের জানালে কেন।
আমি- এটা না বললেতো আমাপ প্লানটা করাই হত না।আমি জানতাম আমি যদি জারাকে
বলি যে আমি এখানে কেনো এসেছি ।তবে ওর কাছথেকে তোরাও জানতে পারবি।আর তোরা
ভাববি যে তোরা সব জানিস । আর এটাও জানতাম প্রথম দিনি দিয়া আমাকে দেখে চিনে
ফেলে ছিলো।কিন্তু আমি এখানে কেনো এসেছি সেটা জানার জন্য জারা একটা মিথ্যা
কাহিনি বানায় আর আমিও এমন ভান করি যে আমি ওর কথা বিশ্বাস করেনিয়েছি
।তারপর আমার প্লান ওকে বলি ।কিন্তু ওটাযে আমার প্লান ছিলনা সে তোরা জানতিস
না।তারপর আমি আমার প্লান মাফিক এগতে থাকি।আর সুযোগ খুজি যে কখন তোরা আমাকে
মারার প্লান করবি।
আর আমি এতসময় অজ্ঞান হওয়ার নাটক করছিলাম না হলে তোদের প্রমান সহ ধরতে পারতাম না ।
রাজু- মানে।
আমি- হু যখন আমাকে ঘুমের ঔষধ মেশানো জুস দিয়েছিল ।তখন আমি সেটা না খেয়ে
ফেলে দিই ।কারণ আমি দেখে ছিলাম জারা ওতে ঔষধ মিশাই ছিল।তারপর অজ্ঞান হবার
নাটক করি।আর তারপর তো তোরাই সব করলি।কিন্তু এর মাঝ খানে আমি আমার জামার
বোতামের সাথে একটা ক্যামেরা সেট করে দিই যাতে সব রেকর্ডিং হয়। আর কোর্টে
প্রমান করতে কোনো অসুবিধা না হয়।
রাজু আর কিছু জিজ্ঞেস করলো না।তারপর পুলিশ ওদের নিয়ে চলে গেলো।আর আমিও একটা হাসি দিয়ে নধিকে নিয় বেড়িয়ে পরলাম বাড়ির উদ্দেশে ।
মা কে বাড়ি জেয়ে বলতে হব মা আমি পেরছে আমি পেয়েছি প্রতিশোধ নিতে।
————//———-#সমাপ্ত —————-//———
ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন ।
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com