After Berakup ব্রেক আপের পরে
হ্যালো,শ্রেয়া
না ,আমি মুনা।আপনি কে বলছেন?
ওহ সরি রং নাম্বার। পরেরদিন আবার ফোন কল ...।
হ্যালো,অহনা!!
কে বলছেন?
আমি মেহেদি,এটা অহনার নাম্বার না!!
এক্সকিউজমি...এর পর নাম্বারটা চেক করে তারপর ফোন দিবেন প্লিজ।
ওকে।
বলার সাথে সাথেই কলটা কেটে দিল মুনা।
মনে মনে বলতে থাকলো বলদ একটা মনে হয় অথবা ইচ্ছা করে মেয়ে কন্ঠ শোনার পর থেকে এমন করছে। যাই হোক,পরের দিন সেইম টাইম আবার কল...।
হ্যালো ,ভাই আমি শ্রেয়া,টিনা ,অর্পিতা,কোন কিছু ই না।আর কিছু বলবেন?আর কত বার বাহানা করে কল দিবেন !প্রব্লেমটা কি বলেন ??
প্লিজ একটু দম নিন,এক নিঃশ্বাসে তো সব বলে দিলেন আমাকে তো কিছু বলতে দিবেন।
না পারব না আর শুনব ও না।আমি আপনার নাম্বারটা ব্লক করে দিব বল্লাম।
ওকে এত কষ্ট করতে হবে না।আর কল দিব না।
মুনা নাম্বারটা মুরগী নাম দিয়ে সেইভ করে রাখলো ফোনে।দুই দিন কোন কল ছিল না।
হঠাত আবার কল তবে অন্য নাম্বার দিয়ে।ফোনটা রিসিভ করার পরে কোন কথা বলছে না
ও পাস থেকে ।অনেক বার হ্যালো হ্যালো করে করে মুনা বিরক্ত হয়ে কলটা কেটে দিল।
রাত বারটা মুনার ফোনটা ওয়েটিং,কিন্তু তা দেখতে পেয়ে ও একটা
নাম্বার দিয়ে বার বার কল করে যাচ্ছে।এবার মুনা কলটা কেটে দিয়ে ,
রিং দিল ওই নাম্বারে কিন্তু কেউ রিসিভ করল না।কয়েক মিনিট পর একটা
মেসেজ এলো ওই নাম্বার থেকে মুনার নাম্বারে , "সময় গুলো আমার ছিল,
নয়তো আমাদের দুজ নার।আমার একে অন্যকে মুগ্ধ করতাম ভালবাসায় ।
আজ কত বিবর্ন সময় গুলো,আমার প্রজাপতি অন্য ফুলের পরাগ
মেখে মুগ্ধ হয়।আমি শুধু নিঃস্প্রান সেই অতীত পরাগ
নিয়ে আজো পথ চেয়ে থাকি তোমার ফেরার আশায়।
" মেসেজটা পড়ার পরে মুনার মাথায় এক চক্কর দিল।কারন ও বুঝতে
" মেসেজটা পড়ার পরে মুনার মাথায় এক চক্কর দিল।কারন ও বুঝতে
পেরেছিল মেসেজটা কার!!এবার কল দিল
দুই বার রিং হবার পরে কলটা রিসিভ করল,রাতুল...।
হ্যালো ,রাতুল্
হুম
ব্রেকাপের পরে নিজের প্রেমিকা অন্যের হয়ে যায়।কথাটা মাথায় রাখা উচিত।
হ্যালো ,রাতুল্
হুম
ব্রেকাপের পরে নিজের প্রেমিকা অন্যের হয়ে যায়।কথাটা মাথায় রাখা উচিত।
শুধু শুধু ইমোশনাল ব্লাক মেইল করে লাভ নাই।আমদের সব শেষ।
আসলেই কি সব শেষ?
হা শেষ।
ভাল আছিস?
হা অনেক ।।আমি যাকে এখন ভালবাসি সে তোর মত না।মাঝ পথে তোর মত আমাকে ছেড়ে যাবে না।
বল্লেই হলো!! আমি তোকে কারো হতে দিব না।
ফানি।
তুই ফানি,তোর প্রেমিক কে বলে দিস আমি ফিরে এসেছি।তার কোন চাঞ্চ নাই।
দুই বছর পর ফিরে এসে ভালবাসা দেখচ্ছিস?? কই ছিল তোর এত
আসলেই কি সব শেষ?
হা শেষ।
ভাল আছিস?
হা অনেক ।।আমি যাকে এখন ভালবাসি সে তোর মত না।মাঝ পথে তোর মত আমাকে ছেড়ে যাবে না।
বল্লেই হলো!! আমি তোকে কারো হতে দিব না।
ফানি।
তুই ফানি,তোর প্রেমিক কে বলে দিস আমি ফিরে এসেছি।তার কোন চাঞ্চ নাই।
দুই বছর পর ফিরে এসে ভালবাসা দেখচ্ছিস?? কই ছিল তোর এত
দিন ভালবাসা? একটা বার ও তো খোজ নিস নায়।যাক বানিয়ে বানিয়ে
তোর ডিটেল বলতে হবে না।ফোন রাখব আমি।আর শোন ,আমি শোভন
কে ভালবাসি,তোর ছেড়ে যাবার পরে ও আমাকে মানসিক জোড় দিয়েছে
,নতুন করে পথ চলতে শিখিয়েছে।আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ।
মুনাআআআআআআআ,শোভন তোকে ভালবাসেনি যাস্ট ইউজ
করছে।ও কি করে পারল বন্ধুর গার্লফ্রেন্ড কে প্রোপজ করতে।আর তুই !!
তুই কি পারতি না একা থাকতে?? লাইফে কি কাউকে দরকার ই ছিল?
মেয়ে মানুষ গুলো এমন কেন?স্বার্থপর
কই একটা বার জানতে চেয়েছিস আমি কোথায় কেমন আছি?মরে গেছি নাকি বেচে আছি।
কই একটা বার জানতে চেয়েছিস আমি কোথায় কেমন আছি?মরে গেছি নাকি বেচে আছি।
প্রয়োজন পড়েনি,কারন হাজার বার ট্রাই করার
পর যার ফোন নাম্বারটা ওফ থাকে তার কথা মনে না রাখাই বেটার।
হা হা হা করে হাসতে থাকলো রাতুল।তারপর ফোনটা কেটে দিল।
হা হা হা করে হাসতে থাকলো রাতুল।তারপর ফোনটা কেটে দিল।
মুনার প্রচন্ড খারাপ লাগছিল।কিন্তু ইচ্ছা করছিল না আবার কল দিতে ।
তবু ফোনটার দিকে বার বার তাকাচ্ছিল।এই বুঝি আবার কল দেয়।
কিন্তু কিছু কষ্ট মাথা চাড়া দিয়ে উঠছিল।কেন ছেড়ে গিয়েছিল আমাকে !!
আজ এত দিন পর ভালবাসা জেগে উঠেছে।না আমি একদম আবেগ কে পাত্তা দিব না।
আমি বর্তমান নিয়ে হেপি থাকতে চাই।
এলোমেলো সব ভাবনা নিয়ে ঘুমিয়ে পরল মুনা।
কয়েক ঘন্টা পরে আবার ফোন কলের আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে গেলো
হ্যালো
ঘুমাছিস?
হুম ,কেন?
তুই কি দেখতে আগের মত আছিস?সেই চুল ,যা দেখে আমি ক্লাশে বসে প্রথম কবিতা লিখেছিলাম?এখনো কি তুই বাবুদের মত গাল টা ফুলিয়ে ঘুমাস?
জানি না,শোভন বলে ...।
প্লিজ ,ওই নামটা আমার শুনতে ভাল লাগছে না।
হ্যালো
ঘুমাছিস?
হুম ,কেন?
তুই কি দেখতে আগের মত আছিস?সেই চুল ,যা দেখে আমি ক্লাশে বসে প্রথম কবিতা লিখেছিলাম?এখনো কি তুই বাবুদের মত গাল টা ফুলিয়ে ঘুমাস?
জানি না,শোভন বলে ...।
প্লিজ ,ওই নামটা আমার শুনতে ভাল লাগছে না।
ভুলেই যাই আমার আর কোন রাইট নাই তোর প্রতি।
কোথায় আছিস?
ঢাকা --- কি করছিস?
একটা প্রতিবন্ধি স্কুলে চাকরি পেলাম।ভাবলাম করি,সময় ও কাটবে আর .
কোথায় আছিস?
ঢাকা --- কি করছিস?
একটা প্রতিবন্ধি স্কুলে চাকরি পেলাম।ভাবলাম করি,সময় ও কাটবে আর .
মানে!!প্রতিবন্ধি স্কুলে কেন?
নিজেকে যতবার আয়নায় দেখি ততবার প্রতিবন্ধি ই মনে হয় তাই।
নিজেকে যতবার আয়নায় দেখি ততবার প্রতিবন্ধি ই মনে হয় তাই।
মুনা এবার ঘুম ছেড়ে উঠে বসলো ,মানে কি হয়েছে তোর?বল ..
বাড়ি থেকে ঢাকা যাচ্ছিলাম ,
আমাদের মফস্বলে ছোট ছোট কিছু মটর চালিত গাড়ী চলে ওটায় করে স্টেশনে যাচ্ছি।
ওটা খাদে পড়ে যায়,যখন সেন্স ফেরে তখন আমি হাসপাতালে।
আমি এখন আর হাটতে পারি না জানিস,বাম চোখের একটা নস্ট হয়ে গেছে।
কালো চশমা পড়ি।একবার ভেবেছিলাম তোকে জানাব ,
কিন্তু তোর লাইফে এই পুঙ্গুত্ব নিয়ে ফেরার ইচ্ছে ছিল না,
তাই আর যোগাযোগ করিনি।(কথা গুলোর মাঝে চাপা দীর্ঘশ্বাস ছিল)
রাতুল, রাতুল শোন ,এই রাতুল...
না ,আমার ঠিকানা চাইবিনা প্লিজ ,
রাতুল, রাতুল শোন ,এই রাতুল...
না ,আমার ঠিকানা চাইবিনা প্লিজ ,
আমাকে আমার মত করে থাকতে দে।আমি চাই না আমাদের আর দেখা হোক।
প্লিজ একটা বার ,একটা বার তোকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে দে।
না আর হয় না ,তুই ঠিকই বলেছিস ,ব্রেকাপের পরে নিজের প্রেমিকা আর নিজের থাকে না।
তোর গা থেকে আমি এখন আর আমার গন্ধ পাব না,
পাব অন্য কারো গন্ধ তার চেয়ে এই ভাল আছি ,
তুই আমার সেই মুনা হয়েই আমার স্মৃতিতে থাক
আমার সব নষ্ট হলে ও মেমরি আজো তোকে প্রথমদিনে
ছুঁয়ে যাওয়া অনুভুতির মতই মাতাল,
আমার এইটুকু নষ্ট করিস না প্লিজ ...।।
তুই ও তোরা ভাল থাক।।
হ্যালো, হ্যালো ( মুনা চিল্লায়ে যাচ্ছে,কিন্তু ফোনটা একেবারে ই ওফ করে দিল)
আর কোন দিন কথা হলনা মুনা আর রাতুলের।
মুনাও চুপচাপ হয়ে গেল আগের থেকে।
এবার শোভনের কাছ থেকেও দূরে চলে এলো মুনা।
আবার একটা অনাকাংক্ষিত ব্রেকআপ।তারপর আবার ...অজানায় পথ চলা।
---ছন্নছাড়া অর্পিতা
---ছন্নছাড়া অর্পিতা
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com