গল্প:-"অবহেলা | লেখক:-এস.এ
:-রিয়া,ও রিয়া,আমার না খিদা লাগছে,খাবার দাওতো।(আমি)
:-খিদা লাগলে গিয়ে খেয়ে নাও,আর আমার কাছে কি?আর শোন,আমি এখন কাজ করতেছি,সুতরাং আমাকে বিরক্ত করো না।(রিয়া)
:-আচ্চা।(আমি)
তারপর আমি না খেয়ে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লাম।তাকে আর ডাকলাম না।
বিছানায় শুয়েছি ঠিকই,কিন্তু ঘুম তো আসতেছে না।
তাই শুয়ে শুয়ে রিয়ার কথা ভাবতেছি।
আমাদের বিয়ে হয়েছে চারমাস হলো।বিয়ের ১ম তিনমাস আমাদের ভালই কাটল।এর মাঝেই রিয়া কেমন জানি হয়ে গেল।
বিয়ের ১ম দিকে আমি কখনো খেতে না চাইলে সে আমাকে জোরপুর্বক নিজ হাতে খাইয়ে দিত।আর এখন যে আমি না খেয়ে শুয়ে আছি তাতে ওর কোন মাথাব্যথা নাই।বরং ও কি বললো,আমার খিদা লাগলে ওর কি?আসলে তো ওর কি?
আসলে রিয়া এমন ছিলো না,সে এখন একটি কোম্পানিতে চাকরি করে।তাইতো সে আমার চেয়ে তার কাজকে বেশিই গুরুত্ব দেয়।দেকনা, সে তার গুরুত্বপুর্ণ কাজে সময়,তাতে আমার কি?
আপনারা হয়তো ভাবছেন,আমি কেমন ছেলে,যে তার বউকে দিয়ে চাকরি করায়।
যেমনটা আপনারা ভাবছেন,আসলে তা নয়।
আমিও একটা বেসরকারি প্রতিষ্টানে চাকরি করি।যা স্যালারি আমি পাই,তা দিয়ে আমাদের দুজনের সংসার ভালোভাবে চলে যেত।
কিন্তু বিয়ের তিনমাসের মাথায় সে বায়না ধরল যে,সেও চাকরি করবে।আমি তাকে অনেকভাবে বুঝাই যে ওর এখন চাকরি করার কোন প্রয়োজন নাই।তারপরেও সে তার সিদ্ধান্তে অটল থাকে।
অতঃপর,আমি তার সিদ্ধান্তের কাছে হার মেনে নিই।
আর তারপর থেকেই,আমাদের মাঝে এমন হতে থাকে।আগে,আমি অফিসে থাকাকালিন রিয়া আমাকে ফোন করে আমার খোজ-খবর নিত,যেমন,আমি কি করছি,খেয়েছি কিনা,কখন বাসায় ফিরব।
আর এখন,আমিই তার খোজ-খবর নিই।
ইদানিং,রিয়া আমার প্রতি কেমন যেন বিরক্তবোধ করছে।আমি যদি এখন ও অফিসে থাকাকালিন ফোন দিই,সে আমার সাথে গরম হয়ে কথা বলে।তারপরেও আমি বেহায়ার মত,তার খোজ-খবর নিই।
ইদানিং,রিয়ার আচরনে তার আমার প্রতি বিরক্ততা দেখে তার খোজ-খবর নেওয়া আমি বন্ধ করে দিয়েছি।
আমি আজকে অফিস থেকে আসার সময় ভাবলাম,আগামীকাল যেহেতু আমাদের দুজনরেই অফিস বন্ধ,আমি আর রিয়া নাহয় কাল শফিংয়ে যাব,ভাবলাম বাসায় গিয়ে যদি আমি রিয়াকে একথা বলি,তাহলে সে অবশ্যই খুশি হবে।
কিন্তু না,আমি যখন রিয়াকে একথাটি বললাম,তখনই রিয়া আমাকে মুখের উপর না করে দেয়।সে বলে,তাকে নাকি অফিসের অনেক গুরুত্বপুর্ন কাজ করতে হবে।
তার একথা শুনে আমি আর কিছুই বললাম না।শুধু অবাকই হলাম।
যে মেয়ে আমার কাছে তাকে দেওয়ার জন্য একটু সময় চাইত,সে আজ আমাকেই তার ব্যস্ততা দেখালো।
আরে,তুমি তোমার জন্য নাহয় সময়টা বাদ দিলে,কিন্তু আমার জন্য নাহয় সময়টা বের করে নিতে।একটা সময় ছিল যে,আমি আমার শত ব্যস্ততার মাঝেও তোমার জন্য সময় বাহির করতাম।আর সেই,তুমি পারলে না আমারর জন্য একটু সময় বাহির করতে।
এসকল কথা ভাবতে ভাবতে,কখন যে আমার চোখদুটি ভেদ করে পানি বের হয়ে এলো।তা আমি টেরই পেলাম না।
আমি তার ডাকেই ভাবনার জগৎ, থেকে বাস্তবে পিরলাম,
আমি তার দিকে তাকাতেই সে বলল,
:-একি,তোমার চোখে পানি কেন?(রিয়া)
:-কই,নাতো আমার চোখে আবার পানি কোথথেকে আসবে।(আমি)
:-আরে বাদ দাওতো এসব ন্যাকামি।এখন খেতে চলো।
:-আমার না এখন খুদা নাই।আচ্চা তোমার কাজ শেষ হয়েছে নাকি?
:-না,তোমার জন্যই তো কাজটা শেষ করতে পারলাম না।যেহেতু তোমার খুদা নেই,তাহলে আমাকে ঐ সময় ডাকলে কেন?যত্তসব,উটকো ঝামেলা।
এ বলে সে চলে গেলো।আর আমি না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়লাম।যদিও ঘুম আসতেছে না।তাই কিছক্ষন পর ঘুমের ট্যাবলেট খেতে উঠলাম।তখন দেখলাম রিয়া খাইতেছে।আমাকে দেখে সে জিগ্গেস করলো,
:-কি হলো,ঘুমাও নি?আর কি জন্য উঠলে?(রিয়া)
:-না,আসলে ঘুম আসছিল না,তাই একটা ঘুমের ট্যাবলেট খেতে উঠলাম।
:-ওওও,,,
তারপর আমি ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে এসে শুয়ে পড়লাম এর কিছুক্ষন পর সে ও এসে আমার পাশে ঘুমিয়ে পড়লো।
পরদিন ঘুম থেকে,,,,
:-খিদা লাগলে গিয়ে খেয়ে নাও,আর আমার কাছে কি?আর শোন,আমি এখন কাজ করতেছি,সুতরাং আমাকে বিরক্ত করো না।(রিয়া)
:-আচ্চা।(আমি)
তারপর আমি না খেয়ে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লাম।তাকে আর ডাকলাম না।
বিছানায় শুয়েছি ঠিকই,কিন্তু ঘুম তো আসতেছে না।
তাই শুয়ে শুয়ে রিয়ার কথা ভাবতেছি।
আমাদের বিয়ে হয়েছে চারমাস হলো।বিয়ের ১ম তিনমাস আমাদের ভালই কাটল।এর মাঝেই রিয়া কেমন জানি হয়ে গেল।
বিয়ের ১ম দিকে আমি কখনো খেতে না চাইলে সে আমাকে জোরপুর্বক নিজ হাতে খাইয়ে দিত।আর এখন যে আমি না খেয়ে শুয়ে আছি তাতে ওর কোন মাথাব্যথা নাই।বরং ও কি বললো,আমার খিদা লাগলে ওর কি?আসলে তো ওর কি?
আসলে রিয়া এমন ছিলো না,সে এখন একটি কোম্পানিতে চাকরি করে।তাইতো সে আমার চেয়ে তার কাজকে বেশিই গুরুত্ব দেয়।দেকনা, সে তার গুরুত্বপুর্ণ কাজে সময়,তাতে আমার কি?
আপনারা হয়তো ভাবছেন,আমি কেমন ছেলে,যে তার বউকে দিয়ে চাকরি করায়।
যেমনটা আপনারা ভাবছেন,আসলে তা নয়।
আমিও একটা বেসরকারি প্রতিষ্টানে চাকরি করি।যা স্যালারি আমি পাই,তা দিয়ে আমাদের দুজনের সংসার ভালোভাবে চলে যেত।
কিন্তু বিয়ের তিনমাসের মাথায় সে বায়না ধরল যে,সেও চাকরি করবে।আমি তাকে অনেকভাবে বুঝাই যে ওর এখন চাকরি করার কোন প্রয়োজন নাই।তারপরেও সে তার সিদ্ধান্তে অটল থাকে।
অতঃপর,আমি তার সিদ্ধান্তের কাছে হার মেনে নিই।
আর তারপর থেকেই,আমাদের মাঝে এমন হতে থাকে।আগে,আমি অফিসে থাকাকালিন রিয়া আমাকে ফোন করে আমার খোজ-খবর নিত,যেমন,আমি কি করছি,খেয়েছি কিনা,কখন বাসায় ফিরব।
আর এখন,আমিই তার খোজ-খবর নিই।
ইদানিং,রিয়া আমার প্রতি কেমন যেন বিরক্তবোধ করছে।আমি যদি এখন ও অফিসে থাকাকালিন ফোন দিই,সে আমার সাথে গরম হয়ে কথা বলে।তারপরেও আমি বেহায়ার মত,তার খোজ-খবর নিই।
ইদানিং,রিয়ার আচরনে তার আমার প্রতি বিরক্ততা দেখে তার খোজ-খবর নেওয়া আমি বন্ধ করে দিয়েছি।
আমি আজকে অফিস থেকে আসার সময় ভাবলাম,আগামীকাল যেহেতু আমাদের দুজনরেই অফিস বন্ধ,আমি আর রিয়া নাহয় কাল শফিংয়ে যাব,ভাবলাম বাসায় গিয়ে যদি আমি রিয়াকে একথা বলি,তাহলে সে অবশ্যই খুশি হবে।
কিন্তু না,আমি যখন রিয়াকে একথাটি বললাম,তখনই রিয়া আমাকে মুখের উপর না করে দেয়।সে বলে,তাকে নাকি অফিসের অনেক গুরুত্বপুর্ন কাজ করতে হবে।
তার একথা শুনে আমি আর কিছুই বললাম না।শুধু অবাকই হলাম।
যে মেয়ে আমার কাছে তাকে দেওয়ার জন্য একটু সময় চাইত,সে আজ আমাকেই তার ব্যস্ততা দেখালো।
আরে,তুমি তোমার জন্য নাহয় সময়টা বাদ দিলে,কিন্তু আমার জন্য নাহয় সময়টা বের করে নিতে।একটা সময় ছিল যে,আমি আমার শত ব্যস্ততার মাঝেও তোমার জন্য সময় বাহির করতাম।আর সেই,তুমি পারলে না আমারর জন্য একটু সময় বাহির করতে।
এসকল কথা ভাবতে ভাবতে,কখন যে আমার চোখদুটি ভেদ করে পানি বের হয়ে এলো।তা আমি টেরই পেলাম না।
আমি তার ডাকেই ভাবনার জগৎ, থেকে বাস্তবে পিরলাম,
আমি তার দিকে তাকাতেই সে বলল,
:-একি,তোমার চোখে পানি কেন?(রিয়া)
:-কই,নাতো আমার চোখে আবার পানি কোথথেকে আসবে।(আমি)
:-আরে বাদ দাওতো এসব ন্যাকামি।এখন খেতে চলো।
:-আমার না এখন খুদা নাই।আচ্চা তোমার কাজ শেষ হয়েছে নাকি?
:-না,তোমার জন্যই তো কাজটা শেষ করতে পারলাম না।যেহেতু তোমার খুদা নেই,তাহলে আমাকে ঐ সময় ডাকলে কেন?যত্তসব,উটকো ঝামেলা।
এ বলে সে চলে গেলো।আর আমি না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়লাম।যদিও ঘুম আসতেছে না।তাই কিছক্ষন পর ঘুমের ট্যাবলেট খেতে উঠলাম।তখন দেখলাম রিয়া খাইতেছে।আমাকে দেখে সে জিগ্গেস করলো,
:-কি হলো,ঘুমাও নি?আর কি জন্য উঠলে?(রিয়া)
:-না,আসলে ঘুম আসছিল না,তাই একটা ঘুমের ট্যাবলেট খেতে উঠলাম।
:-ওওও,,,
তারপর আমি ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে এসে শুয়ে পড়লাম এর কিছুক্ষন পর সে ও এসে আমার পাশে ঘুমিয়ে পড়লো।
পরদিন ঘুম থেকে,,,,
(চলবে,,,,,
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com