অতঃপর ফিরে পাওয়া | পর্ব ২
তার পর মিম বললল,,,,,
মিম-আচ্ছা তুমি এমন কেন।
আমি-কেমন।
মিম-তুমি আমাকে একটুও বোঝ না।(অভিমানী সুরে)
আমি-কি বুঝব।
মিম-তুমি একটা হাদারাম।(রাগ করে)
আমি-কি বললে।
মিম-ঠিকই বলেছি।(রাগ করে)
এই বলে মিম রাগে গজ গজ করতে করতে চলে গেল।আমি জানি ও কি বলতে চাইছে।এটাও জানি ও আমাকে ভালোবাসে।কিন্তু আমিযে এই সমন্ধে কিছুই ভাবিনা।আমার এই সব ভালোবাসা ভালো লাগেনা।কারণটা হল আমি জাকে ভালোবাসবো সে যদি আমার না হয়ে অন্যের আমানত হয়।তাহলে আমি নিজের চোখে নিজে খুব ছোট হয়ে যাব।তাই আমি এই সব সম্পর্ক কিন্তু ভাবতে চাই না।এই কথা ভাবতে ভাবতে আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে পরন্তু বিকেলের সূর্য অস্ত্র দেখছি।
পরের দিন,,,,,,,,,,,,,,,,
আজ ঘুমিয়ে আছি হঠাৎ আবিষ্কার করলাম আমি ভিজে গেছি।কিন্তু কি করে ভিজলাম বুঝতে পারছি না।তারপর উঠে দেখি মগ হাতে মিম দাড়িয়ে আছে।এবার আমার খুব রাগ উঠে গেল দিলাম এক চর।সাথে সাথে মিম মাথা নিচু করে গালে হাত দিয়ে দিরিয়ে রইল।তারপর আমি বললা৪
বললাম,,,,,,,,,,
আমি-এই তুমি আমাকে কি পেয়েছ হ্যা।কিছু বলিনে বলে কি মাথা কিনে নিয়েছ।
মিম-(এখন মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে)
আমি-যাও এখান থেকে যত বস।
মিম কিছু না বলে চলে গেল।কিছু খন পর মা এল আমার রুমে।বলল,,,,
মা-কিরে নীল মেয়েটা তোর ঘর থেকে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে গল কেন।
আমি-কিছু না।
মা আর কিছু না বলে চলে গেল।আর আমি মনে মনে ভাবতে লাগলাম হয়তো গায়ে হাত তোলাটা ঠিক হয় নি।পরে দেখা হলে সরি বলে দেব।কিছুদিন ওর সাথে আমার দেখা হয় নি।মনে মনে ভাবলাম।হয়তো চর মেরেছি বলে হয়তো আমার সামনে আসছে না।কিছু দিন এমন ভাবে কেটে গেল।
তারপর একদিন ছাদে বসে অাছি এমন সময় কেউ একজন।ছাদের আসল তাকিয়ে দেখি মিম।ও সোজা এসে আমার পাশে বসে পরল।আমি বললাম,,,,,
আমি-এত দিন কোথায় ছিলে।
মিম-কেন।
আমি-সরি বলার ছিল তাই।
মিম-হু।আমারো একটা কথা বলার আছে।
আমি-কি কথা।
মিম-দেখ আমি কথাটা অনেক বার বোঝাতে চেয়েছি হয়তো তুমি বুঝতে পেরেও না বোঝার ভান করে অাছো।তাই সরাসরি বলছি।আমি তোমাকে ভালবাসি।তুমি আমার সম্বন্ধে কি ভাবো আমি জানিনা।কিন্তু বিশ্বাস কর আমি তোমাকে সত্যি খুব ভালবাসি।নিজের থেকেও বেশি।(এক নিঃশ্বাসে কথা গুলো বলল)
আমি-দেখো আমি এখন এ সব সম্বন্ধে কিছু ভাবতে চাই না।
মিম-তুমি যদি আমাকে না ভালোবাসো তা হলে আমি মরে যাবো।
আমি-দেখো এ সব পাগলামি না করে বড়ি যাও।
মিম-তোমাকে ৩ দিন সময় দিলাম ভেবে দেখো।আর উওর টা "হ্যা" হওয়া চাই।না হলে ৩ দিন পর আমাকে আর পাবেনা।
এই বলে মিম চলে গেল।আর আমি ওর চলে যাওয়া দেখছি।কি মেয়ে দেখেছেন কেমন হুমকি দিয় গেল।আমি জানি এ মেয়ে এমন কিছুই করবে না।তাই আর বেশি কথা না ভেবে নিজের কাজে মন দিলাম।
এমন ভাবে ২দিন চলে গেল কিন্তু মিম এক বারের জন্য আমার সামনে আসেনি।আমি আর ওকে নিয়ে ভাবিনি।
আজ ৩ নম্বর দিন কিন্তু আজ কেমন জানি লাগছে।মনে হচ্ছে মিম যদি সত্যি কিছু করে বসে তা হলে।না না আমি এ সব কি ভাবছি ও এমন কিছু করবেনা আমাকে ভয় দেখা নোর জন্য বলেছে।আমি আর বেশি কিছু না ভেবে রাতে খেয়ে শুয়ে পরলাম।
হঠাৎ কেউ আমাকে ডাকছে মনে হল"এই নীল তারাতারি ওঠ বাবা"।আমি চোখ বুজে জবাব দিলাম "এত তারাতারি উঠে কি করব মা"।তার পর
মা যা বলল তা শুনে আমি কি করব বুঝতে পারছি না।
মিম নাকি সুইসাইড করতে গেছে এখন ও হাসপাতালে।এই কথা শুনে আমি হাসপাতালে দিকে দৌড়ানো শুরু করলাম।হাসপাতালে এসে দেখি মিমের বাবা মা মিমের পাশে বসে আছে ।আমি গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম মিম কেমন আছে ও নারা বলল এখন একটু ভালো আছে কিন্তু এখন জ্ঞন ফেরেনি।তার পর ওরা বাইরে চলে গেল।মিম শুয়ে আছে কি সুন্দর লাগছে।এবার নিজের ওপর নিজের খুব রাগ হল।মনে মনে বললাম মেয়েটা তো আমার কাছে বেশি কিছু চাইনি।শুধু একটু ভালোবাসা চেয়ে ছিল আর আমি নিজের জেদের জন্য আজ মেয়েটা মরতে বসেছে।
দেখি মিম এর জ্ঞন ফিরছে আমি ওর পাশে একটা টুলে বশে আছি।ও জ্ঞন ফিরার পর আমার দিকে তাকিয়ে আছে কি নিশ্পাপ চাহনি।আমি ওকে বললাম,,,,,,
আমি-তুমি এটা কেন করলে।
মিম-আমি তোমাকে আগেয় বলেছিলাম।
আমি-তুমি কি পাগল হয়ে গেছ।তোমার যদি কিছু হয়ে যেত।
মিম-তাতে তোমার কি।
আমি-আমি অনেক কিছু।
মিম-মানে।
আমি-এত মানে জানতে হবেনা আগে তারাতারি সুস্থ হও।
মিম-এক বার বলল ভালোবাস আমি এমনি সুস্থ হয়ে যাব।
আমি-এটা আবার বলতে হয়।
মিম-হু।
আমি-আমি তোমাকে ভালবাসি মিম। I LOVE YOU.
মিম-আমিও তোমাকে অনেক অনেক ভালবাসি নীল। I LOVE YOU TO.
দেখি মিম আমাকে জড়িয়ে ধরেছে।আমিও ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম।হাষ় হায় হায় এ কি হল।আপনারা কি ভাবছেন কি হয়েছে।,,,,,,,,,,,,
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com