Breaking News

ফেইসবুক এ প্রেম, অত:পর ..

অনেক সুন্দর একটা প্রোফাইল পিক দেয়া
একটি মেয়ের আইডি পেলো আশিক, তারপর
রিকুয়েস্ট পাঠালো, অনেক দিন হয়ে গেলে
রিকুয়েস্ট টা এক্সসেপ্ট করছেনা
মেয়েটা,,তারপর মেসেজ দেয়া হলো তাও
এক্সসেপ্ট করছেনা,,কি করা যায় ভাবছে
আশিক,, ১ মাস পার হয়ে যায়,, হঠাাৎ একদিন
দেখা গেলো নোটিফিকেশন এসেছে,
মেয়েটা আশিক এর রিকুয়েস্ট এক্সসেপ্ট করছে,,.
.
আশিক সাথে সাথে মেয়েটাকে মেসেজ দিলো
আশিক:--- হাই,, কেমন আছেন? আর এতদিন
আমার রিকুয়েস্ট টা এক্সসেপ্ট করেন নি কেনো?
মেঘা:--- ভালো আছি,,, এমনি করিনি, আপনি কেমন আছেন?
আশিক:--- ও ভালো তা কি করেন?
মেঘা:--- কিছুনা, আপনি?
আশিক:--- সেম, কিসে পড়েন?
মেঘা:--- inter 2 nd year, আপনি?
আশিক :--- মাস্টার্স কম্পলিট করে জব খুজচ্ছি ,
মেঘা:--- ও গুড,,
আশিক :--- কোথায় থাকেন?
মেঘা:--- বাংলাদেশ আপনি?
আশিক:--- আরে বাবা সেটা তো যানি
আপনি যে বাংলাদেশি,,
মেঘা:--- হি হি হি,,আমি ঢাকা থাকি আপনি?
আশিক :--- আমিও, ঢাকা থাকি,,,
,,
অনেক কথা হয় দুজনের মাঝে,,, এমন করেই
প্রতিদিন কথা হতো,, দুজন দুজনকে ছাড়া
জেনো কিচ্ছু বুঝেনা।।
সকালে গুড মর্নিং রাতে গুড নাইট,, এই ড্রিম
সেই ড্রিম এরকম কত কিসের ড্রিম যে দেখার
কথা বলা বলি হতো তাদের মাঝে তারা
নিজেরাও জানেনা।
.
একদিন আশিক মেয়েটাকে বলে,
আশিক:--- তোমার একটা পিক দিবা?
মেঘা:--- ওকে,,
..
কিছু না ভেবেই নিজের পিক দিয়ে দিলো,,
পিক দেখে আশিক, অনেক কিছুই বলে,,
..
আর কিছুদিন কেটে যায়,,আশিক মেয়েটাকে
প্রপোজ করে,,মেঘাও রাজি হয়ে যায় "
মাঝে মাঝে কিস ইমুজি লাভ ইমুজি, এগুলা
যেনো কমন হয়ে গেছে তাদের মাঝে,,,
এমনি একদিন চেটিং হচ্ছে দুজনের মাঝে
আশিক:--- আচ্ছা জানু তুমি কি আমাকে
বিশ্বাস কর?
মেঘা:--- নিজের চাইতে বেশি,, হঠাৎ এই
কথা কেনো বলছো?
আশিক:--- এমনি. আচ্ছা আমি যদি তোমার
কাছে কিছু দাবি করি তুমিকি আমাকে তা দিবে?

মেঘা :--- একবার বলেই দেখো নিজের জিবন
টা দিয়ে দিবো তোমার জন্য,,
আশিক:--- না না জানু আমি তেমন কিছু
চাইনা আমি শুধু তোমাকে,নিজের করে পেতে চাই
মেঘা:--- হুম। তো বলো কি চাও আমার কাছে?
আশিক:--- যদি বলি তোমার অস্লিল ছবি
চাই। তুমি দিতে পারবা আমাকে?
মেঘা:--- এটা কেমন কথা? আর এ কেমন
চাওয়া তোমার? আমার যা আছে সবই তো
তোমার? এর এটা দেখার কি আছে?
আশিক:--- না কিছুনা বাদ দাও,, বাই পরে কথা হবে।।
(সেড ইমুজি দিয়ে মেসেজ টা দেয়া হলো)
মেঘা :--- তুমি কি রাগ করলে?
আশিক:--- নাহ। রাগ করিনি,, তবে এটাই
বুঝেছি তুমি আমাকে এখনো বিশ্বাস করতে
পারনি তাই আমার চাওয়ার মুল্য ও দাওনি,,
(আবারো সেড ইমুজি)
মেঘা:--- আরে না না তা হবে কেনো? আমি
তোমাকে নিজের চাইতে বেশি বিশ্বাস
করি,,আচ্ছা দাড়াও দিচ্ছি বাট প্লিজ পিক
টা ডিলিট করে দিবা বলো,
আশিক:--- হাসির ইমুজি দিয়ে.. ওকে জানু
প্রমিজ করছি দেখেই ডিলেট করে দিবো,,
লাভ ইউ বেবি,,
মেয়ে:--- হুম। লাভ ইউ টু বাবু।।
মেঘা পিক টা দিয়ে দিলো, আশিক
মেয়েটাকে বলে পিক ডিলিট করে দিয়েছে
কিন্তু সত্যি কথা হলো আশিক পিক ডিলিট
না করে উল্টো সেভ করে রেখে দেয়,,
এখন একদিন দুদিন পর পর এরকম অস্লিল পিক
আদান প্রদান করা হয়,,,
..
এমন করে ৬ মাস কেটে যায়।
হঠাাৎ আশিক এর মেয়েটার প্রতি
ভাললাগাটা কমতে শুরু করলো,,
মেয়েটা সেটা বুঝতে পারে,,
আশিক খুব ভালো করেই জানে মেয়েটা তার
ফ্যামিলি কে অনেক ভালবাসে আর
ফ্যামিলির জন্য সব কিছু করতে পারে,,"!
তাই আশিক মেয়েটার উইক পয়েন্ট হিসাবে
তার ফ্যামিলিকেই টার্গেট করে,,
একদিন রাতে আশিক আর মেঘার মাঝে কথা হচ্ছে,,
..
আশিক:---- আমি জানি তুই তোর ফ্যামিলির
জন্য সব কিছু করতে পারিস। তাই তুই যদি
চাস আমি তোর অস্লিল পিক গুলো তোর
ফ্যামিলি বা তোর বন্ধুদের না দেখাই
তাহলে আমি যা বলবো তা তোকে করতে হবে।

মেঘা:--- মানে কি? কি বলছো এগুলা? আর
তুমিকি পিক গুলো ডিলিট না করে রেখে
দিয়েছো?
আশিক:---- হা হা হা।। তুই সত্যি একটা পাগল,
কোনো মেয়ের অস্লিল পিক যদি কোনো
ছেলে পায় সেটা ডিলিট করে দিবে তুই
ভাবলি কি করে? তোর অনেক অস্লিল পিক
আমার কাছে আছে, দাড়া দেখাচ্ছি
তোকে,,"!!
এটা বলে কিছু পিক মেঘাকে পাঠিয়ে দিলো
আশিক,,
.
মেঘা:--- এগুলা কি আশিক? আমি তো
তোমাকে বিশ্বাস করে ভালবেসে এগুলা
দিয়েছিলাম, আর তুমি আমার সাথে এমন টা
করছো?
আশিক:--- ভালবাসা আর তোকে? হা হা
হা।।
শোন কালকের মধ্যে আমাকে ২০ হাজার
টাকা না দিস
তাহলে আমি তোর পিক গুলো নেটে ছেড়ে
দিবো,, তারপর তোর কি হবে তুই বুঝতেই পারছিস,,!!
মেঘা:--- কি বলবো তোকে বুঝতে পারছিনা,,
আরে আমি তো তোকে ভালবেসেছিলাম।
তাই তোর চাওয়াটা নিজের ভেবেছিলাম
তাই তুই যা বলতি আমি তাই করতাম,, তুই কি চাস বল??
আশিক:--- বেশি কিছুনা আপাতত ২০ হাজার টাকা হলেই হবে,,

মেঘা:--- ২০ হাজার না তোকে আমি ২০ লাখ
দিবো আমার কোথায় আসতে হবে বল,
আশিক:--- ২০ লাখ লাগবেনা ২০ হাজারই দে,
০১৭******** এই নে এটা বিকাশ নাম্বার, কাল সকালে পাঠিয়ে দিবি,,ওকে?
মেঘা:--- টাকা দিলে কি তুই আমার পিক
ডিলিট করে দিবি?
আশিক :--- হুম ডিলেট করে দিবো
মেঘা:--- কি করে তোকে বিশ্বাস করি বল?
পিক নেয়ার সময়ও একি কথা বলেছিলি,,
আশিক:--- আমাকে বিশ্বাস করা ছাড়া তোর
অ্ন্য কনো
উপায় ও নেই,, তাই তুই ভেবে দেখ কি করবি?
মেঘা:--- হুম,, ওকে কাল সকালে আমি
কলেজে যাওয়ার সময় টাকা টা পাঠিয়ে
দিবো, আর হ্যা, যদি মানুষ হয়ে থাকিস তো
পিক গুলো ডিলিট করে দিস,,বাই,,
কথা টা বলে মেঘা ডাটা অফ করে দিলো,,
পরের দিন সকালে টাকা বিকাশ করে দিলো
মেঘার বাবার অনেক টাকা আছে বলে ২০
হাজার টাকা দিতে প্রব্লেম হলোনা,,
..
কিছুদিন চলে যায় মেঘা আর আগের মতো
নেই আর থাকবেই বা কি করে? মেয়েটা
সারাক্ষন তার পরিবারের কথা আর বাবার
প্রেস্টিজের কথা ভাবে,,
অনেক দিন কেটে যায়, প্রায় ৬ মাস, মেঘা
আর ফেসবুক ইউস করেনা,,
আশিক ও আর কোন মেসেজ বা ফোন করেনি
এর মাঝে হঠাাৎ একদিন মেঘার মোবাইলে আশিকেরর মেসেজ,,

মেসেজ টা ছিলো এরকম,,
দেখো, আমার টাকার অনেক প্রব্লেম আমার
কিছু টাকা লাগবে আর হ্যা প্রমিস করছি
এবার তোমার পিক আমি ডিলেট করে দিবো,,
মেঘা:--- আর কতো টাকা চাস তুই বল।।
আশিক--- খুব বেশিনা, আগে ২০ হাজার
দিয়েছিস। এবার ৮০ হাজার দে , তাহলে তুই মুক্তি পাবি।।
মেঘা:--- আমার কাছে এতো টাকা নেই ১০
হাজার আছে এটা লাগলে বল আমি পাঠিয়ে দেই,,

আশিক:--- হা হা হা।।হাসালি তোর কাছে
টাকা নেই তো কি হয়েছে? তোর বাবার
কাছে তো আছে তার কাছ থেকে নে।।
মেঘা--- তুই কি পাগল? বাবার কাছে এতো
টাকা চাইলে বাবা আমাকে দিবেনা,,,
আশিক:--- দেখ আমি এতো কিছু জানিনা আর
জানতে ও চাইনা তোকে আমি ৭ দিনের সময়
দিলাম। হয়তো টাকা দিবি নয়তো আমি যা
বলেছি তাই করবো।
মেঘা:--- তুই বুঝতে পারছিস না কেনো?
আমার পক্ষে এতো টাকা দেয়া সম্ভব না,,
..
আশিক কোন রিপ্লে দিলোনা,,
৬ দিন কেটে গেলো মেঘা ৩০ হাজার টাকা মেনেজ করেছে,
আর পারবেনা বলে মেঘা নিজেই আশিক কে মেসেজ দিলো
মেঘা :--- আশিক আমি অনেক চেস্টা করে ৩০ হাজার টাকা মেনেজ করতে পেরেছি,,
আমি এর বেশি আর পারছিনা,,
আশিক:--- আমি জানিনা কিছু কালকের
দিনটাই তোর হাতে আছে,,ভেবে দেখ কি করবি..
মেঘা:--- সত্যি আমার কাছে আর নেই,,,
..
আশিক রিপ্লে দিলোনা,,
পরের দিন মেঘার মোবাইলে আশিকের মেসেজ../
আশিক:---- তুই কথা রাখিস নি তাই আমিও
রাখবোনা, কাল সকালেই তোর পিক আমি
নেটে ছেড়ে দিবো,,,
,,
এবার মেঘা রিপ্লে দিলোনা,, কারন মেঘা
ভেবে নিয়েছে কালকের সকাল সে আর দেখবেনা,,
তাই মেঘা নিজের রুমেই সুইসাইড করে,,
ফ্যানের সাথে ফাসি দিয়ে,,,!
আশিক খবর টা পায়,,,
আশিকও পিক গুলো নেটে ছাড়েনা,, আর
ছেড়েই বা কি হবে?
আর কাকেই বা ব্ল্যাকমেইল করবে? কার কাছ
থেকে টাকা নিবে? এগুলা ভাবা ছাড়া
আশিকের আর কোন কাজ নেই,,
...
কি ভুল ছিলো মেয়েটার? নিজের চাইতে
বেশি বিশ্বাস করেছিল আশিক কে এটাই কি
মেয়েটার ভুল? নিজের চাইতে বেশি
ভালবেসেছিল আশিক কে এটাই কি
মেয়েটার ভুল??
গল্প টা এখানেই শেষ...,
এমন ঘটনা আমাদের অনেকের সাথেই হতে পারে,,
এমন কি আমার চেনা জানা অনেকের সাথে
এমনটা হয়েছেও, ,,, তাই সবাইকে বলছি
স্পেশালি মেয়েদের,, ভালবাসা মানে
এইনা যে নিজের সব কিছু বিলিয়ে দিয়ে তা প্রকাশ করতে হবে,, //
ভালবাসি বলেই যে ভালবাসার মানুষের মন
রক্ষা করার জন্য নিজের জিবন বাজি রাখতে হবে,,
কিছু করার আগে ১০ বার ভাবুন। যা করছেন
সেটা ঠিক করছেন কিনা,,

ভালবাসা এমন এক নাম যা কখনো প্রকাশ করা যায়না,!!
ভালবাসা মানে নষ্টামি না ভালবাসা
মানে একটি পবিত্র বন্ধন "!
আর পারবো না কিছু লিখতে,আর পারছিও না লিখতে,,!
গল্প টা যদি ভালো লাগে তাহলে লাইক
কমেন্ট এর পাশাপাশি গল্প টা শেয়ার করবেন
প্লিজ,, রিকুয়েস্ট রইলো সবার কাছে যারা
আমার পেইজের ফ্যান্স লিস্টে আছেন। বা যারা গল্পটা পড়ছেন,,
কে জানে আপনার একটা শেয়ার হয়তো একটা
মেয়ের জিবন বাঁচিয়ে দিবে,,,, আশা করি
গল্পটার কথা গুলি নিয়ে সবাই একটু ভাব্বেন,,

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com