Breaking News

ইমান ধরে রাখা দ্বায়

এইতো গত কাল ২৯-১১-২০১৭ তারিখে অফিস থেকে নামাজ পড়ার জন্য বের হইলাম, আমি আর আমার এক কলিক মামুন সাহেব। বের হয়ে দুজনে হাটতে হাটতে মসজিদের দিকে যাচ্ছি এবং টুক টাক কথা বাত্রা বলছি, হটাৎ করে চোঁখে পড়ল পাশের গলিতে দাড়িয়ে এক মাঝবয়সি মহিলা ফোনে কথা বলছে এবং কেন যেন হাত মাথার উপর তুলে রাখছে সামনেই একটা মুদি দোকান সেখানেও অনেক লোকের ভির আমি ভালোকরে তাকিয়ে দেখি যে সবার দৃষ্টি ঔ মাঝবয়সি মহিলা মানুষের দিকে। আমি একটু খেয়াল করে দেখছি ঔ মহিলা যে কাপড় পড়ে আছে তা একদম হালকা এবং সেই হালকা কাপড়ের পাক দিয়ে তার শরীরের ভাজ গুলো স্পস্ট দেখা যাইতে ছে, আমার চোখ পড়া মাত্র বলে উঠলাম নাউজু বিল্লাহ। তখুন আমার আর বুঝতে বাকি ছিলোনা যে ঔখানে কিসের এতো ভির । কিন্তু আমার কথা হলো সেই মঝবয়সি মহিলার কি কোন অভিভাবক নেই, যে তারা তাকে শাসন করবে? তার কি স্বামি নেই যে তারা তাকে শ্বাসন করবে। এসব কথা বলতে বলতে মসজিদের সামনে এসে পড়লাম দুজনে এবার ওযু শেরে নামাজ পড়া শেষ করলাম।

নামাজ শেষ করে তার পড় দুজনে অফিসের দিকে হাটতে শুরু করলাম। আমরা দুজনে অন্য এক প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলতে বলতে হাটছিলাম দেখি সেই মাঝ বয়সি মহিলা এবার মেইন রাস্তার পাসে এসে কথা বলছে , এবার প্রথম চোখে পড়ল মামুন ভাইয়ের মামুন ভাই জোরে সরে বলে উঠল নাউজুবিল্লাহ। তার পড়ও মেয়েটির কোন প্রতিক্রিয়া নেই এবার খুব কাছ থেকে দেখলাম নারী দেহ এর আগে কখুনো এতো কাছ থেকে নারীদেহ দেখা হয় নি। সেই মাঝবয়সি মহিলাকে পিছনে ফেলে অফিসের দিকে হাটতে থাকলাম আর দুজনে হাসতে হাসতে কিছু বাজে মন্তব্য করলাম । 


আবার ভাবলাম এমন কেউ ফোন দিসে যে সে কথা বলতে বলতে বাসার নিচে চলে আসছে কিন্তু বাসার মধো যে পোষাক পড়েছিলো সেই পোষাকেই বাহিরে চলে আসছে এইরকমও ভাবলাম । আবার মামুন ভাই বলছে যে এটা ২ নাম্বার মাল খদ্দের কে পটানোর জন্য এসব ড্রেস পড়ে রোস্তায় বের হয় এদের অফার দিলেই রাজি হয়ে যায় বেড শেয়ার করার জন্য বিনিময়ে কিছু টাকা। আবার একদল মুসল্লি বলছে নাউযু বিল্লাহ রাস্তা ঘাটে এসব কি দেখছি কিয়ামত বুঝি আর দুরে নেই, ইমান রাখা দ্বায়।

আবার কিছু লোক সেই লোভনিয় শরীর দেখার জন্য রাস্তায় চলার ভান করে সেই নারীদেহের স্বাদ নিচ্ছে, কিন্তু আমার কোন কিছুই ভাবনাতে আনতে পারছিনা যে মহিলা টি কেনইবা এমন ড্রেস পড়ে রাস্তায় মোবাইলে কথা বলছে আর এ্ক্সপোস করছে। আবার মেয়েটি ফোনে কথা বলেই যাচ্ছে কারো দিকে কোন খেয়াল নেই তাকে অনেকে অনেক ভাবে বাজে কথা শুনিয়ে শুনিয়ে বলছে কিন্তু তার কোন প্রতিক্রিয়া নেই । 

এটাই যদি একটা জেলা শহরের অবস্থা হয় তাহলে শহর কেন্দ্রিক কি হতে হারে? এটা ছিলো রাজশাহী শহরের আলুপট্ট্রি মসজিদে যাওয়ার সময় বোয়ালিয়া থানা থেকে মসজিদে যাওয়ার পথের ঘটনা। আমি আর আমার সহিকরমী মামুন অনেক ক্ষন ভাবনা চিন্তা করে কোন ধারনা আসলো না, অফিসের কাজে আবার অফিসে চলে গেলাম ।


No comments

info.kroyhouse24@gmail.com