আমি সেই নির্জন পথের প্রথিক | পার্ট-০৪
আমি কলেজে জেয়ে একটা সুখবর পেলাম। কি শুনবেন সুখবরটা কি।তাহলে শুনুন আমি
না কি আমাদের ক্লাসে প্রথম হয়েছি।(আমি আগেই বলেছিলাম যে আমি ছোটো থেকে
পরাশুনতে ভালো।)
আর ক্লাসে দ্বতীয় হয়েছে কে জানেন।হু ঠিকি ধরেছেন
দ্বিতীয় হয়েছে সুপ্তি। আমিতো অনেক খুশি কিন্তু আমার মনে হচ্ছে সুপ্তি মনে
হয় খুশিনা কারণ ও কেমন মন মরা হয়ে বসে আছে ।আর বারবার আমার দিকে কেমন
করে যেন তাকাছে।শুধু সুপ্তিনা ক্লাসে সবাই আমার দিকে কেমন করে জেন তাকিয়ে
আছে। মনে হচ্ছে আমি কোনো এলিঅন ভুল তরে পৃথিবীতে চলে এসেছি। সে যাকগে আমার
তাতে ।
কিন্তু সুপ্তিকে দেখে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে মনে হয় প্রিয়
মানুষের মন খারাপ দেখে এমন হচ্ছে । তাই আমি সুপ্তির কাছে যেয়ে বললাম, , , ,
, ,
আমি- কি হয়েছে আপনার আপনি এমন মন মরা হয়ে বসে আছেন কেন।
সুপ্তি- সুপ্তি আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে । কিন্তু কোনো কথা
বলছেনা। ওর এমন ভাবে তাকিয়ে থাকার কারণটা আমি বুঝতে পারছি না । আমি আবার
বললাম, , , , , , ,
আমি- কি হয়েছে আপনার ।আপনাকে এমন দেখাছে কেন।
এবার ও যা করলো তা আমি ভাবতেও পারিনি।
ও উঠে ওর গায়ের পুরো শক্তি দিয়ে আমার গালে , , ঠাসসস, , , করে একটা চর বসিয়ে দেলো।
সুপ্তি- ওই তোকে না মানা করেছি আমার আশেপাশেও যেন তোকে না দেখি আর তুই
আমার সাথে কথা বলিস । তোর এত সাহস কি করে হয়।আর আমার কি হলো না হলো তার
কৈফিয়ত তোকে দিতে হবে।আর কোনো দিনো যদি তুই আমার সাথে কথা বলিস তাহলে তার
ফল ভালো হবে না বলে দিলাম। এই বলেই সুপ্তি ওখান থেকে চলে গেলো।
আর
আমার চোখ দিয়ে পানি পরছে। ক্লাসে সবার সামনে এমন ভাবে না মারলেও পারতো।কি
দোষ করে ছিলাম আমি । আমিতো শুধু ওর মন খারাপের কারণটা জানতে চেয়েছিলাম।
তার জন্য এমন ভাবে মারলো।এমন অনেক কথা ভাবছি আর চোখ দিয়ে জল পরছে।
আমি আর ওখানে না থেকে সোজা কলেজ থেকে বাইরে
চলে এলাম। হেটে হেটে আসছি ডাইবার কে বলেছি বাড়িতে চলে যেতে। আমি রাস্তার
এক পাশদিয়ে হাটছি। হঠাৎ মনে হল আমার ঠোটের কোণে প্রচন্ড ব্যথা করছে। আমি
গালে হাত দিয়ে দেখি ঠোটের কোনে রক্ত । আমি রক্তটা মুছে হাটছি। আজ খুব কষ্ট
হচ্ছে এত দিন এমন কষ্ট হয়নি । তাই হাটতে হাটতে একটা নদীর পারে যেয়ে বসে
পরলাম। নদীর পারে বসে বসে নদীতে ঢিল ছুরছি আর নদীর ঢেও দেখছি। অনেকটা সময়
নদীর পারে সবে কাটিয়ে দিলাম। কখন যে সন্ধা হয়ে গেছে বুঝতে পারিনি ।
আজ বাড়িতে যেতেও ইচ্ছে করছে না মনে হচ্ছে এখান থেকে চলে জায়। কিন্তু
আমার দ্বারা এখন চলে জাওয়াটা সম্ভব না ।আগে না হয় আংকেল এর জন্য এখানে
ছিলাম কিন্তু এখন আমার প্রিয় মানুষটাকে এক নজর দেখার জন্য এখানে আছি।
আমি জানি আমার জন্য সুপ্তির মনে ঘৃনা ছারা আর কিছুই নেই। তবুও আমি যে ওকে
ভালোবাসি ও আমাকে যতই ঘৃণা করুক না কেন তবুও আমিওকে সব সময় ভালোবাসবো।
আমি এটাও জানি আমি ওকে আমার মনের কথাটা কোনো দিনো বলতে পারব না তবুও ওকে
আমি দূরথেকে ভালোবাসব। ভালোবাসার মানুষকে কাছে পেতে হবে এরকোনো মানে নেই ।
ভালোবাসার মানুষটাকে দূরথেকেও নিজের কাছে অনুভব করে তাকে ভালোবাসা জায়।
আরো কিছু খন পরে বাড়ির দিকে হাটা শুরু করলাম। লেম্পোস্টের আলোর নিচ দিয়ে
হাটছি আর সেই আগের পুরনো দিনের কথা গুলো ভাবছি। আমি হয়তো আজ এমন হতাম না
যদিনা আমার মা আমাকে ছেরে চলে না যেত।
আমিও হয়তো অনেক বিলাসিতার মধ্যে
দিয়ে দিন কাটাতাম। আমাকে হয়তো সবার কাছে অবহেলিত আপমানিত হতে হত না।
সুপ্তিও নিশ্চয় আমাকে ঘৃণা করতোনা। ও হয়তো আমাকে ভালোবাসতো। কিন্তু সেটা
হয়তো আমার ভাগ্যে ছিলনা তাই হয়তো আমার আজ এমন অবস্তা। কিন্তু এতা আমার
কোনে দুঃখ নেই । নেই কারোর প্রতি কোনো অভিযোগ ।আছে শুধু একটা মাএ দুঃখ সেটা
হল নিজের বাবা থাকতেও আজ আমি একটা অনাতের মত জীবন কাটাছি। হাহাহা
কিছু খনপর বাড়িতে এসে কলিং বেল চাপতেই কেউ জেন দরজা খুলে দিলো । হ্যা
আংকেল দরজা খুলেছে। এত রাতেও আমার জন্য উনি জেগে আছেন।উনি দরজা খেলেই বলল.
. , , ,
আংকেল – কোথায় ছিলে এত সময়।
আমি- একটু ঘুরতে ইচ্ছে করছিল তাই নদীর দিকি গেছিলাম।
আংকেল – ও এসো ভেতরে এসে।
আমি ভেতরে ঢুকে নিজের রুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে নিলাম।আজ খেতে ইচ্ছে করছে না।তাই না খেয়েই শুয়ে পরলাম।
অনেক খন যাবৎ শুয়ে আছি কিন্তু ঘুম আসছেনা। ঠোটের কোনে খুব ব্যথা করছে ।
মনে হচ্ছে কেউ জেন হাতুরি দিয়ে বাড়ি মেরেছে।অনেক কষ্টে ঘুমালাম।
সকালে উঠে ফ্রেস হয়ে নাস্তা করে কলেজের দিকে রওয়া দিলাম।
কলেজের ভেতরে যাচ্ছি আর সবাই আমার দিকে কেমন জানি কাচুমাচু করে তাকিয়ে আছে
।আমি সেদিকে খেয়াল না দিয়ে ক্লাসে চলে গেলাম। কিছু খনপর স্যার এসে ক্লাস
নেওয়া শুরু করলো। আমি মাঝে মাঝে সুপ্তির দিকি তাকিয়ে দেখছি।ও কেন করে
জেন আমার দিকে তাকিয়ে আছে ।আমিতো ভয়ে মরে জাওয়ার অবস্থা।তাও জেমন তেমন
করে একটা ক্লাসকরে বাইরে চলে আসলাম।
বাইরে এসে একটা গাছের নিচেবসে আছি।তখনি অনেক গুলো ছেলে আমার সামনে এসে দারালো।।আমি কিছু বুঝতে পারি তার আগেই আমাকে মারতে শুরু করল।
আমার মার খাওয়া ছারা আর কিছু করার নেই কারণ ওরা অনেক জন আর আমি একা।
ওরা আমাকে মারছে আর বলছে “কিরে ক্লাসে প্রথম হয়ে খুব মজা পাইছিস তাই না
এবার দেখ মজা কাকে বলে”এই কথা বলছে আর মারছে।আমি একটু দুরে তাকিয়ে দেখি
সুপ্তি আর কার বান্ধবীরা তাকিয়ে আছে।মনে হচ্ছে আমার মারখেতে দেখে ওরা অনেক
মজা পাচ্ছে।ছেলেগুল জাওয়ার আগে বলে গেল, , , “কালথেকে যেন তোকে আর কলেজের
আশেপাশেও না দেখি”এই বলে ওরা সুপ্তিদের সামনে গিয়ে দারালো।তারপর সুপ্তির
সাথে কি জেন বলে চলে গেল।
আর সুপ্তি ও তার বান্ধবীরা আমার কাছে আসল ।
সুপ্তি- কিরে ফাস্ট হয়ে খুব মজা নিচ্ছিলি তাই না।এবার দেখ আর কলেজেই থাকতে পারিস কিনা।
এই কথা বলে সুপ্তি ও তার বান্ধবীরা হাসতে হাসতে চলে গেল।আর আমি কোনো মতে
ওখান থেকে উঠে গাড়ি পর্যন্ত পৌছতে পৌছতে অজ্ঞান হয়ে পরে গেলাম।।।।।
আমার যখন জ্ঞান ফিরলো তখন আমি হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছি।আর আমার পাশে
আংকেল বসে আছে । তাই আমি ওঠার চেষ্টা করলাম।তখনি আংকেল বলল, , , , , ,
আংকেল – কি করছো কি।তুমি এখনো পুরো পুরি সুস্থ না।ডাক্তার বলেছে তোমাকে রেস্ট নিতে।
আমি- আচ্ছা আমাকে কে এখানে নিয়ে আসলো।
আংকেল – ড্রাইভার তোমাকে একানে নিয়ে এসেছে।
আমি- ওওওও।
আংকেল – আচ্ছা তোমার এই আবস্থা কে করেছে।তুমি শুধু একবার বলো।
আমি- না আংকেল থাক।এখন এই সব নিয়ে আর ঝামেলা করতে হবেনা।
আংকেল – না আমি ওদের একটা কেউ ছারবোনা।সব কটাকে এর শাস্তি পেতে হবে।
আমি- তা হলে আগে নিজের মেয়েকে জেয়ে শান্তি দেন(মনে মনে)
থাক না আংকেল এই সব করে কি হবে।প্লিজ আর এই নিয়ে ঝামেলা করবেন না।
আংকেল – ঠিক আছে তুমি যখন চাও না আমি কিছু করব না।কিন্তু এর পরথেকে তুমি যেখানেই যাবে তোমার সাথে ২টো বডিগার্ড যাবে।
আমি- কিন্তু , , , ,
আংকেল – আর কোনো কিন্তু না।
এরপর প্রায় ৫ দিন হাসপাতালে ছিলাম ।আজ বাড়ি যাচ্ছি ।এই ৫ দিন শুধু আংকেল
ছারা আর কেউ হাসপাতালে জায়নি। আমি জানতাম সুপ্তি যাবেনা । কারণ টা হল ও
আমাকে ঘৃণা করে ।আমি ওর ২ চোখের বিষ ।আর এখন ওরপথের কাটাও হয়ে গেছি।আর
সবাই চাই তার পথের কাটা টাকে উপরে ডাসবিনে ফেলে দিতে।আর ও তাই করেছে তাহলে
ও আমাকে দেখতে আসবে কেন।
আমি আর আংকেল বাড়িতে আসলাম। বাড়িতে এসে
নিজের ঘরে চোলে আসলাম।আসার সময় দেখলাম সুপ্তি আমার দিকে কেমন করে জেন
তাকিয়ে ছিল ।মনে হচ্ছিল আমাকে একা পেলে খুন করে ফেলবে।
ঘরে এসে ফ্রেস হয়ে ।একটু শরীরটা বিছানায় এলিয়ে দিলাম।কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি টেরি পাইনি।।।।
পরের দিন, , , , , , , ,
আজ কলেজে যাচ্ছি সাথে ২টো ইয়া বডিওয়লা লোক যাচ্ছে ।মানে বডিগার্ড।কলেজে
গিয়ে আমি ক্লাসে যাচ্ছি ।আর আমার সাথে যাচ্ছে ২ টো বডিগার্ড।আমি বডিগার্ড
দুটোকে ক্লাসে যেতে বারণ করলাম।তারপর ক্লাসে গিয়ে বসে পরলাম।আর সবাই আমার
দিকে তাকিয়ে আছে।তাকিয়ে থাকারি কথা ।ওরা হয়তো ভেবেছিল মার খাওয়ার পর
আমি মনে হয় কলেজেই আসব না।কিন্তু ওদের ধারণাটা ভুল প্রমাণ হয়েছে।তাই ওরা
এমন ভাবে তাকিয়ে আছে ।
ক্লাস করে বাইরে আসতেই আবার সেই ছেলে গুলো আমার সামনে এসে হাজির।ওদের মধ্যে একজন বলল, , , , , , ,
ছেলে- ওই তোকে বলেছিলাম না আর জেন কলেজে না দেখি।
মনে হয় ওরা জানেনা আমার সাথে বডিগার্ড আছে।
আমি- মানননন, , , , , ,
ঠাস করে একটা থাপ্পর মেরে দিল ।আর সাথে সাথে দেখি বডিগার্ড দুটো এসে ওদের মারতে শুরু করল।
আমি তারাতারি ওদেকে ঠেকিয়ে দিলাম।।।।আর আগের ওই ছেলেটা বলল, , , , , ,
ছেলে- সরি ভাই ভুল হয়ে গেছে।আর কোনো দিনো এমন করব না।
আমি- শোনেন একটা কথা বলি , , , কারোর যদি ভালো না করতে পারেন তবে দয়া করে
কারোর ক্ষতি করবেন না।আজ হয়তো আপনি কাউকে বিপদে ফেলছেন।কিন্তু আপনি যে
কোনো দিনো বিপদে পরবে না সেটা কে বলতে পারে।।।।।এই কথা গুল বলে ওখান থেকে
চলে আসলাম।
এরপর থেকে সবাই আমার সাথে কিছুটা ভালো ব্যবহার
করতো।কিন্তু সুপ্তি আমাকে আরো বেশি ঘৃনা করতে শুরু করেছে।আমাকে ২ চোখে
দেখতে পারে না।আমি যেখানে থাকি সেখানে ও আর এক মুহূর্ত থাকে না। আর বাড়িতে
থাকলে নানা ভাবে অপমান করে ।
আমি আর ওর অবহেলা সহ্য করতে পারছিলাম
না।যাকে এত ভালোবাসি সে আমাকে শুধু অবহেলা করে , দুই চোখে দেখতে পারেনা।এটা
কি করে সয্য করতে পারি আপনারাই বলেন।তবুও সয্য করে থাকি। কি করব বলেন
বর্ডবেশি ভালোবাসিযে পাগলি টাকে।।কিন্তু ও আমার মনের কথাটা বোঝেই না।।ওকে
না দেখলে যে আমি থাকতে পারিনা।তাই সব অবহেলা অপমান সহ্য করেও এখানে পরে
আছি।।।
এমন ভাবেই দিন কাটছে আমার।
কাল সুপ্তির জন্মদিন । শুনলাম খুব বড় করে পার্টি হবে।বাড়িতে অনেক লোকজন আসছে, , , , ,
আমি নিজের ঘর থেকে বের হচ্ছিলাম।হটাৎ সুপ্তির ঘরের সামনে এসে একটা কথা শুনে থমকে দারালাম, , , ,
এটা কি বলছে ওরা।, , , , , , ,
সুপ্তির বান্ধবী-আচ্ছা কালতো তোর জন্ম দিন।।
সুপ্তি-হু তো।
সুঃবা-তা কাল তোর সবথেকে স্পেশাল গিফট হিসেবে কি চাস।
সুপ্তি- আর স্পেশাল গিফট হবে যদি ওই ক্ষ্যাত টাকে বাড়ি থেকে বিদায় করতে পারিস।
সুঃবা- ওকে দারা একটা বুদ্ধি বের করছি।কাল সকাল হওয়ার আগেই ওকে তোদের বাড়িথেকে তারিয়ে দেব।
কিছু খন পর সুপ্তির এক বান্ধবী বলল, , ,
চলবে, , , , , ,
ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন ।
আসা করি পরের পার্টই শেষ হবে।
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com