পুলিশের মেয়ে | পর্ব ৪
আমি অবাক হয়ে সামনে তাকিয়ে আছি।আমার সামনে অবন্তী দারিয়ে আছে আমার দিকে তাকিয়ে।তারপর আমার সামনে আসল।এসে বলল,,,
অবন্তী-আমি ভেবেছিলাম তুমি আসবেনা।আসলে তোমার লজ্জা নেই সেই দিনের মারের কথা ভুলে গেছো।
আমি-আসলে,,,,,
আমার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে আবার বলল,,
অবন্তী-এখানে কেন এসেছো বেরিয়ে জাও।
আমি মাথা নিচু করে চলে অসছি তখনি পেছন থেকে বাবা ডাকলো।
বাবা-নীল এইদিকে আয়।
আমি চুপ চাপ বাবার কাছে গেলাম।তখনি সামনে দেখি সে পুলিশ টা মানে অবন্তীর বাবা দারিয়ে আছে।অবন্তী ও ওনার কাছে গেল।
তারপর অবন্তীর বাবা আমাকে দেখে বলল,,
অবন্তীর বাবা-তুমি এখানে।
আমি কিছু বললাম না চুপ করে দাড়িয়ে আছি তখনি আমার বাবা বলল,,
বাবা-তুই ওকে চিনিস।
অবন্তীর বাবা-হু চিনি।
বাবা আমার উদ্দেশ্য বলল নীল এ হল আমার বন্ধু আবীর চৌধুরী।তার পর বাবার বন্ধুকে উদ্দেশ্য কবে।আবীর ও হল আমার ছেলে নীল চিনতে পেরেছিস।
অামিতো শুনে অবাক বাবার বন্ধু আর কেউ না অবন্তীর বাবা।কিন্তু তার থেকে আরো বেশি অবাক হয়েছে আমার সামনে দাড়িয়ে থাকা প্রাণী ২টো।মানে অাবীর সাহেব আর তার মেয়ে অবন্তী।কারণ ওরা এমনটা আসা করেনি----আমিও এমন আসা করিনি।তারপর বাবা মা ওদের সাথে কথা বলছিল আর আমি এক পাশে দাড়িয়ে ছিলাম।তখন লক্ষ করলাম যে অবন্তী আমার দিকে হতচকিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।মনে হচ্ছে আমি কেনো এলিয়ন।
কিছু খন ওখানে বসে থাকলাম এখনো অবন্তী আমার দিকে তাকিয়ে আছে।কিন্তু ওকে দেখতে আমার একদমই ইচ্ছে করছে না।
কিছু খন পর বাবাকে বলে ওখান থেকে চলে আসলাম।বাবা প্রথমে আসতে দিচ্ছিল না বলছিল কি যেন কথা বলবে আমার সাথে ।আমি কোনো কথা না শুনে চলে অসলাম।আসার সময় একবার এর জন্য অবন্তীর দিকে তাকায়নি।কেনই বা তাকাব কে হয় ও আমার।ওইখানে আমার বন্ধুরাও ছিল আমাকে দেখে জিজ্ঞেস করেছিল আমি এখানে আসবনা বলে এলাম কেন আমি বলে ছিলাম পরে বলব।এই বলে ওখান থেকে চলে এসেছি।আসার সময় এক প্যাকেট সিগারেট কিনে টানতে টানতে বাড়ি আসলাম।
বাড়ি এসে ছাদের এক কোনে বসে সিগারেটের ধোঁয়া ছারছি আর অবন্তীর দেওয়া অপমান গুলোর কথা ভাবছি।আর অামার চোখ দিয়ে অঝোরে জল পরছে।রাত ২টোর সময় ঘরে জেয়ে শুয়ে পরলাম।
ঘুম ভাঙ্গলো পরের দিন সকাল ১০ সময় মায়ের ডাকে।আমি ফ্রেস হয়ে বাইরে গেলাম বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে।গিয়ে দেখি সবাই বসে আছে আমি গিয়ে ওদের পাশে বসলাম।ওরা কালকের বিশেষ জিজ্ঞেস করল ওদের সব খুলে বলাম ওরাত অবাক।অবাক হওয়ার e কথা।তার পর ওদের সাথে অাড্ডা দিয়ে বাড়ি আসলাম এসে খেয়ে দেয়ে।ঘরে গিয়ে শুয়ে আছি এমন সময় মা ঘরে আসল আমা পাশে বসে বলল,,,,
মা-নীল কালকে ওখান থেকে চলে আসলি কেন।
আমি-এমনি।কেন।
মা-ওরাতো তোর সাথে কথা বলবে বলে তকে নিয়ে জেতে বলে ছিল আর তুই চলে আসায় ওরা খুব রাগ করছিল।
আমি-আমার ভালো লাগছিল না তাই চলে আসছিলাম।আর ওরা আমার সাথে কেন কথা বলবে।(রাগে গিয়ে)
মা-আরে রাগ করছিস কেন।আর শোন ওরা আমা দের বাড়ি ৩ দিন পর আসবে।
আমি-কেন।
মা-কেন আবার তোর সাথে কথা বলতে।কালতো কথা না বলে চলে আসলি তাই।
আমি-মা আমি কারোর সাথে কথা বলতে পারবো না।
মা-তোর বাবাকে বলব তুই ওদের সাথে কথা বলতে রাজী না।
কি আর করার বাবা কথা বলতে আমার বুকে সব হাওয়া বেরিয়ে গেল।এমন ভাবে দু’টি দিন কেটে গেল।কাল অবন্তীরা আসবে।কিন্তু ওরা আমার সাথে কি কথা বলতে চাই আমার মাথা আসছেনা।
পরের দিন,,,,,,,
সকালে কলিঙ্গ বেলের আওয়াজ এ ঘুম ভেঙে গেল।আমি বাইরে আসতে আসতে দেখি মা দরজা খুলে দিয়েছে।মাকে জিজ্ঞেস করলাম কে এসেছে তখন মা আমার কাছে একটা চিঠি দিয়ে বলল,,,,
মা-এইনে তোর চিঠি।
আমি-কে পাঠিয়েছে।
মা-দেখ খুলে।
আমি চিঠিটা খুলে পরে দেখলাম পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার থেকে চিঠি ৭ দিন পর আমার ওখানে জেতে হবে।
মা বলল,,,
মা-কিসের চিঠি।
অামি মা কে সব বললানযম মা বলল।বা ভালো কথা তা এত দিন বলিস নি কেন।আমি বললাম সারপ্রাইজ দেবার জন্য।তারপর বললাম এ কথা জেন কাউকে না বলে।
দুপুর বেলা ঘুমিয়ে ছিলাম তখনি মা এসে ডাক দিল আর বলল।অবন্তীরা এসেছে।আমি তখন ফ্রেস হয়ে ঘরের বসে আছি বাইরে গিয়ে ওদের মুখোমুখি হতে চাই না।একটু পর কেউ একজন অমার ঘচের দরজা নক করল বলল আসতে পারি,,,,
আমি-হ্যা আসুন।
দেখি আবন্তীর বাবা ঘরে ঢুকলো তারপর বলল,
আবন্তীর বাবা-কেমন আছো।
আমি কথার উত্তর না দিয়ে শুধু , হা, হা, করে হাসলাম।তারপর আবার বললেন,,,
-দেখ যদি সেদিন তোমার পরিচিয় জানতাম তাহলে সেদিন ওই রকম হতনা।সরি।
আমি-আরে আপনি সরি বলছেন কেন সরি তো অামি বলব।আপনার মেয়েকে ডিস্টার্ব করার জন্য।
-দেখ আমি সত্যি সেদিনের জন্য দুঃখিত।
তারপর আমি কিছু ু বলার আগে ঘরে মা বাবা সাথে অবন্তী ঢুকলো আমি আর কিছু বলতে পরলাম না।তারপর বাবা যা বলল তার জন্য আমি এক দমি প্রস্তুত ছিলাম না।
বাবা বলে কিনা আমার সাথে অবন্তীর ছোটো থেকে বিয়ে ঠিক করা ছিল।একথা শুনে আমি হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পারছি না।অবন্তীর দিকে তাকিয়ে দেখি ও মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে।আমি বাবাকে বললাম,,,,
আমি-কি বলছো এ সব বাবা।
বাবা-হু আমি ঠিক e বলছি।
আমি-কিন্তু,,,
বাবা-কোনো কিন্তু না।তোদের বিয়ে ছোটো থেকে ঠিক করা ইচ্ছেনা থাকলেও বিয়ে করতে হবে।
আমি রেগে গজ গজ করতে করতে ঘর থেকে বেরিয়ে ছাদে গিয়ে একটা সিগারেটের ধরিয়ে টানতে লাগলাম।
আজ আকাশের চাঁদটা যেন আমার অবস্থা দেখে হাসছে।অমি ছাদের এক কোনে বসে সিগারেট টানছি আর পুরনো কথা ভাবছি।আর ভাবছি এই অহংকারী,, বদ মেজাজী মেয়েকে বিয়ে করলে আমার লাইফ তেজপাতা হয়ে জাবে।কিন্তু আবার আমার মনে হচ্ছে আমিতো ওকে ভালোবাসি এখনো।কিন্তু ওর অহংকারের জন্য আমি ওকে বিয়ে করতে দ্বিধা বোধ হচ্ছে।হে আল্লাহ আমি এখন কি করব তুমি আমার পথ দেখাও।।।আমি এই কথা গুলো ভাবছি আর তখনি ছাদে কারোর পায়ের শব্দ পেলাম,,,
তাকিয়ে দেখি অবন্তী এসে আমার সামনে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে পরল।তখন আমি বললাম,,,,
আমি-কি করতে এসেছো এখানে আরো অপমান করার আছো।সমস্যা নে মন খুলে অপমান করো আমি কিছু মনে করব না।
দেখি অবন্তী কিছু বলছেনা।মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে ।আমি আবার বললাম,,,
আমি-কি হল বল কেন এসেছো এখানে।
এবার অবন্তী মাথা তুলল দেখি চোখ দিয়ে জল পরছে।তার পর বলল,,
অবন্তী-আসলে আমি বুঝতে পারিনি যে তোমার সাথে আমার বিয়ে ঠিক করা।
আমি-একদোম আমার সামনে ন্যাকা কান্না করবে না।আর শুনো আমি তোমার মত অহংকারী মেয়েকে বিয়ে করব না।
অবন্তী-কিন্তু,,,,
আমি-কোনো কিন্তু না তুমি আমার সামনে থেকে চলে যাও।আর আমার সামনে কখনো আসবা না ।যদি কোনো দিন তোমার অহংকার ভাঙ্গে তখন আমার কাছে ফিরে এসো।
....ও কাঁদতে কাঁদতে চলে গেল।আমি জখন ওকে এই কথা গুলো বল ছিলাম তখন আমার বুকের ভেতর খুব কষ্ট হচ্ছিল।
পরের দিন,,,
আজ বন্ধু দের সাথে বসে আছি তখনি পেছন থেকে কে জেন কলাম টেনে দাড় করালো।তারপর টানতে টানতে নিয়ে গেল একটা গাছের নিচে।তাকিয়ে দেখি অবন্তী আমার খুব রাগ হল এ মেয়ে লজ্জা বলেকি কিছু নেই।তারপর আমি ওর মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি ওর চোখ মুখ লাল হয়ে আছে মনে হচ্ছে অনেক সময় ধরে কান্না করেছে।তারপর আমি বললাম,,,,,,
আমি-তোমার লজ্জা বলে কি কিছু নেই।
অবন্তী-ওই এক দম বেশি কথা বলবি না।
(কি মেয়ে রে বাবা একে বারে তুই)
অমি-কি বললে।
অবন্তী-জা বলছি ঠিক বলছি।অার এখন চলো।
আমি-কোথায়।
অবন্তী-পার্ক এ যাব।
আমি-আমি তোমার সাথে যাব না।
অবন্তী-এটা দেখেছো(একটা বন্দুক দেখিয়ে)
আমি-এইটা দিয়ে তুমি কি করবা।
অবন্তী-কি করব দেখবা।(বন্দুকটা অার দিকে ঘুরিয়ে)
আমি-এই কি কর মারবা না কি।
অবন্তী-আমার কথা না শুনলে মারতেও পারি।
দেখেছেন কি মেয়েরে বাবা হবু স্বামীকে বন্দুক দেখাছে।কি আর করার জেতেই হল এ মেয়ে ওপর একদম বিশেষ নেই সত্যি সত্যি মেরে দিতে পরা।
তারপর রিক্সা করে একটা পার্কে গেলাম।অবন্তী আমাকে একটা বেঞ্চে বসালো।তারপর বলা শুরু বকল,,,
অবন্তী-কাল কি জেন বলছিলা।
আমি-কি??
অবন্তী-আমাকে বিয়ে করবেনা না কি? যেন বলছিলা।
আমি-হু
-কি হু
-আমি তোমাকে বিয়ে করব না।
-এটা দেখেছো।(আবার বন্দুক দেখিয়ে)
এ কি মেয়েরে বাবা কথায় কথায় বন্দুক দেখাছে।
-তুমি কি পাগোল হয়ে গেলে না কি।
-হা আমি পাগোল হয়্ গেছি(কান্না কান্না ভাব করে)
তারপর আবার বলল,,
তুমি জানো আমি যখন ৯ ক্লাসে পরতাম তখন থেকে যান তাম আমার বিয়ে ঠিক করা আছে।তাই আমি কারোর সাথে রিলেশন করিনি।আমার সব ভালোবাসা আমার স্বামীকে দেব বলে।তুমি জানো না দেখে তোমাকে কতটা ভালোবেসেছি।আমি যদি জান তাম যে যার সাথে আমার বিয়ে ঠিক করা আছে সে আর তুমি এক জনি তা হলে হয়তো সেদিন ওমন হত না।কিন্তু যখন জানতে পারলাম তুমি সেই তখন খুব কান্না করেছিলাম।নিজেকে খুব ছোটো মনে হচ্ছিল।মনে হচ্ছিল নিজেকে শেষ করে দিই।
যান কাল যখন তুমি আমাকে অপমান করছিলে আমার একটু খারাপ লাগেনি কিন্তু যখন বললে আমাকে বিয়ে করবে না তখন আমার খুব খারাপ লাগছিল।আমি জানি আমি তোমার সাথে যা করেছি তার কাছে আমার অপমান কিছুনা।
আমি জানি তোমার কাছে ক্ষমা চাওয়ার মুখ আমার নেয়।তাও বলছি প্লিজ আমাকে এক বার ক্ষমা করে দাও।আমি তোমাক ছাড়া বাঁচব না।আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি প্লিজ আমাকে ছেড়ে যেওনা।(আমাকে জরিয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলল)
আমি কি করব বুঝতে পারছিনা।একটা মেয়ে কি করে কাউকে না দেখে এত ভালো বাসতে পারে।আমিও কিছু না ভেবে ওকে জরিয়ে ধরলাম।তারপর আমি বললাম,,
আমি-ঠিক আছে তুমি যদি কথা দাও আমাকে ছেরে কখনও যাবেনা তাহলে আমি তোমাকে বিয়ে করব।
অবন্তী-আমি তোমাকে ছেরে কখন জাবনা।(আমার বুক থেকে মুখ সরিয়ে কান্না থামিয়ে)
আমি-তা হলে আমি তোমাকে বিয়ে করব।
আমি-অবন্তী
-হু
-আমার না কিস করতে ইচ্ছে করছে।()
-কি? এটা দেখেছো।যা হবে একে বারে বিয়ে পর।
দেখেছেন কি মেয়ে কথায় কথায় বন্দুক দেখায়।এখনতো শুধু ওর বাবা পুলিশ তাই এমন করছে।আর যদি জানতে পরে যে ওর হবু বর ও কয়েক দিন বাদে পুলিশ হবে তাহলে আমার কি হবে।আমার মতন ছোটো শিশুকে কে বাচাবে।হে আল্লাহ এই দজ্জাল মেয়ে হাত থেকে তুমি আমার বাচাও।(অ্যা, অ্যা, অ্যা আমি কিন্তু কান্না করছি অন্য কিছু মনে করেন না কিন্তু)
.,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, . সমাপ্ত , , ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com