Breaking News

ভালোবাসার না বলা কথা

গল্প:বাশঁময় লেখক:Papon Das Raj(কলা গাছের বান্দর) -- ভাইয়া এই ভাইয়া -- হুমম -- কী হুম?আর কত ঘুমাবি। দেখ এনি তোরে কয়টা ফোন দিছে। -- কী? কোন মতে চোখ খুলে দিয়ার হাত থেকে মোবাইলটা নিয়ে তাকালাম। বেশি না মাত্র ৮ টা মিসকল আর দুইটা ম্যাসেজ। কি কিপটা মেয়ে, মাঝে মাঝে ফেসবুকে গল্প পড়ি বয়ফ্রেন্ড ঘুমিয়ে থাকলে তার গার্লফ্রেন্ড ৮০ টা ফোন আর ৪০টা ম্যাসেজ দেয়। কিন্তু এনি তো ৮ টা ফোন দিয়েই ক্লান্ত। তাই পাবলিক বলে গল্প আর বাস্তব এক না।আমি দিয়ার দিকে তাকিয়ে বললাম.... -- আরেকটু আগে ডাকতে পারিস নি? -- আমি খেয়াল করি নি আর তুই নিজেই বা কেমন করে ঘুমাস যে ফোনের আওয়াজে ঘুম ভাঙ্গে না। -- জ্ঞান না দিয়ে যা তো আমার জন্য চা নিয়ে আয়। -- পারবো না। নিজের গার্লফ্রেন্ডকে বলো এসে চা বানিয়ে দিতে। -- ওই দিয়া আমার লক্ষি বোন এমন করে না। -- ওকে তবে এটাই শেষ বার। . দিয়া চলে গেল আর আমি ফোনটা হাতে নিলাম এনিকে ফোন দিবো বলে। কে জানে হয়ত রেগে আছে আমার উপর? আমি ফোন দিলাম কিন্তু কেউ ধরলো না। তারপর আবার দিলাম। কেউ ধরছে না তবে হঠাৎ শেষ পর্যায় এসে ফোনটা রিসিভ হলো। -- হ্যালো জানু সরি। আমি ঘুমিয়ে ছিলাম বলে তোমার কল ধরতে পারি নি। --( চুপ করে আছে) -- বাবু কথা বলছো না কেন? -- তোমার বাবু গোসলে গেছে। আমি বাবুর মা বলছি। -- আরে শাশুড়ি মা, ধ্যাত মানে মা। না না আন্টি রাখছি। . এটা কি হলো? এক বছর ধরে প্রেম করছি কিন্তু এমন বাশঁ তো কোন দিনও খাই নি। কি দরকার ছিল ফোনটা নরমাল মুডে রাখার? এমনি এনি আমায় বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছি আর এখন যদি ওর মা আমার কথা ওর বাবা কে বলে তাহলে তো এনির বিয়ে পাক্কা আর আমার দেবদাস ২ মুভি করার সময় চলে আসবে। ধ্যাত কি সব ভাবছি আমি? তাই হয় গুরুজনে বলে, প্রেম করো না।এইসব ভাবতে ভাবতে দিয়া চা নিয়ে এসে হাজির..... -- এই যে তোর চা। -- হুমম -- কিরে মুখটা এমন চুপসে আছে কেন? মনে হচ্ছে মোটা না হলেও ছোটখাটো একটা বাশঁ খাইছিস। -- ওই তুই কি মুখ বিশেষক? কেন যে তোর বান্ধবী এনির সাথে প্রেম করতে গেলাম। এখন বিয়ে করার জন্য পাগল করে দিচ্ছে। -- ওই একদম ওর কোন দোষ দিবি না। নিজেই তো ওর পিছনে ঘুরলি। তারপর কত্তো কাহিনী করে আমাকে দিয়ে নিয়ে প্রেম করলি। -- ওকে হইছে তো এবার চুপ কর। মা শুনলে আরেকটা বাশ আমার কপালে জুটবে। পারলে আমার একটা কাজ কর, এনির সাথে দেখার করার ব্যবস্থা করে দে। -- ওকে দেখছি। . বলেই আমার হাত থেকে চায়ের কাপটা টান দিয়ে নিয়ে গেল। যদি অর্ধেক মাত্র খাইছি। আমি ফ্রেশ হতে চলে গেলাম কারন অফিস যেতে হবে। ও হা আমার পরিচয়টা তো দেওয়া হলো না। আমি রাজ আর একটা বেসরকারি সিভিল কম্পানীতে জব করি। আর আমার কাজ টা হলো, বাড়ির নকশা তৈরি করার পর ওই নকশায় কোন ভুল আছে কি না তার রিপোর্ট তৈরি করা? সকালে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করলাম এক সাথে। পরে দিয়াকে কলেজে নামিয়ে দিয়ে আমি অফিসের উদ্দেশ্যে চলে গেলাম। তবে দিয়াকে বলে গেলাম এনির সাথে যেন আমায় কথা বলায় কারন সকালের ব্যাপারটার পরে এনিকে ফোন দিতে সাহস পাচ্ছি না। আর ওর বাড়িতে জানি কি সমস্যা হচ্ছে? . এইসব ভাবনার মধ্যে দিয়ে অফিসে চলে গেলাম। অফিসে যেতেই শুনি বস নাকি আমায় ডেকেছে। কিন্তু কি কারনে বুঝতে পারতেছি না? আসলে কোন সমস্যা হয়েছে বলে তো আমার জানা নেই। তাই কোন চাপ না নিয়ে বসের রুমে গেলাম... -- স্যার আমায় ডেকে ছিলেন? -- হুমম রাজ আসো। -- জ্বী স্যার বলেন। -- এই পেনডাইপ টা নাও। এতে একটা দুতলা বাড়ির ডিজাইন আছে। তুমি ১ ঘন্টার মাঝে এটা চেক করে দাও। আসলে এটা আমাদের অফিসের কেউ বানায় নি তবে মিস্টার. শাহীন নিজে করেছেন। আর ডিজাইনে কোন ভুল আছে কি না তাই দেখাতে এখানে এসেছে। মিস্টার শাহীন আমার বন্ধু হয়। তাই একটু সময় নিয়ে ভাল করে দেখো। -- আচ্ছা স্যার। . যখন রুম থেকে চলে আসবো তখন মিস্টার শাহীন কেমন করে যেন আমার দিকে তাকাচ্ছিল। মনে হচ্ছে ওনার গরম ভাতে আমি পানি ঢেলে দিয়েছে। যাই হোক, যেহেতু এটা বসের বন্ধুর বাড়ির নকশা তাই একটু নিখুঁত ভাবেই দেখতে হবে। . বসের রুম থেকে আমার ডেক্সে এসে বসলাম। হঠাৎ নয়ন আমার কলিগ আমার সামনে আসলো... -- আরে রাজ কি ব্যাপার তোমার মুখের এমন ১২ টা বেজে আছে কেন? -- আর বলবেন না ভাই, কয়েকটা দিন ধরে হেব্বি চাপে আছে। -- বিয়ে করলেন না আর চাপ কে দেয়। -- সে অনেক কথা।অন্য একদিন বলবো। -- আচ্ছা পরেই বলেন। এই পেনডাইপ টা নেও। কিছু অযথা ডকুমেন্টে ভরে আছে। সব গুলো ডিলেট করে দাও। -- আচ্ছা বলেই নয়নের হাত থেকে পেনডাইপ টা নিয়ে ডেক্সের উপর রাখলাম। আমি যখন নয়নের হাত থেকে পেনডাইপ টা নিচ্ছিলাম তখন এটা কি রং এর পেনডাইপ খেয়াল করি নি। তাছাড়া মাথাটা একটু ব্যাথা করছে বলে চোখ বন্ধ করে ছিলাম। যখন চোখ খুলে ডেক্সের দিকে তাকালাম তখন দেখি দুইটাই কালো রং এর পেনডাইপ। এবার তো সমস্যায় পরলাম। কোনটা কার বুঝতেই পারছি না। পরে দুইটা কম্পিউটারে লাগিয়ে দেখি বাড়ির ডিজাইন । কিন্তু কোনটা ঠিক করবো আর কোনটার টা ডিলেট করবো বুঝতেই পারছি না। . খুব চিন্তা করে টস করলাম। তারপর একটা ডিলেট করে দিলাম আর একটা ঠিক করলাম। তারপর নয়নের কাছে গিয়ে বললাম। -- এই নাও তোমার পেনডাইপ। -- ধন্যবাদ। তারপর বসের রুমে গেলাম। আর ওনি তখন মিস্টার শাহীনের সাথে কথা বলছে... -- স্যার আসতে পারি। -- হুমম রাজ আসো। কিন্তু এতো সময় লাগলো কেন? -- আসলে ডিজাইনে অনেক ভুল ছিল যা ঠিক করতে সময় লাগছে। -- ও আচ্ছা । তারপর ওনি পেনডাইপটা আমার হাত থেকে নিয়ে ওপেন করলেন।তারপর ওনার বন্ধুকে বললেন... -- দেখো তো শাহীন সব ঠিক আছে কি না? -- না এটা তো আমার ডিজাইনই না ( অনেক অবাক হয়ে) -- কী?? রাজ তাহলে এটা কার নকশা । . তার মানে নয়ন যে পেনডাইপ দিয়েছে এটার ভুল গুলো ঠিক করে আমি স্যারকে দিয়েছি আর ওনার পেনডাইপ ডিলেট করে আমি নয়নকে দিয়েছি। এই গুলো আমি স্যারকে বললাম। এরপর আর কি ইচ্ছা মত বকা খেলাম স্যারের হাতে। শুধু স্যার আমার আগের কাজ গুলোর জন্য হয়ত এখনো কাজ থেকে বিদায় করে নি। আর মিস্টার শাহীন তো খুব রাগ দেখিয়ে দাড়িয়ে আছে। মনে হচ্ছে আমি ওনার মেয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছি। তারপর স্যারের রুম থেকে চলে আসি। হঠাৎ আমার মোবাইল টা বেজে উঠে, তাকিয়ে দেখি দিয়া ফোন দিয়েছে। -- হ্যা দিয়া বল। -- দিয়া না এনি বলছি। -- ও এনি বলো। -- আজ বিকালে ৫ টা বাজে আমাদের এলাকার কফি সপে পারলে একটু আইসেন। -- মনে হয় খুব রেগে আছো। -- রেগে থাকবো না কি তোমায় পূজা করবো? ফোন কে ধরলো তা না বুঝেই বাবু জানু ডাকো। -- আরে এতো রাগো কেন? -- ফোন রাখলাম। ঠিক সময় মতো চলে আইসো। -- আচ্ছা। তারপর ফোন কেটে দিলো। আর আমি কাজে মনোযোগ দিলাম। যদিও বস খুব রেগে আছে তাই বাকি কাজ গুলো মন দিয়ে করতে লাগলাম। যেন ওনার মনে আবার জায়গা করে নিতে পারি। . কাজ শেষ করে অফিস থেকে বাসায় না গিয়ে সরাসরি চলে গেলাম কফিশপে। গিয়ে দেখি ও এখনো আসে নি। আর এখন তো ওরে ফোনও দিতে পারবো না। এখন অপেক্ষা করা ছাড়া আমার কোন উপায় নেই। প্রায় আধ ঘন্টা পার হয়ে গেল কিন্তু মেডামের আসার কোন নাম নেই। হঠাৎ ওরে আসতে দেখলাম। এসে আমার পাশের চেয়ারে বসলো আর চুপ করে আছে। আর মুখটাও লাল হয়ে আছে। -- কি হলো মুখ এমন করে আছো কেন? মৌমাছি বুঝি হাল ফুটিয়েছে? -- এর থেকেও বড় কিছু হয়েছে। সকাল থেকে আজ আমাদের বাড়ি গরম। কে ফোন ধরলো এটা না বুঝে তুমি পিড়িত শুরু করছো তাই আমার মোবাইল মা নিয়ে নিছে। তারপর বাবা কই থেকে এসে জেনো ইচ্ছা মত কাকে বকতেছে? ওনি কষ্ট করে আমাদের নতুন বাড়ির নকশা বানিয়েছে আর ওই ছেলে নাকি ওনার ডিজাইন নষ্ট করে দিছে। -- ওয়েট! তোমার বাবার নামটা কী? -- শাহীন আহমেদ। -- হয়ে গেছে। -- মানে? -- মানে যে ছেলেকে নিয়ে ওনি বাড়িতে এসে বকলেন ওই ছেলে আর কেউ না, স্বয়ং তোমার সামনেই বসে আছে। ( এরপর এনিকে আমি সব বললাম) -- এবার কি হবে? মা বলছে তোমার সাথে যেন কোন কন্টাক্ট না রাখি। আর বাবা জানতে পারলে তো। -- কিছুই হবে না। বরং তোমার মা রিনা খান আর বাবা মিজু আহমেদ হয়ে যাবে। তারপর তোমায় আমায় নিয়ে একটা বাংলা ফিল্ম হয়ে যাবে। -- ধ্যাত আচ্ছা তুমি সিরিয়াস কবে হবে বলো তো? -- সিরিয়াসের ভাত নাই গো। কিছুদিন সিরিয়াস ছিলাম বলে এই বাশঁ যাচ্ছে। -- এবার আমি কি করবো একটু বলবে? যদি বলি তুমি আমার বয়ফ্রেন্ড তাহলে তো.... -- থাক এখন আর এইসব নিয়ে ভেবো না। বাড়িতে যাও আর তোমার মায়ের মন জয় করে মোবাইল টা নাও। আর বলবে আমার সাথে ব্রেকআপ হয়ে গেছে। -- মায়ের মন জয় করে মোবাইল নেওয়া মনে হয় খুব সহজ। -- এক বারে পানির মত। -- মানে?? -- মানে কিছু না। এবার বাড়ি যাও। নয়ত পরে কখন জানি তোমার বাবা মিজু আহমেদ সরি শাহীন আহমেদ চলে আসে। -- একদম এইসব ডাকবে না।এ সামান্য একটা বাড়ির ডিজাইন ঠিক করতে পারে না আবার বড় বড় কথা বলে। -- ওই এটা তোমার কাছে সামান্য মনে হয়। ১০টা জি এফ থাকা ভাল তবে এমন চাকরী থাকা ভাল না। -- কী বললি তুই? -- তুমি ডাকটা তো ঠিক ছিল তুই বললে কেন? -- তোর সাথে কথা নাই ব্রেকআপ ব্রেকআপ ব্রেকআপ। . বলেই রাগ দেখেই উঠে যাচ্ছিল। তখনই আমি ওর হাতটা ধরলাম... -- আরে বসো তো। -- কেন? আর তোমার সাথে আমি কথাই বা বলবো কেন? তোমার সাথে তো আমার ব্রেকআপ হয়ে গেছে। -- তাই তো বসতে বলছি। -- মানে? -- ব্রেকআপ পার্টি করবো বলে। -- আহা তোমার নাম গিনিস বুকে উঠা দরকার, যে কি না নিজের জি এফ এর সাথেই ব্রেক আপ পার্টি করতে চায়। -- হুম। আচ্ছা যাই হোক, আজ সকাল থেকে অনেক চাপ গেল। যাওয়ার আগে হাসি মুখে তো যাও। নয়ত পাবলিক ভাববে আমরা শুধু ঝগড়া করি রোমান্স করি না। -- ধ্যাত তুমিও না। আচ্ছা আসি অনেক লেট হয়ে গেল। দেখি মা মোবাইল দেয় কি না? -- আচ্ছা টা টা। মোবাইল হাতে আসলে একটা মেসেজ দিয়ো তো। -- ওকে বলেই চলে গেল। বাব্বা মা, বাপ, মেয়ে একটার থেকে একটা ধানি লঙ্কা। শুধু এনির ছোট বোন বর্ষার সাথেই এখনো দেখা হয় নি। আর দেখা হলে হয়ত আরেকটা বাশঁ আছে কপালে। তাই এখানে আর লেট না করে বাড়িতে চলে যাই। . রাতে রুমে শুয়ে শুয়ে মোবাইলে গান শুনছি। হঠাৎ ফোনে একটা ম্যাসেজ আসলো.. -- মায়ের থেকে মোবাইল টা নিতে পারছি। আর আজ কথা হবে না। কাল বিকাল একটু দেখা করো ঠিক টাইমে। ম্যাসেজ দেখার পরেও আমি কোন রিপ্লে দেই নি। কারন কাল তো দেখা হবেই। তারপর রাতে খাওয়া দাওয়া করে একটা ঘুম দিলাম। আজ যে পরিমানে বাশঁ আর চাপ গেল, আমি মনে হয় এক বছরেও এমন চাপ পাই নি। . আজ ছুটির দিন তাই তারাতারি ঘুম থেকে উঠে গেলাম। একটু হাটতে বার হবো বলে। তাই ফ্রেশ হয়ে একটু হাটতে বার হয়ে গেলাম। কারন দুপুরে ঘুমানোর সুযোগ পাবো আর বিকালে তো এনির সাথে দেখা করতে যেতে হবে। রাস্তা দিয়ে হাটছি,সাড়ে ছয়টা মনে হয় বাজে। আমি না হেটে পায়ের স্প্রিড টা বাড়িয়ে হালকা দৌড়াতে লাগলাম। হঠাৎ একটা মোড়ে ব্রেক করতে যাবো তখন খেলাম এক ধাক্কা এক পিচ্ছি মেয়ে সাথে। পিচ্ছি বললে ভুল হবে, মনে হয় নাইন টেনে পরে। মনে হয় কোচিংয়ে যাচ্ছে......... -- সরি ভাইয়া আসলে খেয়াল করে ধাক্কা লাগে নি। --ঠিক আছে। আপনাকে দেখে তো ভদ্র লোকই লাগছে তাই কিছু বললাম না। -- আচ্ছা ধন্যবাদ। -- আমি আপনার অনেক ছোট হবো তাই ধন্যবাদ দিয়েন না। -- আচ্ছা তোমার নাম কি ভাইয়া? -- বর্ষা আহমেদ চাঁদনী। -- কী?? -- কি হলো ভাইয়া?? -- তোমার আব্বুর নামটা কি শাহীন আহমেদ? -- হ্যা আপনি কি করে জানেন? -- পরিচিত বলে। আচ্ছা তুমি যাও। . তারপর ও আমায় বায় দিয়ে চলে গেল। আমার কপালে কি শনি চলতাছে যে বার বার ওদের কারো না কারো সাথে দেখা হচ্ছে তবে ছোট বোনটা তো ভালই।যাক ওদের পরিবারের একটা তো পাবলিক পেলাম যে আমায় বকে নি।তারপর বাড়িতে এসে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পরলাম। আজ যেহেতু ছুটির দিন তাই শুধু ঘুম আর ঘুম করেই দিনটা পার করে দিবো। . বিকালে কফিশপে বসে আছি। একটু পরেই এনি চলে আসলো। মনে হয় আজ ও নিজেই কোন টেনশনে আছে। -- কি হলো আজ মুখের কি হলো? -- বাড়িতে আজ বাবা আমার বিয়ের কথা বলছে। -- মিস্টি খাওয়াও। -- মানে? -- শুভ কথা মিষ্টি ছাড়া বলতে নাই। -- এটা তোমার কাছে শুভ কথা তাই না। তাহলে আমি চলে যাই। -- হি হি হি চলো কোথাও থেকে ঘুরে আসি। -- হাসতেছো। এখনো তুমি সিরিয়াস না। -- ধ্যাত বলো কোথায় যাবে? -- মরতে। -- ওকে চলো যাই। -- কী? -- চুপচাপ চলো তো আমার সাথে। তারপর কফিশপ থেকে বার একটা রিকশা নিলাম আর বললাম নতুন বাজারে যেতাম। রিকশা চলতে লাগলো। আমি মোবাইল টা বের করে কয়েকজন কে ফোন দিয়ে বললাম নতুন বাজারে আসতে। আমি যেতে প্রায় ২০ মিনিটের মত লাগলো। যেতেই দেখি নাসির, ইউসুফ আর সায়র ওরা দাড়িয়ে আছে। তারপর ওদের সবাইকে সাথে নিয়ে কাজী অফিসে গেলাম। কাজী অফিসে যেতেই এনি আমার দিতে তাকিয়ে বলল... -- এখানে নিয়ে আসলে কেন? -- লুডু খেলতে। -- কী?? -- ওই কাজী অফিসে কি করতে আসে হে। বিয়ে করবো তাই। -- তুমি কি সিরিয়াস? -- আগে বিয়েটা শেষ হোক। তারপর বলো সিরিয়াস কী না বুঝলে? . এরপর বন্ধুদের সাক্ষী রেখে বিয়েটা শেষ করে বার হলাম। যাক এবার তো কেউ আমার অসুর সরি শশুড়কে খবর দে। বন্ধুদের সাহস নিয়ে বাড়িতে গেলাম।কলিং বেল চাপতেই দিয়া এসে দরজা খুলল আর সে তো অবাক। তারপর মা আর বাবা আসলো। -- তুই এটা কি করলি? কাউকে বললিও না। বলতে তো পারতি তোর এই মেয়েকে পছন্দ। -- বাবা সরি আসলে ওর বিয়ের কথা হচ্ছিল ওর বাড়িতে আর আমারও বিয়ে করার শখ মিটিয়ে নিলাম -- হারামজাদা ঠাস... ( জানেন তো এটা কিসের আওয়াজ) এরপর প্রায় ৩০ মিনিট পর এনির বাড়ির সবাই এসে হাজির। আর আমাদের রুমে সবাই বসলো। -- ছেলে কই? কে আমার মেয়ে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করছে? তখন কাঁচুমাচু মুখ নিয়ে আমি সামনে গেলাম। আমায় দেখে যেন আকাশ থেকে পড়লো.... -- তুমি? তুমি সেই ছেলেটা না যে আমার বাড়ির ডিজাইন নষ্ট করলে? -- হুমম -- আমি এই বিয়ে মানি না... -- আমি আপনাকে আরো সুন্দর বাড়ির ডিজাইন বানিয়ে দিবো। তবু এমন কইরেন না। তারপর দেখি এনির বোন বর্ষা আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে। আর ও হাত দিয়ে বুঝালে আমায় ওর ভালই লাগছে। তারপর বাবা আমায় বলল, রুমে যেতে। আমিও দরজার সামনে গিয়ে দাড়ালাম।তখন আমার বাবা বলল... -- দেখেন ভাই সাহেব এটা জানি ওরা ভুল করছে কিন্তু ওদের এখন মেনে না নিলে কথা গুলো ১০ কান হবে আর আমাদের দুই পরিবারের জন্যই এটা খারাপ। এর থেকে ভাল চলেন আমরা মেনে নেই। . এর পর এনির বাপ মাথা ঘুড়িয়ে আমার দিকে তাকালো। তারপর চুপচাপ মনে হয় কয়টা গালি দিলো। এরপর বাবা কে বলল... -- আপনি ঠিকই বলছেন কিন্তু আমার মেয়ের যেন কোন কষ্ট না হয়। -- ও আমার মেয়ের মতই থাকবে। তারপর আমাকে আর এনিকে সবার সামনে ডাকা হলো। তারপর বাবা বলল.. -- তোমরা যা করলে তা খুব খারাপ করলে তবে এর জন্য শাস্তি পেতে হবে। -- শাস্তি?( আমি আর এনি নিজেদের মুখের দিকে তাকালাম) -- হুমম শাস্তি হলো আগামী শুক্রবার আমাদের সামনে আবার তোমাদের বিয়ে হবে এবং এর আগে পর্যন্ত এনি আমাদের বাড়িতে থাকবে আর রাজ তুমি তোমার শশুর বাড়িতে তাকবে। -- আমি রাজি। বিয়ের আগে শশুড় বাড়ির জামাই আদর কয়জনের কপালে জুটে। এটা না হয় আমি শাস্তি স্বরূপ পেলাম।আমি শুধু এনির দিকে তাকিয়ে একটা চোখ মারলাম। হোক নতুন করে সব শুরু। #অভাগা

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com