আপনায় আমার খুব ভালোলাগে।
-আপনার সাথে কিছু কথা ছিলো।
-জ্বি বলুন।
-আপনায় আমার খুব ভালোলাগে।
-হাহাহা,ধন্যবাদ।
-আপনার হাঁটার স্টাইল কথা বলার স্টাইল সবকিছুই
দারুণ।
-আবারো ধন্যবাদ।
-আপনার নাম্বারটা কি পেতে পারি?
পাশে তাকিয়ে খেয়াল করলাম রুহি অগ্নি দৃষ্টিতে
মেয়েটার দিকে চেয়ে আছে।
সামনে তাকিয়ে মেয়েটাকে কিছু বলতে যাবো তখনি
রুহি বললো "তুলুন,8670****84"
-ধন্যবাদ,কিন্তু আপনি কে ?
-এনার জাস্ট ফ্রেন্ড।
-ওহ্।
-হুম,তোমরা কথা বলো আমি আসি।
বলেই বালিকা উঠে হন হন করে হেঁটে চলে গেলো।
আমিও আর আটকালাম না,যেখানেই যাক ফিরে আমার
কাছেই আসতে হবে।
.
মেয়েটা আর আমি নিশ্চুপ হয়ে পাশাপাশি বসে আছি।
-কিছু বলছেন না যে!
-চলো ফুচকা খাই।
-কিইইইই,সত্যি।
-হুম।
.
ফুচকার দোকানে এসে এক প্লেট ফুচকা অর্ডার করতেই
মেয়েটা অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো "আপনি খাবেন না?"
-হুম,দুজন এক প্লেটেই খাবো।
-ওয়াও,আপনিতো খুব রোমান্টিক।
<আমি শুধু মুচকি হাসলাম।>
-আচ্ছা আপনার নামতো রাহুল!
-হুম।
-আমি রিমি।
-নামটা আপনার মতোই অদ্ভুত সুন্দর।
-আমি অতটাও সুন্দর না।
-এভাবে বলবেন না।
-কেনো।
-সুন্দর্যের অপমান হবে।
মেয়েটার মুখে খুশির ছাপ ভেসে উঠলো।
তারপর দুজন একসাথে একি প্লেটে ফুচকা খেয়ে আরো
অনেক কথা বলে বাসায় চলে আসলাম।
.
রাতে মার সাথে কথা বলছি,তখনি রুহির কল।
চাইলেও সেটা রিসিভ করতে পারলাম না।
টানা বিশ মিনিট মার সাথে কথা বলে রুহিকে কল
ব্যাক করলাম।
-হ্যালো।
-কল দিলা যে?
-কথা বলতে।
-ওই মেয়েটার সাথে কথা বলা শেষ?
-কোন মেয়ে?
-বাব্বাহ্,কিছুই জানোনা দেখছি।
-তুমি কি রিমির কথা বলছো?
-ওয়াও,নামটাও জানা হয়ে গেছে দেখছি।তোহ্ কত্ত
দূর এগলো তোমাদের রিলেশন?
-কার সাথে রিলেশন!কিসের রিলেশন!
-যার সাথে সকালে একি প্লেটে ফুচকা খেলে।
-ওহ্ জিজ্ঞাসা করতেতো ভুলে গেছি,খেয়েছো দুপুরে?
-সেটা জেনে তোমার কি?
-তারমানে খাওনি!
-রাখছি বাই।
-ওয়েট...ওয়েট...ওয়েট।
-না..না..না।
-প্লিজজজ...
-ওকে বলো।
-I love you.
টুট..টুট
*
বালিকা রেগে কলটা কেটে দিলো।নাহ্,আর রাগানো
ঠিক হবেনা ভেবে সাথে সাথে উঠে রেডি হয়ে রুহির
বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিলাম।
যাওয়ার পথে এক প্যাকেট বিরিয়ানি কিনে নিলাম।
আধাঁর কালো রাতে প্রকৃতির দৃশ্য কিছুটা অন্যই
লাগে।গাঝুমঝুমে মন ছুঁয়ে যাওয়া অদ্ভুত এক পরিবেশ।
রুহির বাড়ির নিচে এসে রুহিকে ছোট্ট একটা মেসেজ
দিলাম "নিচে আসো।"
জানি মেয়েটা হাজার রাগ-অভিমানের মাঝেও কথা
না শুনে পারবেনা,এটাও হয়তো ভালবাসার একটা
অঙ্গ।
দুই মিনিট অপেক্ষার পর নিচে এসে তাঁর
চাঁদ মুখের দর্শন দিলো।সাথে একটা ঝাড়ি ফ্রি.....
-এখানে এসেছো কেনো?
-তোমায় দেখতে।
-আমায় দেখতে হবে কেনো,যাও গিয়ে ওই মেয়েটাকে
দেখো।
-তোমার মতন এত্ত সুন্দর একটা গার্লফ্রেন্ড থাকতে
আবার অন্য মেয়ের কাছে যাওয়া প্রয়োজন পরেনাকি!
-হুহ্,ফুচকা খাওয়ার সময় এগুলো কথা ভুলে গেছিলা
বুঝি?
-ফুচকা খাওয়ার কথা তুমি জানলা কিকরে?
-জানছি।
-আড়ালে দাঁড়িয়ে![হাসির কন্ঠে]
-মোটেও না।
-রেগে আছো সোনা।
-ওই একদম আলগা প্রেম দেখাবানা।
-ওকে তবে সিরিয়াস প্রেম দেখাই।
-কোনো প্রেমই দেখাতে হবেনা।
-খুব শীত লাগছে।
-তো!
-একটু জড়িয়ে ধরো।
-মজা করছো।
-না,সত্যি।
-হুম,যাও বাসায় গিয়ে লেপ গায়ে দিয়ে শুয়ে থাকো।
-বাবা,বিয়ের আগেই এত্ত কেয়ার।
-ধ্যাত।
-খেয়েছো?
-না।
-খাবেনা?
-না।
-কেনো।
-আমার ইচ্ছা।
-আমি খাইয়ে দিলে খাবে?
-জানিনা।
তখন পেছন থেকে বিরিয়ানির প্যাকেটটা বেড়
করলাম।
রুহি অবাক হয়ে আমার দিকে চেয়ে রইলো।
তারপর শিরির ওপর সামনাসামনি বসে রুহিকে
খাইয়ে দিতে লাগলাম।
ভাগ্যক্রমে কিছুক্ষণ বাদে পকেটে মোবাইল বেজে
উঠলো।
বেড় করে রিসিভ করতে যাবো তখনি রুহি মোবাইল
কেড়ে নিলো।
.
৩০ সেকেন্ড কথা বলে সুন্দর ভাবে মোবাইল থেকে
সিমটা বেড় করে ভেঙে ফেলো।
-এটা কি হলো?
-যা হইছে দেখতেই পাছো। কোনো মেয়ের
সাথে কথা বলতে দেখলে সিমের মতন তোমাকেও
ভেঙে ফেলবো।
-ওরে বাবা।এখন একটু জড়িয়ে ধরলে কখনো কোনো
মেয়ের দিকেই তাকাবোনা।
কিছুক্ষণ ভেবে...
-এদিকে আসো।
-আসছি।
-চোখ বন্ধ করো।
তারপর বালিকা তাঁর কোমল বাহুতে আমায় জড়িয়ে
নিলো।
তখন কানে কানে বললাম-
"আমিই তোমায় রাগাবো"
"আমিই তোমায় কাঁদাবো"
"আমিই তোমায় হাসাবো"
সবশেষে সব জুড়ে আমিই তোমায় ভালবাসবো
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com