Breaking News

পুলিশের মেয়ে | পর্ব ৩

আজ কয়েক দিন হয়ে গেল কলেজে যাই না।

কিছু ভালো লাগে না ঠিক ঠাক খাইনা ঘুমায় না ঘরে বসেথাকি।

কারণ কলেজে গেলে অবন্তীর সাথে দেখা হবে।

আর ও আমাকে দেখিয়ে অন্য ছেলের সাথে হেসে হেসে কথা বলে কেন জানি 

আমার খুব খারাপ লাগে।ওকে ভোলার অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু পারিনি।

হয়তো জাকে মন দিয়ে ভালো বাসা হয় তাকে এত সহজে ভালো সম্ভব না।

না ওকে তো ভুলে যেতেই হবে যে করেই হোক।

এই দিকে আমার এই রকম আচরণ দেখে আমার মা খুব চিন্তিত তাই মা এসে বলল,,,,

মা-কি হয়েছে তোর।

আমি-না মা কিছু না।

মা-তা হলে বাইরে জাস না ঘরে বসে থাকিস।এই কয় দিন কলেজেও জাসনি।

আমি-এমনি কলেজ জেতে আর ভালো লাগে না।

মা-কলেজে কি কিছু হয়েছে।

আমি-না মা তেমন কিছু না।

মা-ঠিক আছে এসে ভাত খেয়ে নে।

আমি-আসছি তুমি জাও।

মা চলে গেল অার অামি ভাবছি কাল থেকে অবার কলেজে জাব

আমাকে অনেক বর হতে হবে।অবন্তীর অহংকার ভেঙে চুরে মাটিতে মিশিয়ে দিব।

 

 পরের দিন,,,,,,

আজ কলেজে এসে ক্যাম্পাসে একটা বট গাছের নিচে বসে অাছি।

তখনি পেছন থেকে কে যেন ডাক দিল,,,, 

পেছনে তাকিয়ে দেখি মেঘা আপু(অবন্তীর অাপু)

আমার কাছে এসে বসল তার পর জিজ্ঞেস করল,,,,
আপু-নীল এ কয় দিন ক্যাম্পাসে আসনা কেন।
আমি-ভালো লাগেনা তাই।
আপু-ও।তা কেমন আছো।
আমি-এই চোলছে।তুমি।
আপু-ভালো।একটা কথা বলব।
আমি-হু।

 

আপু-তোমার সাথে যা হয়েছে ভালো হয় নি।

আমি-এ সব কথা বাদ দাও।ভালো বাসলে তার পতি দান স্বরূপ কিছু তো

একটা পেতে হয় আমিও পেয়েছি।

আপু-মন খারাপ কর না অবন্তী খুব জেগি ও রাগি মেয়ে ও জা বলে বাবাকে 

তাই করতে হয়।ছোটো থেকে আদর পেয়ে তাই এমন হয়ে গেছে।

আমি-বাদ দাও এ সব কথা।তুমি কয় দিন কোথায় ছিলে।

কলেজে দেখতাম না।(কথা ঘোরা নোর জন্য)

আমি-বাড়ি ছিলাম না।আমি থাকলে হয় তো তোমার সাথে এমন হত না।

তারপর আরো কথা হল তার পর ক্লাসে গেলাম।

ক্লাসে গিয়ে বসে আছি দেখলাম আমাক কয়ে কটা বন্ধু আসল।

এসে আমার কাছে বসল।তার পর বলল,,, 

কিরে নীল কোথায় ছিলি এত দিন।ফোন ও বন্ধ। (সৌরভ)

আরে শরীর ভালো ছিলনা তাই ।

-তোর শরীর ভালো না আর তুই আমাদের বলার প্রয়োজন বোধ করলি না। (আকাশ)

আরে তেমন কিছু না।

তারপর ওদের সাথে আরো কিছু কথা বলাম।(ওরা এখনো সেই দিনের ঘটনা জানেনা।)

তারপর দেখলাম অবন্তী ক্লাসে আসলো এসে আমাকে দেখে অবাক হল।

কিন্তু কিছু বলল না হয় তো ও ভেবেছি আমি আর ওই কলেজে আসব না।

তাই হয় তো ও অবাক হয়েছে।

ক্লাস করে ক্যাম্পাস দিয়ে হাটছি তখনি দেখলাম সামনের দিকে অবন্তী

 আর ওর কিছু বান্ধবীরা দারিয়ে আছে।আমি ওদের পাশ কাটিয়ে মাথা

 নিচু করে আসছি তখন ওর বান্ধবী দের মধ্যে এক জন বলে উঠলো,,,, 

অবন্তী ওই দেখ তোর আসিক যাচ্ছে।দেখ মনে হচ্ছে ছ্যাঁকা খেয়ে ব্যাঁকা হয়ে গেছে। (সবাই এক সাথে হেসে উঠলো)

 

 অবন্তী-ছার তো এই সব বখাটে ছেলে দের অামি ভালো করে চিনি।

২ দিন অামার পেছনে ঘুরে এখন দেখ আমি পাওা দিইনি বলে হয়তো অন্য কারো পিছু নিয়েছে।

 আমি কি না বলে চুপ করে মাথা নিচু করে চলে অসছি কিছু দুর এসে

 অামার মনে হল আমার চোখ দিয়ে জল পরছে।তারপর দেখলাম

 মেঘা অাপু আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে কিছু বলতে জাবে তার আগে 

আমি পাস কাটিয়ে চলে আসলাম।পেছন থেকে কয়েক বার ডাকল কিন্তু 

আমি আর দারালাম না।বাড়ি এসে ঘরে দরজা লাগিয়ে শুয়ে পরলাম।

মা খেতে ডাকল কিন্তু না খেয়ে সুয়ে পরলাম।কিন্তুু ঘুম আসছে না 

তা ছাদে জেয়ে বসে চাঁদ দখছি আব নিকোটিন এর ধোঁয়া সাথে নিজের 

কষ্ট হাওয়ায় ওরাছি।আর মনে হচ্ছে চাঁদও জেন আমার কষ্ট দেখে কাঁদছে।

ছাদে বসে সারা রাত কাটিয়ে দিলাম।

সকালে কলেজে গেলাম কারো সাথে কথা না বলে ক্লাসএ চলে গেলাম।

আমার এমন আচরণ দেখে সবাই খুব অবাক হল।

সৌরভ এসে জিজ্ঞেস করে ছিল কিছু হয়েছে কিনা।

আমি কোনো উত্তর দিইনি।ক্লাস করে সোজা বাড়ি চলে এসলাম।

এক কথায় বলতে গেলে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি।

আর নিজেকে মনে সাথে মিথ্যে লড়াই করছি অবন্তীকে ভুলে থাকার মিথ্যে লড়াই।

এমন ভাবে কেটে গেল একটা বছর কেটে গেল।

 

কিন্তু এখন আমি অবন্তীকে ভুলতে পারিনি।ভুলবই বা কি করে ভোলার জন্য তো ভালোবাসিনি।

কিন্তু এখন আর কলেজে জাই না বাড়ি থেকেই পড়ি।

আর পরীক্ষার সময় জাই।সামনে আমার ৩ বর্ষের পরিক্ষা তাই পরাই নযমন দয়েছি।

দেখতে দেখতে ৩ বর্ষের পরিক্ষা হয়ে গেল। 

পরীক্ষা ভালো হয়েছে।আসা করি ফলাফল ও ভালো হরে।

দেখতে দেখতে রেজাল্ট ও বেরিয়ে গেল আমি A+ পেয়েছি।

৩ মাস পর। আজ আমি খুব খুশি কারণ আমি একটা পরীক্ষা দিয়ে ছিলাম 

"পুলিশ ফোরসে" জয়েন করার জন্য আর আমি তাতে চান্স পেয়েছি।

কিন্তু এই কথা কা কাউকে বলিনি এমনকি আমার বাবা-মা কেউ না।,,,, 

 

আপনাদের তো এরটা কথা বলতে ভুলে গেছি কিছু দিন পর মেঘা আপুর 

বিয়ে আমাকেও জেতে বলেছে।আমি মুখের উপর মানা করতে পরতাম 

কিন্তু তা করিনি কাজের বাহানা দেখিয়ে মানা করে দিয়েছি।ওখানে গেলে 

হয়তো অবন্তীকে দেখতে হত আর সেই পুরনো কথা গুলো

 মনে পরত তাই জাবনা ঠিক করেছি।

ঘরে শুয়ে আছি এমন সময় মা ঘরে এসে বলল,,, 

মা-নীল কাল এক জাগায় যেতে হবে।

আমি-কোথায় মা।

মা-তোর বাবা বন্ধু মেয়ের বিয়ে সেখানে জাব।

আমি-মা তুমিতো ভালো করে জান আমি এই সব পছন্দ করিনা।

মা-তা বলে কিকরে হবে ওনারা বিশেষ করে তোকে নিয়ে জেতে বলেছেন।

আমি-কেন আমায় নিয়ে জেতে বলেছেন।

মা-তোকে অনেক দিন ওরা দেখেনি তাই তোকে দেখতে চাই ওরা।

অামি-আমি কোনো চিরিয়া খানার যন্তুু না কি যে আমাকে দেখতে হবে।

মা-কি বলছিস এ সব যখন ওরা আমাদের বাসায় পাশে থা কত তখন ত সারা দিন ওদের সাবাতে থা কতি।

আমি-আগের কথা বাদ দাও না।আমি জাবনা।

 

মা-তা হলে আর কি করা জাবে তোর বাবাকে বলি তুই জাবিনা।

আমি-না না কে বলেছে আমি জাব না।আমি জাব।

মা-এই ত গুড বয়।

মা চলে গেল অাসলে আমার জাবার কোনো ইচ্ছে নেই ।সুধু বাবার ভয়ে জেতে হবে।

পরের দিন,,,, 

সকালে উঠে ফ্রেস হয়ে ব্রেক ফাস্ট করে বাইরে গেলাম।

বন্ধু দের সাথে অনেক দিন পর।

আজ্ঞে সে জাই গাই বসে আড্ডা দিতাম সেখানে গেলাম।

দেখি সবাই বসে বসে আছে আমি গেয়ে বললাম,,, 

-কিরে কেমন আছিস তোরা।

-ভালো।এতদিন পর ।আর তুইতো আমাদের কোনো খোজ খবর নিস নে।

-আরেনা।তো কেমন চলছে তোদের ।

-তোকে ছারা জেমন চলে।

-হু।

-নীল আজ যাবিতো।

-কোথায়।

-কেন আজ মেঘা আপুর বিয়ে না।

-ও আমার মনে ছিলনা।আর আমি জাবনা।

-কেন কি? হয়েছে জাবিনা কেন।

-এমনি ভালো লাকছে না।

-নীল একটা কথা জিজ্ঞেস করব যদি বন্ধু ভাবিস তা হলে সত্যি বলবি।

-মিথ্যে বলব কেন।বল কি বলবি।

-তুই হঠাৎ এমন কেন হয়ে গেছিস।

-কি হবে আর সে কথা শুনে ।

-দেখ কষ্ট মনে চেপে রাখলে কষ্ট বারে।

প্লিজ বল কি হয়েছে।

তার পর সেদিন কারের ঘটনা সব খুলে বললাম।

ওদের খুব মন খারাপ হয়ে যাই।

তার পর কিছুখন ওদের সাথে আড্ডা মেরে চলে আসলাম বাড়ি ।

 

বিকেলে সবাই তৈরি হয়ে বাবার বন্ধুর বাড়ির উদ্দেশে।কিছু খনের মধ্যে পোচ্ছে জাই।

বিয়ে বাড়ি খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে।

দেখে মনে হচ্ছে কোনো বড় লোকের মেরে বিয়ে।

ভিতরে গিয়ে মা-বাবা কোনে দেখতে জাই।

আর আমি ঘুরে ঘুরে বাড়িটা দেখতে থাকি।

হঠাৎ কিছু একটা দেখে আমার চোখ আটকে জাই।

আমি অবাক হয়ে দেখতে থাকি সেই দিকে,,,, 

আর ভাবছি আমি কিছু ভুল দেখছি নাতো না আমি ভুল দেখছি না আমি ঠিকই দেখছি।

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com