বৃদ্ধাশ্রম
একমনে বাবাকে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে ইমন।উদ্দেশ্য বৃদ্ধাশ্রমে বাবাকে নিয়ে রেখে আসা।
ইমনের বাবা শফিক চৌধুরী। ২বছর হলো সরকারী কলেজ থেকে অবসর প্রাপ্ত হয়েছেন।১বছর আগে উনার স্ত্রী মারা যান।ছেলেকেও বিয়ে করিয়েছিলেন ভালো পরিবার দেখে। ইমন চৌধুরী-সরকারী কোম্পানীতে জয়েন করেছেন ৬মাস হলো।মা বাবার একমাত্র সন্তান। বিয়ের দুই মাস যেতে না যেতেই ইমনের স্ত্রী ইশার কাছে অসহ্য হয়ে উঠলেন শফিক চৌধুরী। ইশার কারণেই বাধ্য হয়ে ইমন বৃদ্ধাশ্রমে রেখে যাচ্ছে বাবাকে।তবে বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে রাখার আরেকটা কারণ আছে।
.
গাড়ি এসে থামলো বৃদ্ধাশ্রমের গেইটে।ইমন গাড়ি থেকে নেমে বাবাকে নিয়ে বৃদ্ধাশ্রমে আসে।শফিক চৌধুরীকে দেখে বৃদ্ধাশ্রমের সবাই হা করে তাকিয়ে আছে। এমন একজন বৃদ্ধাশ্রমে আসবে কেউ
কল্পনাও করতে পারেনি। বাবার হাতে ৫হাজার টাকা দিয়ে চলে যায় ইমন চৌধুরী।
বৃদ্ধাশ্রমের মেঝেতে বসে পড়লেন শফিক চৌধুরী।উনার গাল বেয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে আর ভাবছেন -এটা
আমার প্রাপ্তি ছিল।
যেমন কাজ তেমন ফল।আমি যেভাবে আমার মা বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে এনে রেখেছিলাম তেমনি আজ আমার ছেলে আমাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে গেল। আসরের আযান পড়ল;তিনি উঠে ওজু করে মসজিদে গেলেন।নামাজ শেষে অনেক লম্বা করে মা বাবার জন্য দোয়া করলেন।মসজিদ থেকে তিনি মা-
বাবার কবরের পাশে বসে কান্নাকাটি করলেন ও ক্ষমা চান। এভাবে তিনি প্রতি ওয়াক্ত নামাজ
শেষে মা-বাবার কবরের পাশে বসে কান্নাকাটি করতেন। আর দূর থেকে তা দেখতেন ইমন চৌধুরী।
এভাবে কেটে গেল একমাস। একদিন শরীফ চৌধুরী খাবার খাচ্ছিলেন এমন সময় ইমন ও ইশা এলো বাবাকে নিয়ে যেতে-
-বাবা আপনি আমাদের ক্ষমা করে দিন আমাদের ভূল হয়ে গেছে(ইশা)।
-না-মা এটা আমার প্রাপ্রি ছিল।
-প্রাপ্তি মানে?(ইমন)।
-হ্যা! বাবা। আমি আমার মা-বাবাকে
বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম।তাই আল্লাহ আমাকে এ শাস্তি দিয়েছেন। আমি আমার ভূল বুঝতে পারছি বাবা।
-ইয়াহু! আমাদের প্লান সাকসেসফুল
হয়েছে।Tnx ইশা।
-Wellcome.
-প্লান মানে?।
-হুমম।আপনাকে শিক্ষা দেবার জন্য ইশার
এ প্লান ছিল।
-তোমাদের এই প্লানের জন্যই আমার
চোখ খুলে গেছে।
তারপর শফিক চৌধুরী বললেনঃ কোন মা বাবার ঠিকানা যেন না হয় বৃদ্ধাশ্রম।
ইমনের বাবা শফিক চৌধুরী। ২বছর হলো সরকারী কলেজ থেকে অবসর প্রাপ্ত হয়েছেন।১বছর আগে উনার স্ত্রী মারা যান।ছেলেকেও বিয়ে করিয়েছিলেন ভালো পরিবার দেখে। ইমন চৌধুরী-সরকারী কোম্পানীতে জয়েন করেছেন ৬মাস হলো।মা বাবার একমাত্র সন্তান। বিয়ের দুই মাস যেতে না যেতেই ইমনের স্ত্রী ইশার কাছে অসহ্য হয়ে উঠলেন শফিক চৌধুরী। ইশার কারণেই বাধ্য হয়ে ইমন বৃদ্ধাশ্রমে রেখে যাচ্ছে বাবাকে।তবে বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে রাখার আরেকটা কারণ আছে।
.
গাড়ি এসে থামলো বৃদ্ধাশ্রমের গেইটে।ইমন গাড়ি থেকে নেমে বাবাকে নিয়ে বৃদ্ধাশ্রমে আসে।শফিক চৌধুরীকে দেখে বৃদ্ধাশ্রমের সবাই হা করে তাকিয়ে আছে। এমন একজন বৃদ্ধাশ্রমে আসবে কেউ
কল্পনাও করতে পারেনি। বাবার হাতে ৫হাজার টাকা দিয়ে চলে যায় ইমন চৌধুরী।
বৃদ্ধাশ্রমের মেঝেতে বসে পড়লেন শফিক চৌধুরী।উনার গাল বেয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে আর ভাবছেন -এটা
আমার প্রাপ্তি ছিল।
যেমন কাজ তেমন ফল।আমি যেভাবে আমার মা বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে এনে রেখেছিলাম তেমনি আজ আমার ছেলে আমাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে গেল। আসরের আযান পড়ল;তিনি উঠে ওজু করে মসজিদে গেলেন।নামাজ শেষে অনেক লম্বা করে মা বাবার জন্য দোয়া করলেন।মসজিদ থেকে তিনি মা-
বাবার কবরের পাশে বসে কান্নাকাটি করলেন ও ক্ষমা চান। এভাবে তিনি প্রতি ওয়াক্ত নামাজ
শেষে মা-বাবার কবরের পাশে বসে কান্নাকাটি করতেন। আর দূর থেকে তা দেখতেন ইমন চৌধুরী।
এভাবে কেটে গেল একমাস। একদিন শরীফ চৌধুরী খাবার খাচ্ছিলেন এমন সময় ইমন ও ইশা এলো বাবাকে নিয়ে যেতে-
-বাবা আপনি আমাদের ক্ষমা করে দিন আমাদের ভূল হয়ে গেছে(ইশা)।
-না-মা এটা আমার প্রাপ্রি ছিল।
-প্রাপ্তি মানে?(ইমন)।
-হ্যা! বাবা। আমি আমার মা-বাবাকে
বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম।তাই আল্লাহ আমাকে এ শাস্তি দিয়েছেন। আমি আমার ভূল বুঝতে পারছি বাবা।
-ইয়াহু! আমাদের প্লান সাকসেসফুল
হয়েছে।Tnx ইশা।
-Wellcome.
-প্লান মানে?।
-হুমম।আপনাকে শিক্ষা দেবার জন্য ইশার
এ প্লান ছিল।
-তোমাদের এই প্লানের জন্যই আমার
চোখ খুলে গেছে।
তারপর শফিক চৌধুরী বললেনঃ কোন মা বাবার ঠিকানা যেন না হয় বৃদ্ধাশ্রম।
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com