গল্পঃ অবশেষে প্রেম | লেখকঃ এস.এ
ভালো থাকিস রে, এই পাগল টা আর তোকে বিরক্ত করব না,,,,,,,,,তারপর
.
ওই বলে সেখান থেকে চোখ মুছতে মুছতে চলে এলাম। একবারও জুঁইয়ের দিকে তাকাইনি।
.
এখন আমার নিজের প্রতিই ঘৃণা লাগছে। এতদিন যাকে ভালবাসতাম সে এভাবে ঠকালো। আমাকে আগে বললেই পারতো যে ওর বয়ফ্রেন্ড। তাইলে আমি আর এতদিন শুধু শুধু পরে থাকতাম না। এখন শুধু একটাই আফসোস, নিজের ভালবাসা কে নিজের করে পেলাম না।
.
.
.
ওই দিনের পর থেকে আমি আর জুঁইয়ের সামনে যাইনি। ওদের বাড়িতেও যাইনি।
আমি আর ওকে বিরক্ত করতে চাই না। আমি জুঁইয়ের সামনে গেলেই তো ও বিরক্ত বোধ করে তাই আমি যতটা পারি জুঁইয়ের থেকে দূরে চলে যাব।
.
.
এখন আমার সব কিছুই ধীর। ঠিকমতো কলেজ যাই না। কলেজ গেলেও রুম থেকে বের হইনা। কারণ মাঠে গেলেই যদি আবার জুঁইয়ের সামনে পরে যাই তাহলে তো জুই বিরক্ত হবে। আর আমি তো ওকে প্রমিজ করছি, আমি আর ওকে বিরক্ত করব না।
বাড়ি থেকেও বের হইনা বেশী। যদি কোনো খুব দরকার পরে তাহলে যাই, তাছাড়া আর না। মা যেতে বলছে অনেক বার, ঘরে থেকে বাইরে বের হ, জুঁইয়ের বাড়িতে যা। এটা আন ওটা আন। নানান কাজ। কিন্তু আমি যেতাম না। ঘাড় বাঁকিয়ে বসে থাকতাম।
.
মা অনেক বার জিগেস করছে কি হইছে কিন্তু আমি এড়িয়ে গেছি। কিছু হইনি বলে। কিন্তু এভাবে আর কয়দিন চলবে, আর কয়দিন নিজেকে বন্ধ ঘরে আটকে রাখব? তাই স্বিদ্ধান্ত নিলাম যে। আর এখানে থাকবই না। ফাইনাল পরীক্ষা হয়ে গেলেই এখান থেকে দূরে চলে যাব।
.
কয়েক মাস পর পরীক্ষা শুরু হলো। এই কয় মাসে আমি একবারও জুঁইয়ের সামনে যাইনি। ওর সাথে কথা বলতে চাইনি।
কি লাভ শুধু শুধু একজন কে বিরক্ত করে। যদি সে আমাকে ছেড়ে ভালো থাকে তো আমি কেন থাকতে পারব না।
.
এই কয় মাসে জুইও আমার খবর নেয়নি সেটা না। যখন আমি বাড়িতে একলা ঘরে বসে থাকতাম তখন জুই এসে মার কাছে জিগেস করতো আমি কই গেছি। আমি তখন সব ঘর থেকে শুনতাম।
তারপর আমি ওর সাড়া পেয়েই ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে চলে আসতাম।
.
কি লাভ নিজের না পাওয়া ভালবাসাকে সামনে এনে বুকের চাপা কষ্ট টা বাড়াতে। .এতে আরও দুঃখ বাড়বে। কান্না পাবে।
.
পরীক্ষা শেষে রেসাল্ট খুব তাড়াতাড়ি দিল। হাতে রেসাল্ট পাওয়া মাএই দৌড় লাগলাম ঢাকা কলেজে ভর্তি হতে।
.
এরপর চলে এলাম ঢাকা। আসার সময় মা অনেক কান্না করছিল। কিন্তু জুই পাগলীটাকে একবারও বলি নাই যে আমি ঢাকা চলে আসব। জুঁইকে না জানিয়েই চলে আসছি।
.
পাশাপাশি বাড়ি হলে কি হবে, কাউকে না জানিয়ে রাত 11 টার বাসে আসলে কে জানতে পারবে। আর আমি মাকে বলে দিছিলাম ওদের বাড়ির কাউকে না জানাতে, যে আমি ঢাকা চলে আসব।
.
ঢাকা ভালই চলছে দিন কাল। পড়াশোনা আর ব্যস্ত শহরের মধ্যেই নিজেকে নিজের মতো গুটিয়ে নিয়েছি।
.
এখানে আসছি। 15 দিন হয়ে গেল। এখন বোধ হয় পাগলীটা নিশ্চয় জানতে পারছে, আমি আর বাড়িতে নেই। ওদের সবাইকে না জানিয়ে রাতের আড়ালে চোরের মতো চলে আসছি এই ঢাকা নামক দূরের শহরটাতে।
.
এখন আমি নিয়মিত মা বাবার সাথে ফোনে কথা বলি। ফোন নাম্বার অনেক আগেই চেন্জ করছি। মা বাবা আর বন্ধুরা ছাড়া আর কেউ জানে না।
একদিন মার সাথে কথা বলছিলাম। তখন মা বলল, আকাশ তোর সাথে আর জুঁইয়ের সাথে কি কিছু হইছে? আমি বললাম, না তো।
তাহলে জুই কথা বলব এখন তোর সাথে কথা বল।
মা আমার এখন পড়া বাকি আমি পারব না, রাখলাম বায়।
.
এই কথা বলে ফোন রেখে দিলাম। আমি চাইনা পুরনো কষ্ট টা আবার মাথা নাড়া দিয়ে উঠুক।
এরপর মা আরও অনেক বার জুঁইয়ের সাথে কথা বলতে বলেছে এবং জুইও আমার সাথে কথা বলার চেষ্টা করছে কিন্তু আমি কথা বলি নাই।
.
এভাবে কেটে গেল ৪ প্রায় মাস
একদিন রাতে মেসে শুয়ে শুয়ে ফেসবুক চালাচ্ছি। 11:30 বাজবে হয়তো তখন। তখন একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে কল আসলো। আমিও কি মনে করে কল কেটে দিলাম। অপরিচিত কারও কল আমি রিসিভ করি না।
তারপর আরও ২ বার আসলো কেটে দিলাম। কিন্তু তিন বারের বার কল ধরলাম। কে? আর কেন আমাকে এতো রাতে এতবার করে কল দিচ্ছে।
– হ্যালো
– ( ফুপানির শব্দ, মনে হয় কাঁদছে)
– হ্যালো, কিছু বলছেন না কেন??
– ( চুপ, এবার জোরে শব্দ করে কেদে দিল)
– আপনি কে? আমাকে কল দিয়ে কাঁদছেন কেন? কিছু বললে বলুন নাহলে রেখে দিলাম।
– কুওা হনুমান তুই শুধু কল কাটবি তোরে আমি কেটে দু টুকরা করে ফেলব।
– ( বুঝতে পারলাম কে ফোন দিছে, এ গলাটা যে আমার খুব চেনা) ওহ্, জুই তুই। কেমন আছিস? আর আমার নাম্বার কই পেলি।
– নাম্বার যেখানে পাওয়ার পাইছি তোর জানার দরকার নাই। আর এতদিন পর বলছিস কেমন আছি?
– হুহ, এর বেশী কিছু বলার প্রয়োজন মনে করি না
– কিহ্! আর কত কাঁদাবি আমায় আর কত কষ্ট দিবি বল না ! আমি আর পারছি না আমার সয্য হচ্ছে না আর.!
– মানে!
– আমিও তোকে খুব ভালবাসি রে। ফিরে আয় না আমার কাছে, বুকে টেনে নে না পাগলীটাকে প্লিজ। ( এই বলে আবার কাদতেঁ লাগল)
– তুই কি বলছিস এসব? পাগল হয়ে গেছিস নাকি??
– পাগল। হ্যাঁ আমি পাগল হইছি। যেদিন থেকে তুই আমাকে একা রেখে শূন্য জীবনটা উপহার দিয়ে চলে গেছিস সেদিন থেকে পাগল হইছি। ঠিক করে দে না এই পাগলীটাকে।
– তার মানে তুই আমাকে ভালোবাসিস!
– হুহ। নিজের থেকেও বেশি আমি তোকে ভালবাসি।
– তাহলে সেদিন যা বললি তুই ——–
– থাপ্পড় খাবি একটা হারামজাদা। যাকে ভালোবাসিস তাকে এতবড় ভুল বুঝতে পারলি কিভাবে। ওটা আমার ফ্রেন্ড ছিলো।
– হুম।
– হুম মানে কি হ্যাঁ? তোকে তো আমি অনেক মারতাম অনেক বকতাম। তবুও তো তুই আমার পিছু ছাড়িস নি। সবসময় আমার সাথে ছায়া হয়ে মিশে ছিলি। আর তখন ওইটুকু একটা সাজানো বিষয় নিয়ে এভাবে চলে গেলি। এভাবে কষ্ট দিতে পারলি তুই আমাকে।
– তাহলে তুই বললি কেন ওটা তোর বয়ফ্রেন্ড আর আমাকে ভালোবাসিস তাইলে এতবছর ঘুরাইলি ক্যান?
– সরি রে আমি বুঝতে পারি নাই, আমি ভাবছি ওকে আমার বয়ফ্রেন্ড পরিচয় দিলে তুই আমার উপর আরও ছায়ার মতো লেগে থাকবি আমার খোঁজ খবর রাখবি। কিন্তু বিলাই কোথাকার, আমাকে ছেড়ে চলে গেলি আর যে কয়দিন এখানে ছিলি তবুও আমার থেকে দূরে লুকিয়ে ছিলি। কেন করলি এমন আমার সাথে।
– ফাজলামো করার একটা মাএা থাকে আর তুই সেটা ছাড়িয়ে গেছিস এখন নিজেও কষ্ট পেলি আমাকেও কষ্ট দিলি।
– সরি রে প্লিজ মাফ করে দে না তোর পাগলীটাকে। ফিরে আয় প্লিজ।
– ওকে, কিন্তু শর্ত আছে।
যেকোনো কিছুতে আমি রাজি।
– টেস্ট পরীক্ষার পর আমি আসব। আমি আসা মাএই আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরবি আর কখনো কষ্ট দিবি না।
– আচ্ছা ঠিক আছে, আয়।
– রাত হইছে অনেক এখন ঘুমা।
– আচ্ছা, ঠিক আছে।
.
.
ফোন কেটে দিলাম। আমি বুঝতে পারছি না কি করব। খুশিতে ঘুম হয়নি আমার। আমার পাগলীটা আমারই আছে। অন্য কারও হয় নাই, হুররে, আমার তো নাচতে ইচ্ছে করছে।
.
এরপর থেকে আমরা প্রতিদিন কথা বলতাম ফোনে। আমার ভালবাসা এখন আস্তে আস্তে পূর্ণতা পেতে লাগল।
পরীক্ষা এগিয়ে এলো।
.
পরীক্ষা দেওয়ার সময় জুঁইয়ের সাথে কম কথা হইছে। কারণ তখন পড়াশোনা আর পরীক্ষার চাপ ছিলো বেশি। জুই আমার সাথে বেশী কথা বলতো না পরীক্ষার সময়। শুধু বলতো সময় নষ্ট করলে নাকি পরীক্ষা খারাপ হবে। এই বলে কল কেটে দিত।
.
যাক বাচা গেল পরীক্ষা শেষ। বাড়ির পথে রওনা দেই এখন।
শেষমেষ বাসে উঠেই গেলাম। সকালে বাস ছাড়ল বিকেলে চলে আসলাম।
.
বাস স্ট্যান্ডে নেমে দেখি মা বাবা চাচা চাচি সবাই দাড়িয়ে অপেক্ষা করছে আমার জন্য কিন্তু আমি আমার পাগলীটাকে দেখছি না গেল কই।
.
হটাৎ কোথা থেকে যেন ঝড়ের গতিতে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরল সবার সামনেই তারপর আবার আমার বুকে মুখ গুজে কাদতেঁ লাগল।
.
কি করব তখন কিচ্ছু বুঝতে পারছি না। না পারছি ছাড়তে না পারছি আমি জড়িয়ে ধরতে। সামনে থেকে মা বাবা আমাদের কান্ড থেকে হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ার অবস্থা আর পাশের লোক গুলো তো তাকিয়ে আছেই।
.
অতি লজ্জা নিয়ে বাড়ি ফিরলাম। শুরু হলো এক নতুন প্রেম কাহিনীর।
.
ওই বলে সেখান থেকে চোখ মুছতে মুছতে চলে এলাম। একবারও জুঁইয়ের দিকে তাকাইনি।
.
এখন আমার নিজের প্রতিই ঘৃণা লাগছে। এতদিন যাকে ভালবাসতাম সে এভাবে ঠকালো। আমাকে আগে বললেই পারতো যে ওর বয়ফ্রেন্ড। তাইলে আমি আর এতদিন শুধু শুধু পরে থাকতাম না। এখন শুধু একটাই আফসোস, নিজের ভালবাসা কে নিজের করে পেলাম না।
.
.
.
ওই দিনের পর থেকে আমি আর জুঁইয়ের সামনে যাইনি। ওদের বাড়িতেও যাইনি।
আমি আর ওকে বিরক্ত করতে চাই না। আমি জুঁইয়ের সামনে গেলেই তো ও বিরক্ত বোধ করে তাই আমি যতটা পারি জুঁইয়ের থেকে দূরে চলে যাব।
.
.
এখন আমার সব কিছুই ধীর। ঠিকমতো কলেজ যাই না। কলেজ গেলেও রুম থেকে বের হইনা। কারণ মাঠে গেলেই যদি আবার জুঁইয়ের সামনে পরে যাই তাহলে তো জুই বিরক্ত হবে। আর আমি তো ওকে প্রমিজ করছি, আমি আর ওকে বিরক্ত করব না।
বাড়ি থেকেও বের হইনা বেশী। যদি কোনো খুব দরকার পরে তাহলে যাই, তাছাড়া আর না। মা যেতে বলছে অনেক বার, ঘরে থেকে বাইরে বের হ, জুঁইয়ের বাড়িতে যা। এটা আন ওটা আন। নানান কাজ। কিন্তু আমি যেতাম না। ঘাড় বাঁকিয়ে বসে থাকতাম।
.
মা অনেক বার জিগেস করছে কি হইছে কিন্তু আমি এড়িয়ে গেছি। কিছু হইনি বলে। কিন্তু এভাবে আর কয়দিন চলবে, আর কয়দিন নিজেকে বন্ধ ঘরে আটকে রাখব? তাই স্বিদ্ধান্ত নিলাম যে। আর এখানে থাকবই না। ফাইনাল পরীক্ষা হয়ে গেলেই এখান থেকে দূরে চলে যাব।
.
কয়েক মাস পর পরীক্ষা শুরু হলো। এই কয় মাসে আমি একবারও জুঁইয়ের সামনে যাইনি। ওর সাথে কথা বলতে চাইনি।
কি লাভ শুধু শুধু একজন কে বিরক্ত করে। যদি সে আমাকে ছেড়ে ভালো থাকে তো আমি কেন থাকতে পারব না।
.
এই কয় মাসে জুইও আমার খবর নেয়নি সেটা না। যখন আমি বাড়িতে একলা ঘরে বসে থাকতাম তখন জুই এসে মার কাছে জিগেস করতো আমি কই গেছি। আমি তখন সব ঘর থেকে শুনতাম।
তারপর আমি ওর সাড়া পেয়েই ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে চলে আসতাম।
.
কি লাভ নিজের না পাওয়া ভালবাসাকে সামনে এনে বুকের চাপা কষ্ট টা বাড়াতে। .এতে আরও দুঃখ বাড়বে। কান্না পাবে।
.
পরীক্ষা শেষে রেসাল্ট খুব তাড়াতাড়ি দিল। হাতে রেসাল্ট পাওয়া মাএই দৌড় লাগলাম ঢাকা কলেজে ভর্তি হতে।
.
এরপর চলে এলাম ঢাকা। আসার সময় মা অনেক কান্না করছিল। কিন্তু জুই পাগলীটাকে একবারও বলি নাই যে আমি ঢাকা চলে আসব। জুঁইকে না জানিয়েই চলে আসছি।
.
পাশাপাশি বাড়ি হলে কি হবে, কাউকে না জানিয়ে রাত 11 টার বাসে আসলে কে জানতে পারবে। আর আমি মাকে বলে দিছিলাম ওদের বাড়ির কাউকে না জানাতে, যে আমি ঢাকা চলে আসব।
.
ঢাকা ভালই চলছে দিন কাল। পড়াশোনা আর ব্যস্ত শহরের মধ্যেই নিজেকে নিজের মতো গুটিয়ে নিয়েছি।
.
এখানে আসছি। 15 দিন হয়ে গেল। এখন বোধ হয় পাগলীটা নিশ্চয় জানতে পারছে, আমি আর বাড়িতে নেই। ওদের সবাইকে না জানিয়ে রাতের আড়ালে চোরের মতো চলে আসছি এই ঢাকা নামক দূরের শহরটাতে।
.
এখন আমি নিয়মিত মা বাবার সাথে ফোনে কথা বলি। ফোন নাম্বার অনেক আগেই চেন্জ করছি। মা বাবা আর বন্ধুরা ছাড়া আর কেউ জানে না।
একদিন মার সাথে কথা বলছিলাম। তখন মা বলল, আকাশ তোর সাথে আর জুঁইয়ের সাথে কি কিছু হইছে? আমি বললাম, না তো।
তাহলে জুই কথা বলব এখন তোর সাথে কথা বল।
মা আমার এখন পড়া বাকি আমি পারব না, রাখলাম বায়।
.
এই কথা বলে ফোন রেখে দিলাম। আমি চাইনা পুরনো কষ্ট টা আবার মাথা নাড়া দিয়ে উঠুক।
এরপর মা আরও অনেক বার জুঁইয়ের সাথে কথা বলতে বলেছে এবং জুইও আমার সাথে কথা বলার চেষ্টা করছে কিন্তু আমি কথা বলি নাই।
.
এভাবে কেটে গেল ৪ প্রায় মাস
একদিন রাতে মেসে শুয়ে শুয়ে ফেসবুক চালাচ্ছি। 11:30 বাজবে হয়তো তখন। তখন একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে কল আসলো। আমিও কি মনে করে কল কেটে দিলাম। অপরিচিত কারও কল আমি রিসিভ করি না।
তারপর আরও ২ বার আসলো কেটে দিলাম। কিন্তু তিন বারের বার কল ধরলাম। কে? আর কেন আমাকে এতো রাতে এতবার করে কল দিচ্ছে।
– হ্যালো
– ( ফুপানির শব্দ, মনে হয় কাঁদছে)
– হ্যালো, কিছু বলছেন না কেন??
– ( চুপ, এবার জোরে শব্দ করে কেদে দিল)
– আপনি কে? আমাকে কল দিয়ে কাঁদছেন কেন? কিছু বললে বলুন নাহলে রেখে দিলাম।
– কুওা হনুমান তুই শুধু কল কাটবি তোরে আমি কেটে দু টুকরা করে ফেলব।
– ( বুঝতে পারলাম কে ফোন দিছে, এ গলাটা যে আমার খুব চেনা) ওহ্, জুই তুই। কেমন আছিস? আর আমার নাম্বার কই পেলি।
– নাম্বার যেখানে পাওয়ার পাইছি তোর জানার দরকার নাই। আর এতদিন পর বলছিস কেমন আছি?
– হুহ, এর বেশী কিছু বলার প্রয়োজন মনে করি না
– কিহ্! আর কত কাঁদাবি আমায় আর কত কষ্ট দিবি বল না ! আমি আর পারছি না আমার সয্য হচ্ছে না আর.!
– মানে!
– আমিও তোকে খুব ভালবাসি রে। ফিরে আয় না আমার কাছে, বুকে টেনে নে না পাগলীটাকে প্লিজ। ( এই বলে আবার কাদতেঁ লাগল)
– তুই কি বলছিস এসব? পাগল হয়ে গেছিস নাকি??
– পাগল। হ্যাঁ আমি পাগল হইছি। যেদিন থেকে তুই আমাকে একা রেখে শূন্য জীবনটা উপহার দিয়ে চলে গেছিস সেদিন থেকে পাগল হইছি। ঠিক করে দে না এই পাগলীটাকে।
– তার মানে তুই আমাকে ভালোবাসিস!
– হুহ। নিজের থেকেও বেশি আমি তোকে ভালবাসি।
– তাহলে সেদিন যা বললি তুই ——–
– থাপ্পড় খাবি একটা হারামজাদা। যাকে ভালোবাসিস তাকে এতবড় ভুল বুঝতে পারলি কিভাবে। ওটা আমার ফ্রেন্ড ছিলো।
– হুম।
– হুম মানে কি হ্যাঁ? তোকে তো আমি অনেক মারতাম অনেক বকতাম। তবুও তো তুই আমার পিছু ছাড়িস নি। সবসময় আমার সাথে ছায়া হয়ে মিশে ছিলি। আর তখন ওইটুকু একটা সাজানো বিষয় নিয়ে এভাবে চলে গেলি। এভাবে কষ্ট দিতে পারলি তুই আমাকে।
– তাহলে তুই বললি কেন ওটা তোর বয়ফ্রেন্ড আর আমাকে ভালোবাসিস তাইলে এতবছর ঘুরাইলি ক্যান?
– সরি রে আমি বুঝতে পারি নাই, আমি ভাবছি ওকে আমার বয়ফ্রেন্ড পরিচয় দিলে তুই আমার উপর আরও ছায়ার মতো লেগে থাকবি আমার খোঁজ খবর রাখবি। কিন্তু বিলাই কোথাকার, আমাকে ছেড়ে চলে গেলি আর যে কয়দিন এখানে ছিলি তবুও আমার থেকে দূরে লুকিয়ে ছিলি। কেন করলি এমন আমার সাথে।
– ফাজলামো করার একটা মাএা থাকে আর তুই সেটা ছাড়িয়ে গেছিস এখন নিজেও কষ্ট পেলি আমাকেও কষ্ট দিলি।
– সরি রে প্লিজ মাফ করে দে না তোর পাগলীটাকে। ফিরে আয় প্লিজ।
– ওকে, কিন্তু শর্ত আছে।
যেকোনো কিছুতে আমি রাজি।
– টেস্ট পরীক্ষার পর আমি আসব। আমি আসা মাএই আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরবি আর কখনো কষ্ট দিবি না।
– আচ্ছা ঠিক আছে, আয়।
– রাত হইছে অনেক এখন ঘুমা।
– আচ্ছা, ঠিক আছে।
.
.
ফোন কেটে দিলাম। আমি বুঝতে পারছি না কি করব। খুশিতে ঘুম হয়নি আমার। আমার পাগলীটা আমারই আছে। অন্য কারও হয় নাই, হুররে, আমার তো নাচতে ইচ্ছে করছে।
.
এরপর থেকে আমরা প্রতিদিন কথা বলতাম ফোনে। আমার ভালবাসা এখন আস্তে আস্তে পূর্ণতা পেতে লাগল।
পরীক্ষা এগিয়ে এলো।
.
পরীক্ষা দেওয়ার সময় জুঁইয়ের সাথে কম কথা হইছে। কারণ তখন পড়াশোনা আর পরীক্ষার চাপ ছিলো বেশি। জুই আমার সাথে বেশী কথা বলতো না পরীক্ষার সময়। শুধু বলতো সময় নষ্ট করলে নাকি পরীক্ষা খারাপ হবে। এই বলে কল কেটে দিত।
.
যাক বাচা গেল পরীক্ষা শেষ। বাড়ির পথে রওনা দেই এখন।
শেষমেষ বাসে উঠেই গেলাম। সকালে বাস ছাড়ল বিকেলে চলে আসলাম।
.
বাস স্ট্যান্ডে নেমে দেখি মা বাবা চাচা চাচি সবাই দাড়িয়ে অপেক্ষা করছে আমার জন্য কিন্তু আমি আমার পাগলীটাকে দেখছি না গেল কই।
.
হটাৎ কোথা থেকে যেন ঝড়ের গতিতে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরল সবার সামনেই তারপর আবার আমার বুকে মুখ গুজে কাদতেঁ লাগল।
.
কি করব তখন কিচ্ছু বুঝতে পারছি না। না পারছি ছাড়তে না পারছি আমি জড়িয়ে ধরতে। সামনে থেকে মা বাবা আমাদের কান্ড থেকে হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ার অবস্থা আর পাশের লোক গুলো তো তাকিয়ে আছেই।
.
অতি লজ্জা নিয়ে বাড়ি ফিরলাম। শুরু হলো এক নতুন প্রেম কাহিনীর।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,সমাপ্ত,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com